সাহিত্য আসর বিজয়ী
প্রিয়সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুগণ, 
আসসালামু আলাইকুম অরাহমাতুল্লাহ। আশারাখি সবাই ভালো আছেন। হাজির হলাম বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ[BPSP] কর্তৃক আয়োজিত প্রতিভাবিকাশ সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর—১০২ এর ফলাফল নিয়ে। এইপর্বের বিষয়ছিলঃ পদ্য-কবিতা। বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতা হলেও অনেকেই বিষয়ের বাহিরেও পোস্ট দিয়েছেন। কেউ কেউ ছড়া পোস্ট করেছেন। ছড়ার আসর হলে সেগুলো সেরা হিসেবে ঘোষণা উপযুক্তও ছিল। কিন্তু যেহেতু বিষয়ভিত্তিক সাহিত্য আসর সেহেতু যারা পদ্য-কবিতার বাহিরে পোস্ট করেছেন তাদের লেখা প্রতিযোগিতায় বিবেচিত হবে না। এইআসরের অধিকাংশ কবিতায় মানহীন ছিল। যে কারণে বেশি কবিতা বাছাই করতে পারি নি। মাত্র একটি কবিতা বাছাই করেছি। যদিও সেই কবিতাও শতভাগ ত্রুটি মুক্ত নয়। তবুও একদম নিয়মরক্ষাও নয় আবার মানহীনও নয় এমন কবিতাই আমরা সেরা হিসেবে ঘোষণা করছি। আশারাখি সামনের পর্বগুলো থেকে আপনারা আরো সতর্ক হবেন। 
অনেকেই গ্রুপে দিনে কয়েকটি করে পোস্ট দেন। সেইসব সন্মানিত লেখকবৃন্দকে বলল, সংখ্যায় হিসেব করে মানহীন লেখা না লিখে যদি ভালমানের দিনে একটি লেখাও লিখতে পারেন তাহলেই সফলতা। তাই আমরা চেষ্টা করব দিনে একটির বেশি পোস্ট যেন কেউ না দেই। (পপুলারদের ক্ষেত্রে ছাড় আছে।) 
বিজয়ী কবিকে পরিষদের পক্ষথেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। 

নদীর পাড়ে

জুয়েল ফকির
নদীর পাড়ে ওড়ে দেখো মা'র আচল 
নদীর পানি আচরে পড়ে ছলাৎছল।
নায়ের মাঝি বৈঠা মারে হৈয়া বলে
একসুরে গায় ভাটিয়ালি না’য়ে চলে।
বয়ে চলে আঁকাবাঁকা শান্তনদী
যায় দিয়ে যায় প্রেমের পরশ নিরবধি।
নদীর পাড়ে কাশফুলেরা দাড়িয়ে থাকে
আকাশের ঐ নীল মাখিয়ে ছবি আঁকে।
হঠাৎ হঠাৎ রঙ্ধনু যায় ঝলক দিয়ে
সাতটি রঙে আকাশটাকে দেয় সাজিয়ে।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে হেলেদুলে ছন্দ তোলে
আপনমনে করছে খেলা নদীর জলে।
মাছরাঙাটা বসে আছে গাছের ডালে
ঠোকর মেরে নদীর মাছটি নিবে গালে।
কেন জানি মায়ের জন্য এতো মায়া! 
বটের তলে নদীর কোলে শীতল ছাঁয়া।
সন্ধ্যা হলে চাঁদের আলো যেই না আসে
জোনাকপোকা মিটিমিটি তখন হাঁসে। 
পড়লে আলো শান্ত নিভির নদীর জলে
তারার সাথে নদী যেন কথা বলে।

 
Top