বিদ্রহী নারী
মো. আলানূর হোসাঈন
আমি এক নন্দিনী, ক্ষত বিক্ষত আত্মা,
আমি এক বিষাক্ত নিঃশ্বাস, ধ্বংস পাপিষ্ঠের।
আমি এক স্বপ্ন চুর্ণ হওয়া, জীবিত লাশ,
আমি নীড় হারা কন্যা, কোনও মানুষের।
আমি এখনও চেয়ে থাকি, নীল আকাশের পানে।
আমার সুখের কথা গায়, পাখিরা গানে গানে।
আমার হাসির সূর্য্য ওঠে, নিত্য পূব দিগন্তে।
আমার বিজয়ের সুর বাজে, সাগরের কলতানে।
ভেবেছ আমি রক্তে মাংসে, এখনও বেঁচে আছি?
ভেবেছ আমি তোমাদের, খুব কাছাকাছি!
ভেবেছ আমি সবচেয়ে, মহা সুখি এই জগতের!
ভেবেছ আমি সুখি নারী, কোনও এক পুরুষের!
আমার হৃদয় করেছে ছিন্ন, ঐ কাপুরুষ মানব শয়তান।
আমি এক পরাজিত নারী, যৌতুকের নির্মম বলিদান।
আমার কান্না কেউ শোনে না, এই নিষ্ঠুর সমাজের।
আমার রক্তাক্ত আত্মা, শুধু অভিশাপ দেয় তাহাদের।
আমার মত আর্ত্মানাদ করে, কত অসহায় অবলা কন্যা।
জীবন বিনাশ করেছে কত হৃদয়ে বয়েছে শত ঝড় বন্যা।
কত বাবা মা কন্যা হারিয়ে, কেঁদে কেঁদে আজ নয়ন করেছে অন্ধ।
কত নারীর সংসার ভেঙ্গে যায়, চলে নিত্য কলহ দ্বন্দ।
আর নয় এবার সত্যের দিপ্ত মশাল ধর, হে সত্য সন্ধানী তরুনী।
ধর্মের আলোয় আলোকিত কর, মূর্খ মানব সমাজ যামীনী।
আপন মহিমা বিকশিত কর, শিখবে ভগিনী যারা পশ্চাতে।
আপন সম্মান অটুট কর, কোনও পুরুষ পারবে না হীন করিতে।।