সাহিত্য ও সমাজ ভাবনা
--মো. আলানূর হোসাঈন
----------------
শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি এই তিনটি উপাদান মানুষ না চাইলেও তার রক্তের সাথে, মস্তিস্কের সাথে মিশে মানুষকে চালিত করে।তার আত্মার তৃষ্ণা নিবারণ করে। এই তিনটি উপাদান কর্তৃক তৈরি হয় পরিবেশের ভালো মন্দ। পরিবেশ ভালো হলে নাকি মানুষও ভালো হয়। যে পরিবেশ সভ্য, সুন্দর ইসলামী, তার মানূষও সভ্য, সুন্দর ও ইসলামী রুপে গড়ে ওঠে। আর এই ভালো মন্দ পরিবেশ তৈরি করে তার শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃত। যার প্রধান উপাদান আমি মনে করি সাহিত্য। সাহিত্য থেকেই আসে শিক্ষা ও সংস্কৃতি। একজন লেখক একটি বই রচনা করার পর বইটি স্কুলে যাবে শিক্ষার্থীরা পড়ে জ্ঞান অর্জন করবে। হাজারো ভ্রান্ত পথের তরুণ তরুণীরা একটি সুন্দর বই, একটি ইসলামী সাহিত্য হাতে পেয়ে অন্ধকার থেকে আলোয় এসেছে,। আমি সাহিত্যের সঙ্গায় লেখকদের নেব না, আমার দৃষ্টিতে যারাই পাঠকের পাঠ উপযোগী কিছু লিখছে তারাই সাহিত্যিক।একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত যত শাখা-প্রশাখা আছে সব কিছুই সাহিত্যের অধীন। বলা হল তুমি মেডিসিন বিষয়ে বই রচনা করতে চাও? তাহলে মেডিসিন বিষয়ে কিছু সাহিত্য পড়ে নিও। আপনি ইসলামী সংগঠনের কর্মী হতে চান, আপনাকে অবশ্যই কিছু ইসলমী সাহিত্য পড়তে হবে। বর্তমানে আপনরা লক্ষ করবেন স্কুল ,কলেজ সাদ্রাসার পাঠ্য-পুস্তকে ইসলাম বিরোধী রচনা ঢুকিয়ে দিয়েছে। এগুলো কারা করেছে? সাহিত্যিকরাই করেছে। আপনি গভির ভাবে লক্ষ করুন, ইসলাম ও সত্যর পথে মানুষের কল্যাণের মানুষকে আহ্বান জন্য মানুষকে নানা ভাবে দাওয়াত দিতে হয়, বুঝাতে হয় , ইসলামী সাহিত্য, কোরআন-হাদিস পড়াতে হয় , আবার প্রতি বছর সারা দেশেই শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কিন্ত বাম, অনৈসলামিক, নাস্তিক হবার জন্য বা এই জাতীয় দলে আহ্বান করতে আজ পর্যন্ত দেখেছেন কাউকে দাওয়াত দিতে, সাহিত্য পড়াতে, মাহফিল করতে? দেখেননি কারন তারা এই দাওয়াত শিক্ষা, মাহফিল, স্কুল কলেজের পাঠ্যপুষ্তক থেকে , পরিবেশ থেকে পেয়েছে এবং পেতেছে। আর যদি পুরোটাই এর বিপরীত হত, অর্থাৎ শিশু থেকেই, পরিবার থেকে , স্কুল থেকে , পরিবেশ থেকে ইসলামী শিক্ষা পেত , কোরআন –হাদিস, ইসলামী সাহিত্য স্কুলে পড়াতো তাহলে ইসলামের পথে সুন্দরের পথে কল্যাণের পথে কাউকে দাওয়ত দিতে হত না। সব অটোমেটিক ভাবে চলে আসতো। বরং ভ্রান্ত পথে, খারাপ পথে, নৈসলামীক দল করতে মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না দাওয়াত দিতে হতো। আজ স্কুল কলেজে যে সব সাহিত্য পড়ানো হয় তার কোনটাই ইসলামের ধারে কাছেও নেই। যার ফলে ঐ সমস্ত ছাত্ররাই সন্ত্রাসী, নীতিহীন, ধর্ষক , চাঁদাবাজ এবং উচ্চ শিক্ষা নিয়েও দূনীতিবাজ হচ্ছে। আপনারা যখন মানুষকে দাওয়াত দেন, আপনারা কত কষ্ট করে কোরআন –হাদিস, ইসলামী সাহিত্য বাধ্যতামূলক ভাবে পড়িয়ে থাকেন। একেক জনের পিছনে অনেক মূলবান সময় ব্যায় করে থাকেন। ওয়াজ মাহফিল করেন এই কাজটি তো স্কুল কলেজের করার কথা ছিল। তারা যদি এটা করতো , তবে আপনাকে আমাকে এত কষ্ট , সময় -শ্রম যুগের পর যুগ ধরে করতে হতনা। আর কল্যাণমুখী একটি সুন্দর সমাজ গঠন করতেও যুগ-যুগান্তর অপেক্ষা করতে হত না । আমার মূল বিষয় হল সাহিত্য,, আজ আপনি সুন্দর পথের অভিযাত্রি, একজন বড় নেতা, আপনি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন বাংলাদেশে কয়জন সুসাহিত্যক তৈরি করতে পেরেছেন? সাহিত্য থেকেই আসে সাংস্কৃতি। আজ টিভি চ্যানেল, রেডিও খুললেই দেখতে পাই অশ্লীল গান, নাটক, নৃত্য আরো কত কি! এসব কার রচনা? সাহিত্যিকরাই রচনা করে, সাংস্কৃতিক কর্মীরা সেগুলো উপস্থাপন করে। আজ যদি আপনি একটি কল্যাণমুখী সুন্দর সমাজ চান, তাহলে আপনাকে আন্দোলন ,সংগ্রাম, মিটিং, মিছিল সভা-সমাবেশ, দাওয়াত দিলেই হবেনা, আপনাকে ইসলামী তথা সুসাহিত্য-সংস্কৃতির বিপ্লব ঘটাতে হবে , বাকিগুলো অটোমেটিক চলে আসবে। আমাদেরকে যুগের পর যুগ অপেক্ষা করতে হবেনা। আসুন আমরা সাহিত্যের ময়দানে বিপ্লব ঘটাই।পারস্পারিক হিংসা বিদ্বেষ ভুলেগিয়ে ভালোবাসার সেতু বন্ধন করে সাহিত্যের ময়দানে নিজেদেরকে দক্ষরুপে গড়ে তুলি। নিজেকে সর্বদা শিক্ষর্থী ভেবে উপস্থাপন করে আমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করি ।অপরকে মূল্যায়ন করি, অপরের মতমতকে শ্রদ্ধা করি, নিজের সার্থ ভুলে মানুষের স্বার্থে কাজ করি। প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করে তাদের প্রতিভা বিকশে নিজেদেরকে প্রস্তুত করি। আমরা একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম গড়েতুলি, যার মাধ্যমে আমরা একে অপরকে চিনতে পারব, জানতে পারব, নানা ভাবে সহযোগিতা করতে পারব। সর্বপরি মহান আল্লাহর কাছে সাহয্য চাই। -----------------------
মোঃ আলানূর হোসাঈন
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,