আরেকটি মৃত্যু এবঙ একটি গনতান্ত্রিক প্রশ্ন...
___ আবদুল বাতেন
অসুস্থ্য তোমাকে দেখতে ব্যস্থতাকে ছুটি দিয়ে গিয়েছি ইট কাঠের ঢাকা শহরে।রাস্তার যানযট,কান্তি রাতে তোমাকে দেখতে পারেনি আমার ব্যকুল দু,চোখ। ভেবেছিলাম রাতের নিরবতা কেটে যাক সকালের চকচকা আলোয় দেখবো। সূর্যটা তখনো উঠেনি, নামাজের বিচানায় খবর পেলাম তুমি নেই। রাগ হলো নিজের সাথে। শহরের ব্যস্থতা আর সময়কে দোষারোপ করে অভিমান করলাম আমার সকল অক্ষমতার সাথে। আর তুমি ফিরে গেলে তোমার সত্য ঠিকানায়..... আমি,আমরা রয়ে গেলাম মৃত্যুর অপেক্ষায়।
সেলিম মেম্বার, বয়স ৫০ ছুইনি। মেম্বার হওয়ার বিভোর স্বপ্ন নিয়ে রাজনৈতিতে এসেছিলে রুগ্ন শরীর নিয়ে,সেদিন তোমার শারীরিক,মানসিক,মানবিক আবেদনের কাছে হার মেনেছিল চরম সত্য ? ? ?
তুমি মেম্বার হয়েছো।আমাদের গ্রামের সাধারন মানুষের অসীম চাহিদার কাছে সরকারি বরাদ্দ ছিল সীমিত । তাই অনেক সময় পারনি সবার মন রক্ষা করতে। ঢাকার ব্যবসা ছেড়ে গ্রামে রয়ে গেলে। করলে আরেকটি সংসার। আশার বীজ বুনেছো আবার মেম্বার হওয়ার।
আহ! গ্রামে দেয়ালে লাগানো তোমার পোষ্টারের গাম এখনো শুকায়নি ভাল করে। অথচ তুমি নেই, আর সব আছে...। তোমার মৃত্যু হয়তোবা সুযোগ করে দিলো অনেক কে অনেক কিছু হবার। তোমাকে দিয়ে যারা রাতের আধারে করতো রাজনৈতির ঘোলা পানির মাছ শিকার,তারা আছে আমাদের সমাজে সাধু সন্নাসী বেসে। শুধু তুমি নেই.....
এখন খুব মনে পড়ে, আমাকে প্রায়ই বলতে, বাতেন ভাই আপনাদের নিয়ে আমি মাদক,সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে চাই। উপরে বলেন,ব্যবস্থা নেন। কিন্তু পরক্ষনেই রাজনৈতি আপনার ভাল চিন্তাকে কালো মেঘ দিয়ে ঢেকে দিত।আপনি অনেক কিছুই পারতেন না।
আহ! একটি মৃত্যু কতগুলো জটলা পাকিয়ে গেলো। দু,টি সংসার,ছেলে মেয়ে,রাজনীতি,ব্যবসা,সামাজিক দ্বায়বদ্দতা???
দয়াকরে স্থির হোন,একা একটু বসুন,রাতের নিরবতাকে সঙ্গি করে বিবেগের বোতাম খুলে নিজেকে প্রশ্ন করুন, রাজনীতির নামে আমরা একই গ্রামে,একই বাড়িতে,ভাই- ভাই মাঝে যে বিভেদের দেয়াল তুলছি অনবরত তা কি ঠিক ? ? ?