মা |
නනනනනනනනනන
মা জননী
মো. আলানূর হোসাঈন
නනනනනනනනනන
আজ কবিতার বসবে আসর,
আলোচিত হবে মায়ের দান ।
এই আসরের মধ্যমনি
হৃদয়ের মেহমান।
হৃদয় মাকে দিচ্ছে সালাম
আপন অন্তরালে।
নামটি মায়ের মধ্যমনি
থাকবে সর্বকালে।
কালে কালে স্বরণীতে,
রাখবে লিখে তুমি।
মায়ের ভালোবাসার কথা,
বুঝবে কত দামি।
মায়ের কাছে এই হৃদয়টা,
হয়েছে কত দেনা।
ভালোবাসা তার জীবন দিয়ে,
যায়না কভু কেনা।
মায়ের ভালোবাসা মোদের,
চারদিনের সাথী।
সুখে দুঃখে তার মমতায়,
ফুলের মালা গাঁথি।
মা জননী এই আসরে,
আজকে তোমায় চাই।
তুমি বিনে এই আসরের,
নাইরে মূল্য নাই।
আজ দেখে যাও তোমায় নিয়ে,
লিখছে সবাই বাণী।
তুমি মাগো মহামহীম,
দোয়া কর তুমি।
মাগো তোমায় দুই নয়নে,
দেখিনা কত দিন।
তুমি বিনে এই হৃদয়ে,
বাজে না সুখের বীণ।
কত আদর সোহাগ দিয়ে,
মুখে খাবার দিতে।
একটু আঘাত পেলে মাগো,
বুকে টেনে নিতে।
কত গল্প শুনাতে মা,
ঘুম পড়ানি গান।
তোমার ভালোবাসা সেতো,
প্রভুর মহাদান।
এই জগতে প্রভুর পরে,
তোমায় শুধু বুঝি।
তাইতো মাগো সারা জীবন,
তোমায় শুধু খুঁজি।
মাগো তোমার মুখে কেন,
এত মধু মাখা।
হৃদয় তোমার মহা সাগর,
যায়না কভু লেখা।
কি পেয়েছ মাগো তুমি,
এত কষ্ট করে।
তোমায় শুধু দুঃখ দিলাম,
সারা জীবন ভরে।
তোমার হৃদয় কেন মাগো,
এত দয়াময়।
জানতে বড় ইচ্ছা করে,
হয়না কেন ক্ষয়।
আমায় ভালো রাখতে মাগো ,
রাত জেগেছ কত।
কীসের টানে সুখ দিয়েছ,
কষ্ট করে শত।
প্রশবেরই বেদনায় মা,
মৃত্যু প্রায় তখন।
মৃত্যু কষ্ট ভুলে গেলে,
দেখলে আমায় যখন।
বুকে টেনে নিলে মাগো,
একটু দিলে হাসি।
ঐ হাসিটাই বিশ্বসেরা,
জানে জগতবাসী ।
কোলে কোলে রাখতে আমায়,
করাতে দুগ্ধ পান।
তোমার দুগ্ধে সর্ব ঔষধ,
দিলেন মেহেরবান।
বলতে তুমি চাঁদ মামাকে,
টিপ দিয়ে যা।
রাগ করোনা রাগ করোনা,
আমার লক্ষী সোনা।
এখনও মা আমায় ভেবে,
দিন করেছ ক্ষয়।
আমার কষ্টে তোমার হৃদয়,
কাঁপছে সর্বময়।
পাঁচ ওয়ক্ত নামাজ পড়ে,
করছ দোয়া তুমি।
যেন সদা খোদার পথে,
চলতে পারি আমি।
আমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখ,
অনেক বড় হব।
জ্ঞন গরিমায় দ্বীনের পথে,
অটুট আমি রব।
হাসলে আমার বদনখানি,
হাসে তোমার মন।
তোমার হৃদয় আমার জন্য,
ভাবে সর্বক্ষণ।
তোমার ভালোবাসার মাগো,
নাই যে তুলনা।
স্বর্গ তোমার পদতলে,
আমার ঠিকানা।
তাইতো রাসূল তোমার কথা,
বলেন বারংবার।
প্রিয় রাসূল এতিম ছিলেন,
মা ছিল না তার।
কত সন্তান তোমাকে মা,
বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়।
সুখের নেশায় তারা মাগো,
কোরমা পোলাও খায়।
তবুও তো মা অভিশাপ,
একটু দাওনি তুমি।
প্রভুর কাছে করছ দোয়া,
তুমি দিবা যামী।
এখনও মা করছে দোয়া,
নামাজে কেঁদে কেঁদে।
ঈদের দিন চেয়ে থাক,
শিরনি পোলাও রেধে।
মা যে আমার পর্দানীশী,
নিত্য কুরআন পড়েন।
তাহার কাছে প্রতিবেশী,
এলেম শিক্ষা করেন।
মা হল মোর এই জগতে,
প্রথম পাঠশালা।
যার কাছে পাই ধর্ম শিক্ষা,
গলে দ্বীনের মালা।
হে পরোয়ার সুস্থ রেখ,
আমার মাকে তুমি।
তোমার কাছে এই ফরিয়াদ,
করতেছি আজ আমি।
অনেক তুফান ঝড় বহিছে,
মায়ের জীবন দিয়ে।
আজ ক্লান্ত মা জননী,
শুধুই ধৈর্য্য নিয়ে।
এই জগতে মা নেই যাহার,
বড়ই দুঃখ তার।
পায় না যে তার আদর সোহাগ,
জীবন অন্ধকার।
এখন কিছু মায়ের জাতির,
বড়ই করুন দশা।
পায়না সম্মান নিজেকে সে ,
করল পণ্য পেশা।
শয়তানেরই রশি হয়ে,
দেখায় রূপের খেলা।
মানুষ রূপে শয়তান আবার,
বসায় নারীর মেলা।
বড়ই কষ্ট পাই যে মাগো,
বড়ই কষ্ট পাই।
এই জগতে নরীর সম্মান,
হইল দেখি ছাই।
কিন্তু দেখ কত যে মা,
হিজাব পড়ে চলে।
তাদের সবাই ভালোবাসে,
আল্লাহ ভীরু বলে।
আবার দেখ কত নারী,
নীতির লড়াই করে।
খোদার দোয়া নীতি ছেড়ে,
শয়তান লইয়া মরে।
আজ হুশিয়ার হওযে নারী,
তোমরা মায়ের জাতি।
সবার উপর তোমার সম্মান।
ছাড়ো ভ্রান্ত নীতি।
নারী নীতির নামে তোমরা,
আর কেট না ধান।
অর্ধালঙ্গ হাট বাজারে,
তোমাদের অপমান।
এই হৃদয়ে কষ্ট চেপে,
দোয়া করি আজ।
সরল পথে তোমাদের যেন,
চালান প্রভু রাজ।
আজ কবিতায় এই আসরে,
তোমার কথায়ই বলে।
কেউ বা আবার মা হারিয়ে,
ভাসায় নয়ন জলে।
আজকে মাগো দোয়া চাহে,
এই আসরে যারা।
তোমার দোয়াহীনে মাগো,
আমরা সর্বহারা।
কবিতার আসর কবুল কর,
হে রহমান তুমি।
আজ অনুষ্ঠান মার চরণে,
শপে দিলাম আমি।।
[খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের লেখা । ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্ঠিতে দেখবেন