বেঁচে থাক কবিতা
_______________
কবিতা আমার কবিতা তোমার কবিতা সবার জন্য
কবিতার মাঝে কাটুক সময় তবেই জীবন ধন্য।
আঘাতের পর আঘাত আসুক থাকি না যতই কষ্টে
এনে দেয় আজ নির্মল হাসি কবিতা আমার ওষ্ঠ্যে।
কালের দেয়ালে অঙ্কন করি আজ কবিতার ছন্দ
চিরতরে মুছে যাক ধরণীর সব পাপাচার- মন্দ।
কবিতা সে আজ আঁধারের মাঝে অগ্নিদীপ্ত অর্ক
নস্যাৎ করে ধরণীর পরে যতো বিদ্বেষ-তর্ক।
কবিতা শেখায় জুলুমের মাঝে পেতে দিতে এই বক্ষ
জালিমশাহীর সাথে নেই কোনদিন কবিতার সখ্য।
লক্ষ বছর মাথা উঁচু করে থাক কবিতার কুঞ্জ
রাত জেগে তাই শব্দকে গেঁথে জমাই কাব্য পুঞ্জ।
-------------------------------------------
কবিরাই কাণ্ডারী
.
কবিরা তো কবিতায় সুখ খুঁজে পায়
কবিতার ডানা মেলে ওড়ে নীলিমায়।
আনমনে ভেবে যায়, থাকে সদা চুপ
কালি দিয়ে আঁকে এই সমাজের রূপ।
শব্দের গাঁথুনিতে গড়ে তোলে ঘর
চারপাশে আঁকে বসে ধূ ধু বালুচর।
কবিরা তো বাড়িগাড়ি চায় নাতো কিছু
ছোটে নাতো কোনদিন স্বার্থের পিছু।
অন্যায়, অবিচারে এগিয়ে যে যায়
জালিমের সব বাধা পিষে ফেলে পায়।
নীতিহীন শাসকের ভেঙে দেয় কাঁধ
ভেঙে দেয় সমাজেতে শোষণের বাঁধ।
রাজপথে লড়ে যায় কাঁপে নাকো বুক
যুগে যুগে কবিরাই এনে দেয় সুখ।
নেই ভয়, নেই ডর জেল-হাজতের
কবিরাই কাণ্ডারি এই সমাজের।
-------------------------------------------
মন চায়
.
মন চায় দিনরাত কবিতাই লিখি
প্রকৃতির মাঝে ডুবে ভাষাজ্ঞান শিখি
সবুজের রঙরূপে মন খুলে হাসি
ভাবনার ভেলা চড়ে নিলীমায় ভাসি।
বাংলার মেঠোপথ, নদীনালা আঁকি
এদেশের সুবাতাস দেহমনে মাখি।
মন চায় এঁকে যাই ভালোবাসা, প্রীতি
আনমনে ভেবে যাই অতীতের স্মৃতি।
উড়ে যাই ডানা মেলে কষ্টের দেশে
সব দুখ বেচে দিয়ে ফিরি অবশেষে
শরতের কাশবনে চুপিচুপি ঘুরি
কিশোরীর লালখোঁপা করি ফের চুরি।
মন চায় নিরিবিলি জোছনার রাতে
হাত ধরে খেলা করি কবিতার সাথে।
সারারাত কেটে যাক লুকোচুরি করে
হৃদয়ের ব্যথাগুলো যাক ঝরে ঝরে।
কবিতার ঠোঁটে,গালে চুম্বন এঁকে
ঘুম যাই তার কোলে মাথাটাকে রেখে।
-----------------------------------------
কবিতা আমার প্রাণ
.
রাতজুড়ে ডুবে থাকি কবিতার ছন্দে
নেচে উঠি আজ তার সুরভিত গন্ধে।
হাতজোড়া ছুঁয়ে দিই কবিতার অঙ্গে
রঙ্গিত হই নিজে ছন্দের রঙ্গে।
সপে দিই তনুমন রস আর গল্পে
আল্পনা এঁকে যাই শিহরিত কল্পে।
আনমনে ঘুরে আসি কবিতার কুঞ্জে
গেয়ে যাই চুপিচুপি মনে গুণগুণ যে।
কবিতাকে খুঁজে পাই লাল, নীল বর্ণে
সুখ দেয় ছন্দরা হৃদে আর কর্ণে।
চেয়ে থাকি তার প্রতি অপলক নেত্রে
কবিতাকে ছেড়ে যাই বলো কোন্ ক্ষেত্রে।
দিনরাত কেটে যায় নেই কোন কষ্টে
কবিতারা লেগে থাকে লাল দুই ওষ্ঠ্যে।
মন মাঝে ঢেউ খেলে নেচে উঠি হর্ষে
দিনদিন বেড়ে উঠি কবিতার পর্-শে।
---------------------------------------------
কিশোরী
.
আজো সেই কিশোরীর কথা পড়ে মনে
আজো তাকে ভেবে যাই প্রতি ক্ষণেক্ষণে।
যাকে দেখে দুই চোখে খুঁজে পেতো সুখ
যার সাথে ভালোবাসা ছিলো এক বুক।
যাকে ভেবে আনমনে গাইতাম গান
যার সাথে করা হতো শতো অভিমান।
সে যে মোর প্রিয়তমা "জান্নাত" নাম
যার কথা এ কলম লেখে অবিরাম।
সে তো আজ নেই
হারিয়েছি খেই।
আমাকে সে ছেড়ে গেছে অন্যের ঘরে
তবু সেই কিশোরীর কথা মনে পড়ে।
.
আজো আমি ভাবি তাকে সন্ধ্যা ও সাঁঝে
আজো তার কাছে পাই স্বপ্নের মাঝে।
আশা নিয়ে চেয়ে থাকি তার পথপানে
গাল বেয়ে জল আসে হৃদয়ের টানে।
প্রিয় সেই মুখখানা বারবার ভাসে
উঁকি দিয়ে চলে যায় রয় না তো পাশে।
ভেবে ভেবে ক্ষয় হই ঘুম নেই চোখে
কবে জানি, ঝরে যাই! কিশোরীর শোকে।
ও কিশোরী আয়
এই আঙিনায়
সব বাধা পায়ে দলে আয় কুঁড়েঘরে
এসে দ্যাখ, আজো আমি কাঁদি কার তরে!