0


কাজী নজরুল ইসলামের ইসলামী কবিতা
---হাসান আলীম
কাজী নজরুল ইসলাম মাত্র ২২-২৩ বছরে এক বিস্ময়কর কাব্য প্রতিভা নিয়ে বিশ্ব সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ করেন। নজরুল জন্মেছিলেন ১৮৯৯ সালের ২৪ মে বা ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বাংলা সনে। আর ১৯২২ সনে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা প্রকাশ পায়। এ সময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৩ বছর। অগ্নিবীণাতে ২২-২৩টি কবিতা রয়েছে। এ গ্রন্থের বিখ্যাত কবিতা বিদ্রোহী লেখা হয়েছিল ১৯২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ হয়ে ছিল ১৯২২ সালের জানুয়ারি মাসে।
এ গ্রন্থটি কেবল বাংলা সাহিত্য নয় বিশ্ব সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। রবীঠাকুরের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভানু সিংহের পদাবলী’। এটি রবীঠাকুরের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ থেকে দুর্বল- প্রথম কাব্যে এমন দুর্বলতা অনেকেরই থাকতে পারে। রবীঠাকুরের  অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ যেমন ‘সোনারতরী’, ‘চিত্রা’, ‘উর্বশী’, ‘বলাকা’ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। নজরুল তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ দিয়েই বাংলা সাহিত্যে তথা বিশ্ব সাহিত্যে স্থায়ী আসন করে নেন। এ কাব্যগ্রন্থের অর্ধেক কবিতাই ইসলামী কবিতা। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : ‘রণভেরী’, ‘খেয়াপারের তরুণী’, ‘মোহররম’, ‘কোরবানী’, ‘শাত-ইল-আরব’ ‘কামালপাশা’, ‘আনোয়ার’ প্রভৃতি কবিতা। এছাড়াও তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ যেমন- ‘বিশের বাঁশী’, ‘ফাতেহা-ই-দোয়াজদহম’ ‘জিঞ্জির’-এর ‘ঈদ-মোবারক’, ‘আয় বেহেশতে কে যাবি আয়’, ‘চিরঞ্জীব জগলুল’, ‘খালেদ’, ‘ওমর ফারুক’, ‘সুবহে সাদেক’, ‘আমানুল্লাহ’, ‘রসুল (সা.)-এর জীবননির্ভর তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘মরু-ভাস্কর’ এর ‘নবযুগ’সহ অন্যান্য পত্রপত্রিকা এবং কাব্যগ্রন্থসমূহের আরো অনেক উজ্জ্বল কবিতা ইসলামী ঐতিহ্য ইসলামী ভাব, ইসলামী জাগরণ, আল্লাহ ও রসুল (সা.) ভক্তি নির্ভর ইসলামী কবিতা এসব কবিতায় স্বাধীনতা হারা, ঐতিহ্য ও ইতিহাস বিস্তৃত মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জাগিয়ে তুলেছেন। বাঁচার স্বপ্নে-দেশ ও ধর্মরক্ষার উজ্জীবনী শক্তিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মানবতাবাদী, সৌন্দর্যদীপ্ত, প্রকৃতিনির্ভর যেকোন নিটোল কবিতাই ইসলামী কবিতা। ইসলাম মূলত শান্তি ও সৌন্দর্যের ধর্ম। তাই শান্তি ও সুন্দরকে উপজীব্য করে সে কেউ যে কবিতা রচনা করবে তাই ইসলামী কবিতা। এ অর্থে নজরুলের সব কবিতাই ইসলামী কবিতা এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক কবিতাই ইসলামী কবিতা। সত্য ও সুন্দরের পক্ষে মানবতার পক্ষে যে কবিতা তৌহিদবাদ অর্থাৎ একত্ববাদের  সাথে সাংঘর্ষিক নয়, এমন কবিতাই ইসলামী কবিতা।
(২)
নজরুলের আগে অনেক কবিই ইসলামী কবিতা লিখেছেন। মধ্যযুগের হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে অনেক কবিই ইসলামী কবিতা রচনা করেছেন- এদের মধ্যে শাহ মোহাম্মদ ছগীর, সৈয়দ সুলতান, আলাওল, আবদুল হাকিম, রামাই পণ্ডিত উল্লেখযোগ্য। আধুনিক যুগের মীর মশাররফ, কায়কোবাদ, শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ নজরুল পূর্ব কবিবৃন্দ ইসলামী কবিতা রচনা করেছেন। কিন্তু এদের মধ্যে কেউ নজরুলের মত প্রতিভাসম্পন্ন ছিলেন না।
হাজার বছরের বাংলা কাব্যে ইসলামী কবিতায় যারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন তাদের মধ্যে সৈয়দ সুলতান এবং নজরুল চূঁড়াস্পর্শী। নজরুল সমসাময়িক আরেকজন কবি গোলাম মোস্তফা ইসলামী জাগরণের কবি ছিলেন। গোলাম মোস্তফা ভাষা ও ছন্দে রবীন্দ্র প্রভাবের বাইরে যেতে পারেননি। গোলাম মোস্তফা আদর্শে পৃথক রইলেও সুর ও ছন্দে ততটা পৃথক হতে পারেননি। কিন্তু নজরুল ছিলেন সম্পূর্ণ আলাদা এবং মৌলিক কবি। বড় কবি। রবীন্দ্র প্রভাব বলয় মুক্ত একজন  বড় কবি যার ভাষা, সুর, ছন্দ, অলংকার, রবীন্দ্র এবং অন্যান্য কবি থেকে পৃথক এবং অনন্য।
নজরুলের শুধু কবিতাই নয়, তার গীতি কবিতা, হামদ-না’ত, গজল, ভক্তি সঙ্গীত ও ইসলামী সৌন্দর্যরসে পরিসিক্ত ছিল। নজরুলের ইসলামী কবিতা রচনার মূলে ছিল খোদাপ্রেম এবং রসুলপ্রেম। আল্লাহ ও রসুলপ্রেমে পাগল ছিলেন বলেই তার পক্ষে ইসলামী কবিতা রচনা করা সম্ভব হয়েছে।
নজরুলের একটি হামদ ও না’ত এর কিছু উদ্ধৃতি : (হামদ)
ফুলে পুছিনু, বল বল ওরে ফুল।
কোথা পেলি এ সুরভি, এরূপ অতুল?
‘যার রূপে উজালা দুনিয়া’ কহে গুল,
‘দিল সে মোরে এরূপ এ খোশবু।’
আল্লাহু আল্লাহ॥
ওরে কোকিল কে তোরে দিল এ সুর
কোথা পেলি পাপিয়া এ কণ্ঠ মধুর?
কহে কোকিল ও পাপিয়া ‘আল্লাহ গফুর।’
তাঁরি নাম গাহি ‘পিউ পিউ, কুহুকুহু
আল্লাহু আল্লাহু॥
(না’ত)
মোহাম্মদ নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে,
তাই কিরে তোর কণ্ঠের গান এমন মধুর লাগে॥
ওরে গোলাপ নিরিবিলি
(বুঝি) নবীর কদম ছুঁয়ে ছিলি,
(তাই) তাঁর কদমের খোশবু আজও
তোর আতরে জাগে॥
মোর নবীরে লুকিয়ে দেখে
তাঁর পেশানীর জ্যোতি মেখে
ওরে ও চাঁদ, রাঙলি কি তুই গভীর অনুরাগে॥
ওরে ভ্রমর তুইকি প্রথম
চুমেছিলি নবীর কদম
আজও গুনগুনিয়ে সেই খুশী কি
জানাসরে গুলবাগে॥
(৩)
নজরুল ইসলামের ইসলামী কবিতা রচনা প্রসঙ্গে প্রখ্যাত নজরুল গবেষক ড. শাহাবুদ্দীন আহমদ বলেন, ইসলামের ভাবমূর্তিকে সমুন্নত করতে নজরুলের গভীর ও আন্তরিক প্রচেষ্টা তুলনাহীন। নজরুল ইসলামের কাব্যজীবনে আরম্ভই ছিল ইসলামী জীবনাদর্শকে অগ্রাধিকার দিয়ে। নজরুল ইসলামের প্রকৃত কাব্যজীবন শুরু হয় ‘মোসলেম ভারত’-এ প্রকাশিত ‘শাত-ইল-আরব’ কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে। তারপর একের পর এক তিনি লিখতে থাকেন ‘খেয়াপারের তরণী’, ‘কোরবানী’, ‘মোহররম’, ‘ফাতেহা-ই-দোয়াজদহম’, ‘আবির্ভাব’, ‘আনোয়ার’, কামালপাশা’ ‘রণভেরী’, ‘তিরোভাব’, এইসব ইসলামী কবিতা ভাবধারা ও সংস্কৃত ধর্মী কবিতা।” [নজরুল কাব্যে ঐতিহ্যের স্বরূপ-পৃ. ১৪৫]
নজরুল ইসলাম তাঁর কাব্যমানস তৈরি করেছিলেন পারিবারিক শিক্ষা, ধর্মীয় অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের সাম্যবাদ উদার রাষ্ট্র সমাজ চিন্তার পাঠ থেকে। ভারতের রাষ্ট্রশাসন ইংরেজরা ছিনিয়ে নিয়েছিল মুসলিম শাসকদের হাত থেকে। মুসলিম সমাজ তাঁর  রাষ্ট্রশাসন হারালে তাকে পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করেছে প্রায় পৌনে দু’শ বছর। রাষ্ট্রভাষা তখন ফারসী ছিল। ফারসী ভাষা অনেকটাই আরবী প্রভাবিত এবং সংযোজিত। ফারসী ভাষাকে তখন পরিত্যাগ করতে প্রায় শত বছর লেগেছিল। ফারসীর অনেক শব্দ বাংলাভাষা সাদরে গ্রহণ করেছে। হিন্দু মুসলিম সাহিত্যিকবৃন্দ ফারসী ভাষা এবং ফারসী সংযোজিত বাংলাভাষাকে পরিহার করেনি। সাহিত্যে এ ভাষাকে ব্যবহার করা হয়েছে। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার পর অনেক হিন্দু-সাহিত্যিক সংস্কৃত শব্দ বাংলাভাষায় ব্যবহার করেছেন। সাথে সাথে বহুকাল ব্যবহৃত ফারসী শব্দকেও সুকৌশলে পরিহার করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম ইবরাহীম খাঁর একটি চিঠির জবাবে লিখেছিলেন ‘বাঙলা সাহিত্য হিন্দু-মুসলমানদের উভয়েরই সাহিত্য। এতে হিন্দু দেব-দেবীর নাম দেখলে মুসলমানদের রাগ করা যেমন অন্যায় হিন্দুরও তেমনি মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মধ্যে নিত্য প্রচলিত মুসলমানী শব্দ তাদের লিখিত সাহিত্যে দেখে ভুরু কোঁচকানো অন্যায়।”
নজরুল ইসলামের ভাষা শব্দ ও সংস্কৃত স্বচেতনা থেকেই ইসলামকে তার কাব্য বিষয় করেছেন। নির্যাতিত, পরাধীন জাতির মুক্তির জন্য ইসলামের সমাজ ও রাষ্ট্র বিপ্লবের তত্ত্ব নিয়ে কাব্য রচনা করেছেন। মুসলিম মানস গঠন, সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও জাতীয়তা, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য জাগরণমূলক কাব্য রচনা করেছেন প্রথম থেকেই। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’র কিছু ইসলাম-প্রধান কবিতার উদ্ধৃতি :
১.
ঐ ইসলাম ডুবে যায়
যত শয়তান
সারা ময়দান
জুড়ি খুন তার পিয়ে
হুঙ্কার দিয়ে জয়গান শোন গায়
আজ শখ করে
জুতি টক্করে
তোড়ে শহীদের খুলি দুশমন পায় পায়
ওরে আয়!
[রণভেরী]
২.
তবে শোন ঐ শোন বাজে কোথা দামামা
শমশের হাতে নাও, বাঁধো শিরে আমামা!
বেজেছে নাকাড়া, হাঁকে নকীবের তূর্য,
হুশিয়ার ইসলাম, ডুবে তব সূর্য!
[মোহররম]
৩.
শাতিল আরব! শাতিল আরব!!
পূত যুগে যুগে তোমার তীর
শহীদের লোহু দিলীরের খুন
ঢেলেছে যেখানে আরব বীর।
যুঝেছে এখানে তুর্ক সেনানী
য়ুনানী মিসরী আরবী কেনানী
লুটেছে এখানে মুক্ত আজাদ বেদুইনদের
চাঙ্গা শির।
নাঙ্গা শির-
শামসের হতে আঁসু আঁখে হেথা মূর্তি
দেখেছি বীর নারীর।
শাতিল আরব। শাতিল আরব!!
পূত যুগে যুগে তোমার তীর।
(শাত-ইল-আরব)
৪.
পুণ্য পথের এসব যাত্রীরা নিষ্পাপ,
ধর্মেরী বর্মে সু-রক্ষিত দিল সাফ!
নহে এরা শঙ্কিত বজ্র নিপাতেও
কাণ্ডারী আহমদ, তরী ভরা পাথেয়
(খেয়াপারের তরণী)
৫.
্আনোয়ার! আফসোস!
বখতেরই সব দোষ,
রক্তেরও নেই ভাই আর তাতে তাপ জোশ,
ভেঙে গেছে শমশের, পড়ে আছে খাপ কোষ।
আনোয়ার! আফসোস!!
(আনোয়ার)
ইসলামী পুনর্জাগরণ, ইসলামী বিপ্লব, ইত্যাদি বিষয় ছাড়াও তিনি মহানবীর জীবনভিত্তিক কাব্য ‘মরুভাস্কর’ রচনা করেছেন। এছাড়াও তিনি বিষের বাঁশি কাব্যগ্রন্থে ‘ফাতেহা-ই-দোহাজদহম’ (আবির্ভাব তিরোভাব)-শিরোনামে অতুলনীয় কবিতা রচনা করেছেন।
উদ্ধৃতি :
নাইতা-জ
তাই লা-জ?
ওরে মুসলিম, খর্জুর-শীর্ষে তোরা সাজ
করে তসলিম হর কুর্নিশে শোর আওয়াজ
শোন কোন মুঝদাসে উচ্চারে হেরা আজ ধরা মাঝ!
উরজ য়্যামেন নজদ হেজাজ তাহামা ইরাক শাম
মেসের ওমান তিহারণ-স্মরি’ কাহার বিরাট নাম
পড়ে ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম।                                                                           
নজরুলের ইসলামী কবিতা লেখার উৎস ও প্রেরণা তার ইসলামের নিগূঢ় বিশ্বাস এবং পূর্বসূরীদের কাব্য রচনার আলোকধারা।
ইসলামের পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে নবী মুহম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এজন্য তাঁকে নিবেদন করে বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব কবিই কাব্য/ কবিতা রচনা করেছেন।
মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি সৈয়দ সুলতান ‘নবীবংশ’ এবং ‘রসুল বিজয়’ নামে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনভিত্তিক দু’টি সেরা কাব্য রচনা করেছেন। বিংশ শতাব্দীর কবি রওশন ইজদানী রসুল (সা.)-এর উপর একটি পুরো কাব্য ‘খাতামুন নবী ঈন’ রচনা করেন। ফররুখ আহমদ ‘সিরাজাম মুনীরা’ নামে ৩০২পুংক্তির একটি দীর্ঘ কবিতা লেখেন।
‘মরুভাস্কর’ নজরুলের রসুল জীবনকেন্দ্রীক একটি অসমাপ্ত বড় কাব্যগ্রন্থ। নবীজীর জন্মপূর্ব কাল, শিশুকাল, বালক সময়, কিশোর বয়স, যুবক এবং বিবাহ সময়কাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের অত্যন্ত উচ্চমার্গের  কবিতা রয়েছে মরুভাস্করে। এ কবিতাগুলো ভাষা, ছন্দ ও চিত্রকল্পে বাংলা সাহিত্যে সেরা সৃষ্টি।
৪.
নজরুল অত্যন্ত শিক্ষিত ও সচেতন কবি ছিলেন। ছন্দ, অলংকার এবং কাব্যভাষা নিয়ে তিনি অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। অনেক তত্ত্বময়, সাম্যবাদময়, সর্বধর্ম জাগরণময়, কবিতা তিনি রচনা করেছেন। তিনি ইসলামের আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক, জাগরণমূলক, ভক্তিমূলক কবিতা ছাড়াও প্রচুর প্রেমের কবিতা, দ্রোহ-বিদ্রোহের কবিতা লিখেছেন। তিনি হিন্দুধর্মের ওপর কাব্য রচনা করেছেন। ‘রাঙাজবা’তে শতাধিক শ্যামা সঙ্গীত রচনা করেছেন।
তিনি ভারতের হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে মানবতার জয়গান গেয়েছেন।
আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় নজরুলের সংবর্ধনা সভার সভাপতি হিসেবে বলেছেন- ‘নজরুল ইসলাম শুধু মুসলমানের কবি নন। তিনি বাঙলার কবি; বাঙালির কবি। ... কবি মাইকেল মধুসূদন খ্রিস্টান ছিলেন : কিন্তু বাঙালি জাতি তাহাকে শুধু বাঙালি রূপেই পাইয়াছিল। আজ নজরুল ইসলামকেও জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সকলেই শ্রদ্ধা নিবেদন করিতেছেন।”
লেখক কবি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top