বন্ধুত্বের পরশ


বন্ধু মানে
তুই আর আমি মিলে এক পবিত্র পৃথিবী।
বন্ধু মানে
তুই আর আমি মিলে সমস্ত অন্যায় দেবো কোরবানি।
বন্ধু মানে এটা নয়!
বয়ফ্রেন্ড, গাল্ফ্রেন্ড রাখতে উৎসাহ জোগাবি।
বন্ধু মানে
'মানুষ' হওয়ার পেছনে তোর অবদান খুব জরুরি।
বন্ধু মানে
যা ইচ্ছে তাই করবো এমন নয়!
বন্ধু মানে
ভুল আর অশুদ্ধতা মুছে দিয়ে,
সরল পথে চলতে হাত বাড়াবি।
বন্ধু মানে
অশ্লীল আড্ডার আসর নয়,
বন্ধু মানে
তুই আর আমি মিলে শিখবো কি করে হতে অতীব বিনয়ী।
বন্ধু মানে
কিছু দায়িত্ব নিয়ে সর্বদা তোর পাশে দাঁড়ানো,
থাকে থাকুক তাতে সুখ দুঃখ জড়ানো।
বন্ধু মানে
তোর আমার দেখা সবুজ স্বপ্ন,
যাতে থাকবে দেশের কল্যান নিহিত।
বন্ধু মানে
চোখ রাঙিয়ে বকাঝকা,
আবার তোর কাছে মনের কথা বলা।
বন্ধু মানে
নয় কাটাকাটি, হিংসা আর অহম,
বন্ধু মানে
তুই আর আমি মিলে হবো' উত্তম'
বন্ধু মানে
তোর সাথে আঁড়ি,
আবার ভীষণ রকমের ভালোবাসা বাসি।
বন্ধু মানে
তুই আর আমি মিলে খুঁজবো প্রভুর সন্তুষ্টি।
-------------------------------------------------------------

বৈশাখী নৃত্যে


বৈশাখী নৃত্যে ডুবে যেওনা,
জীবনে কাল বৈশাখী আসতে কতক্ষণ!
এসব না পালন করলে কি ঘটবে মরণ?
শোভাযাত্রায় আদৌ কি শুভ কিছু থাকে?
নাকি অশুভ ছায়ার জাদুতে মেতে ছুটে চলো নগ্নতার দিকে!
শ্লীলতার হানী ঘটিয়ে,
কখনো কি কবরে পাঠানো যায় অশ্লীলতাকে?
কেন নিয়ম ভঙ্গের মধ্যেই
খুঁজে নিতে হবে সমস্ত আনন্দ, উৎকর্ষতাকে।
এতে হয় কতশত সময়ের ক্ষেপণ,
একটু কাজে লাগালেই হতে পারে সমাজের জাগরণ।
আসলে তোমার আমার চোখে বোবা ভূত চোখ রেখেছে,
তাই সম্মোহিত হয়ে আমরা নেচে চলি তালে তালে।
অন্যায় হচ্ছে হোক আমার কি তাতে?
আপাতত আমি আছি নিরাপদে।
এটা ভেবেই আবার বোবা ভূতের সাথে চলি ছন্দে ছন্দে।
রুখে দেয়ার ক্ষমতা কর্পূরের মত কবেই গেছে উবে!
আমাদেরই পাপে পৃথিবীরর দম বন্ধ হয়ে আসে,
তা জাননা দেয় কম্পনে কম্পনে।
বোবা ভূতের সাথে চুম্বন কবে শেষ হবে?
কবে গলা ফাটিয়ে বলতে পারবো
কোন ভূতের আবাস হবেনা আমার দেশে।
রাত্রি শেষে থাকবেনা কোন কালো চিহ্নু,
মিলেমিশে থাকবো আমরা ভাই, ভাই, বন্ধু।
প্রতিজ্ঞ হবার সময় এখন,
সু-চিন্তিত মনে ভেবে
আসো পালনে মত্ত হই প্রভুর নিয়ম।
----------------------------------------------------

ঘাতক আত্মা

নিরন্তর হেটে বেড়াই
আমার ঘাতক আত্মার মরণ কামনা করে।
হেটে চলি দিক বেদিক,
এক টুকরো শুদ্ধ খোয়ায় পা কাটতে;
যেন আমার সমস্ত অপবিত্র রক্ত ঝরে যায়।
আর,আমার শরীর নিস্তেজ হয়ে যেন পড়ে থাকে,
যদি কখনো উঠি সেটা যেন হয় আমার পবিত্র উত্থান।
এই অপবিত্র রক্তের দম্ভতায়,
কত পাপের ঘরে বসত করেছি!
নেশায় নেশায় অন্ধকারকে আলো ভেবে
মৃত্যুর চোখে চোখ রেখেছি।
অহমে রক্ত টগবগ করতো।
কত রকমের নেশা?
কোন নেশা আমায় ঝাপটে ধরেনি!
সব নেশার ঘরে আমি সিঁধ কেটেছি।
মাদক নেশা, পুঁজে ভরা প্রেমের নেশা
আরও কত কুচকুচে কালো নেশার ঘরে ঘুম গিয়েছি!
আসলে নফসের গোলামির রশি গলায় দিয়েছি।
তাই অনবরত নেশার প্রলাপ বকি।
এখন মাঝে মাঝে মাথায় খুনের রোখ চাপে,
কৌতুহলী মনে ভাবি
খুনে বোধহয় বেশ পৈশ্চাশিক আনন্দ পাওয়া যায়!
পারিপার্শ্বিক ঘটনা আমাতে এতে সাহস এনে দেয়,
কতই তো ঘটছে খুন, বিচার কই?
এই নেশার স্বাদ একবার নাহয় নেই!
আমার অপবিত্র রক্ত এতে স্বাগতম জানায়।
কিন্তু হঠাৎ -ই!
আমার বিবেকবান মন
পথরোধ করে দাঁড়ায়।
আমি সম্বিত ফিরে ফিরে ভাবি,
আর হেটে চলি নিরন্তর;
আমার ঘাতক আত্মার মরণ কামনা করে।
মনে মনে প্রতিজ্ঞ হই,
সবকিছু মুছে আর ফিরবোনা পাপের ঘরে।
নিস্তেজ হয়ে পড়ে রবো প্রায়শ্চিত্তের বাহুডোরে।
খোদা চাইলে
ফিরবো শুদ্ধ হয়ে,
নাহয় আমার ঘাতক আত্মা বিদায় নিবে অপমান নিয়ে।

অস্তিত্ব সংকট

সত্যের প্রদীপ জ্বলুক
স্বমহিমায়...
জ্বালিয়ে দিক আমার পাপী অন্তরাত্মাকে,
আবার আমি যেন, 'আমি' হয়ে উঠি।
আমার ভয়ংকর রাক্ষুসে নফস ধংস হোক
মিথ্যে মানুষের খোলস অগ্নিস্ফুলোকে ভষ্ম হোক,
অন্তরের আনাচে কানাচে নিরব পাপগুলো পঙ্গুত্ব বরণ করুক;
যেন আর ঘাড়ত্যাড়া হয়ে দাঁড়াতে না পারে।
আর আমি আমার অস্তিত্বের পাথর কুড়াই..
আবার পাথরে হোঁচটও খাই!
আসলে স্বচ্ছ অস্তিত্ব দেখে, নকল অস্তিত্বের কংকাল পথ রোধ করে দাঁড়ায়।
আমি আবার অস্তিত্ব সংকটে ভুগি!
চিন্তার জাল ভেদ করে আবার চিন্তা করি...
আমি মানুষ!
নাকি মানুষায়িত খোলসে আবৃত এক অভিশাপ?
তবে কেন?
আমাতেই ঘৃণ্য পাপ জন্ম নেয়,
আমিই কেন হই প্রলয় খেলার পুতুল?
আমার আলাদা একটা পরিচয় আছে!
আলাদা জগত..
যেখানে শান্তি খননের দায়িত্ব কেবল আমারই!
কিন্তু হায়!
আমার জগত চিহ্নিত করতে পারিনি,
অস্তিত্বের ঠিকানা ডায়েরি হতে মুছে গেছে।
তাই অস্তিত্ব পেতে ভুল পথে পা বাড়াই..
আলো ভেবে মরিচিকায় অনবরত সাঁতরাই।
তবুও না পাই
আমার অস্তিত্বের এক শিশির বিন্দু।
----------------


পথ

_________________

পথের সন্ধ্যানে..
পথ ঘুরে ঘুরে
ক্লান্ত অবসন্ন মনে চোখ মেলে দেখি,
ঠায় সেখানেই দাড়িয়ে আছি!
যেখানের বাতাসে শুনি শুধু অন্যায়ের ফিসফিসানি।
আর চারদিকে লোলুপ দৃষ্টি
যেন খুবলে খাওয়ার লোভে
সবাই শুধু আমাকেই দেখে।
চরম বিকৃতির খোলস পড়ে
প্রত্যেকেই সেজে আছে যেন মানবতার গিরগিটি।
পথের সন্ধ্যান না মেলে!
যদিওবা মেলে, না দাড়াতে পারি পোক্তভাবে?
বুকটা দরফর করে..
মুক্তির ঝান্ডাধারী সবাই কি হতে পারে?
অন্যায়ের অজস্র বাদামি ধুলো
কিভাবে ঝাট দিবো এত কমজোর ঈমান নিয়ে?
সম্মিলিতভাবেই আমাদের ঈমানে কালো দাগ পড়েছে।
তাইতো অন্যায়ের গাছ ফুলে ফুলে ভরেছে।
আর কত অন্ধকারের পুকুর তৈরি হলে
আমাদের ঈমান জেগে উঠবে?
তাই অজানা আশংকা বুকে নিয়ে..
অশান্ত চিত্তে প্রশান্ত হবার লোভে
বারবারই ধরণা দেই রহমানের দরবারে।
আর করুন ভিক্ষা জানাই
আমরা সবাই যেন দাড়াতে পারি
শুদ্ধতম পথের কিনারে।
----------------------------------------------------------
----------------------------------------------------------
 
Top