পাখির মতো উড়তে শিখি,
নদীর মতো ছুটতে।
চাঁদের মতো হাসতে শিখি,
ফুলের মতো ফুটতে।
.
আকাশসমান বিশালতা,
মাটির মতো ধৈর্য্য,
আলীর মতো বীর হতে চাই,
নবীর মতো শৈর্য্য।
.
জ্ঞানের খোঁজে নিত্য হবো
জ্ঞানীর মতো হন্য,
সবার পাশে থাকবো সদা
মানুষ হবার জন্য।
.
(উম্মে হাবিবা)
০১/০৮/২০১৬ ইং
----------------------------------------
শান্তি দাও
.
আমাকে প্রশান্তি দাও নিখিল বিশ্ব
শান্তবক্ষে দাও ঠাঁই।
ছায়া-সুশীতল গহীন অরণ্য থেকে
নাতিশীতোষ্ণ এবং প্রজ্জ্বলিত মরুর দেশ
সবখানে,সর্বাবস্থায়,
আমাকে প্রশান্তি দাও সর্বাঙিনায়।
হয়রানির দিবস পেরুলে নাকি শান্তি নামে,
মিথ্যার সাজানো বাগান মাড়ালেই নাকি সত্য।
শুনেছি কাঁটার আঘাত শেষেই ফুটন্ত গোলাপ মেলে,
আর কাঁদায় মাখামাখি হলেই মৎস।
সময়ের কাছে পা ফসকে পড়া এই আমি তাই
হস্তরেখার তোয়াক্কা না করে
সময়ের চোখে চোখ রেখে গুনি অপেক্ষার প্রহর।
অশান্তি নয়,প্রশান্তি খুঁজি কাঙ্ক্ষিত মোহনায়।
আমাকে প্রশান্তি দাও সর্বাঙিনায়।
.
(18/07/2016)
---------------------------------------
বৃক্ষের পত্র
.
তুলে কম্পন বায়ু শনশন পত্র পাঠালো শেষে,
আমায় সে নাকি নিয়ে যাবে ওই বৃক্ষরাজির দেশে।
ঝরাপাতা দেবে ফোটাফুল দেবে আরো দেবে পাকাফল,
মধুপিয়াসীরা ডাল থেকে ডালে উড়ে চলে চন্ঞ্চল।
শুনেছি বৃক্ষ দিতে পারে ছায়া দে' আরো অম্লজান,
হতাশার মাঝে সন্ঞ্চারে আশা ধনের মাঝেতে প্রাণ।
শেখায় ভোগেতে সুখ নেই আর ত্যাগেই প্রকৃত সুখ,
সম্পদভারে নত হতে হয়,ফোলাতে হয়না বুক।
.
বৃক্ষের ছায়ে এসে পায়ে পায়ে নিচ্ছি শিক্ষা তাই,
পত্রের পরে পত্র আসুক তাতে সব ভরসাই।
(25/07/2016)
-----------------------------------------
'ঈদ'
.
ফিতরের আসে ঈদ আনন্দ-উল্কায়।
সময়ের গতি ঢের!
আহ্লাদ পেতে ফের
ছুটছে!
তিরিশের ঘর ছেড়ে নবীন এক সমীরণ লুটছে।
তাই দেখে ইবলীস সারাদেহ চুলকায়!
নেই যেন কূল তায়!
ক্ষতি নির্ভুল হায়
লুটছে!
আনন্দ এইখানে বিভেদেরই পর্বত টুটছে।
---------------------------------
বর্ষাবিরাগ
.
জমাটবাঁধা
উষ্ণতারা
লাভার মতো
ছুটছে যে!
.
কপাট মেরে
বৃষ্টিবালা
পাখনাখানি
গুটছে যে!
.
দস্যিবায়ু
শনশনিয়ে
দিচ্ছে পাড়ি
তেপান্তর,
.
মেঘকনেরা
রৌদ্রতাপে
তুলোয় হলো
রূপান্তর!
.
পাড়াগাঁয়ের
কৃষক-মাঝি
রৌদ্রতাপে
ভাজছে যে!
.
বর্ষাঋতু!
তোর বিরাগে
সূয্যিমামা
সাজছে যে!
.
(২৯/০৬/২০১৬ ইং)
---------------------------------------------------------
মোক্ষম সময়
.
মহাকাল!সেতো প্রবাহমান,চলন্ত,অস্থির,
হাড্ডি-পেশীর শক্তি হারিয়ে জোর গেছে গ্রন্থির।
.
দিবসের আলো মৃদু-ম্রিয়মাণ রাত্রি তো গম্ভীর!
কে আছে জোয়ান ধুলোয় মেশাবে আকাঙ্খা দম্ভীর?
.
ইস্রাফিলের বাঁশি কবে জানি দিয়ে দেয় ফুঁৎকার,
এখনো কি সখা পৃথিবীর পরে করবে বলাৎকার?
.
হায়!হায়!এই ঘর ভেঙ্গে যায় নিশ্চল সংসার,
কেঁপে ওঠে হিয়া ঘিরে ধরে বুঝি জ্বলন্ত অংগার!
.
রিক্ত হস্ত,সিক্ত নয়ন,তৃষিত আত্মানীড়,
কোন সে আমলে মিযান পেরুবো এখনো হয়নি স্থির।
.
মহাকাল তবু থামেনা কখনো কিঞ্চিত সুস্থির,
জানিনা কি করে মুক্তি মিলবে এমন অধম পাপীর।
.
(হাবিবা রাহনুমা/
১৪-০৯-২০১৫ ইং)
------------------------------------------
নিন্দাবাদ
.
পরের পিঠে ভাঙতে কাঁঠাল কে বলেছে?
নিন্দাবাদের নিষেধপত্র কে দলেছে?
রোজ যাহা পাও
ফুর্তি ছড়াও!
খাও বা না খাও
নিন্দা বাড়াও!
একের ত্রুটি পরকে বলার কি আয়োজন!
বলতো শুনি;এত্তো কিছুর কি প্রয়োজন?
.
থাকনা পড়ে,কে নাকি কার কান মলেছে,
কার কথাতে কার না জানি মন গলেছে।
কুৎসা ছড়াও!
এ ঘর,পাড়াও,
এর পিঁছে ওর
হিংসা বাড়াও!
থামাও ওরে নিন্দাবাদের মিছেবাঁধন,
কুৎসা ছাড়া আলাপ করার এ নিবেদন।
(১৯/০৬/২০১৬ ইং)
-----------------------------------------
বৃষ্টিস্নাত শ্যামল পল্লি যেন সহস্রকাল শাওন-জলের সাথে করে আছে সন্ধি!
জলে ডুবে ডুবে ফসলের মাঠ হয়ে আছে নদী
আর
নদী হয়েছে সাগর!
গলা অবধি ডুবে থাকা কচি ধানগাছগুলো
মৃদু সমীরে লাজে লুটোপুটি খেয়ে
যেন স্নানের পালা সেরে উঠতে চায়!
.
কচি-কচি ব্যাঙের কণ্ঠে ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙ রব
সুরের লহর তুলে এই পল্লিতে।
কোথাও পেঁচার ভুতুড়ে ডাকে ভয় পেয়ে
'বৌ কথা কও' বলে ডেকে ওঠে পল্লিবধুর সখী।
বকুলের ডাল থেকে উড়ে যায় কাকাতোয়া।
.
কোথাও জল-গড়ানোর সাথে সাথে চুনোপুটি
দল বেঁধে ছুটে নয়া পানির সন্ধানে।
তারপর সাঁতরে এসে পুটলি বাঁধে লণ্ঠনবাহী জনৈক।
.
কি রহস্যময় আমার শ্যামল পল্লি!
.
(বৃষ্টিস্নাত শ্যামল পল্লি----
---Habiba)
10/06/2016.
-----------------------------------
তুমি এলেওনা
চলে গেলেওনা
তাই দুখ নেই মনে,
শুধু অযথাই
বাড়াবাড়ি ছাই!
কে করেছে কোন রণে!
.
জাগে অণুরণ
মনে সারাক্ষণ
এই আসে এই যায়!
ভ্রম গুলো ভুলে
ফুলটুকু তুলে
এসোনা আমার গাঁয়।
.
কাছাকাছি যতো
মুছে দিবো ক্ষত
সুখের আকাশে উড়ে!
তুমি চলে এসো
আরো কাছে ঘেঁষো
আর নয় নয় দূরে।
.
('কাছে এসো'----
------হাবিবা)
০৮/০৬/২০১৬ ইং
-------------------------------
মা
""""""
জগৎ শ্রেষ্ঠ তুমি মাতা,
মহান করেছে তোমায় বিধাতা।
.
তুমি স্বর্গের চেয়ে দামি
তুমি মুক্তোর মালা,
তুমি হাসলে জগৎ হাসে
দূরে রয় মনের জ্বালা।
.
তোমার চরণতলে সুখের বসত,
তুমি শ্রেষ্ঠ মাগো তুমি মহৎ.
.
তুমি দেখিয়ে দিলে স্বর্গ-দুয়ার
আনলে বাহার এই জীবনে,
তুমি করলে আমায় আকাঙ্খিত জানার এবং বুঝার সনে।
.
ও মা! তোমায় শ্রদ্ধা করি'
থাকব বাঁচি কিবা মরি.
.
তুমি রেখো বুকে আগলে মোরে
ভালোবাসার পরশ দিয়ে,
আদর-মাখা হাত বুলিয়ে
জীবনখানি দাও রাঙিয়ে।
.
তুমি প্রিয় মাগো সুখের স্বপন,
তোমায় বাসবো ভালো যাবজ্জীবন।
'
(অক্টোবর'১৩)----------------হাবিবা
--------------------------------
মেঘহীন আকাশের বুকে হেঁসে ওঠা পহেলা চন্দ্রের আবেশে মৃদু-মধুর সমীর বয়ে চলছে গোধুলী থেকে উষার দিকে,
যেন অন্তর ছুঁয়ে যায় সীমাহীন প্রশান্তিতে!
শিরা-উপশিরা কাঁপিয়ে জেগে উঠে রক্তের কণিকাগুলো!
মস্তিষ্কের গভীর থেকে গভীরে একটাই শব্দ সরল ছন্দে ছন্দিত হয়,"শুদ্ধতা!"
"শুদ্ধতার সাধনায় হোক বিনীত সমর্পণ।"
"আহলান! সাহলান!! মাহে রমজান।"
-------------------------------------
'শিক্ষাগুরু'
.
তেজী রোদে পুড়ি' গিয়েছি সেদিন
শিক্ষাগুরুর পাঠে,
তড়িঘড়ি করি কেঁপে থরথর
পড়ি পড়ি যেন মাঠে!
.
গুরুজন সেতো বিজ্ঞ মানব
দূর থেকে দেখে সব,
ছুটোছুটি করে কক্ষে শোয়ায়ে
করে ওঠে কলরব।
.
অনুগত প্রিয় ছাত্রের দল
ঘেঁষে এসে কাছাকাছি,
বালতির জলে মাথা ধুয়ে দেয়
এইবারে যেন বাঁচি!
.
চোখ মেলে দেখি পাশে বসা কেউ
প্রশান্ত চেহারায়,
কোমল হস্ত বুলিয়ে মাথায়
জল ঢালে নিরালায়।
.
সেই গুরুজন গুণে-গুণে গুণী
সকল কষ্ট ভুলি',
শিক্ষাগুরুর আদর্শছায়ে
আগামীর পথ চলি।
---------------------------------
সাদা-কালো মেঘের ছুটোছুটি উপেক্ষা করেও চাঁদমামাটা হেসে ফেলে কেমন করে!
বকুলগাছ ভেদ করে উঠোনের ধুলোয় যখন গড়াগড়ি খায় চাঁদের কণা,ঠিক তখনই বকুলের ঘ্রাণে ভরে উঠে পুরো আঙিনা।
মনে হয়,চাঁদের পেট থেকে বুঝি বেরিয়ে আসছে অনন্ত সুঘ্রাণ!
শীতল মৃদু-মধুর বাতাসে গা জুড়াতেই মনে হয়,চাঁদ-সওদাগর বুঝি বিশ্বময় হাত-পাখা নাড়ছেন!
.
ওপাড়ে পাখির ঘুমন্ত নীরে চিঁ-চিঁ করে ডেকে ওঠে,ক্ষুধা নাকি হর্ষ কে জানে!
নিস্তব্দতায় ডানা জাপটে উড়ে যায় ডালের হুতুম!
নারকেলের ডগায় ছুটন্ত কাঠবেড়ালী লেজ গুঁটিয়ে আড়াল হয়ে যায় একটু করে!
.
নিতান্তই 'ভালো লাগা'র সাথে সন্ধির প্রয়োজনে বারবার ছুটে যেতে ইচ্ছে করে চাঁদের আলোক-মাখা শান্ত ভূবনে...
----------------------------------
বড়ো একা লাগে এ পথের ধারে,
সেই দূরে সরে কাছে টানি যারে।
ছিল মুখে হাসি বুকে বল,
কলমে ন্যায়ের বাণী প্রাণ উচ্ছ্বল।
আজ ম্রিয়মান প্রাণ অসুখের পাথারে,
দূর থেকে দূরে সরি বাঁধা আহা রে!
.
শুধু অযথাই ভালবাসা দূরে থেকে দূরে যায়!
না পায় কিনারে কিবা না পায় শুশ্রূষায়।
কেন দাঁড়িয়েছি ঠাঁই?
বৃথা,অযথাই!
জাগে আক্ষেপ!দয়াবান শেফা দাও পরম দয়ায়.
.
আপুর অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার কথা শোনার পর থেকে কোনোকিছুই ভাল লাগছেনা।
জোনাকি আপুর সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চাই।
-----------------------------------------------
'আয় বৃষ্টি ঝেঁপে'
.
সুনীল আকাশে খুঁজি বৃষ্টির চিন্,
আসবে ধরাতে নেমে বর্ষার দিন।
জলরঙা মেঘ দেখে হরষে মাতি,
আয় আয় বৃষ্টি আমাদের সাথী।
তারপর ধুয়ে দেয় যতো পাপ-তাপ,
যতোই কালিমা আছে করে দেয় সাফ।
হঠাৎ হতাশা এসে মনে করে ভর,
মেঘের পাহাড় কেনো করেনা আদর!
হাওয়া বয় মেঘ ছোটে অচিনপুরে,
নামবেনা বৃষ্টি অবনী জুড়ে।
হৃদয় মথিয়া জ্বলে;বৃষ্টিরা আয়,
এনে দেয় নব প্রাণ রুক্ষ ধরায়।
(২৭/০৪/২০১৬)
.
-------------------------------
'মসি হাতে করি সংগ্রাম'
উম্মে হাবিবা
.
মসি হাতে সবে আয় ছুটে আয় যুদ্ধের প্রান্তর,
যেথায় ছুড়েছে নজরুল-ইকবাল জ্বালাময়ী অক্ষর।
.
যুদ্ধের ডাক আজ বাজে শুধু কান পেতে শোন ঐ,
মোরা সবে আজি জয়ের পথিক পরাজয় মানার নই।
.
উর্ধ্বে তুলি শীর,
চল ছুটে চল রনাঙ্গনে মোরাই তো মহাবীর।
.
বক্ষে সাহস তীব্র গতি বাহুতে অসীম বল,
ছুটে চল ওরে দৃপ্ত পদে পেরিয়ে মাঠ-সমতল।
.
সংগ্রামী মোরা আজীবন চাই সত্যের হোক জয়,
অসীম সাহসী মোরা আজ মনে নেইতো শংকা-ভয়।
.
ঝরুক তাজা খুন,
মনোবল তবু ভাঙ্গবেনা মোদের শুনরে পিচাশ শুন।
.
চলে যায় যাক প্রাণটা মোদের থাকবে তো অবদান,
সহস্র জনতার হৃদয় তন্ত্রীতে হবে তার উত্থান।
.
এখন নাহয় শক্তি ওদের দ্বিগুণ বাড়লো ওরে,
কাল ক্বিয়ামাতে শক্তি সকল কমবে দেখিস পরে।
(2013)
-----------------------------------
'মাটির বন্ধু'
----
মাটির সাথে জমিয়ে প্রচুর গল্প হলো,
প্রাণের প্রিয় বন্ধু তোমার নাম কি বলো?
সকাল-সাঁঝে ভিজিয়ে আমায় করলে তাজা!
এর চে' বেশি চাইনা তো ভাই মিঠাই-খাজা।
.
গরীব চাষি;নেইকো আমার ভিটের মাটি,
ঘরের কোণে নেইতো পাতার শীতল পাটি।
দুপুর রোদে আমার আবাস বটের তলে,
সেও আমায় জাপটে ধরেই বন্ধু বলে!
.
কর্ষে জমি আমার বুকের;হালকা করো,
ফলাও কতো সোনার ফসল আমন-বোরো।
যবের আঁটি আঁখের ছোবড়া আরও কতো!
কার বা আছে এই মহাভাগ আমার মতো!
.
এপথ ধরে চলছে সুদূর ঐ মহাজন,
কিপটে জাতি তাহায় পেলেই অপ্রয়োজন!
বুকখানি যে সকল সময় ফুলায় তাপে,
তাই দেখে তো দুস্থ লোকের কলজে কাঁপে!
ও মাটি ভাই!বন্ধু আমার;রাখবে কথা?
দাও ধ্বসিয়ে এই সমাজের নষ্ট প্রথা।
দাও গুঁড়িয়ে ওদের গরব দুঃখীর বরে,
আমাদের ও বাঁচতে অনেক ইচ্ছে করে।
----
০৮/০৪/২০১৬ ইং।
(উম্মে হাবিবা)
--------------------------------------
'জীবনের খেই'
.
অধরাই রয়ে গেলো যত কারুকাজ!
জীবনের মোহগুলো আজ পায় লাজ।
শান্ত মরুর বুকে জ্বলছে সুরুজ,
চেনা অচেনার ভীড়ে বুঝেনা অবুঝ।
বাসন্তী সাজ সেজে চৈত্রের খেলা!
লালিমার লাল দেখে বৃথা অবহেলা।
দিবসের শেষে শুনি বহুতর ডাক,
অপূরণ কতোক্ষণ,স্মৃতি এক ঝাঁক!
সমীরণ বয় যদি হুতাশন 'পরে,
জ্বলে জ্বলে উঠে সেতো দাউ-দাউ করে!
তবুওতো ইচ্ছের থামা-থামি নেই,
মনে হয় হারিয়েছি জীবনের খেই!
---
রাহনুমা
(07-04-2016)
----------------------------------
'এক অভাবনীয় পুরস্কার'
.
রাষ্ট্রপতির এক বিশেষ প্রতিনিধিকে এক দেশে পাঠানো হলো। কিছুদিন সে ঐ দেশের কৃষ্টি-কালচার-ঐতিহ্যের সাথে মিলেমিশে বসবাস করলো। স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী বিভিন্ন দল,মত,শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে ওঠা-বসা করতো সে। সেখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য দেখে সে যারপরনাই অবাক হতো। সময় গড়াচ্ছিলো। একদিন সে চিন্তা করলো এভাবে শুয়ে বসে দিনাতিপাত না করে ওখানকার মাটির বুক চিরে একটু শস্য ফলানোর। যেই ভাবা সেই কাজ! রাষ্ট্রপতির সাথে যোগাযোগ করে তার ইচ্ছা জানালো এবং সেখানকার এক প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলে কাজ শুরু করলো।
সেই দেশে তখন বিরাজ করছিল দারুণ খরা!
এই প্রতিনিধি ব্যাক্তি একটি জমি বাছাই করে নিয়ে সেখানেই বীজ বপন করলো। নিয়মিত রাষ্ট্রীয় সীমানাধীন একটি কূপ থেকে পানি এনে জমিতে ঢালত সে।
সরকারী কোষাগার থেকে সবচেয়ে ভালো সার এনে জমিতে দিয়ে নিয়মানুযায়ী পরিচর্যা করতে লাগলো।
তার পরিশ্রমের অন্ত ছিলোনা। অবশেষে তার কষ্টের সোনালী ফসল উৎপাদিত হলো।
সকলের আনন্দের অন্ত র-ইলোনা। রাষ্ট্রপতি তাঁর দক্ষ প্রতিনিধিদল কর্তৃক তার প্রমোশনের ব্যাবস্থা করে দিলেন।
তার কাজের পরিধি বড়ো হলো।
দিনরাত সে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করতে লাগলো। রাতের গভীরে যখন সবাই ঘুমায়,সে একমনে খুঁজে বেড়ায় কি করলে ভালো ফসল ফলবে,কি করলে শস্যের মাঠে আক্রমনাত্মক পোকা ঢুকবেনা।
ভোরে সে সবার আগে ঘুম থেকে ওঠে। রাষ্ট্রপতির বাসভবন থেকে প্রাপ্ত সাজেশান নিয়ে কিছুক্ষণ পড়াশোনা করে,চিন্তা করে,গবেষণা করে। তারপর আবার বেরিয়ে পড়ে কাজে। বলা যায়,সে এখন একজন রাষ্ট্রীয় কৃষক!
.
কিছুদিন অতিক্রান্ত হলে সকল জমি থেকে ভালো ভালো শস্য আসতে লাগলো। তার অভাবনীয় সাফল্য এবং সাধনা দেখে রাষ্ট্রপতি তার প্রমোশন দিলেন।
এবারের প্রমোশনে তার দায়িত্ব আরো বাড়লো। সে এখন বেশ কিছু জমির দেখাশোনা করা এবং সঙ্গীদের নিয়ে আরো বেশি পরিশ্রম করা শুরু করলো। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সে এবং তার পরিবার সাহায্য পেতে লাগলো। কিছুদিন পরে এক মিটিং এর আলোচনায় সে জানতে পারলো,তার পরিবারের কেউ যদি তার সামনে অভাবগ্রস্থ হয়,তাহলে সে সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করতে পারবে। আরো জানতে পারলো যে,রাষ্ট্রপতির ঘোষণা অনুযায়ী,তার জন্য ও রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার!
---
সমাপ্ত
---
বিঃ দ্রঃ রূপক অর্থে ব্যাবহৃত শব্দ সমূহ যেসব অর্থ প্রকাশ করছে।
[রাষ্ট্রপতি=সারা জাহানের প্রতিপালক।
বিশেষ প্রতিনিধী=মানুষ।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কূপের পানি=স্রষ্টার নির্ধারিত গণ্ডির ভিতরের বিভিন্ন নিয়মকানুন,ইসলামী ইতিহাস ঐতিহ্য।
রাষ্ট্রীয় বাসভবন থেকে প্রাপ্ত সাজেশান=লাওহে মাহফুজ থেকে প্রাপ্ত কুরআন।
প্রতিনিধি দল=ইসলামী সংগঠন]
---
হাবিবা
---------------------------------------
"ছোট দাদু হাবু রে"
-------------------
ছোট দাদু হাবু রে,
নিবে নাকি বাবু রে?
দৌড়-ঝাঁপ-সাঁতারে-
ছুটে গেলে কাবুরে!
.
বলে গেছে মোল্লা,
পাঠশালে গোল্লা!
ঝোপ-ঝাড়ে রোজ যে
খুঁজে ফেরে বোল্লা!
.
শোন! হাবু দাদু রে,
বসনা রে মাদুরে,
ওই দূর পাথারে-
থাকে কোন যাদু রে?
.
ভালো পথে আয়না,
আর নাতো বায়না-
শয়তানে যেন রে
তোরে খুঁজে পায়না।
----হাবিবা
২৭/০৩/২০১৬ খ্রিঃ----
-----------------------------------
"তোমরা যারা"
==============
তোমরা যারা দ্বীনের পথে
লড়াই কর অনন্তকাল
খোদার প্রেমে মত্ত হয়ে,
তোমাদের বন্ধন সুদৃঢ় মজবুত
সীসাঢালা প্রাচীর যেন
শত আঘাত সয়ে।
যারা অন্যায়কে পায়ে দলে
সীনায় নিয়ে কোরানের বাণী
ছুটে যাও দূর বহুদূর,
তোমাদের কাছে নয় কঠিন
শত শত্রুর বাঁধা
কাঁটাভরা পথ ও নয় বন্ধূর।
তোমাদের সাধনায় মুছে যায়
বেদনাবিধুর পৃথিবীর
সমস্ত কান্না ছলছল আঁখি,
মহত্ত্বের বিশালত্ত্বের পরশ দিয়ে
অসহায়ত্বকে ডিংগিয়ে
দ্বীন ইসলাম দাও বুকে রাখি।
তোমাদের অনুসৃত পথ
হয়ে থাকে প্রেরণা
যারা এখনো অনাগত,
ওরা তোমাদের'ই কর্মে
মুগ্ধপ্রাণ হয়ে
চিরকাল করবে সত্যের ব্রত।
তাই তোমরা হে দ্বীনভিখারী
আল্লার প্রিয়জন
রাসুলের উম্মৎ,
আরো বড় হও
সম্মুখে এগিয়ে যাও
আঁধার কালো প্রান্তর পেরিয়ে হও মহৎ.
........(২৫-১১-২০১৪)
উম্মে হাবিবা
ফেনী
---------------------------------------------
চাপা বিষাদ
-----উম্মে হাবিবা
আব্বু এলো পাথর বুকে চেপে যেন,
সকল বিষাদ ভুলতে শ্বসন হচ্ছে ঘন।
চক্ষু মেলে দূর আকাশের অচিন কোনে,
আব্বু বুঝি অনেক সুখের স্বপ্ন বোনে !
থমথমে ভাব এই বাড়িটির সকল দোরে!
আর উঠনে সেই মানুষের কলজে পোড়ে!
রুগ্ন ’আলম চাঁপা সকল হৃদয় প্রাণে,
চক্ষুজোড়া রক্তনদের বহর টানে।।
-----------------------------------------
’’আহ্বান’’
......(উম্মে হাবিবা)
কারার লৌহকপাট কেউ তো এখন ভাঙ্গে না আর কলম নেড়ে।
কেউ তো এখন জ্বালায় না আর আগুন;
ক্ষেপে ব্যাঘ্রতেজে দ্বিগুন....
চালিয়ে অগ্নিকলম হাজার লেকের ভিরে।
এখন যায়নাতো কেউ সকাল বেলার পাখি হয়ে বাংলাদেশের নীড়ে।
এখন বিদ্রোহী তাজ কেউ পড়ে না আর,
তাড়ায়না কেউ শোষক jomiদার,
যে একাই লড়ে জীবন-যুদ্ধে না ছিল না তার
শ্রান্তি এবং ক্লান্তি ক্ষুৎপিপাশার ।
আজ পাই না খুঁজে তাহার মতন ক্ষিপ্র-teji কবি;
দূরদিনে মোর অভয় যাহার মেলা,
কেবল শ্রান্তি মিলে শান্তি কোথায় কোথায় সাহস রবি?
দুঃখের দিনে আমরা যে একেলা !
ডাকছি আকূল তাকে কিবা ঠিক তাহারি প্রতিচ্ছবি; যে আমাদের ফের জাগাবে ধীরে,
অত্যাচারীর লৌহকপাট ভাঙ্গতে আবার আসবে কলম নেড়ে।।
---------------------------------------------------
'দুরন্ত নাবিক''
উম্মে হাবীবা রাহনুমা।
--------------------------
আমি সেই সে নাবিক এই নদী পথে
মেরুপানে সদা ছুটন্ত।
দেখি শত নাবিকের জাহাজ
দরিয়া মহা সমুদ্রে
ডুবন্ত।
তবু ভয় করিনাকো ,
না টলি নাকো ,
বদ্ধ মুঠিতে হাল ছাড়িনাকো।
যেন দরিয়া অথৈ উত্তাল ঢেউ- এ
জাগাই যাহারা ঘুমন্ত।
আমি ছুটে চলি কাঁপায়ে পদ্মা এ চলা
আমার অনন্ত।
আমি বন্য শ্বাপদ হরিত ক্ষেত্রে
কুহেলিকা ছেঁটে দণ্ডয়মান,
দেখি নবারুণ রাঙা রক্ত বাহীরা হয়ে গেছে
যেন মূর্তিমান।
তবু নত হইনাকো, না সরিনাকো
অপশক্তিরে ভয় করিনাকো।
যেন তপ্ত খরাতে খেয়া পারে বসে
চোখ করে তোলা জ্বলন্ত।
আমি ছুটে যাই মাথ-ঘাট শেষে
হার মানে যেন পবন তো।
----------------------------------------
......SWO-DESHER PREM........
,
Pronoyo-bithite sohasso mone
preyosir tore rochi korNika,,
,
pushpo-choyone potonggo raNi
nitto zethay chuTe eka-eka.
.
Sure-chonde kolo-kolle
nodi boye zay su-dur su-dur,,
,
Ganero bulbul vOrero doyel
anmone chuTe dur-bohudur.
.
ValObasi tare valobasi ami
valobasi mor ruposi swodesh!
!
bidhiro bidhane preyosI-bokkhe
rekhe zete chai praN-ni:shesh.
---------------------------------
"Serar cheye sera"
^
^
Lekhar majhe sukh ache ze jani,
hajar sukher onnotomo mani.
Shekhar majhe sukher choa mela,
Alor prodip jali sondha-bela.
Janar majhe aro onek sukh,
jante parar jonne mon ummukh.
Gyanarjoner sukhe trripto mon,
oggyanotay hrride asfalon.
Ei sokoler sera jano ki?
Gyan diye jibon-somriddhi.
|
|
/Umme Habiba\
------------------------------
বড়ো একা লাগে এ পথের ধারে,
সেই দূরে সরে কাছে টানি যারে।
ছিল মুখে হাসি বুকে বল,
কলমে ন্যায়ের বাণী প্রাণ উচ্ছ্বল।
আজ ম্রিয়মান প্রাণ অসুখের পাথারে,
দূর থেকে দূরে সরি বাঁধা আহা রে!
.
শুধু অযথাই ভালবাসা দূরে থেকে দূরে যায়!
না পায় কিনারে কিবা না পায় শুশ্রূষায়।
কেন দাঁড়িয়েছি ঠাঁই?
বৃথা,অযথাই!
জাগে আক্ষেপ!দয়াবান শেফা দাও পরম দয়ায়.
.
আপুর অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার কথা শোনার পর থেকে কোনোকিছুই ভাল লাগছেনা।
জোনাকি আপুর সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চাই।
---------------------------
ধূসর আঙ্গিনা আর পায়রার খোঁপ নিঃসাড়,
মুরগীর খোয়াড়ে পিনপতন নীরবতা.
খস করে একটি পাতা ঝরে পড়ল শূন্য উঠোনে.
বাতাসের সুরেলা বাণী;
'ওহে জোৎস্নার ভরা ঢালি তারকাখচিত আসমান,
তামাম দিনের রৌদ্র বিদূরী এসো
আহলান সাহলান!'
.
অন্ধকার ধেয়ে এলো, হাতছানি দিয়ে বুকপকেটে ভরে নিলো দিনের সূর্যকে।
রাতবাদুড়ের আনাগোনায় পল্লী জাগ্রত,
শুধু উজ্বল সূর্যটা
রাত্রির বুকপকেটে গুমরে কাঁদে।
---
(UMME HABIBA)
-------------------------
ভাষা
" " " " " " " " "
কথা,গান,চলা-ফেরা
উঠবস রান্না,
বাংলায় পড়া-লেখা
হাসি আর কান্না।
.
ভাষা যেন হৃদয়ের সুর-গতি-ছন্দ,
লভি নিজ ভাষা দিয়ে
ভাল;নাতো মন্দ।
.
-(হাবিবা)
-----------------------------------------
উম্মে হাবিবা
((( ((( ((())) ))) )))
আমার চক্ষুযুগল জলে ছলছল করে,
লায়লার চাদরে পৃথিবী যাচ্ছে ভরে,
নূর পাব ক-ই হিদায়াতের তরে?
.
হাসে ঐ রাহু হাসছে আহ্লাদে-
'বিচ্যুতি ঘটাবে পথের,পরম স্বাধে,
বামাচারে রত ধর্মকর্ম বাদে।"
.
আশাজাগ্রত ওদের সদা মনে-
'ফত-হুম মুবিন আমাদের নাহোক জীবনে,
রোজ সূর্যোদয়ে দেখুক মোদের রণে।"
.
কিন্তু,
ফলাফল ওদের হয় যে শুন্য!
রিক্ত হস্তে ফিরে হয় ওরা বন্য!
দিশাহীন হয়ে হয় ওরা হাস্যপন্য।
.
জেনেছি শেষে;নূর আছে প্রভূর কুরানে,
রিপু দমন হয় প্রভূর'ই অবদানে,
নতশির করি এসো সে প্রভূর সনে।
----------------------------------------
ঘুরে ফিরে আসে লেখনীর হাত
লিখতে পারিনা কিছু,
মস্তকে শুধু কালো কারুকাজ
আঁধার ছাড়েনা পিছু।
...........
হতাশাও নয় আশা ওতো নেই কোন,
পিছুটান নাকি অগ্রযাত্রা নেই জানা নেই যেন.......
-------------------------------------------
'আমাদের প্রতিবেশী'
.
আমাদের পাড়াজুড়ে শান্তি বহাক,
মিলেমিশে সকলেই শৌর্য্য ছড়াক।
আমাদের প্রতিবেশী আমাদের ভাই,
আনন্দ বেদনার সঙ্গী সদাই।
.
আমাদের প্রতিবেশী ফুলের সুবাস,
মিলেমিশে গড়ে তোলে শান্ত আবাস।
ছোটখাট প্রয়োজন ভাগাভাগি করে,
প্রতিবেশী আমাদের আপদে ও লড়ে।
.
স্বজন বন্ধু যত থাকুকনা তোর,
পাশে পাবে প্রতিবেশী রাত্রি অঘোর।
তাদের হক্বের তরে বাজাওনা বীণ,
শান্তিকেতন তবে হবে উড্ডীন।
------------------------------------
প্রতিবেশী
.
উদয়-রবির লালিমা ছড়ায় দুরে
হেঁকে যায় ওই অজানা ভবিষ্যত,,
পড়শি আমার দু'হাত মিলায়ে হাতে
এসো একসাথে
পাড়ি দিই এই পথ।
-----------------------------------------
কত দিন গত হয়,
খুনে খুনে হয় লাল!
সত্যেরা রঞ্জিত
হবে বুঝি চিরকাল!
ঈশানের বায়ুগুলো
দেয় কি গো সংবাদ?
কত দিন পরে হবে
অন্যায় বরবাদ ?
--------------------------------------
(সৃজনশীল গল্প)
.
"পরিবর্তন"
==========
আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে দোরগোড়ে এসে দাঁড়ায় সালেহা বানু। চোখের কোনে কেঁতুর জমে শক্ত আঠার ন্যায় হয়ে আছে,খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সেগুলো তুলছে আর আড়চোখে আব্দুর রহিমের দিকে তাকাচ্ছে। রোদে বসে ঢুলে ঢুলে কুরআন তেলওয়াত করছে আব্দুর রহিম।
পাড়ার আট-দশটা বাড়ি থেকে খোন্দকার বাড়ীর পরিবেশ ভিন্ন।ভোরে মুয়াজ্জিন আজান দেওয়ার আগেই খোন্দকার জামান ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ পড়েন। তারপর কুরআন তেলওয়াত করতে করতে কখন যে আজান হয়ে যায় টেরই পাননা।আজান শুনেই সবার নাম ধরে ডেকে তুলেন। পুরুষরা মসজীদে জামা'আতে নামাজ পড়ে আসে আর মহিলারা ঘরে।
তারপরের পরিবেশটা আরো মোহনীয়! সুর করে কুরআন তেলওয়াত করে ছেলেবুড়ো সবাই। বেলা উঠলে সবাই যার যার কাজে ছুটে যায়।
সালেহা বানু এ বাড়িতে নতুন। শান্তিপাড়ার জমিদার ঘরের মেয়ে বলে আলাদা একটা গর্ব বিরাজ করে ওর ভিতর। একরোখা জীদ আর অভিমানে সম্পূর্ণ ভিন্ন টাইপের মেয়ে ও। এ বাড়ীর কালচার মানতে রীতিমতো অক্ষমতাই প্রকাশ করে!মুসলিম হিসেবে যে অন্তত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে তা ও না। সকালে বেলা করে ঘুম থেকে ওঠা তো ওর অভ্যাস। তার ওপর এখন শীতকাল!
আব্দুর রহিম তখনো একমনে পড়েই যাচ্ছে। সালেহা বানু দ্রুতপায়ে পুকুরের দিকে হাঁটতে লাগলো। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় হাত পা অবশ প্রায়। কোনরকম মুখে একটু পানি ছিটকিয়ে কাঁপতে কাঁপতে উঠোনের রোদে এসে দাঁড়ায়। ততক্ষনে আব্দুর রহিম 'সুরা আসর' এর তরজমা পড়া শুরু করেছে। বয়সে সে ছোট হলে ও পারিবারিক অবস্থান তাকে এ ব্যাপারে ছাড় দেয়নি। আব্দুর রহিম পড়ছে, 'সময়ের কসম!নিশ্চয় মানুষ বড়-ই ক্ষতির মধ্যে আছে। কিন্তু তারা নয়,যারা বিশ্বাস করে,নেক আমল করে,পরস্পরকে তাকিদ দেয় হক্বের এবং তাকিদ দেয় সবরের।' আব্দুর রহিম কয়েকবার জোরে তরজমা টা আয়ত্ত করল। সালেহা বানু মনোযোগ দিয়ে শুনে কুরানের শাশ্বত বানী। অবনত হতে থাকে মাথা। মনে হচ্ছিল ভাবনার সাগরে নিমজ্জিত হয়ে সালেহা বানু তলিয়ে যাচ্ছে তার গভীরে। ধীর পায়ে আব্দুর রহিমের পাশে এসে বসলো। আব্দুর রহিম আবার পড়ছে,'নিশ্চয় মানুষ বড়-ই ক্ষতির মধ্যে আছে।'
সালেহা বানু আব্দুর রহিমের মুখের দিকে তাকায়। দেখে অজানা এক ভয়ে রক্তিম বর্ণ হয়ে আছে ১৩ বছরের আব্দুর রহিমের মুখমণ্ডল, আর কপালে জমা হয়েছে বিন্দু বিন্দু ঘাম। সালেহা বানু দৌঁড়ে পুকুরঘাটে যায়। অযু করে পবিত্র হয়ে ঘরে এসে দু'রাকাত নামাজ পড়ে দু'হাত তুলে ক্ষমা চায় আল্লাহর কাছে।
-Habiba
03.01.16
------------------------------------------------
'হেরার নবী'
--------------
মরু আলো করে জোৎস্না ঝরে
কুলুকুলু বয় নদী,
সুখের ফোয়ারা মক্কা নগরে
বয় যেন নিরবধি .
.
আল-আমীনের বুকে জমীনের
সবুজ যেনগো ধরে,
তপ্ত মরুতে সত্যবাদীতা
সুশীতল ঘর গড়ে .
.
তিমিরে পালায় কাপুরুষ দল
হেরাতে বিশ্বনবী(সাঃ),
আদর্শ তাঁর কোমলে-কঠোরে
কুরানের যেন ছবি .
.
জিহাদে-কিতালে স্বপ্ন-সাধনে
তাঁরই দেখানো পথে,
এসো ভাই-বোন স্বজন বন্ধু
এসো মিলি একমতে।
-----হাবিবা
---------
২৭-১২-২০১৫ ঈসায়ী।
-------------------------------------
'শীত'
====
হিম হিম শীত এলো
পাড়াগাঁয়ে শহরে,
কনকন ঠাণ্ডায়
কেঁপে উঠি ওহোরে!
.
শিশিরের ছন্দ
কানে বাজে বেশুমার,
ঠাণ্ডায় থেমে যায়
মৃদু সুর ভেঁপুটার।
.
চাষাভাই চুপচাপ
এলোকেশ এলিয়ে,
রৌদ্রের ছোঁয়াতে
হাসে দাঁত কেলিয়ে।
.
কুয়াশার ছত্রে
ঢেকে রয় পরিবেশ,
কোলাহল হৈ চৈ
সুখ-দুঃখে মাতে দেশ।
.
(১৩-১২-২০১৫)
----হাবিবা
----------------------------------------
---------শীত)
"আমি নিষ্ক্রীয় বলাকা"
~~~~~~~~~~~~~~~
নিশান্তে ঘুমের পাড়ায় কে-গো তুমি বিরহিনী?
ভয়াল শীতার্ত রাত্রির ছুটন্ত ভল্লুক
এ পথ ছিরে গেছে দুর দুর বহুদুর,
তোমায় খুবলে খায়নি ঐ প্রমত্ত হায়েনা!
তোমার রাত্রি শেষ
কনকনে ঠাণ্ডার দারুন লড়াইয়ে!
যখন পৌষের শীতল হাওয়া
তোমায় ক্ষণে-ক্ষণে কাঁপিয়ে তোলে,
তোমার অন্তরে জ্বলে বিরহ-ব্যাথার দাবানল!
আর যখন টুপটাপ ঝরে নিশির শিশির,
টুপ করে ঝরে এক ফোটা আঁখিজল!
নিরব রাতের করুণ আর্তীতে তুমি নিশাচরী ওগো বিরহিনী,
আমার ঘুমের পাড়ায় তুমি নির্ঘুম প্রহরী।
শীতের বিহঙ্গ ডানা মেলে তোমার ওপরে,
আমি হয়ে থাকি নিষ্ক্রীয় বলাকা!
-উম্মে হাবীবা রাহনুমা
----------------------------------------
১.
এলাকার এক দাদু ছিলেন জুনিয়র স্কুলের শিক্ষক। শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের এই মানুষটি মানুষের অধিকার আর ন্যায় অন্যায়ের বিচারে সবসময় জয়ীর কাতারে ছিলেন।১বার পৌর এলাকায় নিচের দিকে তাকিয়ে এক মনে হাটছিলেন।কয়েকটা কুকুর ঝগড়া করতে-করতে দাদুর দিকে ছুটে আসলে দাদু সরতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পথচারিরা ছুটে এসে কুকুরদের মারতে উদ্যত হলে দাদু তাড়াতাড়ি বলে উঠেন, "কুকুর কে মারবেননা।দোষ কুকুরের না,দোষ আমার।কারন,আমি-ই বেখেয়ালে হাটছি।" সবাই এ-কথা শুনে অবাক!মানুষ বুঝি এতো মহানুভব হয়!
২.
স্কুললাইফে কখনো ক্রীড়া প্রতিযগী ছিলাম না।'এস এস সি'র আগে খুব কৌতুহল নিয়ে বাস্কেট বল আর গোলক নিক্ষেপের জন্য নাম লেখালাম।স্যার আমাকে যাচাই করেনি,অনুশীলনে ও ছিলাম না।শেষে গোলক নিক্ষেপ করতে গিয়ে এমনভাবে ছূড়লাম যে গিয়ে পড়ল স্যারের হাতে। ক্রীড়া শিক্ষক ছুটে এলো,কে?কে এই অথর্ব?আমাকে দেখে স্থির হয়ে গেলো।আমি ততক্ষনে কেঁদেই খুন।স্যার হাতের ব্যাথা ভুলে আমাকে শান্ত করতে অস্থির। সেদিন আরেকবার বুঝেছি,সত্যি মহৎ লোকেরাই মহানুভব হতে পারে!
------------------------------------
"দেশের রীতি"
.
চাবুক পড়ে চিবুক 'পরে
স্বাধীনতার নামে,
শিশু রাজন পিয়াস মেটায়
ক্লান্ত দেহের ঘামে!
মশা মেরে জেল সাজা পায়
ভিন্ন দলের লোক!
সপ্ত খুনের আসামীরা
হেসে ভেজায় চোখ।
গুমের ভয়ে ঘুম হারিয়ে
লুকোয় মুসলমান,
পার্লামেন্টে চিন্তাবিহীন
ঘুমোয় বেঈমান!
এই হয়েছে দেশের রীতি
নীতির রাজ্য ক-ই?
স্বাধীনতার ঘুম বেড়েছে
আমরা স্বাধীন ন-ই!
<18.11.15>
------------------------------------
এ পৃথিবীর বিশাল অঙ্গরাজ্যে তুমি মানুষ!
ওহে আশরাফুল মাখলুক!
তাবৎ সত্য অসত্যের মাঝখানে তুমি
অগ্নিশিখা নিয়ে খেলছো কতো খেলা!
অগ্নিস্ফুলিঙ্গ একের পর এক
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে চায় সত্যের সবুজ মিনার।
কিন্তু,
কিন্তু সেই আগুণের লেলিহান শিখার অপর প্রান্তে
এক সুনিভৃত হৃদ-কোণে আছে আরেক অপার শক্তি,
যার প্রয়োগেই তোমার সত্যিকারের পরিচয়।
যার সু-উচ্চ প্লাবন নিভিয়ে দেবে
ধেয়ে আসা অগ্নিশিখা!
তুমি মানুষ!
আর মনুষ্যত্ব-ই তোমার সেই অপার শক্তি।
<১৪-১১-২০১৫>
---উম্মে হাবিবা
-------------------------------------
"নিশির শিশির ভোরের রোদে
যায় হারিয়ে যায়,
মৌমাছিরা গুনগুনিয়ে ফুলের মধু খায়।
বকুল তলায় টুনটুনিদের ঝাঁক এসেছে ঝাঁক,
টিনের চালে ডাক দিয়ে যায় পায়রা বাকুম-বাক।"
/
(১৭-১০-১৫)
-হাবিবা।
-----------------------------------
পরিবার বলো সংসার বলো কিংবা এই সমাজ,
যেথায় গেঁড়েছে নিত্য মৃত্যু অন্ধকারের রাজ।
উড়াতে চাই মুক্তিকেতন শক্তি দাও হে রাজাধিরাজ
----------------------------------------------
"কুরবানি"
-----হাবিবা
===========
কুরবানি হোক কুরবানি,
মনের পশু,ধনের পশু
ঘরের পশু,পরের পশু
সকল কিছুর কুলখানিতে
কুরবানি হোক খুব মানী।
-----------------------------------
ঈদ!!
খুব বড়োসড়ো অক্ষরে কাগজে পাতানো একটি শব্দ,একটি বাক্য!
ঈদ'উল আযহা!
সারা বছরের শোক-সন্তোষ শেষে
শুদ্ধতাধারিণির দ্বিমাসিক বেলাতে
চোখ বড় করে দেখে নি-ই
বড়োসড়ো অক্ষরে লেখা
ঈদ'উল আযহা!
আজ একান্তে চিৎকার করে হতাহত ধরনী!
ভেসে আসে কোনো হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঘাতকদের উলু-ধ্বনি!
মাসুদ-মাতাদের বুকের পাটাতনে হাহাকার করে থেকে-থেকে,
কোনো নামিরা কাঁদো-স্বরে
ডাকে প্রিয় আব্বুকে,
কিংবা কোনো নুমাঈর অবুঝ খেলোয়াড় হয়ে
চিমটি কাটে আম্মুর দৃষ্টিমনিতে।
তবু ইবরাহীমের মতো ঈমানদীপ্ত হয়ে
সহস্র উম্মাতে মুহাম্মাদী
হাসি জ্বলমল-ভীরু টলটল কম্পিত হস্তে শরীক হয় কুরবানীতে।
ফের ধ্বনিত হয়
মনুষ্য অন্তরে-
কা'বা প্রান্তরে-
জমীন থেকে সপ্ত আসমানে
"আল্লাহু আকবার!
আল্লাহু আকবার!..."
---------
"ঈদ মুবারাক"
----------------------------------
'তোমাদের ডাকে'
---হাবিবা
==============
পাপ পংকের দাবানল,
পোড়ে এ বংগ;বাতিলী সংগ রাহুদের সম্বল।
আবু বকরের খেলাফাত খুঁজি যুগে যুগে বহুবার,
কাফির দাঁড়িয়ে মস্তক তুলে কৈ তুমি ও উমার?
রাত্রি-নিশীথে শিশু ক্রন্দনে বুক ধুক-পুক-ধুক!
যবের বোঝাটা কাঁধে তুলে নিবে,কেউ নেই উন্মুখ!
দিল করে আনচান,
ওসমান,বকর নেই তাই হয় কুরানের অপমান!
আসাদুল্লার গর্জন নেই কিল্লার দ্বারে তাই,
শত আমরের উল্লাস ঐ;রোধিবার কেউ নাই!
অংগন ধু-ধু কাফিলারা শুধু তোমাদেরি পথ চায়,
পথনির্দেশ পেয়ে ও কিজানি কেন দাঁড়িয়েছে ঠাঁই!
২১/০৯/২০১৫
ফেনী
----------------------------------------------
"রব'ই আ'লম"
===========
আকাশ থেকে সূর্যনাহার ব-ই-ছে অবিরাম,
চতুর্দিকে বর্ষাবারী অবাক ধরাধাম।
মুগ্ধ মধুর ব-ই-ছে বাতাস সারা তেপান্তর,
ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিতেই শান্তি দেহের 'পর।
রোগের ঘোরে কাতরিয়ে সুখ একটি মধুর নামে,
বেঁচে থাকা সুস্থ থাকা তাঁরি অবদানে।
সহস্রাষ্ট জীবকুলে রহম কেবল যার,
আল্লাহ রব'ই আ'লম তিনি গাফুর ও গাফ্ফার।
-------(১৩-০৯-২০১৫)
------উম্মে হাবিবা
-------------------------------
"তোমরা যারা"
==============
তোমরা যারা দ্বীনের পথে
লড়াই কর অনন্তকাল
খোদার প্রেমে মত্ত হয়ে,
তোমাদের বন্ধন সুদৃঢ় মজবুত
সীসাঢালা প্রাচীর যেন
শত আঘাত সয়ে।
যারা অন্যায়কে পায়ে দলে
সীনায় নিয়ে কোরানের বাণী
ছুটে যাও দূর বহুদূর,
তোমাদের কাছে নয় কঠিন
শত শত্রুর বাঁধা
কাঁটাভরা পথ ও নয় বন্ধূর।
তোমাদের সাধনায় মুছে যায়
বেদনাবিধুর পৃথিবীর
সমস্ত কান্না ছলছল আঁখি,
মহত্ত্বের বিশালত্ত্বের পরশ দিয়ে
অসহায়ত্বকে ডিংগিয়ে
দ্বীন ইসলাম দাও বুকে রাখি।
তোমাদের অনুসৃত পথ
হয়ে থাকে প্রেরণা
যারা এখনো অনাগত,
ওরা তোমাদের'ই কর্মে
মুগ্ধপ্রাণ হয়ে
চিরকাল করবে সত্যের ব্রত।
তাই তোমরা হে দ্বীনভিখারী
আল্লার প্রিয়জন
রাসুলের উম্মৎ,
আরো বড় হও
সম্মুখে এগিয়ে যাও
আঁধার কালো প্রান্তর পেরিয়ে হও মহৎ.
........(২৫-১১-২০১৪)
উম্মে হাবিবা
ফেনী
---------------------------------------------
চাপা বিষাদ
-----উম্মে হাবিবা
আব্বু এলো পাথর বুকে চেপে যেন,
সকল বিষাদ ভুলতে শ্বসন হচ্ছে ঘন।
চক্ষু মেলে দূর আকাশের অচিন কোনে,
আব্বু বুঝি অনেক সুখের স্বপ্ন বোনে !
থমথমে ভাব এই বাড়িটির সকল দোরে!
আর উঠনে সেই মানুষের কলজে পোড়ে!
রুগ্ন ’আলম চাঁপা সকল হৃদয় প্রাণে,
চক্ষুজোড়া রক্তনদের বহর টানে।।
----------------------------------------
’’আহ্বান’’
......(উম্মে হাবিবা)
কারার লৌহকপাট কেউ তো এখন ভাঙ্গে না আর কলম নেড়ে।
কেউ তো এখন জ্বালায় না আর আগুন;
ক্ষেপে ব্যাঘ্রতেজে দ্বিগুন....
চালিয়ে অগ্নিকলম হাজার লেকের ভিরে।
এখন যায়নাতো কেউ সকাল বেলার পাখি হয়ে বাংলাদেশের নীড়ে।
এখন বিদ্রোহী তাজ কেউ পড়ে না আর,
তাড়ায়না কেউ শোষক jomiদার,
যে একাই লড়ে জীবন-যুদ্ধে না ছিল না তার
শ্রান্তি এবং ক্লান্তি ক্ষুৎপিপাশার ।
আজ পাই না খুঁজে তাহার মতন ক্ষিপ্র-teji কবি;
দূরদিনে মোর অভয় যাহার মেলা,
কেবল শ্রান্তি মিলে শান্তি কোথায় কোথায় সাহস রবি?
দুঃখের দিনে আমরা যে একেলা !
ডাকছি আকূল তাকে কিবা ঠিক তাহারি প্রতিচ্ছবি; যে আমাদের ফের জাগাবে ধীরে,
অত্যাচারীর লৌহকপাট ভাঙ্গতে আবার আসবে কলম নেড়ে।।
----------------------------------------
......SWO-DESHER PREM........
,
Pronoyo-bithite sohasso mone
preyosir tore rochi korNika,,
,
pushpo-choyone potonggo raNi
nitto zethay chuTe eka-eka.
.
Sure-chonde kolo-kolle
nodi boye zay su-dur su-dur,,
,
Ganero bulbul vOrero doyel
anmone chuTe dur-bohudur.
.
ValObasi tare valobasi ami
valobasi mor ruposi swodesh!
!
bidhiro bidhane preyosI-bokkhe
rekhe zete chai praN-ni:shesh.
--------------------------------------------------
=Ramjan Elo ghore-ghore=
(HABIBA)
Ajo romjaaan
elo ghore-ghore;
elo modhu-swore;
zeno jhongkaar tule oi,,
Shono Quraner
mrridu-modhusur;
kize sumodhur;
bujhi papiyara Dake oi.
Tarabi namaajer oi ze jama'at,
dekhei pulok jage ki modhur raat!
proshaanto somiron lage dehe-prane;
juray klanti tai notoshir hoi.
Ajo romjaan....jhongkar tule oi.
Neki orjone;
pap borjone;
nij gorjone;
chuto he,
tumi eibaar
nebe taqwaar
somuuuccho ason
ohe!
Chuto age cholo;
pap-tap dolo;
nebe nebe bolo;
magferater o ALO'i.
Ajo romjan
elo ghore ghore
elo modhu swore
zeno jhongkar tole oi...
<END>
------------------------------------------------
মেতেছে বৌদ্ধ
@Umme Habiba@
প্রবল মেতেছে
বৌদ্ধ-গৌতম;
জরেশ্বর বিশ্বাসী,
ধুকে-ধুকে মরে
মুসলিম ভাই;
দুর আরাকানবাসী!!
নরহত্যারে
মহাপাপ বলে
রচিছে সংবিধান,
আজকে তারাই
মানুষ মারে
হায়রে কোন বিধান!!
ক্ষুধা-তৃষ্ণা আর
শঙ্কায় পরে
হয়রান আজ মানব,
বুঝি ফের এসে
যোগ হয়েছে
আধার দুর আরব!
জরবাদী ওরা
মেলেছে মেলেছে
শোষনের হাতিয়ার,
শুনেনা শুনেনা
মুসলমানের
মৌল ইখতিয়ার.
ওগো রহমান!
দেখে রাখো ওদের
গুনে গুনে এইক্ষন,
এনে দাও প্রভু
মুসলমানের
মুক্তির সন্ধিক্ষন.
-------------------------------------
'Dhoirzo'
@habiba@
Baadh-vanga katorota dhoirzer kache ese
mane porajoy,
adharir voy-viti aloker kache zeno
howa nirvoy.
Procondo shok-gaatha anonde rup ney
hole dhoirzo,
ektuku dhoirzei kangkhito rup niye
fere showrzo.
Jiboner mane ei dhoirzer'i proticchobi
hok sokoler,
dhoirzo ke sathi kore chance nao allar
rohom joyer.
(ottonto dukhito zothazotho vabe o zothasomoye lekha pathate parini/parchina bole!)
----------------------------------