যৌতুকের অভিশাপ
আহা আহা বেশ সুন্দর,পছন্দ হয়েছে ঢের
এই মেয়েকেই তুলে নিবো ঘরে
হবে না কথার হেরফের
মা মণি আমার বধূ নয়,তনয়া হয়ে
খুশীতে যাবে,নাচবে খেলবে
সময় যাবে যে বয়ে।
লক্ষ্মী যাবে,চলেন এবার লক্ষ করি ঠিক
বুঝেনই তো ছেলে পেয়েছেন
কোটি দামেরও অধিক।
বলছেন কি যৌতুক নাকি,এ কেমন কথা
বড় আদরের মেয়ে আমার
দিয়েন না গো ব্যাথা।
না না বেয়াই,যৌতুক কেন,সাজিয়ে দেবার বুলি
বেশী কিছু কি চাইবো বলেন
সে তো মোর বাগানের কলি।
দিন ক্ষণ তবে ঠিক হইলো,বিয়ে হইলো শেষ
বর কনের ভালোবাসা
দিনে দিনে কমলো বেশ।
হারামজাদি,টাকা কই?ফকির ছেমরি
বাপ ভাই রে দে খবর
চাই টাকার হুমড়ি।
মাফ করে দাও আর মেরো না,বাবা অসহায়
গর্ভে আমার তোমার বাবু
তুমিই তো আমার সহায়।
যৌতুক নিয়ে কৌতুক তখন করেছিলে বুঝিনি
মানুষ আমি মরি মরি
বাঁচবো কয়দিন কি জানি !
অলক্ষ্মী কোথাকার,পোড়া কপালী,ছিঃ ছিঃ ছিঃ
ছেলের জীবন এমনভাবে
শেষ তো করে দিলি।
টাকা পয়সা না যদি আনিস,ঘর টা দে ছেড়ে
পেট বাধাইছোস হারামজাদি
খাওয়াইবো কে রে !
মাইরের উপর মাইর চলে,বাদ পড়ে না কিছু
আঘাতে আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ
যন্ত্রণা ছাড়ে না পিছু।
আহারে বাপ,মেয়ে কি তবে জন্ম দেয়াই ভুল
কত আদরের সোনার মানিক
যৌতুকে কাড়িলো কূল।
যৌতুকের গ্রাস,বড় ভয়ানক,অশ্রু নদের বান
সোনার পাখি সোনা হারায়ে
বাঁচতে করে আনচান।