অভিশপ্ত সুশীল
-----জবা ইয়াসমিন
মেয়ে তুমি চেনো?
চেনো ওই সুশীল কে?
তুমি কি চিনবে!
তুমিতো গেঁয়ো ধুড়,
নিজেকে বস্তার মত বোরকায় মুড়ে রাখো!
চক্ষুদুটি কোন রকমে হোঁচট-
না খাওয়ার ভয়ে খুলে রাখো।
নির্বোধ মেয়ে!
তুমি কি শিক্ষিত হবেনা?
এখনো সেকেলেই রয়ে গেলে!
তুমি কি ভুলে গেছ-
নগ্ন আধুনিকা হবার লক্ষ্য নিয়েই তোমার জন্ম?
আমি নই,সুশীল তোমায় বলবে-
যখন,সৃষ্টিকর্তার আনুগত্যতা তোমায়-
মুড়ে দিবে নিরাপত্তার চাদরে।
ওই সুশীলকে চিনতে চাও?
তবে নিজেকে জঙ্গল দ্বারা আবৃত না করে-
বেরিয়ে এসো বাইরে।
নির্বোধ মেয়ে!
যখন তুমি আগুন হয়ে থাকবে আড়ালে,
ওই বারুদের সংস্পর্শ থেকে দূরে!
তখন সুশীল তোমায় টেনে এনে-
তার পুরুষালী হাতের করাল থাবায়
সরিয়ে দেবে তোমার আব্রুকে,
তোমার নারীত্ব নামক আগুন
আর,তোমায় ভোগকারী ভাইয়ের-
ওই লালসায় পরিপূর্ণ বারুদের মাঝখান হতে।
তোমার পর্দা সঙ্গোপনে ভক্ষন করবে সুশীল।
আর তখনই,
তোমার নারীত্বের আগুনের সংস্পর্শে-
জ্বলে উঠবে কুরুচির বারুদ।
সে বেলায়,
তোমার প্রজ্জলিত নারীত্বকে বাহবা দিয়ে-
সুশীল বলবে,
তুমি আধুনিকা!
তুমিই শিক্ষিতা!
দাড়াও মেয়ে,
সুশীলের অপার ক্ষমতা তুমি জানোনি।
যেদিন তুমি তোমার জলন্ত নারীত্বের প্রজ্জলিত শিখায়-
জ্বালিয়ে দেবে পুরুষের সাথে ওই পুরুষালী আধুনিকতা,
তখন সুশীলের যে হাত
তোমার প্রজ্জলিত নারীত্বকে দিয়েছিল বাহবা,
সেই হাতই তোমার দিকে ছুড়বে করাল থাবা।
বলবে, "মেয়ে তুই প্রতিতা!"
অবাক হচ্ছো?
তোমার বিকৃত সুশীল এ উপাধি দেওয়ার আগেই-
তোমার রবের নিষেধাজ্ঞা ছিল,
যেন তুমি ব্যভিচারিনী না হও।
সুশীল তো তোমায় আজ বলছে!
আমার রাসূল (সাঃ) কি তোমায় বলেনি?
"অচিরেই শেষ জামানার উম্মত মাঝে-
আগমন হবে যে রহস্যময়ী কামিনীর-
মস্তকে থাকবে উষ্টরূপ ঝুঁটি তার,
নগ্নপ্রায় হবে ক্ষুদ্র বিবসন গাত্র।
অভিশম্পাত করো তাদের,
যেহেতু তারা অভিশপ্ত।"
অভিশপ্ত এই উপাধি শুনে,
অট্টহাসির হুংকারে কম্পন তুলেছিলে-
খোদার ওই আরশে।
বলেছিলে,
ইহা নিতান্তই ধর্মান্ধতা!
ইসলাম বড্ড সেকেলে!
ইসলাম বড়ই বেয়াড়া!
তাই আব্রু ছেড়ে তুমি হয়েছিলে বেপরোয়া।
বেঁচোনা দুপাড়ের কলঙ্ক নিয়ে।
আবৃত হয়ে পর্দার আবরণে,
ফিরে এসো ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে।
আব্রুর শুভ্রতায় শ্রেষ্ঠ রমনী হয়ে-
বেঁচে থাকবে তুমি চিরন্তন মহাকালে।