0

নিরন্তর হেটে বেড়াই
আমার ঘাতক আত্মার মরণ কামনা করে।
হেটে চলি দিক বেদিক,
এক টুকরো শুদ্ধ খোয়ায় পা কাটতে;
যেন আমার সমস্ত অপবিত্র রক্ত ঝরে যায়।
আর,আমার শরীর নিস্তেজ হয়ে যেন পড়ে থাকে,
যদি কখনো উঠি সেটা যেন হয় আমার পবিত্র উত্থান।
এই অপবিত্র রক্তের দম্ভতায়,
কত পাপের ঘরে বসত করেছি!
নেশায় নেশায় অন্ধকারকে আলো ভেবে
মৃত্যুর চোখে চোখ রেখেছি।
অহমে রক্ত টগবগ করতো।
কত রকমের নেশা?
কোন নেশা আমায় ঝাপটে ধরেনি!
সব নেশার ঘরে আমি সিঁধ কেটেছি।
মাদক নেশা, পুঁজে ভরা প্রেমের নেশা
আরও কত কুচকুচে কালো নেশার ঘরে ঘুম গিয়েছি!
আসলে নফসের গোলামির রশি গলায় দিয়েছি।
তাই অনবরত নেশার প্রলাপ বকি।
এখন মাঝে মাঝে মাথায় খুনের রোখ চাপে,
কৌতুহলী মনে ভাবি
খুনে বোধহয় বেশ পৈশ্চাশিক আনন্দ পাওয়া যায়!
পারিপার্শ্বিক ঘটনা আমাতে এতে সাহস এনে দেয়,
কতই তো ঘটছে খুন, বিচার কই?
এই নেশার স্বাদ একবার নাহয় নেই!
আমার অপবিত্র রক্ত এতে স্বাগতম জানায়।
কিন্তু হঠাৎ -ই!
আমার বিবেকবান মন
পথরোধ করে দাঁড়ায়।
আমি সম্বিত ফিরে ফিরে ভাবি,
আর হেটে চলি নিরন্তর;
আমার ঘাতক আত্মার মরণ কামনা করে।
মনে মনে প্রতিজ্ঞ হই,
সবকিছু মুছে আর ফিরবোনা পাপের ঘরে।
নিস্তেজ হয়ে পড়ে রবো প্রায়শ্চিত্তের বাহুডোরে।
খোদা চাইলে
ফিরবো শুদ্ধ হয়ে,
নাহয় আমার ঘাতক আত্মা বিদায় নিবে অপমান নিয়ে।
(ঘাতক আত্মা)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top