ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, লেখক এবং একজন পরিসংখ্যানবিদ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjggqbmo8lvtkyhht7qBMZflUidWGyAQtNx-4R6QaDCBO78yATXldkNiANaEyk_gORI5swLb4n5rjHto047gSK7VZzLkgD7HRMj8PCQl6pdeazpHCEkoeOKnhd6rV0S9GPaYzv-1wpNXXbs/s1600/13.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><span style="font-size: large;"><img alt="১০০ মনীষীর জীবনী" border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjggqbmo8lvtkyhht7qBMZflUidWGyAQtNx-4R6QaDCBO78yATXldkNiANaEyk_gORI5swLb4n5rjHto047gSK7VZzLkgD7HRMj8PCQl6pdeazpHCEkoeOKnhd6rV0S9GPaYzv-1wpNXXbs/s320/13.gif" title="ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল" width="320" /></span></a></div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px;"> </div> <div style="text-align: center;"> <span style="font-size: large;">১০০ মনীষীর জীবনী</span></div> <div style="text-align: center;"> <span style="font-size: large;">ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল</span></div> <br /> <div style="background-color: white; color: #1d2129; display: inline; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-top: 6px;"> <span style="font-size: large;">ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, লেখক এবং একজন পরিসংখ্যানবিদ। তাকে আধুনিক নার্সিং-এর জননী বলা হয়। ১৮২০ খ্রি. ১২ মে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে এক অভিজাত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার ছোটবেলা কেটেছে ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ার অঞ্চলে তাদের পুরনো বাড়িতে। নার্সিংয়ে অগ্রণী ভূমিকার জন্য ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় তার নামটি সামনে চলে আসে। এ সময় রাতের আঁধারে আহত সৈন্যদের সেবা করার জন্য তিনি ‘দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’ নামে অভিহিত হন।<br />খুব কম সংখ্যক লোকই গণিতে তার অবদান সম্পর্কে জানেন। তিনিই প্রথম পরিসংখ্যানগত তথ্য উপস্থাপনের জন্য ডায়াগ্রাম ব্যবহার করেন । তিনিই প্রথম মহিলা যিনি রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল সোসাইটির ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন। ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল ‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’ এর পাশাপাশি একজন যোগ্যতা সম্পন্য গণিতবিদ যিনি তার নিজ উপায়ে statistical diagram তৈরি করেছিলেন এবং হাজার হাজার সৈন্যকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য এটি ব্যবহার করেন।<br />ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল তাঁর পিতা মাতার ২য় কন্যা। ফ্লোরেন্সের চাচি তার ভাইঝির গণিত পাঠের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার মা এতে বাধা দেন কারন তিনি মনে করতেন মেয়েদের গণিত শেখার কোনো দরকার নেই। নাইটিংগেল রীতিসিদ্ধ গণিত অধ্যয়নের অনুমতির জন্য অনুনয় করলেন। তাঁর পিতা তাঁর কন্যাকে ইতিহাস, ভাষা, দর্শন এবং শাস্ত্রীয় সাহিত্য অধ্যয়নের জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। নাইটিংগেলের বাবা উইলিয়াম এডওয়ার্ডের গণিতের প্রতি চরম আগ্রহ থাকা সত্তেও তিনি তাঁর স্ত্রীর পক্ষ নেন কেননা তিনিও মনে করতেন মেয়েদের গণিত শেখার কোনো দরকার নেই। তার বাবা মায়ের সঙ্গে অনেক মানসিক যুদ্ধের পর নাইটিংগেল গাণিতিক গৃহশিক্ষক রাখার অনুমতি পান, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন জেমস জোসেফ সিলভেস্টার।<br />ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার পড়াশোনা শেষ করেছিলেন এবং তখন থেকে তিনি পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার পথ পরিবর্তন করবেন বলে চিন্তা করেন। তার চিন্তা ছিল ভবিষ্যতে তিনি একজন সেবিকা হবেন এবং সেবা কাজের জন্য আত্মনিয়োগ করবেন। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্তের কথা শুনে পিতা খুবই দুঃখিত এবং মা ও বড় বোন রাগান্বিত হলেন। ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল নীরবে সব সহ্য করলেন কিন্তু তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল-এর পিতা-মাতা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব জানালেন। নাইটিংগেল তা দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করলেন। নাইটিংগেল তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন। অবশেষে তার পিতা-মাতা বাধ্য হয়ে তাকে একটি হাসপাতালে কাজ করার অনুমতি দিলেন।<br />১৮৫৪ সালের মার্চে রাশিয়া, ব্রিটিশ এবং ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধ ক্রিমিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত। ৩৮ জন সেবিকার সাথে তিনিও যুদ্ধক্ষেত্রে যোগদান করেন। তিনি সেবিকাদের নিয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করতে লাগলেন। সে যুগে মহিলা সেবিকারা কোনো সামরিক হাসপাতালে কাজ করতেন না। সামরিক হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মচারীরা তার সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ করতে লাগল। তিনি সব বাধা অতিক্রম করে তার কোমল হাতের স্পর্শে সবাইকে সুস্থ করতে লাগলেন। তার কঠোর পরিশ্রম ও অমায়িক ব্যবহারে হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মচারীরা অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত সবাই ফ্লোরেন্সের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি দিনে কাজ করে রাতে মোমবাতি হাতে আহতদের খবর নিতেন। তাই সবাই তার নাম দিলেন 'লেডি উইথ দ্যা লাম্প'।<br />ইংল্যান্ড এ ফিরে আসার পর নাইটিংগেল কে জাতীয় নায়িকা হিসেবে স্বাগত জানানো হয়। এই যুদ্ধ তাকে প্রমাণ করার সুযোগ করে দেয়েছিল যে, কিভাবে প্রশিক্ষিত নার্স, সঠিক স্বাস্থ্যবিধি এবং সুব্যবস্থা জীবন বাঁচাতে পারে। Scutari তে অবস্থানকালে তিনি অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন। ব্রিটিশ সরকার তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘প্রাণনাশক পরিসংখ্যান’টি প্রকাশ করার অনুমতি দেয় নি যাতে তিনি দেখিয়েছিলেন যুদ্ধে সৈন্যদের মৃত্যুর মূল কারণ ছিল হাসপাতালের দুর্ব্যবস্থা। তিনি “polar-area diagrams” এর সাহায্যে হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি পরিসংখ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন কারনে ব্রিটিশ সৈন্যদের মৃত্যুহার তুলে ধরেন। তিনি উপস্থাপন করেন যে অধিকাংশ ব্রিটিশ সৈন্য ক্ষত বা অন্যান্য কারণের চেয়ে অসুস্থতায় মারা যান।<br />১৮৫৬ সালের সেপ্টেম্বের রানী ভিক্টোরিয়া তাকে স্কটল্যান্ডে তার প্রাসাদে ডেকে পাঠান এবং তারই পরামর্শ অনুসারে রয়েল কমিশনাল হাসপাতাল তৈরি করেন এবং নার্সিং-এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলেন, যার নাম 'কিংস কলেজ ট্রেনিং স্কুল ফর মিড-ওয়াইফ'। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখায় তাকে ৪৫ হাজার পাউন্ড পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়। কিন্তু পারিশ্রমিকের টাকা নিজের জন্য ব্যয় না করে তিনি 'নাইটিংগেল' নামক ফান্ডে সব জমা রাখেন এবং সর্বপ্রথম লন্ডনে সেন্ট টমাস হাসপাতালে একটি সেবা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলকে নার্সিং-এর জননী বলা হয়। তার আত্মত্যাগ ও চিন্তা-চেতনার জন্য বিশ্বের অন্য পেশা থেকে এ পেশা ব্যতিক্রমধর্মী সেবামূলক পেশা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।<br />পরবর্তীতে জীবনে , ফ্লোরেন্স তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তিনি বহু দেশ থেকে সন্মান অর্জন করেছেন, এবং ১৯০৭ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে Order of Merit প্রদান করে। ১৯১০ সালের ১৩ আগস্ট তিনি লন্ডনের পার্ক লেনের সাউথ স্ট্রিটে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তাকে সেন্ট মার্গারেট চার্চে সমাহিত করা হয়। </span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj10NhJypfqv2Ynjs_4eTuq9YzXJOXrUkP07fh_-fMaa_G6V6I2VOXcZ14W9-zhGYzBCqPLG6xBOZ6HG4oD5BHkr4yNNyU60IUHIr_ohL-RavkTRXErQOEiLk3ZdMauki6MTHzc54OQKpJY/s1600/everett_historical__florence-701x526.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><span style="font-size: large;"><img alt="১০০ মনীষীর জীবনী" border="0" data-original-height="526" data-original-width="701" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj10NhJypfqv2Ynjs_4eTuq9YzXJOXrUkP07fh_-fMaa_G6V6I2VOXcZ14W9-zhGYzBCqPLG6xBOZ6HG4oD5BHkr4yNNyU60IUHIr_ohL-RavkTRXErQOEiLk3ZdMauki6MTHzc54OQKpJY/s320/everett_historical__florence-701x526.jpg" title="ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল" width="320" /></span></a></div> <div style="text-align: center;"> <div style="background-color: white; color: #1d2129; display: inline; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-top: 6px;"> <br /></div> </div> </div>

ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, লেখক এবং একজন পরিসংখ্যানবিদ

১০০ মনীষীর জীবনী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল আধুনিক নার্সিং সেবার অগ্রদূত, লেখক এবং একজন পরিসংখ্যানবিদ। তাকে আধুনিক ন...

আরও পড়ুন »

আধুনিক বাস্তবতাবাদী নাটকের জনক নাট্যকার, কবি ও মঞ্চনাটক পরিচালক হেনরিক ইবসেন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhkouyw5vvGYTwIlUaaYr9aqOtM6r6Zvf5GMmFoddvAEBo0O_jpVAwoQ8U5JFVJf6k_lZMilRj51qj4xO6b3AXYg9rkSU-veOFAcqdlXekI0PkJuh6c3Wx5jlb7H2tFNrHBsjV5NjRN0uqz/s1600/12.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="১০০ মনীষীর জীবনী" border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhkouyw5vvGYTwIlUaaYr9aqOtM6r6Zvf5GMmFoddvAEBo0O_jpVAwoQ8U5JFVJf6k_lZMilRj51qj4xO6b3AXYg9rkSU-veOFAcqdlXekI0PkJuh6c3Wx5jlb7H2tFNrHBsjV5NjRN0uqz/s320/12.gif" title="হেনরিক ইবসেন" width="320" /></a></div> <div style="text-align: center;"> <br /></div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px;"> </div> <div style="text-align: center;"> ১০০ মনীষীর জীবনী</div> <div style="text-align: center;"> হেনরিক ইবসেন</div> <br /> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আধুনিক বাস্তবতাবাদী নাটকের জনক নাট্যকার, কবি ও মঞ্চনাটক পরিচালক হেনরিক যোহান ইবসেন ১৯০৬ সালের ২৩ মে ক্রিস্টিয়ানিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ইবসেনের ‘আ ডলস হাউস’ বিশ শতকে সবচেয়ে বেশিবার মঞ্চায়িত নাটক। তিনি পরবর্তীকালের জর্জ বানার্ড শ, অস্কার ওয়াইল্ড, আর্থার মিলার, জেমস জয়েস, ইউজিন ও’নিল এবং মিরোসলব করলিজার মতো বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও নাট্যকারদের প্রভাবিত করেছেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৮২৮ সালের ২০ মার্চ নরওয়ের স্কিয়েনে জম্মগ্রহণ করেন। সচ্ছল ব্যবসায়ী পরিবারে ইবসেনের জন্ম। তার বাবা নুড ইবসেন ও মা ম্যারিচেন অ্যাটেনবার্গ। ইবসেনের জন্মের কিছুদিন পর পরিবারটির আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তার মা দুঃখে ধর্মে মনোনিবেশ করেন এবং বাবা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে তার রচিত চরিত্রগুলোর মাঝে তার বাবা-মায়ের ছায়া লক্ষ্য করা যায়।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৫ বছর বয়সে ফার্মাসিস্ট হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে ছোট্ট শহর গ্রিমস্টাডে যান। সেখানেই তার নাটক লেখার সূত্রপাত। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে ক্রিস্টিয়ানিয়ায় (বর্তমান অসলো) যান। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তখন নাটক রচনায় আত্মনিয়োগ করেন। এ সময় সাংবাদিকতা করে টুকটাক আয় করতে থাকেন। ১৮৫০ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘ক্যাটিলিনা’ ব্রাইনজুল্ফ বিজারম ছদ্মনামে প্রকাশ করেন। ওই বছর প্রথমবারের মতো মঞ্চায়িত হয় ‘দ্য বুরিয়াল মন্ড’। কিন্তু এটি দর্শক ও সমালোচকদের খুব একটা নজর কাড়তে পারেনি।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> তার যুগে তার নাটককে রুচিশীল ভাবা হত না, কেননা তখন পারিবারিক জীবন ছিল ভিক্টোরীয় আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং এ আদর্শের বাইরে কিছু করাকে ভাল চোখে দেখা হত না। ইবসেনের কর্ম মানবচরিত্রের বিভিন্ন বাস্তব দিক সম্পর্কে কথা বলে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ইবসেন আধুনিক মঞ্চনাটক প্রতিষ্ঠা করেছেন সামাজিক মূল্যবোধের বিভিন্ন উপাদানকে সমালোচকের দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করে। ভিক্টোরীয় যুগে নাটকগুলো কেবল সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে কথা বলবে এমন ভাবা হত; যেখানে সত্য সর্বদাই কালো শক্তির বিরুদ্ধে জয়লাভ করবে এবং সব নাটকই তৎকালীন সামাজিক মূল্যবোধের গুণগান গেয়ে শেষ হবে। ইবসেন এই ধারার বিপক্ষে যেয়ে নাটকের সমাপ্তিতে বৈচিত্র্য আনেন এবং নতুন ধারার জন্ম দেন। শেক্সপিয়ারের মতো ইবসেনকেও ইউরোপীয় ধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> পরে বার্গেনের একটি নরওয়েজীয় নাট্যগোষ্ঠীতে কয়েক বছর চাকরি করেন। সেখানে তিনি ১৪৫টিরও বেশি নাটকে নাট্যকার, পরিচালক এবং প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন। ১৮৫৮ সালে ক্রিস্টিয়ানিয়াতে ফিরে জাতীয় থিয়েটারের সৃজন পরিচালক নিযুক্ত হন। কিন্তু সময়টা ছিল আর্থিকভাবে হতাশাজনক।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৮৬৪ সালে ক্রিস্টানিয়া ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ইতালি চলে যান। এরপর খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করা অবস্থায় ২৭ বছর পর তিনি দেশে ফিরেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৮৬৫ সালে নাটক ‘ব্র্যান্ড’ তাকে খ্যাতি ও আর্থিক সফলতা এনে দেয়। এ সময় তার কাজকে অনেকে অস্তিত্ববাদী দার্শনিক কিয়েরকেগার্ডের দর্শনের সঙ্গে তুলনা করেন। পরের সময়গুলোকে বলা যায় ইবসেনের স্বর্ণযুগ।১৮৬৭ সালে তিনি প্রকাশ করেন পিয়ার গিন্ট, যেটির সুরারোপ করেছেন জনপ্রিয় সুরকার এডভার্ড গ্রেগ। যদিও ইবসেন আগেই ডেনীয় দার্শনিক কিয়েরকেগরের রচনার সাথে আগেই পরিচিত ছিলেন, তবুও তার ব্রান্ড নাটকের আগে তার প্রকাশ দেখা যায় নি। এরপর থেকে কিয়েরকেগরের আদর্শ নিয়ে তিনি গভীরভাবে ভাবতে শুরু করেন। প্রথমে তার বন্ধু জর্জ ব্রান্ডেস ইবসেনের সাথে কিয়েরকেগরের তুলনা করলে ইবসেন বিরক্ত হয়েছিলেন। ইবসেন পরে কিয়েরকেগরের রচনায় আকৃষ্ট হন এবং Either/Or ও ফিয়ার এন্ড ট্রেম্বলিং বই দুটি পড়েন। ইবসেনের পরবর্তী নাটক পিয়ার গিন্ট’ কিয়েরকেগরের সচেতন নজরে এসেছিল।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সাফল্যের সাথে সাথে ইবসেনের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তিনি নাটকে তার বিশ্বাস, বিচার ও চেতনার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন। এই ধরনের নাটককে তিনি নাম দিয়েছেন “drama of ideas”। তার পরবর্তী নাটকের সিরিজকে ইবসেন নাটকের স্বর্ণযুগ বলা হয়ে থাকে, যেখানে তার ক্ষমতা, সৃজনীশক্তি ও প্রভাবের পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে। এই ধরনের নাটক তখন ইউরোপে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এখানে তিনি তার প্রধান সাহিত্য কর্মগুলো রচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে এমপেরর এন্ড গ্যালিলিয়ান (১৮৭৩), যা রোমান শাসক জুলিয়ান দ্য অ্যাপোস্টেট এর জীবন ও সময় নিয়ে নির্মিত হয়েছে। যদিও ইবসেনের মতে তার সমস্ত নাটকের মধ্যে এটিকেই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করতেন, তবুও অধিকাংশ সাহিত্যিকই তার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেন। তার পরের সাহিত্যকর্মগুলো অনেক বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৮৭৫ সালে ইবসেন মিউনিখে চলে যান এবং এখান থেকে ১৮৭৯ সালে প্রকাশ করেন বিখ্যাত নাটক আ ডলস হাউস। এই নাটকে ভিক্টোরীয় যুগের বিয়েতে পুরুষ ও নারীর ভূমিকা তুলে ধরেন, যার জন্য তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। ১৮৭৫ সালে মিউনিখে চলে যান এবং সেখানে ১৮৭৯ সালে প্রকাশ করেন বিখ্যাত আ ডলস হাউস। পরবর্তীতে তার কপালে জুটে রাজকীয় নানা সম্মান। কিন্তু কোনোকিছুই তার বিষণ্নতা ঢাকতে পারেনি।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ইবসেন কয়েক শতাব্দী ধরে চলে আসা ইউরোপীয় নাট্য ঐতিহ্যের বিপরীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার নাটকের প্রধান বিষয় ভিক্টোরিয়ান নৈতিকতার স্খলন ও সঙ্কট। প্রথমদিকে শুধু ব্যক্তি মানুষের সঙ্কট ঠাঁই পেলেও পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্ত হয় ইতিহাস ও সমাজ কাঠামো। নাটকের মাধ্যমে তিনি প্রচলিত বিমূর্ত বিশ্বাস ও আচারগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানান। এ ছাড়া তার নাটকে রয়েছে পরাবাস্তব বিষয়াদি। যা আসলে দ্বন্দ্বময় বাস্তবতাকেই নির্দেশ করে। তার অন্যান্য বিখ্যাত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- পিয়ার গিন্ট (১৮৬৭), গোস্টস (১৮৮১), অন এনিমি অফ দ্য পিপল (১৮৮২), দ্য ওয়াইল্ড ডাক (১৮৮৪), দ্য লেডি ফ্রম দ্য সি (১৮৮৮), হেডা গ্যাবলার (১৮৯০), হন গাব্রিয়েল বোর্কমান (১৮৯৬) এবং হোয়েন উই ডেড অ্যাওয়েকেন (১৮৯৯)। এ ছাড়া রয়েছে তার একমাত্র কাব্যগ্রন্থ ডিজিতে (১৮৬২)।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> তার বেশক’টি নাটক বাংলাদেশের অনুদিত ও মঞ্চায়িত হয়েছে। অনুদিত নাটকের মধ্যে বই আকারে পাওয়া যায়- আ ডলস হাউস, ওয়াইল্ড ডার্ক, এন এনিমি অব দ্য পিপল, রোজমারশোম, হেডা গ্যাবলার, জন গ্যাব্রিয়েল বোর্কম্যান এবং হোয়েন উই ডেড অ্যাওয়েকেন। এ ছাড়া তার নাটক থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জগদ্বিখ্যাত লেখক-নাট্যকার হেনরিক ইবসেন। একদিন সকালে ফুরফুরে মেজাজে নার্স এলো ইবসেনের বেডের পাশে রুটিন ভিজিটে। সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে উৎফুল্ল নার্স বললো, ‘হ্যালো মিস্টার গ্রেট রাইটার। আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ।’ ইবসেন গম্ভীর গলায় বললেন, ‘কিন্তু তোমরা যা বলো, সব সময় তা সঠিক হয় না।’ কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন হেনরিক ইবসেন!</div> </div>

আধুনিক বাস্তবতাবাদী নাটকের জনক নাট্যকার, কবি ও মঞ্চনাটক পরিচালক হেনরিক ইবসেন

১০০ মনীষীর জীবনী হেনরিক ইবসেন আধুনিক বাস্তবতাবাদী নাটকের জনক নাট্যকার, কবি ও মঞ্চনাটক পরিচালক হেনরিক যোহান ইবসেন ১৯০৬ সালের ২৩ ...

আরও পড়ুন »

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পর জর্জ বার্নার্ড শ’ই হলেন সেরা ব্রিটিশ নাট্যকার

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhX3KVZo17iVgKnSqdc6Gr8Q8HkcJfIz-PHAosaM0W5LPvcsBhK_NzljPah8tSDKPxcbzZKPPpVHgFJLOfIDwbKpAbcX-C8A1VcwOuvIHihdfUbswhehbbJ7DwlUZRH3PeMbaUf-9UbCvbe/s1600/11.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="১০০ মনীষীর জীবনী" border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhX3KVZo17iVgKnSqdc6Gr8Q8HkcJfIz-PHAosaM0W5LPvcsBhK_NzljPah8tSDKPxcbzZKPPpVHgFJLOfIDwbKpAbcX-C8A1VcwOuvIHihdfUbswhehbbJ7DwlUZRH3PeMbaUf-9UbCvbe/s320/11.gif" title="জর্জ বার্নার্ড শ" width="320" /></a></div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px;"> <div style="text-align: center;"> ১০০ মনীষীর জীবনী</div> <div style="text-align: center;"> জর্জ বার্নার্ড শ</div> </div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আইরিশ নাট্যকার এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জর্জ বার্নার্ড শ’ ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরে। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পর তিনিই হলেন সেরা ব্রিটিশ নাট্যকার। তার মতো সাহিত্য সমালোচক বিশ্বে বিরল। যে কোনো সাহিত্য সৃষ্টিকে তিনি সুনিপুণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সমালোচনা করতেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পর জর্জ বার্নার্ড শ’ই হলেন সেরা ব্রিটিশ নাট্যকার। কেউ বলেন, তার মতো সাহিত্য সমালোচক বিশ্বে দুর্লভ। যে কোনো সাহিত্য সৃষ্টিকে তিনি সম্পূর্ণ নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সমালোচনা করতে পারেন। স্বচ্ছ পরিষ্কার মননের অধিকারী। কেউ বলেন, তিনি একজন মহান সামাজিক চিন্তক। তার চিন্তার মধ্যে ভবিষ্যৎ জীবনের বীজ অঙ্কুরিত হয়। পচাগলা সমাজের বিরুদ্ধে তিনি তীক্ষভাবে প্রতিবাদ জানান। ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এক শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন জর্জ বার্নার্ড শ’। যিনি সমকালীন সমাজকে প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত করেছিলেন, তাকে তুলনা করা হয় মহান-চিন্তানায়ক ভলতেয়ারের সঙ্গে, ছোটবেলার দিনগুলো তার কেটেছিল কঠিন কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে। সময়মতো পড়াশোনা করতে হতো তাকে। চার্চে যেতে হতো সবসময়। খেলাধুলার সময়টার ওপরেও টেনে দেয়া হয়েছিল লক্ষণরেখা।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এভাবে ছোট থেকেই শ’কে বলা হয়েছিল ভবিষ্যতে তোমাকে একজন কেউকেটা হতে হবে। তুমি জন্মালে, আর কিছুদিন কাটিয়ে গেলে এই পৃথিবীর বুকে, তা হবে না। এভাবেই বোধহয় শ’-এর মন ইস্পাত-কঠিন হয়ে ওঠে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> পরবর্তীকালে তিনি যে ধারালো গদ্যের জন্য সবার হৃদয় জয় করেছেন, তার বীজ এভাবেই উত্তপ্ত হয়েছিল তার কিশোরকালে। তবে এ ব্যাপারে তিনি বারে বারে তার মা-বাবা এবং গৃহশিক্ষকদের কথা স্মরণ করেছেন। তাদের সমবেত প্রভাবেই শ’ এক স্বচ্ছ মনের অধিকারী হয়ে ওঠেন। শ’-এর হাতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল ১৯২৫ সালে। বলা হয়েছিল যে, তিনি একদিকে যেমন আদর্শবাদের ধ্বজাকে ওপরে তুলে ধরেছেন, এরই পাশাপাশি চিরন্তন মানবিকতার জয়গান গেয়েছেন। অসাধারণ কৌতুকসম্পন্ন বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন সবার অশান্ত হৃদয়কে। তার লেখনীর মধ্যে কাব্যিক সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকত সবসময়।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> জর্জ বার্নার্ড শ’ ছিলেন হালকা-পাতলা গড়নের মানুষ। আর তার বন্ধু বিশ্বখ্যাত চিত্র পরিচালক আলফ্রেড হিচকক ছিলেন মোটা ও বিশাল ভুঁড়ির অধিকারী। একবার শ’-কে ঠাট্টা করে হিচকক বললেন, ‘তোমাকে দেখলে মনে হয় ইংল্যান্ডে দুর্ভিক্ষ চলছে।’ জবাবে শ’ বললেন, আর তোমাকে দেখলে বোঝা যায় দুর্ভিক্ষের কারণটা কী!’ জর্জ বার্নার্ড শ’ কাউকে অটোগ্রাফ দিতেন না। নিজের লেখা বইও কাউকে কখনো উপহার দেননি। তবে বিশ্বখ্যাত বাঙালি জগদীশচন্দ্র বসু ১৯২৮ সালে রয়েল সোসাইটির সভায় একটি ভাষণ দেন। সেই ভাষণ শুনে শ’ মুগ্ধ হয়ে যান।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> পরদিনই কয়েকটি বই নিয়ে তিনি জগদীশচন্দ্রের বাসায় গিয়ে হাজির। তখন জগদীশচন্দ্র বাসায় ছিলেন না। উপহারের বইগুলোতে শ’ লেখেন জীববিজ্ঞানে পণ্ডিত এক ব্যক্তিকে জীববিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ এক ব্যক্তি উপহার দিলেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> একবার এক তরুণ সম্পাদক একটি সংকলনে জর্জ বার্নার্ড শ’-র একটি লেখা ছাপার অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখল। চিঠিতে উল্লেখ ছিল, সম্পাদকের বয়স কম তাই তার পক্ষে সম্মানী পাঠানো সম্ভব নয়। জবাবে শ’ লিখলেন, তরুণ সম্পাদকের বড় হয়ে ওঠা পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতে রাজি আছেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> একদিন এইচ জি ওয়েলসের সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিলেন শ’। ওয়েলস তার হাতের লাঠিটা ঘোরাচ্ছিলেন। আর তা শ’-র নাক ছুঁই ছুঁই করছিল। জর্জ বার্নার্ড শ’ তাকে বললেন, তোমার লাঠি ঘোরানো বন্ধ কর। যে কোনো সময় এটা আমার নাকে লাগতে পারে। তারপর ওয়েলস যুক্তি দেখালেন, ‘লাঠি ঘুরিয়ে হাঁটা আমার নাগরিক অধিকার।’ তারপর জবাবে জর্জ বললেন, ‘মানলাম। তবে এটাও ঠিক আমার নাকের ডগা যেখানে শেষ, তোমার নাগরিক অধিকার সেখান থেকে শুরু।’</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> তিনি সামাজিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো হাস্যরসের ছদ্মাবরণে তিনি অত্যন্ত দক্ষ শিল্পীর হাতে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। শিক্ষা, বিয়ে, ধর্ম, সরকার, স্বাস্থ্যসেবা এবং শ্রেণী-সুবিধাই ছিল জর্জ বার্নার্ড শ’র লেখার বিষয়বস্তু। অধিকাংশ লেখাতেই শ্রমজীবী মানুষের শোষণের বিপক্ষে তার অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট। একজন কট্টর সমাজতান্ত্রিক হিসেবে ফ্যাবিয়ান সোসাইটির পক্ষে জর্জ বার্নার্ড শ’ অনেক বক্তৃতা দেন ও পুস্তিকা রচনা করেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> বার্নার্ড শ’এমন ব্যক্তিত্ব যিনি যুগপৎ সাহিত্যে নোবেল (১৯২৫) এবং অস্কার (১৯৩৮) পুরস্কার লাভ করেন। নোবেল পুরস্কার গ্রহণে অনাগ্রহ থাকলেও স্ত্রীর পীড়াপীড়িতে শেষ পর্যন্ত তা তিনি গ্রহণ করেন। তবে তিনি আর্থিক পুরস্কার নেননি।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> নবীজী সম্পর্কে জর্জ বার্নার্ড শ<br /> হযরত মুহাম্মদ (সা.), যাকে সৃষ্টি না করলে মহান আল্লাহ্তা’য়ালা আর কিছুই সৃষ্টি করতেন না, তার পবিত্রতা চরিত্র, দেশপ্রেম, বুদ্ধি, ব্যবহার, কৌশল, পান্ডিতব নিয়ে সব মুসলিমের অন্তরে সুউচ্চ বিশ্বাস থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিশ্বের ভিন্ন ধর্মাবলম্বী দার্শনিক, রাজনৈতিক, মনীষীদের যে গবেষণাপ্রসূত সুউচ্চ মতামত রয়েছে তা এখানে সূত্রসহ উল্লেখ করা হল।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ‘মুহাম্মদের ধর্মের প্রতি আমি সব সময় সুউচ্চ ধারণা পোষণ করি কারণ এর চমৎকার প্রাণবন্ততা। আমার কাছে মনে হয় এটাই একমাত্র ধর্ম যেটা সদা পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রার সঙ্গে অঙ্গীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে, যা প্রত্যেক যুগেই মানুষের হৃদয়ে আবেদন রাখতে সক্ষম। আমি তাঁর (মুহাম্মদ) সম্বন্ধে পড়াশোনা করেছি- চমৎকার একজন মানুষ এবং আমার মতে খৃষ্টবিরোধী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অবশ্যই মানবতার ত্রাণকর্তা বলতে হবে।’</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ‘আমি বিশ্বাস করি তাঁর মতো ব্যক্তির কাছে যদি আধুনিক বিশ্বের একনায়কতন্ত্র অর্পণ করা হতো তবে এর সমস্যাগুলো তিনি এমনভাবে সফলতার সঙ্গে সমাধান করতেন যা বহু প্রতীক্ষিত শান্তি ও সুখ আনয়ন করত। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে, মুহাম্মদের ধর্মবিশ্বাস আগামী দিনের ইউরোপের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, যা ইতিমধ্যে বর্তমান ইউরোপে গ্রহণযোগ্যতা পেতে আরম্ভ করেছে।’</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ‘যদি কোন ধর্মকে ইংল্যান্ড তথা সমগ্র ইউরোপকে শাসন করার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে যে ধর্মটি পরবর্তী ১০০ বছর ধরে পারবে, তা হল ইসলাম।’</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> Sir George Bernard Shaw in The Genuine Islam, Vol. 1 No. 8, 1936.</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সূত্র : দ্য জেনুইন ইসলাম, ভলিউম-১, নং- ৮, সন- ১৯৩৬</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> জর্জ বার্নার্ড শ' কথা বলায় বেশ পটু ছিলেন। একবার এক ইংরেজ লর্ড বার্নার্ড শ’কে হেয় করার উদ্দেশ্যে বললেন,</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> -- আচ্ছা মি. শ’ আপনার বাবা নাকি দর্জি ছিলেন?<br /> বার্নার্ড শ’--হ্যাঁ।<br /> লর্ড -- তাহলে আপনি কেন দর্জি হলেন না?<br /> বার্নার্ড শ’--আপনার পিতা নাকি ভদ্রলোক ছিলেন?<br /> লর্ড --নিশ্চয়ই!<br /> বার্নার্ড শ’--তাহলে আপনি কেন তার মতো হলেন না।</div> </div>

উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পর জর্জ বার্নার্ড শ’ই হলেন সেরা ব্রিটিশ নাট্যকার

১০০ মনীষীর জীবনী জর্জ বার্নার্ড শ আইরিশ নাট্যকার এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জর্জ বার্নার্ড শ’ ১৮৫৬ সালের ২৬...

আরও পড়ুন »

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একশত মণীষীর একজন মার্টিন লুথার কিং :: তার সংক্ষিপ্ত জীবনী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgnqRlOIKmNScIpUtPGxvjSeP9NJuEbEXR8NvM9fInTEe9VZ2X5HsFYTqn8TnLzOmyuw-vVUP_JhCepBvDbWHJAE52sALLN52kA9UdtYEGv4Wp2l7aJkkw8hF0EcYDs5GocPaJa41q1TmCy/s1600/10.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="১০০ মনীষীর জীবনী" border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgnqRlOIKmNScIpUtPGxvjSeP9NJuEbEXR8NvM9fInTEe9VZ2X5HsFYTqn8TnLzOmyuw-vVUP_JhCepBvDbWHJAE52sALLN52kA9UdtYEGv4Wp2l7aJkkw8hF0EcYDs5GocPaJa41q1TmCy/s320/10.gif" title="মার্টিন লুথার কিং" width="320" /></a></div> <div style="background-color: white; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px;"> <br /></div> <h3 style="text-align: center;"> <span style="color: magenta;">মার্টিন লুথার কিং</span></h3> <br /> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ইতিহাসে ব্যক্তিই সব নয়, কিন্তু যদি বলা হয় জর্জ ওয়াশিংটন আমেরিকাকে স্বাধীন করেছেন, আব্রাহাম লিংকন এনেছেন গণতন্ত্র, তবে মার্কিন দেশকে সভ্য করেছেন মার্টিন লুথার কিং। তাঁর নেতৃত্বে কালো মানুষ পেয়েছে সাদা মানুষের সমান অধিকার, আর সাদা নাগরিকেরা পেয়েছে বর্ণবাদের অভিশপ্ত অহংকার থেকে মুক্তি।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> তিনি ছাড়া আমেরিকার বড় অংশ সাবেক বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার দশায় পড়ে থাকত। যে দেশে একসময় কালো শিশুরা সাদা শিশুদের সঙ্গে পড়তে পারত না, যেখানে সাদা যাত্রীকে দেখে বাসের আসন ছেড়ে দিতে হতো কোনো কালো মহিলাকে, কোনো শ্বেতাঙ্গিনীকে ভালোবাসার অপরাধে যে দেশে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণকে কেটে কুটিকুটি করা হতো, মার্টিন লুথারের নাগরিক স্বাধীনতা আন্দোলনের জের ধরে আজ সেই দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামা।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> মার্টিন লুথারের মাধ্যমেই আমেরিকার বর্ণবাদবিরোধী ২০০ বছরের লড়াই পরিণতি পায়। কিন্তু সংগ্রামের শীর্ষ মুহূর্তেই আততায়ীর গুলি কেড়ে নেয় এই মহাপুরুষের জীবন। ১৯৬৮ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে শ্বেতাঙ্গ ঘাতকের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> তাঁর জন্ম ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি। আটলান্টার বুকার টি ওয়াশিংটন হাইস্কুলে তার স্কুল জীবন শুরু,১৯৪৮ সালে মোরহাউজ কলেজ থেকে সমাজ বিজ্ঞান এর উপর স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন ।১৯৫৫ সালে কিং বষ্টন ইউনিভার্সিটি থেকে দর্শন এর উপর পি এইচ ডি ডিগ্রী লাভ করেন ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ছিলেন পাদ্রি কিন্তু হয়েছেন অহিংস মুক্তি আন্দোলনের দিশারি। আমেরিকার ভিয়েতনাম যুদ্ধের তিনি ছিলেন ঘোর বিরোধী। ছিলেন দারিদ্র্যমুক্তি আন্দোলনের নেতা। আজ বিশ্বে তাঁর স্থান মানবাধিকারের কিংবদন্তি হিসেবে। সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্মান তাঁরই। অমর তাঁর মহান সংগ্রাম। একইভাবে অমর তাঁর ঐতিহাসিক বক্তৃতা ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর ইতিহাসে যে সব ব্যক্তিত্বরা নির্যাতিত, অত্যাচারিত নিপিড়ীত আর অধিকার বঞ্চিত মানুষদের জন্যে সংগ্রাম করে গেছেন, সেই সংগ্রামে নিজের জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিয়েছেন মার্টিন লুথার কিং ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম । ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারী আমেরিকার জর্জিয়া ষ্টেইটের আটলান্টা সিটিতে মার্টিন লুথার কিং জন্মগ্রহন করেন ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> একসময় আমেরিকাতে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের সাথে চরম বৈষম্য করা হত । একটা উদহারন দিলে কিছুটা আন্দাজ করতে পারবেন বৈষম্যের পরিমাপটা কতটুকু ছিল । সাদা মানুষ বাসে উঠলে কালো মানুষদের সিট ছেড়ে দিতে হত । ১৯৫৫ সালে রোসা পার্ক নামের এক কালো মেয়েকে সাদা চামড়াওয়ালা একজনকে সিট ছেড়ে না দেয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সেই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্যে মন্টোগোমারিতে বাস বয়কটের ডাক দেওয়ার মাধ্যমে মার্টিন লুথার কিং আমেরিকায় কালো মানুষদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করেন ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> মার্টিন লুথার কিং ই প্রথম মানুষ যে আমেরিকায় কালো মানুষদের প্রতি বৈষম্যের জন্যে প্রতিবাদ শুরু করেন ।১৯৫৭ সালে রেফ এবারনেথি এবং অন্যান্য সিভিল রাইট নেতাদের সহযোগিতায় স্হাপন করেন সাউদার্ন লিডারশীপ কনফারেন্স ( এসসিএলসি )।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আমেরিকার সিভিল রাইট নেতা হাওয়ার্ড থমসন এবং ভারতের নন ভায়োলেন্স এর জনক গান্ধীর মতবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে কিং অত্যান্ত যোগ্যতার সাথে আমৃত্যু এই সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ।আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার প্রতিষ্টার পাশাপাশি তাদের নৈতিক চরিত্র গঠন নিশ্চিত করাও ছিল এই সংগঠনটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ন কাজ ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে কৃষ্ণাঙ্গদের অর্থনৈতিক মুক্তি, চাকরির সমতা অর্জন এবং সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার লক্ষ্যে কিং বেয়ারড রাস্তিন এবং আরো ছয়টি সংগঠনের সহায়তায় এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন । প্রায় তিন লক্ষ মানুষের উপস্হিতিতে কিং তাঁর সেই বিখ্যাত " আই হেভ এ ড্রিম" প্রদান করেন যা এখন ও পর্যন্ত আমেরিকার ইতিহাসে শ্রেষ্ট ভাষনগুলির মধ্যে একটা বিবিচিত হয় ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৯৬৫ সালে ৭ মার্চ কিং তার এসএলসি সংগঠনের সহায়তায় সেলমা থেকে মন্টগোমারির রাজধানীতে এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করেন ।কিন্তু পুলিশ আর সরকারী গুপ্তচরদের মিছিলের উপর অমানবিক নির্যাতনের কারনে সেই মিছিলটি শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে যায় । উল্লেখ্য যে আমেরিকার সিভিল রাইট মুভমেন্টের ইতিহাসে সেই দিনটি এখনো 'ব্লাক সান ডে' হিসাবে গন্য করা হয় ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ভিয়েতনামের সাথে আমেরিকার যুদ্ধে জড়িত হওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ আর নিন্দা প্রকাশ করেন । ১৯৬৭ সালের ৪ এপ্রিল নিউইয়র্কে দেওয়া এক ভাষনে তিনি এই যুদ্ধের তীব্র সমালোচনা করে বলেন " আমেরিকানরা ভিয়েতনামকে তাদের কলোনি বানানোর যে বাসনা করেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণ্য আর বর্বরোচিত একটা অধ্যায় হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকবে"।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এর ঠিক এক বছর পর ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মেম্ফিসের লরিয়েন মোটলে আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> মার্টিন লুথার কিং তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নির্যাতিত মানুষের জন্যে লড়াই করে গেছেন ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৯৬৩ সালের ২৮ আগস্ট ওয়াশিংটনে লাখ লাখ মানুষের মিছিলের শেষে দেওয়া এই বক্তৃতা কখনো ভুলার নয়। এখানে তাঁর সেই বক্তৃতার সংক্ষেপিত অংশ অনুবাদ করে দেওয়া হলো:</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এই দিনে আমি আপনাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে খুশি। ইতিহাস এই দিনটি মনে রাখবে, আমাদের জাতির ইতিহাসে মুক্তির মহান সমাবেশ হিসেবে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> যে মহান আমেরিকানের প্রতীকী ছায়াতলে আজ এখানে আমরা দাঁড়িয়ে, শতবর্ষ আগের এই দিনে তিনি মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন। অবিচারের আগুনে ঝলসে যাওয়া নিযুত নিযুত নিগ্রো দাসের সামনে সেই যুগান্তকারী ঘোষণা আশার মশাল হয়ে জ্বলে ছিল। বন্দিত্বের দীর্ঘ রাতের পর সেটা ছিল এক আনন্দময় সকাল।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> কিন্তু ১০০ বছর পর মর্মান্তিক সত্য হচ্ছে, নিগ্রো আজও মুক্ত নয়। শতবর্ষ পরও নিগ্রোরা আজও দুঃখজনকভাবে বিচ্ছিন্নতার শেকলে আর বৈষম্যের জিঞ্জিরে বাঁধা। শতবর্ষ পরও নিগ্রোদের জীবন যেন ধন-সম্পদের বিরাট সমুদ্রের মাঝখানে এক নিঃসঙ্গ দারিদ্র্যের দ্বীপ। শতবর্ষ পরও নিগ্রোরা মার্কিন সমাজের এক কোণে নির্জীব দশায় পড়ে আছে, হয়ে আছে নিজভূমে নির্বাসিত। তাই আজ আমরা এখানে আমাদের দুর্দশাকে তুলে ধরতে এসেছি।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এক অর্থে আমরা আমাদের রাজধানীতে এসেছি একটা চেক ভাঙাতে। আমাদের প্রজাতন্ত্রের স্থপতিরা যখন সংবিধানের সেই দারুণ কথাগুলো লিখছিলেন এবং দিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা, তখন তাঁরা এমন এক চেকে সই করছিলেন, প্রতিটি আমেরিকান যার উত্তরাধিকারী। সেটা ছিল সব মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, মুক্তি ও সুখসন্ধানের নিশ্চয়তার প্রতিশ্রুতি।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে, আমেরিকা সেই প্রতিশ্রুতিপত্র খেলাপ করেছে, অন্তত তার কালো নাগরিকদের বেলায়। সেই পবিত্র দায়িত্ব মান্য করার বদলে আমেরিকা নিগ্রো মানুষদের হাতে যে চেক ধরিয়ে দিয়েছে, তা ফেরত এসেছে, ‘তহবিল ঘাটতি’র চিহ্ন নিয়ে। কিন্তু ন্যায়বিচারের ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে—এ আমরা বিশ্বাস করতে রাজি না।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আমরা মানতে রাজি না, এই জাতির সুযোগ ও সম্ভাবনার সিন্দুকে যথেষ্ট তহবিল নেই। তাই যে চেক চাইবা মাত্র মুক্তির দৌলত আর ন্যায়বিচারের নিরাপত্তা দেবে, আজ আমরা এসেছি সেই চেক ভাঙাতে।... এখনই সময় ঈশ্বরের সব সন্তানের জন্য সুযোগের সব দ্বার অবারিত করে দেওয়ার। এখনই সময় বর্ণবৈষম্যের চোরাবালি থেকে আমাদের জাতিকে ভ্রাতৃত্ববন্ধনের পাথুরে জমিতে তুলে ধরার।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ...যত দিন না নিগ্রোরা তাদের নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারবে, তত দিন আমেরিকায় বিরাম ও শান্তি থাকবে না। যত দিন না ন্যায়ের সুদীপ্ত দিন আসছে, তত দিন বিদ্রোহের ঘূর্ণিঝড় আমেরিকার ভিতকে কাঁপিয়ে দিতে থাকবে।...</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের বলছি, বর্তমানের প্রতিকূলতা ও বাধা সত্ত্বেও আমি আজও স্বপ্ন দেখি। আমার এই স্বপ্নের শেকড় পোঁতা আমেরিকান স্বপ্নের গভীরে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন এই জাতি জাগবে এবং বাঁচিয়ে রাখবে এই বিশ্বাস: ‘আমরা এই সত্যকে স্বতঃসিদ্ধভাবে গ্রহণ করছি: সব মানুষ সমান।’</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন জর্জিয়ার লাল পাহাড়ে সাবেক দাস আর সাবেক দাসমালিকের সন্তানেরা ভ্রাতৃত্বের এক টেবিলে বসতে সক্ষম হবে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন মরুময় মিসিসিপি রাজ্য, অবিচার আর নিপীড়নের উত্তাপে দম বন্ধ করা মিসিসিপি হয়ে উঠবে মুক্তি আর সুবিচারের মরূদ্যান।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আমি স্বপ্ন দেখি, আমার চার সন্তান একদিন এমন এক জাতির মধ্যে বাস করবে, যেখানে তাদের চামড়ার রং দিয়ে নয়, তাদের চরিত্রের গুণ দিয়ে তারা মূল্যায়িত হবে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আমি আজ এই স্বপ্ন দেখি।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন আলাবামা রাজ্যে, যেখানকার গভর্নরের ঠোঁট থেকে কেবলই বাধানিষেধ আর গঞ্জনার বাণী ঝরে, একদিন সেখানকার পরিস্থিতি এমনভাবে বদলে যাবে যে কালো বালক আর বালিকারা সাদা বালক আর বালিকাদের সঙ্গে ভাইবোনের মতো হাত ধরাধরি করবে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আমি আজ এই স্বপ্ন দেখি।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন সব উপত্যকা উত্তীর্ণ হবে, সব পাহাড় আর পর্বত হবে আনত, এবড়ো-খেবড়ো জমিন মসৃণ হবে, আঁকাবাঁকা জায়গাগুলো সমান হবে এবং ঈশ্বরের জয় উদ্ভাসিত হবে এবং একসঙ্গে সব মানব তা চাক্ষুষ করবে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এই-ই আমাদের স্বপ্ন। এই স্বপ্ন নিয়েই আমি দক্ষিণে ফিরে যাব। এই বিশ্বাস নিয়ে হতাশার পর্বত থেকে আমরা সৃষ্টি করব আশার প্রস্তর। এই বিশ্বাস নিয়ে আমরা আজকের এই বেসুরো কোলাহল থেকে জন্ম দেব ভ্রাতৃবন্ধনের সুন্দরতম সংগীতের। এই বিশ্বাস নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব, প্রার্থনায় মিলব একত্রে, একদিন আমরা মুক্ত হব এই জেনে, একসঙ্গে শামিল হব সংগ্রামে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সেটা হবে সেই দিন, যে দিন ঈশ্বরের সন্তানেরা গাইতে পারবে গান, ভাষায় দেবে নতুন অর্থ: ‘ও আমার দেশ, তুমি তো মুক্তির স্নিগ্ধ ভূমি। যে মাটিতে আমার পিতারা শায়িত, যে মাটি তীর্থযাত্রীদের গরিমা, তার প্রতিটি পাহাড়ের ঢাল থেকে বেজে উঠুক মুক্তির গান।’</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এবং আমেরিকাকে মহান এক দেশ হতে হলে এটাই সত্য হতে হবে। তাই মুক্তি ধ্বনিত হোক নিউ হ্যাম্পশায়ারের বিপুল পাহাড়চূড়া থেকে। মুক্তি ধ্বনিত হোক নিউইয়র্কের শক্তিমান পাহাড়গুলো থেকে। মুক্তি ধ্বনিত হোক পেনসিলভানিয়ার ওই আকাশছোঁয়া আলেঘেনির শীর্ষ থেকে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> মুক্তি ধ্বনিত হোক কলোরাডোর তুষারমোড়া পাহাড় থেকে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> মুক্তি ধ্বনিত হোক ক্যালিফোর্নিয়ার বঙ্কিম চূড়া থেকে!</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> শুধু তা-ই নয়, মুক্তি ধ্বনিত হোক জর্জিয়ার স্টোন মাউন্টেইন থেকেও!</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> মুক্তি ধ্বনিত হোক টেনেসির লুকআউট পাহাড় থেকে!</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> মুক্তি ধ্বনিত হোক মিসিসিপির প্রতিটি টিলা ও পাহাড় থেকে। প্রতিটি পাহাড়ের খাঁজ থেকে বেজে উঠুক মুক্তির গান।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> যখন আমরা মুক্তিকে ধ্বনিত হতে দেব; যখন প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি বসতি, প্রতিটি রাজ্য এবং শহরে বাজবে মুক্তির গান; তখন আমরা সেই দিনকে আরও কাছে নিয়ে আসতে পারব, যেদিন কালো মানুষ ও সাদা মানুষ, ইহুদি ও জেন্টাইল, প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক—সবাই হাতে হাত ধরে গাইবে সেই নিগ্রো মরমিসংগীত ‘এত দিনে আমরা মুক্ত হলাম! এত দিনে পেলাম মুক্তি! ও সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তোমাকে ধন্যবাদ, আমরা আজ মুক্ত!’</div> </div>

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একশত মণীষীর একজন মার্টিন লুথার কিং :: তার সংক্ষিপ্ত জীবনী

মার্টিন লুথার কিং ইতিহাসে ব্যক্তিই সব নয়, কিন্তু যদি বলা হয় জর্জ ওয়াশিংটন আমেরিকাকে স্বাধীন করেছেন, আব্রাহাম লিংকন এনেছেন গণতন্ত্র,...

আরও পড়ুন »

সত্যজিৎ রায় :: ১০০ মনীষীর জীবনী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi2M-JvtcUnWgG7gh74iVzLoSKeaLMYPvVohiXiPO8x2VF72kDG1tme0PUH_qZheHtd1X0Rw61URc7Q6_tec-VJXGJ6Mi4pbeEm4Vj9yLIVuHf2Iut1yWf60ajAs4H5sGEgMTAGkb2on472/s1600/09.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="সত্যজিৎ রায়" border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi2M-JvtcUnWgG7gh74iVzLoSKeaLMYPvVohiXiPO8x2VF72kDG1tme0PUH_qZheHtd1X0Rw61URc7Q6_tec-VJXGJ6Mi4pbeEm4Vj9yLIVuHf2Iut1yWf60ajAs4H5sGEgMTAGkb2on472/s320/09.gif" title="১০০ মনীষীর জীবনী" width="320" /></a></div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px;"> ১০০ মনীষীর<br />জীবনী<br />সত্যজিৎ রায়</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> জন্ম, ছেলেবেলা ও পড়াশোনা<br />সত্যজিৎ রায় ১৯২১ সালের ২ মে এক বিদগ্ধ এবং সাংস্কৃতিক ঋদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।তাঁর পিতা সুকুমার রায়(১৮৮৭-১৯২৩) ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর বড় ছেলে।সুকুমার রায় ছিলেন লেখক, সম্পাদক ও আলোকচিত্রী। এছাড়া তিনি "Royal Photographic Society of Great Britain" এর ফেলো ছিলেন। তিনি ইংল্যান্ডে প্রিন্টিং টেকনোলজির উপর পড়াশোনা করেছেন এবং পরে পারিবারিক ব্যবসায়ে যোগ দেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সত্যজিৎ এর পিতামহ অর্থাৎ সুকুমার রায়ের পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী ছিলেন প্রখ্যাত লেখক, শিশুসাহিত্যিক, চিত্রকর, আলোকচিত্রী, ব্লক ডিজাইনার এবং শিশুতোষ পত্রিকা "সন্দেশ" এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদক। বেহালা বাদক হিসেবেও তাঁর যথেষ্ট সুনাম ছিল।তিনি ভারতের অন্যতম সেরা প্রেস "U. Ray & Sons" এর প্রতিষ্ঠাতা।তিনি মারা যান সত্যজিৎ এর জন্মের ৬ বছর আগে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সত্যজিৎ এর মা সুপ্রভা রায় ছিলেন সংগীত শিল্পী ও একই সঙ্গে হস্তশিল্পে পারদর্শি।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৯২৩ সালে সত্যজিৎ এর পিতা সুকুমার রায় মারা যান।তখন সত্যজিৎ এর বয়স মাত্র তিন বছর।এর তিন বছর পর প্রিন্টিং এর ব্যবসা তাদের হাত ছাড়া হয়ে যায় এবং সত্যজিৎ ও তাঁর মা'কে তাদের নিজস্ব বাড়ি ছেড়ে যেতে হয়।তাঁরা সত্যজিৎ এর মামা বাড়িতে চলে যান।তাঁর মা সুপ্রভা রায় সূচি কর্মের মাধ্যমে গৃহস্থালির খরচ নির্বাপন করতেন।এখানেই সত্যজিৎ বিজয়া(পরবর্তীতে সত্যজিৎ এর স্ত্রী) এর সাথে পরিচিত হন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সত্যজিৎ ৮ বছর বয়সে বালিগঞ্জ সরকারি বিদ্যালয়ে (Ballygunj Government School)ভর্তি হন।এর আগে তাঁর পড়াশোনা চলছিল তাঁর মায়ের কাছে। ছাত্র হিসেবে সত্যজিৎ মাঝারি মানের ছিলেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তাঁর চলচ্চিত্র প্রেম শুরু হয়।নিয়মিত হলিউড এর খবর পড়তেন।এমনকি টুকিটাকি খবর ও বাদ যেতনা।"Picturegoer" এবং "Photoplay" এর মতো বিখ্যাত ম্যাগাজিনগুলো তিনি নিয়মিত পড়তেন।এছাড়া "Western classical music" ছিল তাঁর আরেকটি আগ্রহের বিষয়।১৫ বছর বয়সের দিকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> মায়ের পীড়াপীড়িতে তিনি প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হন।প্রথম দুই বছর বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করলেও তৃ্তীয় বর্ষে তিনি অর্থনীতি নেন।কারন এক নিকটাত্মীয় তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে অর্থনীতিতে গ্রাজুয়েট করলে তাঁকে চাকরি দিবেন।কলেজে পড়ার সময়েও তিনি চলচ্চিত্র দেখা এবং নিজস্ব গ্রামোফোনে "Western Classical Music" শোনা চালিয়ে যান।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৮ বছর বয়সে ১৯৩৯ সালে তিনি গ্রাজুয়েট করেন।এবং পড়াশোনা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।যদিও কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষন ছিলনা তবুও তিনি বানিজ্যিক চিত্রকর (Commercial Artist) হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।ছবি আঁকায় তাঁর সহজাত প্রতিভা এবং আগ্রহ ছিল।তাঁর মায়ের অবশ্য মনে হয়েছিল যে চাকরি করার পক্ষে সত্যজিৎ এর বয়স অনেক কম।তাই তিনি সত্যজিৎ কে শান্তিনিকেতনে পেইন্টিং এর উপর পড়াশোনা করার উপদেশ দেন।প্রথমে আপত্তি করলেও পড়ে সত্যজিৎ অবশ্য মেনে নেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> কর্মজীবন<br />১৯৪৩ এর এপ্রিলে তিনি ব্রিটেন ভিত্তিক বিজ্ঞাপনী সংস্থা D.J.Keymer এ মাসিক ৮০ রুপি বেতনে জুনিয়র ভিজুয়ালাইজার হিসেবে যোগদান করেন।পরবর্তী ১৩ বছর(যত দিনে পথের পাঁচালী সফলতা পায় এবং তিনি পুরোদস্তুর চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন) তিনি এখানেই কর্মরত ছিলেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এর পরবর্তী ৩৭ বছর শুধুই চলচ্চিত্র নির্মান করেন।১ বছরে ১ ছবি এই ছিল তাঁর মূলনীতি।প্রচন্ড কাজের চাপে ১৯৮০ এর মধ্যমভাগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর উপন্যাস অবলম্বনে "ঘরে বাইরে"(১৯৮৪) ছবিটি তাঁর আবার চলচ্চিত্রাঙ্গনে ফিরে আসার প্রথম কাজ।শুটিং এর সময় তিনি দুইবার হার্ট এটাক এর শিকার হন এবং তাঁর ছেলে সন্দীপ রায় ছবিটির কাজ শেষ করেন</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> পরবর্তী চার বছর অসুস্থতার কারনে তিনি চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিলেন।১৯৮৯ তে তিনি "গণশত্রু" এর অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন।এই সিরিজের পরবর্তী ছবিগুলো ছিল "শাখা- প্রশাখা"(১৯৯০) এবং "আগন্তুক"(১৯৯১)।তিন ছবির এই সিরিজটিই তাঁর জীবনের শেষ সিরিজ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> মহাপ্রয়াণ</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৯৯২ সালের ২৩ শে এপ্রিল সত্যজিৎ রায় মৃত্যুবরন করেন।<br />সত্যজিৎ এর পাওয়া পুরস্কার এর তালিকা (আংশিক)<br />সালঃ সালঃ ১৯৫৮<br />পদ্মশ্রী(Padmashree), India<br />সালঃ ১৯৬৫<br />পদ্মভূষন(Padmabhushan), India<br />সালঃ ১৯৬৭<br />ম্যাগসেসে পুরস্কার( Magasaysay Award), Manila<br />সালঃ ১৯৭১<br />Star of Yugoslavia<br />সালঃ ১৯৭৩<br />Doctor of Letters, Delhi University<br />সালঃ ১৯৭৪<br />D. Litt., Royal College of Arts, London<br />সালঃ ১৯৭৬<br />পদ্মবিভূষন( Padmabibhushan), India<br />সালঃ ১৯৭৮<br />D. Litt., Oxford University<br />Special Award, Berlin Film Festival<br />Deshikottam, Visva-Bharati University, India<br />সালঃ ১৯৭৯<br />Special Award, Moscow Film Festival<br />সালঃ ১৯৮০<br />D. Litt., Burdwan University, India<br />D. Litt., Jadavpur University, India<br />সালঃ ১৯৮১<br />Doctorate, Benaras Hindu University, India<br />D. Litt. , North Bengal University, India<br />সালঃ ১৯৮২<br />Hommage à Satyajit Ray, Canes Film Festival<br />Special Golden Lion of St. Mark, Venice Film Festival<br />বিদ্যাসাগর পুরস্কার(Vidyasagar Award), Govt. of West Bengal<br />সালঃ ১৯৮৩<br />Fellowship, The British Film Institute<br />সালঃ ১৯৮৫<br />D. Litt., Calcutta University, India<br />দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার (Dadasaheb Phalke Award), India<br />Soviet Land Nehru Award<br />সালঃ ১৯৮৬<br />Fellowship, Sangeet Natak Academy, India<br />সালঃ ১৯৮৭<br />Légion d'Honneur, France<br />D. Litt., Rabindra Bharati University, India<br />সালঃ ১৯৯২<br />অস্কার- আজীবন পুরস্কার(Oscar for Lifetime Achievement), USA<br />ভারতরত্ন (Bharatratna), India<br />এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার এর তালিকা।তাঁর জীবনের সব পুরস্কারের তালিকা এত বড় যে দিলে লেখা খুব বড় হয়ে যাবে (হয়ত বড় লেখা দেখে আপনারা পড়বেনই না) তাই এই মহাগুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারের তালিকাটি দিলাম।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> চলচ্চিত্রে আগ্রহের ইতিহাস<br />যেসব কারন সত্যজিৎ রায়কে চলচ্চিত্র পরিচালনা করতে উৎসাহী করেছে এর মধে উল্লেখযোগ্য হল জ্যঁ রেঁনোয়ার (বিশ্ববিখ্যাত ফরাসী পরিচালক) এর সান্নিধ্যলাভ এবং তাঁর "দ্য রিভার" ছবির শুটিং প্রত্যক্ষ ভাবে দেখা( তিনি এই ছবিটির কিছু অংশের শুটিং কলকাতায় করেছিলেন)।এছাড়া ১৯৫০ সালে চাকরি সূত্রে লন্ডনে ৫ মাস অবস্থান করেছিলেন যা ছিল তাঁর চলচ্চিত্রকার হয়ে ওঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।লন্ডনে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি প্রায় ১০০ চলচ্চিত্র দেখেন, পরিচিত হন ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা লিন্ডসে এন্ডারসন, চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ পেনেলোপি হাষ্টন ও গ্যাবিন ল্যাম্বটির সাথে।এ সময়েই তিনি বিশ্ববিখ্যাত ইতালিয়ান পরিচালক ভিত্তোরিও ডি সিকা নির্মিত নিওরিয়্যালিস্ট চলচ্চিত্র "দ্য বাইসাইকেল থিফ"(১৯৪৮) দেখে বিশেষভাবে মুগ্ধ হন এবং বিভুতিভূষন বন্দোপাধ্যায় এর উপন্যাস "পথের পাঁচালী" অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মান করার সিদ্ধান্ত নেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সত্যজিৎ এর প্রভাব<br />দেশ বিদেশের বহু বিখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা সত্যজিৎ এর চলচ্চিত্রশৈলীর অনুসারী।তাঁরা বিভিন্নভাবে সত্যজিৎ রায়ের কাজ দ্বারা প্রভাবিত।এই দলে ভারতের অপর্ণা সেন,দীপা মেহতা, ঋতুপূর্ণ ঘোষ ও গৌতম ঘোষ;বাংলাদেশের তারেক মাসুদ ও তানভীর মোকাম্মেল; এমনকি ইরাকের আব্বাস কিয়ারোস্তামি এবং ফ্রান্সের জঁ লুক গদারের মত পরিচালক পর্যন্ত রয়েছেন।কেউ কেউ আবার সত্যজিৎ এর ছবি বা ছবির অংশবিশেষ অনুকরণ করেছেন।কখনো কখনো তাঁর নির্মিত কোন একটি ছবির নির্দিষ্ট একটি চরিত্র অবলম্বনে নতুন কাহিনী তৈ্রি করে ছবি নির্মান করেছেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সত্যজিৎ এর পরিচালিত চলচ্চিত্রের তালিকা<br />এখানে সত্যজিৎ রায়ের সবগুলো ছবির নাম দেয়া হলো।ছবিগুলোর নাম, "মুক্তির সাল-ছবির নাম-দৈ্র্ঘ্য-প্রকার" এই ফরম্যাট এ দেয়া হলো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1955 পথের পাঁচালী (Song of the Little Road), ১১৫ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1956 অপরাজিত (The Unvanquished), ১১৩ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1958 পরশ পাথর (The Philosopher's Stone), ১১১ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1958 জলসা ঘর (The Music Room), ১০০ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1959 অপুর সংসার (The World of Apu), ১০৬ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1960 দেবী (The Goddess), 93 min., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1961 তিন কন্যা (Three Daughters), পোষ্টমাস্টার (৫৬ মিনিট.);মনিহারা (৬১ মিনিট..); সমাপ্তি (৫৬ মিনিট.) (Two Daughters, পোষ্টমাস্টার(৫৬ মিনিট.); সমাপ্তি (৫৬ মিনিট.), সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1961 Rabindranath Tagore, Documentary, ৫৪ মিনিট., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1962 কাঞ্চনজংঘা, ১০২ মিনিট.., Color</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1962 অভিযান (The Expedition), ১৫০ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1963 মহানগর (The Big City), ১৩১ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1964 চারুলতা (The Lonely Wife), ১১৭ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1964 Two, Short, ১৫ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1965 কাপুরুষ ও মহাপুরুষ (The Coward and the Holy Man), ৭৪ + ৬৫ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1966 নায়ক (The Hero), ১২০ ., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1967 চিড়িয়াখানা (The Zoo), ১২৫ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1968 গুপি গাইন বাঘা বাইন (Adventures of Goopy and Bagha), ১৩২ মিনিট.., সাদাকালো এবং আংশিক রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1969 অরণ্যের দিন রাত্রি (Days and Nights in the Forest), ১১৫ মিনিট..,সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1970 প্রতিদ্বন্দী (The Adversary), ১১০ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1971 সীমাবদ্ধ (Company Limited), ১১২ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1971 সিকিম,(Sikkim), Documentary, ৬০ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1972 The Inner Eye, Documentary, ২০ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1973 অশনি সংকেত (Distant Thunder), ১০১ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1974 সোনার কেল্লা (The Fortress), ১২০ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1975 জন অরণ্য (The Middleman), ১৩১ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1976 বালা(Bala), Documentary, ৩৩ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1977 শতরঞ্জ কি খিলাড়ী (The Chess Players) ১১৩ মিনিট..রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1978 জয় বাবা ফেলুনাথ (The Elephant God), ১১২ মিনিট., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1980 হীরক রাজার দেশে (Kingdom of Diamonds), ১১৮ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1980 পিকু (Pikoo's Day), Short, ২৬ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1981 সদ্ গতি (The Deliverance), ৫২ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1984 ঘরে বাইরে (Home and the World), ১৪০ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1987 সুকুমার রায়(Sukumar Ray), Documentary, ৩০ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1989 গণ শত্রু (Enemy of the People), ১০০ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1990 শাখা প্রশাখা (Branches of the Tree), ১২১ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1991 আগন্তুক (The Stranger), ১২০ মিনিট., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1955 পথের পাঁচালী (Song of the Little Road), ১১৫ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1956 অপরাজিত (The Unvanquished), ১১৩ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1958 পরশ পাথর (The Philosopher's Stone), ১১১ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1958 জলসা ঘর (The Music Room), ১০০ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1959 অপুর সংসার (The World of Apu), ১০৬ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1960 দেবী (The Goddess), 93 min., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1961 তিন কন্যা (Three Daughters), পোষ্টমাস্টার (৫৬ মিনিট.);মনিহারা (৬১ মিনিট..); সমাপ্তি (৫৬ মিনিট.) (Two Daughters, পোষ্টমাস্টার(৫৬ মিনিট.); সমাপ্তি (৫৬ মিনিট.), সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1961 Rabindranath Tagore, Documentary, ৫৪ মিনিট., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1962 কাঞ্চনজংঘা, ১০২ মিনিট.., Color</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1962 অভিযান (The Expedition), ১৫০ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1963 মহানগর (The Big City), ১৩১ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1964 চারুলতা (The Lonely Wife), ১১৭ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1964 Two, Short, ১৫ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1965 কাপুরুষ ও মহাপুরুষ (The Coward and the Holy Man), ৭৪ + ৬৫ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1966 নায়ক (The Hero), ১২০ ., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1967 চিড়িয়াখানা (The Zoo), ১২৫ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1968 গুপি গাইন বাঘা বাইন (Adventures of Goopy and Bagha), ১৩২ মিনিট.., সাদাকালো এবং আংশিক রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1969 অরণ্যের দিন রাত্রি (Days and Nights in the Forest), ১১৫ মিনিট..,সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1970 প্রতিদ্বন্দী (The Adversary), ১১০ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1971 সীমাবদ্ধ (Company Limited), ১১২ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1971 সিকিম,(Sikkim), Documentary, ৬০ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1972 The Inner Eye, Documentary, ২০ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1973 অশনি সংকেত (Distant Thunder), ১০১ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1974 সোনার কেল্লা (The Fortress), ১২০ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1975 জন অরণ্য (The Middleman), ১৩১ মিনিট.., সাদাকালো।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1976 বালা(Bala), Documentary, ৩৩ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1977 শতরঞ্জ কি খিলাড়ী (The Chess Players) ১১৩ মিনিট..রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1978 জয় বাবা ফেলুনাথ (The Elephant God), ১১২ মিনিট., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1980 হীরক রাজার দেশে (Kingdom of Diamonds), ১১৮ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1980 পিকু (Pikoo's Day), Short, ২৬ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1981 সদ্ গতি (The Deliverance), ৫২ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1984 ঘরে বাইরে (Home and the World), ১৪০ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1987 সুকুমার রায়(Sukumar Ray), Documentary, ৩০ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1989 গণ শত্রু (Enemy of the People), ১০০ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1990 শাখা প্রশাখা (Branches of the Tree), ১২১ মিনিট.., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> 1991 আগন্তুক (The Stranger), ১২০ মিনিট., রঙিন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সাহিত্যকর্ম<br />সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্রের মত সাহিত্য রচনায়ও সমান পারদর্শী ছিলেন।কিন্তু চলচ্চিত্রকার হিসেবে তাঁর অনবদ্য অবদান তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা করেছে। হয়তো এ কারনেই তাঁর সাহিত্য নিয়ে আলোচনা কম করা হয়।তাঁর সাহিত্যগুলো মূলত তার পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত শিশুতোষ "সন্দেশ" পত্রিকার জন্য লেখা, যা পরবর্তীতে বই আকারেও বের হয়েছে।উল্লেখ্য "সন্দেশ"পত্রিকাটি মাঝখানে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং ১৯৬১ সালে সত্যজিৎ এটি আবারো চালু করেন।সত্যজিৎ এর লেখাগুলো ছিল প্রধানত কিশোর রচনা।তবে তা সব বয়সী পাঠকই পড়তেন এবং এখনো পড়েন।বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা গোয়েন্দা চরিত্র "ফেলুদা" সত্যজিৎ এর এক আশ্চর্য সৃষ্টি।এছাড়া তিনি বিজ্ঞানকল্পকাহিনী ও লিখেছেন।এ ক্ষেত্রে তাঁর আরেকটি বিখ্যাত ও জনপ্রিয় চরিত্র "প্রফেসর শঙ্কু"।এছাড়া তিনি অনেক ছোটগল্প লিখেছেন।করেছেন আনুবাদও।উল্লেখ্য যে এসব বই এর প্রচ্ছদ এবং ভিতরের ছবি সব তাঁর নিজের হাতে আঁকা।চলচ্চিত্র নির্মান এবং শুটিং নিয়েও তিনি লিখেছেন কিছু বই।এগুলো হচ্ছে, "আওয়ার ফিল্মস,দেয়ার ফিল্মস", "বিষয়ঃ চলচ্চিত্র", "একেই বলে শুটিং" ইত্যাদি।এছাড়া নিজের ছেলেবেলা নিয়েও তিনি বই লিখেছেন, "যখন ছোট ছিলাম"।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> সত্যজিৎ সম্পর্কে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের করা কয়েকটি মন্তব্যঃ<br />১৯৮৭ সালে তৎকালীন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিঁতেরা কলকাতায় এসে সত্যজিৎ কে " লিজিয়ন অব অনার" এ ভূষিত করে বলেন-</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> "ভারতের সাংস্কৃতিক জগতে সত্যজিৎ রায় এক অবিস্মরনীয় ব্যক্তিত্ব।চলচ্চিত্র জগতে এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ পুরুষ।তাঁর মতো মহান ব্যক্তিকে আমাদের দেশের সর্বোচ্চ সন্মানে ভূষিত করতে পেরে আমি ও আমার দেশ্ বাসী আজ সন্মানিত বোধ করছি"।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ১৯৯২ সালে তাঁকে অস্কার এ আজীবন সন্মাননা জানিয়ে বলা হয়,- "In recognition of his rare mastery of the art of motion pictures and for his profound humanitarian outlook,which has had an indelible influence on filmmakers and audiences throughout the world".</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী ড.অমর্ত্য সেন বলেন-"The work of Ray presents a remarkably insightful understanding of the relations between cultures, and his ideas remain pertinent to the great cultural debates in the contemporary world,not least in India.</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> "রশোমন"(১৯৫০) খ্যাত বিশ্বখ্যাত জাপানী পরিচালক আকিরা কুরোশাওয়া বলেছেন-</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> "Not to have seen the cinema of Ray means existing in the world without seeing the sun or the moon".</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> বিখ্যাত পরিচালক Martin scorsese বলেছেন,</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> "Ray's magic,the simple poetry of his images and their emotional impact,will always stay with me...His work is in the company of that of living contemporaries like Ingmar Bergman,Akira Kurosawa and Federico Fellini"</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> শেষ কথা<br />সত্যজিৎ রায় কে নিয়ে লিখলে কয়েকটা মহাকাব্য হয়ে যাবে তবুও শেষ হবেনা তাকে নিয়ে লেখা।এক জীবনে শেষ করা যাবেনা তাঁকে নিয়ে গবেষনা। এমনই গভীর তাঁর বিদগ্ধতা, এতই বৈচিত্রময় তাঁর জীবনাচারণ। এই লেখায় আমি শুধু তাঁর কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছি মাত্র।কোন বিশ্লেষন করিনি। তবে তাঁকে নিয়ে আমার আরো লেখার ইচ্ছা আছে। জানি লিখব শেষ করতে পারবোনা। মহীরুহের ডাল-পালা আর পাতার সংখা কি গুনে শেষ করা যায়? সত্যজিৎ যে মহীরুহ!</div> </div>

সত্যজিৎ রায় :: ১০০ মনীষীর জীবনী

১০০ মনীষীর জীবনী সত্যজিৎ রায় জন্ম, ছেলেবেলা ও পড়াশোনা সত্যজিৎ রায় ১৯২১ সালের ২ মে এক বিদগ্ধ এবং সাংস্কৃতিক ঋদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন...

আরও পড়ুন »

মহাকবি নিজামী :: ১০০ মনীষীর জীবনী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiPml6kABhyq_yl-_YKLaO8elYIiyIL1JyYDc89U_vJiTRSUS9JrYBAVpvrYLKx3DYlRYpl6wzB9n5ARfX_Ij4Vza_KVrFtQe-b7mPyz5gIOJLkupOfH92BSqjabKD0LOqyqAFT5tz6lBwh/s1600/08.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="মহাকবি নিজামী" border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiPml6kABhyq_yl-_YKLaO8elYIiyIL1JyYDc89U_vJiTRSUS9JrYBAVpvrYLKx3DYlRYpl6wzB9n5ARfX_Ij4Vza_KVrFtQe-b7mPyz5gIOJLkupOfH92BSqjabKD0LOqyqAFT5tz6lBwh/s320/08.gif" title="১০০ মনীষীর জীবনী" width="320" /></a></div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px;"> <br /></div> <div style="text-align: center;"> মহাকবি নিজামী</div> <br /> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> তাঁর নাম নিজামী। পুরা নাম আল ইলিয়অস ইউসুফ আবুবকর নিজামুদ্দীন নিজামী। হিজরী ৫৩৩ সনে তিনি ইরানের কুমে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুঈদ। নিজামী পন্ডিত বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ভাই বিখ্যাত কবি ছিলেন। নিজামী প্রথমে বিদ্যালয়ে শিক্ষা শেষ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই কবিতা রচনা করতেন। শিক্ষা অর্জনের পর তিনি কাব্য সাধনায় মন ঢেলে দেন। এসময় তার কবিতার সুখ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর সুখ্যাতি শুনে সে যুগের সম্রাটরা তাঁর প্রতি যথেষ্ট ভক্তি শ্রদ্ধা দেখাতেন। সকল সম্রাট তাদের দরবারে তাকে ডেকে নিয়ে বহু তাঁর কবিতা শুনতেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> নিজামী সৎ ছিলেন। তিনি সততা পছন্দ করতেন। অসৎ লোকদের দেখতে পারতেন না। বাহরাম শাহ কবি নিজামীকে পছন্দ করতেন। কবি মখজনই আসরার কাব্য গ্রন্থ রচনা করে হিজরী ৫৫৯ সালে তাঁর নামে উৎসর্গ করেন। বাহারাম শাহ এতে খুশী হন। এবং কবিকে ৫ হাজার স্বর্ণমুদ্রা, অনেকগুলো উট এবং বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরিচ্ছদ উপহার দেন। মখজন রচনার সময় কবির বয়স ছিল ২৫ বছর।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> নিজামীর জন্মভূমি গঞ্জ সেলজুক বাদশাহদের রাজত্বের সীমায় অবস্থিত ছিল। এ সময় এই বংশের সুলতান তুগরল বিন আরসান রাজত্ব করতেন। তিনি সাহসী, ন্যায় বিচারক ও জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি নিজেও কবিতা রচনা করতেন এবং কবিদের সমাদর করতেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> নিজামী সে সময় শিরীন ও খসরু রচনা শুরু করেছেন। এর সুনাম বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। তুগরলও জানতে পারলেন নিজামীর কাব্য রচনার কথা। তিনি কবির কাব্যের সাথে তাঁর নাম জড়িত করার অনুরোধ জানান।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> নিজামী যখন ইই মসনভী রচনা করেছিলেন তখন তার এক বন্ধু তার সাথে দেখা করতে এলেন। তিনি কবিকে শিরীন খসরু রচনা করতে দেখে অসন্তুষ্ট হলেন এবং বললেন, মিথ্যা কাহিনী রচনা করে কি লাভ? নিজামী বন্ধুর মন্তব্যের কোন জবাব না দিয়ে তার কাব্যখানা পড়তে শুরু করলেন। কাব্যের অপরূপ সৌন্দর্য্যে ও মাধুর্য্যে তার বন্ধু মুগ্ধ হয়ে গেলেন। এরপর শিরীন খসরু কাব্যের ব্যাপারে তিনি আর কোন কথা বলতে পারলেন না।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> কবির শিরীন খসরু কাব্য খো সমাপ্ত হয়েছে জানতে পেরে সম্রাট ফজল আরসান তাঁকে রাজদরবারে আসার আহবান জানালেন। পত্রবাহক রাজকীয় আমন্ত্রণ নিয়ে নিজামীর কাছে পৌঁছলেন। রাজার আদেশ তিনি মাথার উপর রাখলেন। সম্মানের সাথে চুমু খেয়ে তখনই ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে রওয়ানা হলেন। তখনকার দিনে সুপ্রশস্থ রাস্তাঘাট ছিল না। এখনকার মত যানবাহনও ছিল না। কবি দিনের পর দিন ঘোড়ায় চড়ে প্রান্তর ও বন অতিক্রম করতে থাকেন। একমাস পর তিনি সম্রাটের রাজধানীতে পৌঁছলেন। রাজদূত গিয়ে কবি নিজামীর আগমনের বার্তা ঘোষণা করলেন। সম্রাটের নির্দেশে তাঁর মন্ত্রী শামসুদ্দিন মাহমুদ কবিকে সঙ্গে করে রাজদরবারে নিয়ে আসেন। নিজামী যখন রাজদরবারে পৌঁছলেন সে সময় আনন্দ মজলিস বসেছে। প্রাসাদ সুন্দরভাবে সুসজ্জিত এবং গান বাজনা চলছিল। সম্রাট ফজল আরসালান কবি নিজামীর সম্মানার্থে গানবাজনা বন্ধ করে দিলেন। সিংহাসন থেকে উঠে নিজামীকে সসম্মানে উপযুক্ত স্থানে বসালেন। তাদের মধ্যে নানান বিষয়ে আলোচনা হল। কবি কবিতা পাঠ করতে চাইলেন। সে যুগে নিয়ম ছিল রাজদরবারে কবি নিজের কবিতা পাঠ করতেন না। বরং কবির সঙ্গে একজন লোক থাকতেন তিনি তা পাঠ করতেন। তাকে রাবী বলা হত। যতক্ষণ রাবী কবিতা পড়তেন ততক্ষণ কবিকে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। নিজামীও দাঁড়িযে থাকতে চাইলেন। কিন্তু ফজল আরসালান তাঁকে দাঁড়াতে নিষেধ করলেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> রাবী যখন খসরু-শিরী শুরু করলেন তখন সম্রাট কবির কাঁধে হাত রেখে বিশেষ আগ্রহভরে তা’ শুনতে লাগলেন। রাজসভার সকলেই মহাখুশী হলেন। বাদশাহ নিজামীর দিকে লক্ষ্য করে বললেন, চিরকালের জন্য আপনি আমার নাম বিখ্যাত করে দিলেন। এর মুল্র দেয়া আমার জন্য কর্তব্য। তিন আরো বলেন, তাঁর ভাই কবিকে জায়গির হিসেবে যে দু’খানা গ্রাম দিয়েছেন তা’ তিনি পেয়েছেন কিনা? কবি হ্যাঁ সূচক জবাব দেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> নিজামীর সুখ্যাতি ‍শুনে প্রত্যেক রাজা বাদশাহই তার নাম অমর করে রাখার জন্য কবিকে দিয়ে গ্রন্থ রচনা করিয়ে নিতে আগ্রহী হন। েএদের মধ্যে বাদশাহ মুনচেহর নিজ হাতে ১০/১৫ ছত্রের একটি পত্র নিজামীকে লিখে তাকে লায়লী মজনুর কাহিনী নিয়ে কাব্য রচনা করতে বললেন। তাঁর পত্র পেয়ে নিজামী চিন্তিত হয়ে পড়েন। এ সময় কবি ১৪ বছরের কিশোর পুত্র সেখানে উপস্থিত ছিল। কবি তাকে বললেন, এই লায়লী মজনুর কাহিনী কাব্য রচনার উপযুক্ত নয়। কেননা এটা একেবারেই দুঃখের কাহিনী। এটা কি করে উপভোগ্য রচনা করা যাবে- এ বিষয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন। পুত্র বলেন- ইতোপূর্বে আর কেউ এই কাহিনী কাব্য আকারে রচনা করেন নাই। কাজেই উহা রচনার জন্য তিনি পিতাকে অনুরোধ জানান। রাজকীয় আদেশ অনুযায়ী কবি ৪ মাসের মধ্যে লায়লী-মজনু রচনা শেষ করেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> নিজামীর এই কাব্য রচনার পুরষ্কার হিসেবে সম্রাট কবি পুত্রকে রাজপুত্রের মত শিক্ষা-দীক্সা ও যাবতীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণের খরচ বহন করেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ৫৯৩ হিরীর ১৪ রমজান কবি সুলতান গিয়াসুদ্দিনের নির্দেশে পয়বার নামক কাব্য রচনা করেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> ফজল আরসালানের মৃত্যুর পর তাঁর ভাতিজা আবু বকর নাসিরুদ্দিন ৫৮৩ হিরজীতে সিংহাসনে বসেন। নেজামী বহুকাল বাদশাহদের ফরমায়েশ মোতাবেক কাব্য রচনা করেন। একবার তিনি নিজের ইচ্ছানুযায়ী সেকেন্দার নামা রচনা করেন। এতে নাসীরুদ্দিনের নামের উল্লেখ রয়েছে। এই কাব্য ৫৯৯ হিরীতে শেষ হয়। এই কাব্য রচনা করে তিনি রাজার কাছে উপহার পাঠান। সম্রাট তাকে মূল্যবান ঘোড়া ও কাপড়চোপ প্রদান কনে। নিজামীর পুত্রের সাথে এক সম্রাটের মেয়ের বিয়ে পর্যন্ত সম্পন্ন হয়। সেকান্দার নামা কাব্যে এ বিষয়ের উল্লেখ আছে। এটি রচনার সময় তাঁর বয়স ছিল ৬৩ বছর।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> এই গ্রন্থ শেষ হওয়ার সাথে সাথে তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর বছর ছিল ৫৯৯ হিজরী।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> তিনি সারা জীবন তাঁর নিজের ঘরেই কাটয়েছেন। বেশী লোকেরসাথে তিনি দেখা সাক্ষাৎকরতেন না। জীবনী কাররা তাঁর একটি বিশেষ গুণের প্রশংসা করে থাকেন। সেটা হচ্ছে তিনি রাজা বাদশাদের তোষামদ করা পছন্দ করতেন না। তারপরেও রাজা বাদশাহরাই তার সাথে বিশেষ আগ্রহের সাথে মিশতে চাইতেন এবং তাঁর কাছে আসতেন। তাঁকে প্রচুর পুরষ্কার দিয়ে রাজাবাদশাহরা সেজন্য গৌরববোধ করতেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> নিজামী অসাধাণ কবি ছিলেন। ইরানে তাঁকে সাধারণত হেকিম নিজামী গঞ্জভী বলা হয়। নেজামী সারাজীবনতাঁর মাতৃভূমি গঞ্জে থাকতেন। তিনি খুব কমেই বাইরে ভ্রমনে যেতেন।তিনি ঘরকুনো ঘরনের লোক ছিলেন। কবি সারা জীবনে ্কবা মাত্র ঘর ছেড়ে বাদশাহ আরসালা সেলজুকীর আমন্ত্রণে তার দরবারে গিয়েছিলেণ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> নিজামী তিনটি বিয়ে করেন। তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম আফাক। বাদশাহ আরসালান যে উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছিলেন তার মধ্যে অপূরব সুন্দরী এক তরুনী ছিল। তার নাম আফাক।কবি তাকে বিয়ে করেন। স্ত্রীর প্রেমে মশগুল থাকাকালে নিজামী শিরীন খসরু কাব্য রচনা করেন। এই কাব্য রচনা শেষ হওয়ার পর আফাক ইন্তেকাল করেন। তাঁর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রীর নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> কবির ছেলেদের মধ্যে মুহাম্মদ নামে তার এক পুত্রের কথা জানা যায়। শিরীন খসরু রচনাকালে তার বয়স ছিল ১৪ বছর। তাঁর এ পুত্রের হাত দিয়ে সম্রাটের কাছে ‘শিরীন খসরু’ কাব্যগ্রন্থ পাঠান। তাঁর ইকবাল নামায় এ বিষয়ের উল্লেখ দেখা যায়। নেজামী ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তার কবরপাকা করে তার উপর গম্বুজ তৈয়ার করা হয়।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> নিজামী ২০ হাজার ছত্র কবিতা রচনা করেন। তিনি মহৎ স্বভাবের কবি ছিলেন। তিনি বাদশাহ এবং আমির ওমরাদের সাথে থাকতে পছন্দ করতেন না। সমগ্র জীবন তিনি ঘরের কোনে কাটিয়েছেন। নতুন গঞ্জ শহর থেকে এক মাইল দূরে তাঁর কবর রয়েছে।</div> </div>

মহাকবি নিজামী :: ১০০ মনীষীর জীবনী

মহাকবি নিজামী তাঁর নাম নিজামী। পুরা নাম আল ইলিয়অস ইউসুফ আবুবকর নিজামুদ্দীন নিজামী। হিজরী ৫৩৩ সনে তিনি ইরানের কুমে জন্ম গ্রহণ করেন। ...

আরও পড়ুন »

চে গুয়েভারা : ১০০ মনীষীর জীবনী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgx2PSHga-DhhBCq-94jV1LXNxvTmT0lLmcn8wnvPqnPpwtM4S-3IsuWqJl5Y_uw5p0vpPA9DoUfDCGuBy9hHGbC7cQKUuTwRA0ql8gMBMH373bf3g1RR2EPbe6AGZSEscqvMfCkSi6QTw1/s1600/07.gif" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="চে গুয়েভারা" border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgx2PSHga-DhhBCq-94jV1LXNxvTmT0lLmcn8wnvPqnPpwtM4S-3IsuWqJl5Y_uw5p0vpPA9DoUfDCGuBy9hHGbC7cQKUuTwRA0ql8gMBMH373bf3g1RR2EPbe6AGZSEscqvMfCkSi6QTw1/s320/07.gif" title="১০০ মনীষীর জীবনী" width="320" /></a></div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px;"> </div> <div style="text-align: center;"> <br /></div> <div style="text-align: center;"> চে গুয়েভারা</div> <div style="text-align: center;"> ডাক নাম: চে</div> <div style="text-align: center;"> জন্ম তারিখ: জুন ১৪, ১৯২৮</div> <div style="text-align: center;"> জন্ম স্থান: রোসারিও, আর্জেন্টিনা</div> <div style="text-align: center;"> মৃত্যু তারিখ: অক্টোবর ৯, ১৯৬৭ </div> <div style="text-align: center;"> মৃত্যু কালীন বয়স:৩৯ বছর</div> <div style="text-align: center;"> মৃত্যু স্থান: La Higuera, বলিভিয়া</div> <div style="text-align: center;"> প্রধান সংগঠন: 26th of July Movement</div> <div style="text-align: center;"> এর্নেস্তো গেবারা দে লা সের্না (স্পেনীয় ভাষায় Ernesto Guevara de la Serna) বা চে গুয়েভারা (Che Guevara চে গেবারা) (জুন ১৪, ১৯২৮ - অক্টোবর ৯, ১৯৬৭) বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে খ্যাতিমান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের অন্যতম।তার আসল নাম 'এর্নেস্তো গেভারা দে লা সেরনা'। জন্মসুত্রে তিনি আর্জেন্টিনার নাগরিক। তিনি পেশায় একজন ডাক্তার ছিলেন এবং ফিদেল কাস্ত্রোর দলে প্রথমে দলের চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ।কিন্তু পরবর্তীতে তিনি অনুকরনীয় এক বিপ্লবীতে পরিনত হন।</div> <br /> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> যুবক বয়সে মেডিসিন বিষয়ে পড়ার সময় চে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন।যা তাকে অসহায় মানুষের দুঃখ কষ্ট অনুধাবন করার সুযোগ এনে দেয়। চে বুঝতে পারেন ধনী গরিবের এই ব্যবধান ধ্বংস করে দেবার জন্য বিপ্লব ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তখন থেকেই তিনি মার্কসবাদ নিয়ে পড়ালেখা শুরু করেন এবং সচক্ষে এর বাস্তব প্রয়োগ দেখার জন্য গুয়াতেমালা ভ্রমন করেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> ১৯৫৬ সালে মেক্সিকো থাকার সময় গুয়েভারা ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী সগঠন ২৬শে জুলাই আন্দোলনে যোগদান করেন।১৯৫৯ সালে এই সগঠন কর্তৃক কিউবার ক্ষমতা দখলের পর তিনি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময় তিনি বিভিন্ন নিবন্ধ ও বই রচনা করেন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> কিউবার মুক্তিযুদ্বে গেরিলা রনকৌশল সফল হবার পর চে ভাবেন ওই রননীতি ছড়িয়ে দিতে পারলে কমিউনিষ্ট শাষন প্রতিষ্টা করা যাবে সমগ্র লাতিন আমেরিকায়।এই ভাবনায় তিনি বেছে নেন বলিভিয়া আর আর্জেন্টিনাকে। প্রথমে বলিভিয়া সেখানে সফল হবার পর আর্জেন্টিনা। তার এই পরিকল্পনায় সর্বোত সহযোগিতা দেন তানিয়া কিন্ত শেষ পর্যন্ত সবই বিফলে যায়।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল জেমস লিখছেন তানিয়াকে নিয়োগ দিয়েছেন “ষ্ট্যাসি” নামে পূর্ব জার্মানির গোয়েন্দা সংগঠন এবং কেজিবি নামে সোভিয়েত রাশিয়ার গোয়েন্দা সংগঠন। তাদের উদ্দ্যেশ্য ছিল কাস্ত্রো ও চে’র ওপর নজরদারি করা। জেমসের মতে চে’র সাথে তানিয়ার প্রেম ছিল পুরোপুরি অভিনয়। চে’র মৃত্যুর জন্য সর্বোতভাবে তানিয়া দায়ী।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> তানিয়ার জন্ম আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনেস এয়ারসে ১৯৩৭ সালে ১৯শে নভেম্বর। তার পিতা ছিলেন জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একজন অধ্যাপক, মা ছিলেন পোলিশ ইহুদি। নাৎসি দমন শুরু হলে তারা পালিয়ে চলে যান বুয়েনেস আইরিসে সেখানেই বসবাস করতে থাকেন স্থায়ীভাবে। তবে ১৯৫২ সালে তারা ফিরে আসেন পূর্ব জার্মানি। ১৫ বছরের তানিয়া নিয়মিত পাঠ নেন কম্যুনিজমের ওপর। বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি মার্ক্সবাদের ওপর উচ্চতর ডিগ্রী নেন। শিক্ষার্থী জীবনে তিনি “দ্যা ফ্রি জার্মান ইয়ুথ” নামে একটি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।ওই সময় লাতিন আমেরিকা সফরে যাওয়া রাজনৈতিক নেতাদের দোভাষী হিসাবে কাজ করেন। ২১ বছর বয়সে যোগ দেন MFS এ। শুরু হয় গুপ্তচর জীবন। তানিয়া নাম বদলে হন তামারা। পরে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে যান মস্কো, প্রাগ, ভিয়েনায়।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> ওই সময় তিনি কেজিবির নজরে পড়েন। ওই সময় লাতিন আমেরিকায় কেজিবির গুপ্তচর সংকট ছিল। MFS কেজিবির কাছে তানিয়ার নাম প্রস্তাব করে। তানিয়াও সন্মতি জানায়। ১৯৫৯ সালে কিউবার ন্যাশনাল গর্ভমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট হিসাবে চে আসেন পূর্ব জার্মানি। উদ্দ্যেশ্য কাস্ত্রোর জন্য বৈদেশিক ঋন সংগ্রহ করা। MFS তখন ওই সুযোগে তানিয়াকে নিয়গ করে চে’র দোভাষী হিসাবে। তানিয়া কয়দিনের মধ্যে চের সাথে জড়িয়ে পরেন ব্যক্তিগত সম্পর্কে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> ১৯৬১ সালে মস্কোতে তানিয়াকে কঠোর প্রশিক্ষন দেয় কেজিবি। তারপর তাকে পাঠানো হয় হাভানায়, পূর্ব জার্মানিতে কিউবার ব্যালে নৃত্যশিল্পী দল এসেছিল তাদের সাথে একই বিমানে তানিয়া হাভানা যায় ওখানে চে’র ব্যাক্তিগত সুপারিশে চাকরি পান কিউবান শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে। শুধু তাই নয় কিউবার আধা সামরিক নারী বাহিনী গঠনেও তার ভুমিকা ছিল।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> রনকৌশলের মাধ্যমে বলিভিয়ার অভ্যুন্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলের প্লান করার পর তানিয়াকে বিশেষ দায়িত্ব দেন চে। সে দায়িত্ব অনেকখানি সাংগঠনিক আর অনেক খানি গুপ্তচরের। চে’র স্পাই হিসাবে লা-পাজ পৌছান তানিয়া। এখানে তিনি ভুমিকা নেন আমেরিকান-ইন্ডিয়ান লোক সংগীতের বিশারদ ও সিরামিক শিল্পী হিসাবে। স্থানীয় কম্যুনিষ্ট পার্টির সাথে সংযোগ স্থাপন করেন তানিয়া। বনাঞ্চলে লুকিয়ে থাকা গেরিলাদের সাথে বহিবিশ্বের যোগাযোগে মূখ্য ভুমিকা নেন তানিয়া। লা-পাজ থেকে নিয়মিত খাদ্য, ওষূধ, অস্ত্র নিয়মিত পাঠাতে থাকেন বনাঞ্চলে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> এত দক্ষ স্পাই হবার পরও কিছু ভূল করে বসেন তানিয়া, নজরে পরে যান বলিভিয়ান গুপ্তচর সংস্থার।গোপনে তাকে অনুসরন করে সরকারী গোয়েন্দারা। ২৩ শে মার্চকে বিপ্লব ঘটানোর দিন হিসাবে ঠিক করেন চে। কিন্ত তার দশ দিন আগেই বলিভিয়ার সৈন্যরা আক্রমন চালায় বনে অবস্থানরত গেরিলাদের ওপর। ওই সংঘর্সে প্রান হারায় সাতজন শীর্ষ স্থানীয় গেরিলা। বিপ্লব ভেস্তে যায়। এরপর চার মাস বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান শেষে সৈন্য দের সাথে মুখোমুখি যুদ্বে বাকীরাও প্রান হারায়।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> তানিয়ার শেষ দিনগুলো ছিল খুবই কষ্টকর। বিপ্লব নষ্ট হবার জন্য চে সরাসরি তানিয়াকে দায়ী করেন। শুধু চে না দলের অন্যান্য গেরিলারাও তাকে বিশ্বাসঘাতক ভাবে। এ অবস্থাতেই তাদের সাথে তাকে থাকতে হয়। গেরিলাদের শেষ দলের সাথে মুসিকেরী নদী পার হবার সময় সৈন্যদের সাথে গোলাগুলিতে মারা যান তানিয়া। নদীতে পরে যান মৃত তানিয়া। সেখান থেকে আটদিন পর যখন তার মৃতদেহ উদ্বার করা হয় তখন আর চেনার উপায় ছিল না, পরিচয়পত্র আর পাশপোর্ট দেখে তাকে সনাক্ত করা হয়। এভাবেই জীবনাবসান ঘটে এক অসামান্য রূপসী স্পাইয়ের।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> চে ১৯৬৫ সালে মেক্সিকো ত্যাগ করেন।তার ইচ্ছা ছিল কঙ্গো-কিনশাসা ও বলিভিয়াতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। বলিভিয়াতে থাকার সময় তিনি সি আই এ মদদপুষ্ট বলিভিয়ান বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> মৃত্যুর পর তাঁর শৈল্পিক মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন প্রতিসাংস্কৃতিক প্রতীক এবং এক জনপ্রিয় সংস্কৃতির বিশ্বপ্রতীকে পরিণত হয়। ১৯৬৭ সালের ৯ই অক্টোবর, বলিভিয়ার শহর লা হিগুয়েরাতে বলিভিয়ার সেনাবাহিনী তার মৃত্যদন্ড কার্যকর করে।আমেরিকাই শুধু নয়,গোটা বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মুক্তিকামী মানুষের নেতা মহান বিপ্লবী কমরেড চে গুয়েভারা।কাপুরুষোচিতভাবে তাকে হত্যা করেছিল বলিভীয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তার মৃতদেহ গুম করে ফেলেছিল তৎকালীন বলিভীয় সরকার।মৃত্যুর পর তিনি সমাজতন্ত্র অনুসারীদের জন্য অনুকরনীয় আদর্শে পরিণত হন।কিউবার এই আর্জেন্টাইন বংশোদ্‌ভূত বিপ্লবীর মুখচ্ছবি এখন তাদের নিজেদের নেতা ক্যাস্ত্রোর মতই প্রাণবন্ত।চে' তাই ফিরে ফিরে আসে বিপ্লবে।তবুও জেগে থাকে এই অমর প্রাণ, দেশে দেশে বিপ্লবের প্রতীক হয়ে।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> </div> <div style="text-align: center;"> মৃত্যুর আগে চে বলেন,</div> <div style="text-align: center;"> ''আমি জানি তোমরা আমাকে গুলি করে মারবে। আমি জীবিতাবস্থায় বেরুতে পারবো না। ফিদেলকে বলো এই পরাজয় বিপ্লবের শেষ হয়ে যাওয়া নয়। বিপ্লবের বিজয় হবেই। সালেইদাকে (চের স্ত্রী) বলো ব্যাপারটি ভুলে যেতে, সুখী হতে বলো, বাচ্চাদের লেখাপড়ার ব্যাঘাত না ঘটে, আর সৈন্যদেরকে বলো, যেন আমার দিকে ঠিকভাবে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।''</div> <br /> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; text-align: center;"> আজ লক্ষ প্রাণের আওয়াজ উঠেছে, চে তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়, তোমার মৃত্যু নেই যেমন মৃত্যু নেই বিপ্লবের। তুমি জেগে আছো অমর প্রাণ।</div> <div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;"> </div> <div style="text-align: center;"> চে তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়...</div> <div style="text-align: center;"> -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়</div> <div style="text-align: center;"> চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়</div> <div style="text-align: center;"> আমার ঠোঁট শুকনো হয়ে আসে, বুকের ভেতরটা ফাঁকা</div> <div style="text-align: center;"> আত্মায় অভিশ্রান্ত বৃষ্টিপতনের শব্দশৈশব থেকে বিষণ্ন দীর্ঘশ্বাস</div> <div style="text-align: center;"> চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরধী করে দেয়-</div> <div style="text-align: center;"> বোলিভিয়ার জঙ্গলে নীল প্যান্টালুন পরা</div> <div style="text-align: center;"> তোমার ছিন্নভিন্ন শরীর</div> <div style="text-align: center;"> তোমার খোলা বুকের মধ্যখান দিয়ে</div> <div style="text-align: center;"> নেমে গেছে</div> <div style="text-align: center;"> শুকনো রক্তের রেখা</div> <div style="text-align: center;"> চোখ দুটি চেয়ে আছে</div> <div style="text-align: center;"> সেই দৃষ্টি এক গোলার্ধ</div> <div style="text-align: center;"> থেকে চুটে আসে অন্য গোলার্ধেচে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়।</div> <div style="text-align: center;"> শৈশব থেকে মধ্য যৌবন পর্যন্ত দীর্ঘ দৃষ্টিপাত</div> <div style="text-align: center;"> আমারও কথা ছিল হাতিয়ার নিয়ে তোমার পাশে দাঁড়াবার</div> <div style="text-align: center;"> আমারও কথা ছিল জঙ্গলে কাদায় পাথরের গুহায়</div> <div style="text-align: center;"> লুকিয়ে থেকে</div> <div style="text-align: center;"> সংগ্রামের চরম মুহূর্তটির জন্য প্রস্তুত হওয়ার</div> <div style="text-align: center;"> আমারও কথা ছিল রাইফেলের কুঁদো বুকে চেপে প্রবল হুঙ্কারে</div> <div style="text-align: center;"> ছুটে যাওয়ার</div> <div style="text-align: center;"> আমারও কথা ছিল ছিন্নভিন্ন লাশ ও গরম রক্তের ফোয়ারার মধ্যে</div> <div style="text-align: center;"> বিজয়-সঙ্গীত শোনাবার-কিন্তু আমার অনবরত দেরি হয়ে যাচ্ছে!</div> <div style="text-align: center;"> এতকাল আমি এক, আমি অপমান সয়ে মুখ নিচু করেছি</div> <div style="text-align: center;"> কিন্তু আমি হেরে যাই নি, আমি মেনে নিই নি</div> <div style="text-align: center;"> আমি ট্রেনের জানলার পাশে, নদীর নির্জন রাস্তায়, ফাঁকা</div> <div style="text-align: center;"> মাঠের আলপথে, শ্মশানতলায়</div> <div style="text-align: center;"> আকাশের কাছে, বৃষ্টির কাছে বৃক্ষের কাছে,</div> <div style="text-align: center;"> হঠাৎ-ওঠাঘূর্ণি ধুলোর ঝড়ের কাছে</div> <div style="text-align: center;"> আমার শপথ শুনিয়েছি, আমি প্রস্তুত হচ্ছি, আমি</div> <div style="text-align: center;"> সব কিছুর নিজস্ব প্রতিশোধ নেবো</div> <div style="text-align: center;"> আমি আমার ফিরে আসবো</div> <div style="text-align: center;"> আমার হাতিয়অরহীন হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়েছে, শক্ত হয়েছে চোয়াল,</div> <div style="text-align: center;"> মনে মনে বারবার বলেছি, ফিরে আসবো!</div> <div style="text-align: center;"> চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়-</div> <div style="text-align: center;"> আমি এখনও প্রস্তুত হতে পারি নি, আমার অনবরত</div> <div style="text-align: center;"> দেরি হয়ে যাচ্ছে</div> <div style="text-align: center;"> আমি এখনও সুড়ঙ্গের মধ্যে আধো-আলো ছায়ার দিকে রয়ে গেছি,</div> <div style="text-align: center;"> আমার দেরি হয়ে যাচ্ছেচে,</div> <div style="text-align: center;"> তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়!</div> </div>

চে গুয়েভারা : ১০০ মনীষীর জীবনী

চে গুয়েভারা ডাক নাম: চে জন্ম তারিখ: জুন ১৪, ১৯২৮ জন্ম স্থান: রোসারিও, আর্জেন্টিনা মৃত্যু তারিখ: অক্টোবর ৯, ১৯৬৭  মৃত্যু ক...

আরও পড়ুন »

১০০ মনীষীর জীবনী আব্রাহাম লিঙ্কন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> ১০০ মনীষীর জীবনী</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> আব্রাহাম লিঙ্কন</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> (খ্রিষ্টপূর্ব ১৮০৯-১৮৬৫)</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> আব্রাহাম লিঙ্কন শুধু আমেরিকান নন, পৃথিবীর ইতিহাসের যে কয়জন মানবতাবাদী গণতন্ত্রপ্রেমী মহান রাষ্ট্রনায়ক জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি তাদের অন্যতম।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> লিঙ্কনের জন্ম হয় আমেরিকার কেন্টাকি প্রদেশের একটি ছোট গ্রামে। লিঙ্কনের বাবা টমাস লিঙ্কন ছিলেন ছুতোর মিস্ত্রি। লেখাপড়া কিছুই জানতেন না। অতি কষ্টে দীনদরিদ্রের মতো তিনি সংসার চালাতেন। লিঙ্কনের যখন চার বছর বয়স তার বাবা ইন্ডিয়ানা প্রদেশের অরণ্যময় অঞ্চলে গিয়ে পাকাপাকিভাবে বসবাস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। বাড়ির চারদিকে জন্তু-জানোয়ারের হাত থেকে বাঁচার জন্য বড় বড় খুঁটি পোঁতা থাকত। কাঠের কাজ আর শিকার করেই লিঙ্কনের বাবা সংসার চালাতেন। এই কঠিন প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে বসবাস করতে করতে লিঙ্কন হয়ে ওঠেন পরিশ্রমী সাহসী।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> লিঙ্কনের তখন ছয় বছর বয়স। হঠাৎ তার মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তখন সেখানে কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। এক গ্রাম্য ডাক্তার থাকতেন পঁয়ত্রিশ মাইল দূরে। প্রায় বিনা চিকিৎসাতেই সাত দিন পর মারা গেলেন লিঙ্কনের মা।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> মা মারা যাওয়ার পর একটি বছর অতিক্রান্ত হলো। লিঙ্কনের বাবার পূর্বপরিচিত এক মহিলার কিছুদিন আগে স্বামী মারা গিয়েছিল। সংসারে একজন মহিলার প্রয়োজন বিবেচনা করেই তাকে বিয়ে করে নিয়ে এলেন টমাস।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> সৎ মায়ের আগ্রহে তিনি শিখেছিলেন লিখতে, পড়তে, অঙ্ক করতে। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছেন, আমার স্কুল জীবন সর্বসাকল্যে এক বছরের বেশি নয়।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> ধীরে ধীরে কৈশোর অতিক্রম করে যৌবনে পা দিলেন লিঙ্কন। দীর্ঘ দেহ, উচ্চতায় ছয় ফুট চার ইঞ্চি। লম্বা হাত, বলিষ্ঠ দেহ। দেহ অনুপাতে মাথাটি ছোট, যখন হাঁটতেন শরীরটা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ত।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> উনিশ বছরে পা দিলেন লিঙ্কন। এই সময় নিউ অর্লিয়েন্স বন্দরে কিছু পণ্য নিয়ে যাওয়ার ভার পড়ল তার ওপর। একটি বড় নৌকা বোঝাই পণ্য নিয়ে রওনা হলেন লিঙ্কন। যথাসময়ে এসে পৌঁছালেন নিউ অর্লিয়েন্সে। এখানে এসেই লিঙ্কন প্রথম দেখলেন নিগ্রো শিশু নারী পুরুষদের দাস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। দাসপ্রথার ব্যাপকতা দেখে তিনি এতখানি বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন তার এক সঙ্গীকে বলেছিলেন যদি আমি কোনো দিন সুযোগ পাই এই জঘন্য প্রথার বিরুদ্ধে চরম আঘাত হানব।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> নিউ অর্লিয়েন্সের বন্দরে পণ্য বিক্রয় করে যথেষ্ট লাভ করলেন লিঙ্কন। তার কাজে খুশি হয়ে পণ্যের মালিক তাকে নিউসালেমের গুদামে ম্যানেজার করে দিলেন। এখানে কাজের তেমন চাপ ছিল না। সমস্ত অবসরটুকু তিনি নানা বিষয়ের বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকতেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> প্রকৃতপক্ষে এখানেই তার রাজনৈতিক কাজকর্মের সাথে পরিচয় হয়। একটি প্রাদেশিক নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন কেন্দ্রে কাজকর্ম দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। নিজের অজ্ঞাতসারেই রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়লেন। লিঙ্কনের মধুর ব্যক্তিত্ব, তার জ্ঞান, সহযোগিতামূলক আচরণ, স্পষ্টবাদিতার কারণে অল্পদিনে তিনি নিউসালেমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এই সময় তিনি পরিচিত হলেন স্থানীয় একটি সরাইখানার মালিক জেমস রুটলেজর সাথে। তিনি লিঙ্কনকে স্থানীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> জেমসের সাথে থাকত তার একমাত্র মেয়ে অ্যানি। সুন্দর চেহারা, মধুর ব্যবহার। জীবনে এই প্রথম কোনো নারীর সংস্পর্শে এলেন লিঙ্কন। প্রথম পরিচয়ে মুগ্ধ হলেন। কিন্তু অল্প কয়েক দিনে জানতে পারলেন, অ্যানি ম্যাকলিন নামের এক যুবকের বাগদত্তা। সাময়িক আঘাত পেলেও মনকে শক্ত করে নিলেন লিঙ্কন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> ইলিনয় প্রদেশের প্রাদেশিক নির্বাচন শুরু হয়েছে। কয়েকজনের উৎসাহে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন লিঙ্কন। কিন্তু রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাবে তিনি নির্বাচনে পরাজিত হলেন। হাতে কোনো কাজ নেই, নির্বাচনে সাফল্য পেলেন না। বাধ্য হয়ে নিউসালেমে পিয়নের চাকরি নিলেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> ১৮৩৪ সালে আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন। এবার তিনি জয়লাভ করলেন। নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তাকে যেতে হলো ইলিনয়ে। পরিষদের কাজকর্মের অবসরে অখণ্ড সময়, তেমন কোনো পরিচিত মানুষজন নেই। লিঙ্কন স্থির করলেন তিনি আইন পরীক্ষা দিয়ে ওকালতি করবেন। শহরের লাইব্রেরি থেকে বই এনে পড়াশোনা শুরু করলেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> ১৮৩৬ সালে লিঙ্কন কৃতিত্বের সাথে আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ওকালতি আরম্ভ করলেন। বিচিত্র পোশাক-পরিচ্ছদ থাকা সত্ত্বেও অল্প দিনেই লিঙ্কন আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেন। একটি বড় কারণ ছিল তার সততা, নির্লোভ মন। তিনি কখনো কোনো অন্যায়কে মেনে নিতেন না। যদি তিনি বুঝতে পারতেন মিথ্যা মোকদ্দমায় তাকে নিযুক্ত করা হয়েছে সাথে সাথে ওকালতনামা ফিরিয়ে দিতেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেয়ে রাজনীতির প্রতিই লিঙ্কন ক্রমশ আকৃষ্ট হয়ে পড়লেন। ১৮৩৮-১৮৪০ সালে পরপর দুবার তিনি ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হিসেবে নির্বাচিত হলেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> এই সময় ব্যবস্থাপক সভার আরেক সভ্যের সাথে পরিচয় হলো লিঙ্কনের। তার নাম স্টিফেন ডগলাস। এই ডগলাস পরবর্তী জীবনে ছিলেন লিঙ্কনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সূত্রপাত এক নারীকে কেন্দ্র করে। মেরি টড নামের এক সুন্দরী তরুণী তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> এক রাত্রে ডগলাস আর লিঙ্কন গিয়েছেন নাচের আসরে। সেই আসরে এসেছে মেরি। ডগলাস ছিলেন সুদর্শন। অপর দিকে লিঙ্কন ছিলেন তার সম্পূর্ণ বিপরীত, তার মধ্যে প্রকাশ পেত এক আদিম রুক্ষতা। লিঙ্কনের সেই রুক্ষতার প্রতিই আকৃষ্ট হলেন মেরি।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> কিছুদিন পর মেরিকে বিবাহের প্রস্তাব করলেন লিঙ্কন। কিন্তু মেরি ছিলেন উচ্চাকাঙক্ষী, তাছাড়া সন্দেহ, ঈর্ষাবোধও ছিল প্রবল। কোনো কিছুতেই সহজে মানিয়ে নিতে পারতেন না। বিবাহের ব্যাপারে কিছুতেই লিঙ্কনের সাথে একমত হতে পারছিলেন না।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> এই সময় লিঙ্কন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সুস্থ হয়ে উঠতেই মেরি বিবাহের সম্মতি দিলেন। ১৮৪২ সালের ৪ নভেম্বর তাদের বিবাহ হলো। বিয়ের পর লিঙ্কন স্থির করলেন যৌথ উদ্যোগে আইন ব্যবসা শুরু করবেন। দীর্ঘদিন আইনের ব্যবসা করা সম্ভবপর হলো না লিঙ্কনের। কারণ তার স্ত্রী মেরি স্থানীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হিসেবে লিঙ্কনের কাজকর্মকে মেনে নিতে পারছিলেন না। মেরির ইচ্ছা ছিল লিঙ্কন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করুক।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> রাজনীতির স্রোতে পুরোপুরি নিজেকে ভাসিয়ে দিলেন লিঙ্কন। অল্পদিনের মধ্যেই ইলিনয়ের রাজনৈতিক জগতে নিজেকে অন্যতম প্রধান ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করলেন। অবশেষে ১৮৪৭ সালে ওয়াশিংটন পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হলেন। সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি প্রত্যক্ষ করলেন ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ হোয়াইট হাউসের অদূরেই গড়ে উঠেছে নিগ্রো দাসদের খোঁয়াড়। বিভিন্ন জায়গা থেকে নিগ্রো দাসদের এখানে নিয়ে আসা হতো তারপর দক্ষিণের বাজারে চালান করে দেয়া হতো।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> দীর্ঘদিন ধরেই লিঙ্কন ছিলেন এই প্রথার বিরোধী। তিনি মনে করতেন এই প্রথা যদি অন্যায় না হয় তবে পৃথিবীতে কোনো কিছুই অন্যায় নয়। লিঙ্কন পার্লামেন্টের সভায় কলম্বিয়া প্রদেশে দাসব্যবসা বন্ধ করার জন্য একটি বিল উত্থাপন করলেন। সম্মিলিত বিরোধিতায় সেই বিল অগ্রাহ্য হলো।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> ব্যর্থমনোরথ লিঙ্কন ফিরে এলেন সিপ্রংফিল্ডে। আবার আইনের ব্যবসা শুরু করলেন। তিনি স্থির করেছিলেন আর রাজনীতির আঙিনায় ফিরে যাবেন না। কিন্তু নিগ্রো ক্রীতদাসদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার শোষণ অবিচার দেখে তিনি এতখানি বিচলিত হয়ে পড়লেন দাস ব্যবসায়ের বিরুদ্ধে পুনরায় তীব্র ভাষায় সরব হয়ে উঠলেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> ১৮৫৪ সালে গড়ে উঠল নতুন রিপাবলিকান পার্টি। এই পার্টির অন্যতম প্রধান সংগঠক ছিলেন আব্রাহাম লিঙ্কন। তিনি এই দলের রাজনৈতিক আদর্শের কথা এত সুস্পষ্ট ও যুক্তিপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করলেন, সমস্ত দেশ তার বাগ্মিতায় মুগ্ধ হলো।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> এর অল্পদিনের মধ্যে এক ঐতিহাসিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন লিঙ্কন। দক্ষিণের দেশগুলো দাসপ্রথার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি তুলতে আরম্ভ করেছিল। ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ডগলাস প্রবলভাবে দাসপ্রথার সমর্থন করতে আরম্ভ করলেন। লিঙ্কন তীব্র ভাষায় তার প্রতিবাদ করলেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলো যখন বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য জোরাল দাবি পেশ করছিল লিঙ্কন বলিষ্ঠ কণ্ঠে বললেন একটি রাষ্ট্র কখনো দ্বিধাবিভক্ত হতে পারে না। আমেরিকা অবশ্যই এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এই সময় রিপাবলিকান দলের জাতীয় সম্মেলনে সর্বসম্মতভাবে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য লিঙ্কনের নাম ঘোষণা করা হলো। রিপাবলিকান পদের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলেন লিঙ্কন আর তার বিরুদ্ধে ডেমোক্রেটিক দলের হয়ে প্রার্থী হলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ডগলাস।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> আমেরিকার অধিকাংশ জনগণই সেদিন উপলব্ধি করতে পেরেছিল রাষ্ট্রের এই চরম সংকটের মুখে যিনি যোগ্য হাতে নেতৃত্ব দিতে পারবেন তিনি একমাত্র লিঙ্কন। ডগলাসকে হারিয়ে লিঙ্কন আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন।১৮৬১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লিঙ্কন সিপ্রংফিল্ড ছেড়ে ওয়াশিংটনের দিকে রওনা হলেন। সঙ্গে স্ত্রী মেরি। তার এত দিনের স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এই জয় আমৃত্যু লিঙ্কনের সমস্ত মানসিক শান্তিকে কেড়ে নিয়েছিল।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> মার্চ মাসের চার তারিখে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন। উপস্থিত স্বল্পসংখ্যক মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করলেন দেশ থেকে দাসপ্রথা নির্মূল করতে হবে এবং কোনো কারণেই দেশ বিভক্ত হবে না।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> দাসপ্রথা সমর্থনের ব্যাপারে ইতিপূর্বে উত্তর ও দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মতবিরোধ ছিল। দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলো স্থির করল তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সাউথ ক্যারোলিনার নেতৃত্বে আলাবামা, ফ্লোরিডা, মিসিসিপি, লুসিয়ানা, টেক্সাস ও জর্জিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজেদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ঘোষণা করে এক পৃথক যুক্তরাষ্ট্র স্থাপন করল। এই নবঘোষিত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে জেফারসন ডেভিসের নাম ঘোষণা করা হলো।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> লিঙ্কন চেয়েছিলেন দাসপ্রথা নির্মূল হোক, কিন্তু দেশ বিভক্ত হলে কখনোই তার সেই ইচ্ছা পূর্ণ হবে না। তাই নিজের সীমিত শক্তিকে সম্বল করেই দক্ষিণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। শুরু হলো আমেরিকার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> ১৮৬৩ সালের ১ জানুয়ারি লিঙ্কন চূড়ান্তভাবে ক্রীতদাসদের মুক্তি ঘোষণায় স্বাক্ষর দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনত ক্রীতদাস প্রথার অবসান ঘটল। এই ঘোষণায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আব্রাহাম লিঙ্কন আদেশ দিচ্ছি এবং ঘোষণা করছি যে উল্লিখিত রাষ্ট্রগুলোতে ক্রীতদাসরূপে যারা বন্দি রয়েছে তারা এখন থেকে স্বাধীন মুক্ত।’</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> এই আদেশ জারি করার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যদি কোনো দিন আমার নাম ইতিহাসে স্থান পায় তাহলে আমার এই কাজটির জন্যই পাবে, এতে আমি নিজেকে পরিপূর্ণভাবে সমর্পণ করেছি।’</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> যুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণের সেনাপতি লির অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য উত্তরাঞ্চলের সেনাবাহিনী যুদ্ধের বিভিন্ন পর্যায়ে পরাজিত হতে থাকে। লিঙ্কন দেশের সমস্ত মানুষের কাছে আহ্বান জানালেন যুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সৈন্যদলে নাম লেখাল চল্লিশ বছরের এক প্রাক্তন ক্যাপ্টেন, নাম গ্র্যান্ট। গ্র্যান্ট সৈনিক হিসেবে ছিলেন খুব বীর সাহসী। কিন্তু তার প্রধান দোষ ছিল অত্যধিক পরিমাণে মদ্যপান করতেন আর এই দোষেই তার চাকরি গিয়েছিল।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> শেষ পর্যন্ত গ্র্যান্টের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে পিছু হটতে আরম্ভ করলেন লি। দক্ষিণের একটার পর একটা শহর তার হাতছাড়া হয়ে গেল। শেষে লি আশ্রয় নিলেন রিচমন্ড শহরে। শহরের উপকণ্ঠে তখন গ্র্যান্টের কামান গর্জন করছে। এখন শুধু অপেক্ষা লির আত্মসমর্পণের।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> দেশবাসীর কাছে লিঙ্কন তার ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, ‘কারোর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ না করে সকলের প্রতি উদার মনোভাব নিয়ে…আসুন আমরা সকলে মিলে আরদ্ধ কাজগুলো শেষ করি। জাতির ক্ষত আরোগ্য করা, এই যুদ্ধের গুরুভার যিনি বহন করেছেন তাকে অথবা তার বিধবা পত্নী ও পিতৃহীন সন্তানদের পালন করা, নিজেদের মধ্যে ও সকল জাতির সঙ্গে ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি অর্জন ও পোষণের ব্যবস্থা-এই আমাদের কর্তব্য।’ অবশেষে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর যুদ্ধ শেষ হলো। লি আত্মসমর্পণ করলেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> ওয়াশিংটনে ফিরে এলেন লিঙ্কন। শত শত মানুষের অভিনন্দনের জোয়ারে ভেসে গেলেন তিনি। জনগণের ভিড় কমতেই একে একে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা এসে ভিড় করে সেখানে। এখনো কত কাজ বাকি। রাতের বেলায় থিয়েটারে যাওয়ার কথা। অনেকটা মেরির অনুরোধেই তিনি রাজি হলেন। থিয়েটার হলে পৌঁছাতেই সমস্ত দর্শক তাকে অভিনন্দন জানাল। নিজের আসনে গিয়ে বসলেন লিঙ্কন আর মেরি। দু ঘণ্টা কেটে গেছে, বক্সের দরজার সামনে যে প্রহরী ছিল তার কাছে একজন লোক এসে বলল প্রেসিডেন্টকে একটা সংবাদ দিতে হবে। রক্ষী ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিতেই আততায়ী ভেতরে ঢুকেই লিঙ্কনের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালাল। চেয়ারের ওপর লুটিয়ে পড়লেন লিঙ্কন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> লিঙ্কনকে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হলো থিয়েটার হলের সামনের একটা বাড়িতে। আঘাতের বিরুদ্ধে তার বলিষ্ঠ দেহের প্রাণসত্তার দ্বন্দ্ব চলল নয় ঘণ্টা ধরে। লিঙ্কন অচেতন, সেখানে উপস্থিত মেরি, লিঙ্কনের বড় ছেলে, তার মন্ত্রিপরিষদের সবাই। সকাল সাতটায় অজ্ঞান অবস্থায় লিঙ্কন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> মৃত্যুর সময় লিঙ্কনের বয়স হয়েছিল ছাপ্পান্ন বছর। এই জীবনের মধ্যেই তিনি যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের অখণ্ডতা এবং মানুষের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য সংগ্রাম করেছেন তাই নয়, তিনি তার কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষের মর্যাদার দিগন্তকে প্রসারিত করেছেন। তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন এক সার্বজনীন আদর্শের জন্য-জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের শাসন যা কখনো পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে না।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjxjDBEYTxZbAaopoS8_Bfr3P12Gi1vjQEd1jbwG7qPxsX0_Ye4TqWFGRy8PJW-GsmTGkkRr1lV6VgRm69stCjSekCaQMf2-qhxEA3_v8w1AetLUrLj1ocslvK4uyLbU1Or2qcUNwLbh95j/s1600/IMG20171117104929.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1600" data-original-width="1200" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjxjDBEYTxZbAaopoS8_Bfr3P12Gi1vjQEd1jbwG7qPxsX0_Ye4TqWFGRy8PJW-GsmTGkkRr1lV6VgRm69stCjSekCaQMf2-qhxEA3_v8w1AetLUrLj1ocslvK4uyLbU1Or2qcUNwLbh95j/s320/IMG20171117104929.jpg" width="240" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjBwSmVxtb3w3KO_EArI2dKh2AGZSQ6ezyrqKVdTF98-WhE74YhKfpgZaA_NGYa3jXaOEPyZw9l_SuRXfcqx9MpZlv_qfDmcVIWBQPSZqn81346KNJtlybMZquOZCb4hNen0oEC25TE_M74/s1600/IMG20171117104753.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1600" data-original-width="1200" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjBwSmVxtb3w3KO_EArI2dKh2AGZSQ6ezyrqKVdTF98-WhE74YhKfpgZaA_NGYa3jXaOEPyZw9l_SuRXfcqx9MpZlv_qfDmcVIWBQPSZqn81346KNJtlybMZquOZCb4hNen0oEC25TE_M74/s320/IMG20171117104753.jpg" width="240" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi75RtV8xYC8tqFnVOwesJBI1RftFc_qScb9HEfKkajtYWBHW2JFCM6ejYcfUFdXTBo6bur3WH2nuVXuR291AirGQi4HWCiUGP4WAqgOASsLbXm_EwquVYzFdpmv72ezQGkAAL3c7JAK-9R/s1600/SPhotoEditor-20171117_111421.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1209" data-original-width="1148" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi75RtV8xYC8tqFnVOwesJBI1RftFc_qScb9HEfKkajtYWBHW2JFCM6ejYcfUFdXTBo6bur3WH2nuVXuR291AirGQi4HWCiUGP4WAqgOASsLbXm_EwquVYzFdpmv72ezQGkAAL3c7JAK-9R/s320/SPhotoEditor-20171117_111421.jpg" width="303" /></a></div> <br /></div>

১০০ মনীষীর জীবনী আব্রাহাম লিঙ্কন

১০০ মনীষীর জীবনী আব্রাহাম লিঙ্কন (খ্রিষ্টপূর্ব ১৮০৯-১৮৬৫) আব্রাহাম লিঙ্কন শুধু আমেরিকান নন, পৃথিবীর ইতিহাসের যে কয়জন মানবতাবাদী গণ...

আরও পড়ুন »