প্রথমত: . বিষয় নির্বাচন:
মনে রাখবেন সব বিষয়ে গল্প লেখা হয়ে গেছে। যেমন খুন , ভালোবাসা, দূর্ভিক্ষ যা যা আপনি ভাবতে পারেন। সব। তবুও নতুন বিষয় খুঁজে বের করতে পারলে ভালো হবে।
২. আশপাশের অতি পরিচিত বিষয়েও আপনি সুখপাঠ্য গল্প লিখতে পারেন। যদি আপনার নিজস্ব একটা সহজ ঢং থাকে।
৩. আবার অনেক বিষয় আছে দেখবেন খুব পরিচিত কিন্তু কেউ তেমন একটা পাত্তা দিচ্ছে না। আর আপনি সেটা নিয়ে লিখলেন এবং বিষয়টাকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করলেন, দেখবেন নতুন কিছু হয়েছে। যেমন একজন গার্মেন্টস কন্যা, একজন রিকসাওয়ালী, প্রাকৃতিক দূর্যোগে একজন সর্বহারা মানুষ, একজন জঙ্গিকর্মী।
৪. আমাদের এই ভুখন্ডে আ›তজাতিক অনেক বিষয় আছে। যেমন বিহারী বস্তি একটি আর্ন্তজাতিক ইস্যু। সেখানকার ইয়াছিন মিয়া আপনার গল্পের একজন নায়ক হতে পারে।
চিটমহলের মানুষের জীবন একটা ভালো বিষয় আরো অনেক আছে। যেটার জন্য আলাদা একটা লেখা তৈরী করা সম্ভব।
৫. যদি একটি ভালো স্টাইল দাড় করাতে না পারেন। আন কমন বিষয় বেছে নেবেন। তাহলে অন্তত এক দিক থেকে আপনি অন্যন্য থাকবেন।
৬. কোনো গুরুত্বপূর্ন ইস্যু বেছে নিলে অবশ্যই সংশ্লিস্ট তথ্য দিবেন। এবং সঠিক তথ্য দিবেন। প্রয়োজনে সময় নিয়ে লিখবেন। তথ্যভিত্তিক লেখার আলাদা একটা চাহিদা আছে।
৭. পরিচিত বিষয়ের ভেতর ছোট ছোট ব্যাপার থাকে সেগুলো যেন মিসিং না হয় সেটা খেয়াল রাখবেন। যেমন আপনি একজন ট্রাপিক পুলিশের উপর একটি গল্প লিখছেন। সেখানে তাদেও নিজস্ব কিছু পরিভাষাগত ব্যাপার থাকে।
৮. ছোট ছোট ট্রিটমেন্ট গল্পকে এক ধরনের বিশ্বাস যোগ্য রুপ দিতে পারে। এ বিষয়টা স্বার্থকভাবে ফুটিয়ে তোলার একটা ব্যাপার আছে।
৯. অনেক ভেবে বিষয়বস্তু ঠিক করুন। অনুবাদ গল্পগুলোর একটা স্টাইল আছে। সেগুলোর সাথে বাংলা ছোটগল্প লেখার বর্তমান স্টাইলটা সমন্বয় করতে পারলে নতুন কিছু হতে পারে।
১০. যারা নতুন তাদরে জন্য ভালো পদ্ধতি হলে প্রথমে গল্পটা লখিইে ফলেুন তারপর নজিে সমালোচক হয়ে দোষত্রুটি ঠকি করে আবার লখিুন যদি ঠকি আছে মনে করনে কাউকে দখোন আবার শুদরে ননি। তনিদফা শুদ্ধ করে এভাবে কমপক্ষে গোটা দশকে লখিুন।
১১্ লখোর তনিমাস আগ থকেে কোন নন্মিমানরে লখো পড়বনে না। তাহলে তার প্রভাব লখোয় চলে আসতে পার।ে বষিয়টি গুরুত্বর্পূন।
১২. আপনি মনে করুন এটা আসলে গল্প নয় একটা সিনেমা আপনার সামনে চলছে। অথবা সব আপনার চোখের সামেন ঘটছে। তাহলে আপনি বিষয়টার বিবরণ কিভাবে লিখতেন। সেটাই লিখুন। সহজ তরিকা।
১৩. সবচে ভাল্ োপদ্ধতি হলো প্রথম দকিে এমন বষিয় বছেে নবেনে যা আপনার নজিরে জীবনে ঘটছে।ে অথবা আপনি নজিে কাছ থকেে দখেছেনে। তাহলে ভালো লখিতে পারবনে। হাত পকেে গলেে এবার নজিরে গন্ডরি বাইরে চলে আসুন।
১৪. প্রথমে আপনি ঠিক কওে নিন আপনি কাদেও জন্য লিখবেন মানে আপনার পাঠক কারা হবে। তারপর শুরু করুন। অনেক কনফিউশন দূও হয়ে যাবে।
১৫. মনে রাখবেন ছোট গল্পের প্রধান বৈশিষ্ঠ হচ্ছে বিন্দু মাঝে সিন্দুর গভীরতা। এমন একটা বিষয়কে গল্পের মাঝে তুলে ধরেন। আপনার লেখার ভেতর গল্পটা শেষ হয়ে যাবে কিন্তু পাঠকের মাথার ভেতর গল্প চলতে থাকবে দীর্ঘদিন।
গল্প লেখা বিষয়ক টিপস: গল্পের সূচনা
গব লেখার জন্যই সূচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে ছোটগল্পের জন্য বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। আসলে সূচনার কোন ব্যাকরণ নেই। সবচে ভালো পদ্ধতি ভালো ভালো লেখক ও লেখা দেখতে সেটা তাদেরকে অনুসরণ করার জন্য নয়। বরং সেটা দেখে আপনি নিজে একটা রাস্তা বের করতে পারবেন সেজন্যে। এগুলো আসলে সৃজনশীল বিষয় ভেতর থেকেই আসে। তবে কিছু জিনিস জানা থাকলে সুবিধা হয়। সাহিত্য রচনার জন্য নিয়মগুলো শুধু জেনে রাখবেন । এগুলো মনে থাকাও জরুরী নয়। ভেতরে থাকলে এটার একটা আইটপুট পাওয়া যায়। তবুও কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখতে পারেন।
১. প্রথম কয়েক পারা পড়ে যেন পাঠকের আগ্রহ তৈরী হয় বাকী অংশটুকু পড়ার জন্য।
২. একটু নাটকীয়তা বা রহস্য থাকলে ভালো হয়। তবে সেটা এমনভাবে উপস্থাপন করবেন না যাতে মেকি মনে হয়।
৩. প্রতিটা বিষয় এবং গল্পের জন্য আলাদা কওে চিন্তা করবেন।
৪. প্রচলিত বিষয় হলে এমন একটা ইঙ্গিত শুরুতে দেবেন যাতে মনে হয় ভেতওে অন্যরকম একটা ব্যাপার আছে।
৫. অপচলিত কোন বিষয় বা জটিল কোন বিষয় নিয়ে লিখতে চাইলে গল্পের ছলে বিষয়টাকে সহজভাবে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে পরিস্কার করবেন।
৬. গল্পের পরিণতি দিয়েও শুরু করতে পারেন। যদি গল্প অনেক বাঁক থাকে।
৭. গল্পের ভেতরে অনেক গল্প থাকে, তেমনি একটি টুকরো গল্প দিয়েও শুরু করতে পারেন। যেমন আপনি এমন একজনকে নিয়ে গল্প লিখছেন যিনি এ মুহুর্তে তার একমাত্র জমিতে দাাঁড়িয়ে আছে। যে জমিটির কিছু অংশ নদীতে ভেঙ্গে পড়েছে। বাকী অংশ হয়তো কয়েক মুহুর্তের মধ্যে তলিয়ে যাবে। আপনার গল্পের বিষয় হলো লোকটি এর পরে শহরে গিয়ে জীবন যুদ্ধ শুরু করবে সেটা। এক্ষেত্রে এ জমিটা কেনার সময়ের একটা স্মৃতিকাতর গল্প দিয়ে শুরু করতে পারেন। আসলে উদাহরণ দিলে অসংখ্য দেয়া যাবে।
৮. গল্পের ভেতর কোনো মেসেজ থাকলে সে সমস্যাটাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন। তাহলে মেসেজটি যথার্থ মনে হবে।
৯. অনেকে প্রশ্ন উত্তর বিষয়ক সংলাপ দিয়ে শুরু করেন।
১০. অনেকে পারিপাশ্বিক বর্নণা দিয়ে শুরু করেন। এটা গতানগতিক পদ্ধতি হলেও হাত পাকা হলে সহজে উৎওে যায়।
১১. আমাদের সাহিত্যে বর্তমানে বেশ কয়েক
গল্প লেখার জন্য কয়েকটি টিপস : সংলাপ: গল্পে সংলাপ লেখা
১. গল্পে সংলাপ লেখার অনেকগুলো রাস্তা আছে। আপনি যেকোন একটা বেছে নিতে পারে। ইদানিং সবাই আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করে। এটা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে খুব সমালোচনা হচ্ছে। তবে একান্ত চরিত্রের প্রয়োজনে আপনি সেটা করতেই পারে।
২. সংলাপ লম্বা করবেন না।
৩. গল্পে আপনার যে ক্যারেকটার সংলাপ বলবে। যে স্টাইলে বলবে সেটা যেন তার চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ হয়। সবচে ভালো উপায় আপনি চরিত্রটি যেভাবে দাড় করালেন সেটা যদি আপনার পরিচিত কারো সাথে মিলে যায় তাহলে আপনি তার কথা বলা ভঙ্গিটাই ব্যবহার করতে পারেন।
৪. শুধু সংলাপ দিয়েও গল্প লেখা যায়
৫. সংলাপে বুদ্ধির দীপ্তি থাকলে সমঝদাররা গ্রহণ করবে। যেমন শেষের কবিতা।
৬. সংলাপে যেন জগাঘিচুড়ি না হয়।
৭. সংলাপ ব্যাকরণ মেনে হবেনা। প্রচলিত ভাষায় হবে।
৮. মনে রাখবেন সংলাপ দূবল হলে গল্প ঝুলে যাবে।
৯. ভালো সংলাপ ধারনার জন্য দেশি বিদেশী নাটক পড়–ন।
১০. সংলাপের সওয়াল জওয়াব খেয়াল রাখবেন প্রাসঙ্গিক হচ্ছে কিনা।
১১. সংলাপ মানানসই না হলে এডিয়ে যাবেন ্ প্রয়য়োজণে কথকের ভ’মিকা নেবেন।
১২. কোনো আঞ্চলকি ভাষা ভালো না জানলে সে ভাষায় সংলাপ লখিতে যাবনে না । হাস্যকর মনে হব।ে
চরিত্র সৃস্টি
১. প্রতিটি চরিত্র সৃস্ট্রির জন্য আপনি ঠিক করে নিন আপনার গল্পে কয়টি চরিত্র থাকবে।
২. চরিত্রের ধর্ম, পেশা, বয়স, অতীত ইতিহাস, শ্রেনী, জন্মস্থান ইত্যাদি অনুসারে তার নাম রাখুন।
৩. কোন ক্যারেকটার কেমন, কার বাচনভঙ্গি কি, পোষাক কি, অভ্যাস বদঅভ্যাস কি, দোষ গুণ কি, লক্ষ্য ও পরিনতি কি? এসব আলাদা একটা কাগজে নোট রাখুন , যাতে গল্প লেখার সময় আপনি খেই হারিয়ে না ফেলেন।
৪. চরিত্রের জন্য প্রয়োজন ডিটেইল। গল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিটি চরিত্রে নিখুত বিবরণ তুলে ধরতে হবে। এমনকি একটি ছোট কারেক্টার হলেও। মনে রাখবেন প্রতিটি কারেক্টারকে আপনি যতো শক্ত কওে প্রতিষ্ঠা করবেন। আপনার গল্পের বাঁধন ততই শক্ত হবে। আর পাঠক প্রতিটি কারেক্টারের ভেতওে যতটা যেতে পারবে। ততই তার গল্প ভালো রাগবে। সত্যজিত রায়ের লেখাগুলো এক্ষেত্রে আমার কাছে অনুসরনীয় মনে হয়।
৫. প্রতিটি ব্যক্তির একটি দোষগুনের সাথে তার আচরণের সমন্বয় ঘটাতে হবে।
৬. সংলাপের ক্ষেত্রেও কারেক্টারকে ফুটিয়ে তোলার একটা ব্যাপার আছে। যেমন একজন মাওলানা কথায় আরবি ঊর্দূ শব্দের ব্যবহার থাকবে। একজন কমরেডের ভাষায় তার রাজনীতি জগতের কিছু ভাষা থাকবে। এসব সুক্ষè বিষয় যত খেয়াল রাখবেন চরিত্র ততই জীবন্ত হয়ে উঠবে।
৭. ভালোমানুষ মন্দমানুষ চরিত্রগুলোও যতœ করে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
৮. চরিত্র গুলোর বিভিন্ন মনস্তাত্বিক দিক রয়েছে। সেটা ফুটিয়ে না তুললে চরিত্রের কার্যাবলী পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হবেনা। যেমন ধরুন হরিপদ দত্ত দেশকে ভালোবাসে তবুও সে একসময় ভারতে চলে যায়। এক্ষেত্রে শুধু পরিস্থিতি নয়। হরিপদ সে সময় কি ভেবেছিলো সেটাও আপনাকে পরিষ্কার করতে হবে।
৯. মনে রাখবেন চরিত্র ফুটিয়ে তোলার সময় কোনো গ্যাপ যেন না থাকে। পাঠকের চোখে যেন কোনো ঘাটতি ধরা না পড়ে। তাহলে পাঠকের কাছে চরিত্রকে অচেনা বলে মনে হবে। এবং তখন গল্পটাও পাঠকের কাছ থেকে দূরে চলে যাবে।
১০. ভালো হয় আপনি যদি প্রতিটি গল্পে এমন একটা চরিত্র রাখতে পারেন। যেখানে পাঠক নিজেকে বসিয়ে কল্পনা করতে পারবে। মূল চরিত্র হলেতো কথাই নেই। অল্পবয়সী পাঠকদের জন্য এটা খুব কার্যকর পদ্ধতি।
১১. গল্প বলার মধ্যে যেরকম ক্লাইমেক্স নাটকীয়তা আবার গল্পের ভেতেরেই ছোট ছোট গল্প থাকবে। সংলাপের ক্ষেত্রেও তাই। কারণ সংলাপের মাধ্যমেও আপনার গল্পটা সামনে আগাচ্ছে। তাই সংলাপে, ক্লাইমেক্স নাটকীয়তা আবার গল্পের ভেতেরেই ছোট ছোট গল্প থাকবে।