"ঈদ হোক পরিবর্তনের"
.
.
ঈদের খুশি বাড়িয়ে দিক
সিয়াম সাধনার তেষ্টা,
সারামাস, সারাদিন সংযমে ভড়েথাক আমাদের অন্তরাত্মা।
ঈদ বয়ে আনুক
সম্প্রীতি আর ভ্রাতৃত্বের বার্তা।
ঈদ মুছে দিক
মুসলিমদের সমস্ত মুনাফেকী, বিশ্বাসঘাতকতা।
ঈদ হোক সবার!
ধনী-গরীব নির্বিশেষে
কেউ বাদ যাবেনা ঈদের খুশির লেশ থেকে।
ঈদ পুঁড়িয়ে দিক
বিলাসিতার অহমিকা, অন্তরের সব হীনমন্যতা।
খুশি, আনন্দ ভাগ করে নিলেই বাড়ে উদারতা।
ঈদ আসুক!
শুদ্ধতার বিশাল তরী নিয়ে
আমরা স্বাগত জানাই ঐক্যের ঝান্ডা নিয়ে।
ঈদের খুশিতে হোক
আমাদের 'প্রত্যাবর্তন '!
আমরা অনিয়ম ভুলে নিয়মের গলিতে করি অবগাহন।
ঈদ না হোক বিবর্ণ তথাকথিত,
ঈদ হোক নির্জলা যথাযথ।
ঈদের পবিত্র খুশি আর শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ুক!
আমাতে, তোমাতে, অন্তরে অন্তরে
পরিবার থেকে সমাজের পরতে পরতে।
(৪.৬.১৬)
-----------------------------
তীব্র রোদের ঝলকানিতে পুড়ে যাক এ প্রান্তর
মাঠ, ঘাস,গাছ আর আমরা পুড়ে শেষ হয়ে আবার যেন বেড়ে উঠি;
একেবারে ফরমালিন মুক্ত হয়ে।
ঈমানের পাথরগুলোয় শান দেয়া খুব দরকারী হয়ে পড়েছে
তা নাহলে পাথরগুলোয় বিশ্বাসহীনতার গ্রহন লাগবে যে!
কি নির্মল ঈমানের প্রদীপ্ত সূর্য্যরশ্মি?
অথচ আমরা সর্বদা দুরন্ত ছুটে চলা কালো মেঘটাকে বক্ষে পুষি।
অযথাই বৃষ্টি বর্ষিয়ে ঈমানের পাথরগুলি তলিয়ে ফেলি
হই লক্ষ্যহীন বর্বর ইনসান।
তখন শিরা উপশিরায় বর্বরতা বেপোরোয়াভাবে খেলা করে,
পাথরগুলোকে গুটি বানিয়ে।
মানবতা, ভালোবাসার ইমারত কেমন খসে খসে পড়ে,
বর্বরতার সীমা পেরিয়ে দুষণ বেড়েই চলেছে ক্রমাগত।
হোক তবে পুড়ে ছাই
আমরা, এ গোটা প্রান্তর
আবার বেড়ে উঠি ফরমালিন মুক্ত হয়ে।
সুতীব্র এক ঈমানের প্রাচীর নিয়ে।
(আত্মার কান্না)
-----------------------------
গীবতকে না বলুন'
আসরঃ৮৭
গীবত করবোনা, গীবত শুনবোনা
কাউকে গীবত করতে উৎসাহিতও করবোনা।
এটাই হোক আমাদের শক্ত প্রতিজ্ঞা।
কোরআনে বর্ণিত আল্লাহর বিধান
গীবত করা মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সমান।
এটাও কি জানো?
যে করে গীবত হাশরের ময়দানে তার গালে থাকবেনা মাংস।
পরনিন্দিত ক্ষমা না দিলে
আল্লাহও ক্ষমা দেবেনা,
দেবে জাহান্নামে ঠেলে।
আড্ডা বা গল্পের আসরে
তোলা যাবেনা গীবতের ঝর।
চাইলেই সেথায় করা যায় আল্লাহর গুনগান।
আসো, গীবতকে 'না' বলি!
দুনিয়া এবং পারলৌকিক জীবন সুন্দর করি।
--------------------------------
রামাদান হাসি
________________
পর্ব:৮৫
________
রামাদান এসেছে
অফুরন্ত রহমতের ঘন্টা বাজিয়ে।
পাপী তাপি সিক্ত হবে
অচ্ছুত কৃচ্ছ্বতা মুছে ফেলে।
ভাগ্যের দরাজে সুপ্রচ্ছন্নতার ছাপ রেখে।
মাহেন্দ্রক্ষণ ঠুক ঠুক আওয়াজ তুলেছে দরজায়!
কেন তুমি ঘুম যাও?
খুলে দাওনা অন্তরের কপাট!
সিয়াম পালনে হওয়া যায় প্রিয়তম রবের অতীব ঘনিষ্ঠ,
তাকওয়ার মাধ্যমে রাখা যায় নিজেকে সুরক্ষিত।
কতটা বোকা হলে
এ মনোরম সুযোগ করে কেউ হাতছাড়া?
আহারে! জান্নাতের আটটি দরজাই শুধু তোমার জন্য খোলা।
আর কতটা সুযোগ পেলে জাগবে তোমার মৃত আত্মা!
এ সু-সুরম্য রামাদান মাসে
খুলে ফেলো পাপের পোশাক, পাপের চশমাখানি
পবিত্র চোখ দিয়ে দেখো বিরাজমান কৃতজ্ঞতার কত শত নিয়ামতরাজি!
সিয়াম পালনে বুঝবে তোমার অবুঝ অন্তর
কতটা কষ্ট থাকে অনাহারীর দুখে।
তোমার অল্প অল্প দানে নির্মল হাসি দেখবে ওদের পবিত্র মুখে।
যত আছে পাপ!
শুদ্ধ সিয়াম পালনে হয়ে যাবে মাফ।
সরব, সুচিন্তন হও তবে
আর শামিল হও ভাগ্যবানদের মিছিলে।
রাইয়্যানের দরজা আছে কেবল রোজাদারের প্রতিক্ষাতে।
---------------------------------------
পর্বঃ৭৮
(বন্ধুত্বের পরশ)
.
বন্ধু মানে
তুই আর আমি মিলে এক পবিত্র পৃথিবী।
বন্ধু মানে
তুই আর আমি মিলে সমস্ত অন্যায় দেবো কোরবানি।
বন্ধু মানে এটা নয়!
বয়ফ্রেন্ড, গাল্ফ্রেন্ড রাখতে উৎসাহ জোগাবি।
বন্ধু মানে
'মানুষ' হওয়ার পেছনে তোর অবদান খুব জরুরি।
বন্ধু মানে
যা ইচ্ছে তাই করবো এমন নয়!
বন্ধু মানে
ভুল আর অশুদ্ধতা মুছে দিয়ে,
সরল পথে চলতে হাত বাড়াবি।
বন্ধু মানে
অশ্লীল আড্ডার আসর নয়,
বন্ধু মানে
তুই আর আমি মিলে শিখবো কি করে হতে অতীব বিনয়ী।
বন্ধু মানে
কিছু দায়িত্ব নিয়ে সর্বদা তোর পাশে দাঁড়ানো,
থাকে থাকুক তাতে সুখ দুঃখ জড়ানো।
বন্ধু মানে
তোর আমার দেখা সবুজ স্বপ্ন,
যাতে থাকবে দেশের কল্যান নিহিত।
বন্ধু মানে
চোখ রাঙিয়ে বকাঝকা,
আবার তোর কাছে মনের কথা বলা।
বন্ধু মানে
নয় কাটাকাটি, হিংসা আর অহম,
বন্ধু মানে
তুই আর আমি মিলে হবো' উত্তম'
বন্ধু মানে
তোর সাথে আঁড়ি,
আবার ভীষণ রকমের ভালোবাসা বাসি।
বন্ধু মানে
তুই আর আমি মিলে খুঁজবো প্রভুর সন্তুষ্টি।
-------------------------------------------
বৈশাখী নৃত্যে ডুবে যেওনা,
জীবনে কাল বৈশাখী আসতে কতক্ষণ!
এসব না পালন করলে কি ঘটবে মরণ?
শোভাযাত্রায় আদৌ কি শুভ কিছু থাকে?
নাকি অশুভ ছায়ার জাদুতে মেতে ছুটে চলো নগ্নতার দিকে!
শ্লীলতার হানী ঘটিয়ে,
কখনো কি কবরে পাঠানো যায় অশ্লীলতাকে?
কেন নিয়ম ভঙ্গের মধ্যেই
খুঁজে নিতে হবে সমস্ত আনন্দ, উৎকর্ষতাকে।
এতে হয় কতশত সময়ের ক্ষেপণ,
একটু কাজে লাগালেই হতে পারে সমাজের জাগরণ।
আসলে তোমার আমার চোখে বোবা ভূত চোখ রেখেছে,
তাই সম্মোহিত হয়ে আমরা নেচে চলি তালে তালে।
অন্যায় হচ্ছে হোক আমার কি তাতে?
আপাতত আমি আছি নিরাপদে।
এটা ভেবেই আবার বোবা ভূতের সাথে চলি ছন্দে ছন্দে।
রুখে দেয়ার ক্ষমতা কর্পূরের মত কবেই গেছে উবে!
আমাদেরই পাপে পৃথিবীরর দম বন্ধ হয়ে আসে,
তা জাননা দেয় কম্পনে কম্পনে।
বোবা ভূতের সাথে চুম্বন কবে শেষ হবে?
কবে গলা ফাটিয়ে বলতে পারবো
কোন ভূতের আবাস হবেনা আমার দেশে।
রাত্রি শেষে থাকবেনা কোন কালো চিহ্নু,
মিলেমিশে থাকবো আমরা ভাই, ভাই, বন্ধু।
প্রতিজ্ঞ হবার সময় এখন,
সু-চিন্তিত মনে ভেবে
আসো পালনে মত্ত হই প্রভুর নিয়ম।
------------------------------------------
নিরন্তর হেটে বেড়াই
আমার ঘাতক আত্মার মরণ কামনা করে।
হেটে চলি দিক বেদিক,
এক টুকরো শুদ্ধ খোয়ায় পা কাটতে;
যেন আমার সমস্ত অপবিত্র রক্ত ঝরে যায়।
আর,আমার শরীর নিস্তেজ হয়ে যেন পড়ে থাকে,
যদি কখনো উঠি সেটা যেন হয় আমার পবিত্র উত্থান।
এই অপবিত্র রক্তের দম্ভতায়,
কত পাপের ঘরে বসত করেছি!
নেশায় নেশায় অন্ধকারকে আলো ভেবে
মৃত্যুর চোখে চোখ রেখেছি।
অহমে রক্ত টগবগ করতো।
কত রকমের নেশা?
কোন নেশা আমায় ঝাপটে ধরেনি!
সব নেশার ঘরে আমি সিঁধ কেটেছি।
মাদক নেশা, পুঁজে ভরা প্রেমের নেশা
আরও কত কুচকুচে কালো নেশার ঘরে ঘুম গিয়েছি!
আসলে নফসের গোলামির রশি গলায় দিয়েছি।
তাই অনবরত নেশার প্রলাপ বকি।
এখন মাঝে মাঝে মাথায় খুনের রোখ চাপে,
কৌতুহলী মনে ভাবি
খুনে বোধহয় বেশ পৈশ্চাশিক আনন্দ পাওয়া যায়!
পারিপার্শ্বিক ঘটনা আমাতে এতে সাহস এনে দেয়,
কতই তো ঘটছে খুন, বিচার কই?
এই নেশার স্বাদ একবার নাহয় নেই!
আমার অপবিত্র রক্ত এতে স্বাগতম জানায়।
কিন্তু হঠাৎ -ই!
আমার বিবেকবান মন
পথরোধ করে দাঁড়ায়।
আমি সম্বিত ফিরে ফিরে ভাবি,
আর হেটে চলি নিরন্তর;
আমার ঘাতক আত্মার মরণ কামনা করে।
মনে মনে প্রতিজ্ঞ হই,
সবকিছু মুছে আর ফিরবোনা পাপের ঘরে।
নিস্তেজ হয়ে পড়ে রবো প্রায়শ্চিত্তের বাহুডোরে।
খোদা চাইলে
ফিরবো শুদ্ধ হয়ে,
নাহয় আমার ঘাতক আত্মা বিদায় নিবে অপমান নিয়ে।
(ঘাতক আত্মা)
-------------------------------------------------------
সত্যের প্রদীপ জ্বলুক
স্বমহিমায়...
জ্বালিয়ে দিক আমার পাপী অন্তরাত্মাকে,
আবার আমি যেন, 'আমি' হয়ে উঠি।
আমার ভয়ংকর রাক্ষুসে নফস ধংস হোক
মিথ্যে মানুষের খোলস অগ্নিস্ফুলোকে ভষ্ম হোক,
অন্তরের আনাচে কানাচে নিরব পাপগুলো পঙ্গুত্ব বরণ করুক;
যেন আর ঘাড়ত্যাড়া হয়ে দাঁড়াতে না পারে।
আর আমি আমার অস্তিত্বের পাথর কুড়াই..
আবার পাথরে হোঁচটও খাই!
আসলে স্বচ্ছ অস্তিত্ব দেখে, নকল অস্তিত্বের কংকাল পথ রোধ করে দাঁড়ায়।
আমি আবার অস্তিত্ব সংকটে ভুগি!
চিন্তার জাল ভেদ করে আবার চিন্তা করি...
আমি মানুষ!
নাকি মানুষায়িত খোলসে আবৃত এক অভিশাপ?
তবে কেন?
আমাতেই ঘৃণ্য পাপ জন্ম নেয়,
আমিই কেন হই প্রলয় খেলার পুতুল?
আমার আলাদা একটা পরিচয় আছে!
আলাদা জগত..
যেখানে শান্তি খননের দায়িত্ব কেবল আমারই!
কিন্তু হায়!
আমার জগত চিহ্নিত করতে পারিনি,
অস্তিত্বের ঠিকানা ডায়েরি হতে মুছে গেছে।
তাই অস্তিত্ব পেতে ভুল পথে পা বাড়াই..
আলো ভেবে মরিচিকায় অনবরত সাঁতরাই।
তবুও না পাই
আমার অস্তিত্বের এক শিশির বিন্দু।
(অস্তিত্ব সংকট)
----------------------------------------------
পথ
_________________
.
পথের সন্ধ্যানে..
পথ ঘুরে ঘুরে
ক্লান্ত অবসন্ন মনে চোখ মেলে দেখি,
ঠায় সেখানেই দাড়িয়ে আছি!
যেখানের বাতাসে শুনি শুধু অন্যায়ের ফিসফিসানি।
আর চারদিকে লোলুপ দৃষ্টি
যেন খুবলে খাওয়ার লোভে
সবাই শুধু আমাকেই দেখে।
চরম বিকৃতির খোলস পড়ে
প্রত্যেকেই সেজে আছে যেন মানবতার গিরগিটি।
পথের সন্ধ্যান না মেলে!
যদিওবা মেলে, না দাড়াতে পারি পোক্তভাবে?
বুকটা দরফর করে..
মুক্তির ঝান্ডাধারী সবাই কি হতে পারে?
অন্যায়ের অজস্র বাদামি ধুলো
কিভাবে ঝাট দিবো এত কমজোর ঈমান নিয়ে?
সম্মিলিতভাবেই আমাদের ঈমানে কালো দাগ পড়েছে।
তাইতো অন্যায়ের গাছ ফুলে ফুলে ভরেছে।
আর কত অন্ধকারের পুকুর তৈরি হলে
আমাদের ঈমান জেগে উঠবে?
তাই অজানা আশংকা বুকে নিয়ে..
অশান্ত চিত্তে প্রশান্ত হবার লোভে
বারবারই ধরণা দেই রহমানের দরবারে।
আর করুন ভিক্ষা জানাই
আমরা সবাই যেন দাড়াতে পারি
শুদ্ধতম পথের কিনারে।
----------------------------------------------
পর্বঃ৭৪
(জীবন খেয়া)
__________________
জীবনে থাকে রঙ বেরঙের বাহারি কষ্টের গল্প।
কতটুকুই বা জানি?
কখনো কি জানার চেষ্টা করেছি অল্প সল্প?
জীবন একটা নদী..
যার দুপাড় দুটো ভিন্ন চাদরে আবৃত।
যখন রুপালি চাঁদের আলো বিকিরিত হয়,
তখন হয়তো!
এপাড়ের রঙমহলে তানপুরায় সুর ওঠে
কিংবা রাত্রির গহীনে অন্যায় হেসে ওঠে।
নড়েচড়ে ওঠে গভীর ষড়যন্ত্রের খাতা
কোন এক বদ্ধ ঘরের গোলটেবিলে।
চশমার ফাঁক গলিয়ে
চোখগুলোকে হিংস্র জানোয়ারের মতই লাগে।
কোথাও হয়তো কাঁচের বোতলে বোতলে ওঠে টুংটাং শব্দ,
আর নেশার খেলায় থাকে হর্ষধ্বনি।
এপারে জীবনের গন্ধ এমনই!
আর ওপাড়ে!
চাঁদের বিকরিত আলোর মতই
তাদের কষ্টগুলো হু হু করে ওঠে রাতের গভীরে।
একটু স্বস্তি পাওয়ার লোভে
সংগ্রাম করে যায় অবিরতভাবে।
কেউ কেউ সৎভাবে লড়তে না পেরে,
রাত্রির অন্ধকারে মিশে
অন্ধকারের মিছিল করে।
তারা লড়ে একটু অধিকার নিয়ে বাঁচার,
ওপাড়ের মানুষ এদের রক্ত শুষে
হুংকার দেয় বারবার।
এটাই কি জীবন?
নাকি সুন্দর জীবনের নামে হা হুতাশ?
জীবন ওটাই
দুপাড়ের কালো ছাপ দুর করে
বাজবে সত্যের সানাই।
স্রষ্টার নিয়ম মেনে হবে
সত্য ও সুন্দরের লড়াই।
.
____(২০.৩.১৬)
------------------------------------------
নিদ্রা নামুক পাপের চোখে,
নাহয় অন্ধ হয়ে যাক?
কিছু মানুষ মুক্তি পাক বিষ পলক হতে।
বুনো কাটায় পা না কেটে
একটু রক্ত ঝরুক সত্যের তলোয়ারে!
সত্যের ধারকের বুক হতে হয় বিশাল জমিন.
যেথায় কষ্টের বৃষ্টি ঝরে,শিলাও পড়ে
পশুর ন্যায় অন্ধ নফসের চাওয়াকে কবর দিতে হয়।
তুমুল জ্বলোচ্ছাসে সত্যের কুটো ধরে ভাসতে হয়
কখনো বিলীন হয়েও যেতে হয়!
সত্যের ধারকেরা এমনই হয়...
চাওয়া পাওয়ার সফলতায় নিমগ্ন থাকেনা
চেষ্টার পরিশুদ্ধতা অর্জনই তাদের সফলতা।
সত্যের বল্লমে দ্বিখণ্ডিত হোক
ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাক পাপের চোখ।
মিথ্যার পিঁপড়া গর্তের খিল আটুক,
নাসিকারন্ধ্র নষ্ট হোক
লোভের চিনির গন্ধ না পেয়ে পাগল হয়ে ঘুরুক।
সত্য একটু আলো দেখুক!
সত্যের আলো আর স্বাভাবিক আলো মিলে তৈরি হোক তীব্র আলো,
যাতে পথ চলতে গিয়ে ভুলে কেউ গর্তে না পড়ে।
আর হিংস্র পিঁপড়ের কামড় না খায়।
-----------------------------------------
____ঘন্টিবাধক ____
_____খাদিজা ইয়াসমিন
সময়ের ডিপ ডিপ পাঁজরে
আমি এক বেসুরো ঘন্টিবাধক।
ঘন্টা বাজাই সময় অসময়..
নিয়ম অনিয়মের বাঁধন ছিড়ে।
ঘন্টা বাজাই বিকট সুরে
ডেকে আনি অন্যায়ের প্রলয়।
ডেকে আনি পাপের গুটি গুটি পোকা।
সুরের মোহতানে পাপেরা ছড়িয়ে পড়ে,
ঘরের মেজো হতে অতলের অতলে।
বেনারশি পড়া টুকটুকে বধু
কিংবা গোলাপ হাতে প্রেমিকার বেশে।
ঘন্টা বাজাই কখনো করুন সুরে!
আর ডেকে নিয়ে আসি মিথ্যে জ্বলোচ্ছাস।
জাগিয়ে তুলি পঁচন ধরা আবেগের প্রেতাত্মা,
মায়া জলে হাবুডুবু খেয়ে তীরে এসে মেলেনা
বাড়ি ফেরার বৈঠাখানা।
ঘন্টা বাজাই এখন আরও শক্ত পোক্তভাবে
ঘন্টায় যে মেখেছি রক্ত!
নিস্পাপ রক্ত!
কি পবিত্র গন্ধ!!
কিন্তু এ গন্ধ বেশিদুর যাবেনা
লোভ আর পাপের বিষ মিশিয়েছি সুরে,
রক্ত কনিকায় পঁচন ধরে যাবে।
এ মাটির বুনোগুল্ম না কখনো শোভন হবে?
ঘন্টা বাজাই আবার ক্লান্তও হই!
সাহস নেই কারো থামাবার।
সবাই আত্ম প্রেমে মগ্ন
ঘুমে বেতাল।
সত্যিই কি কেউ নেই?
পাপের মহিরুহ উপ্রে ফেলার।
--------------------------------------------
'খোলসায়িত মানুষ'
পর্বঃ৭৩
.
অন্ধকারের কালো চাদর দুরে ঠেলে
বিবেকের ডাকে জেগে উঠি!
আর কত বধির হয়ে রবো?
আর কত অমানুষের পোশাক পড়ে রবো?
অবয়বে 'মানুষ' হয়ে ফায়দা কিসে?
যদি মন মহল ভরে থাকে নিকৃষ্ট পশুত্বে।
নেতিয়ে যাওয়া বিবেককে আর একবার জাগরণের গান শোনাই!
শোনাই ঈমানের শাণিত বানী।
ন্যায় অন্যায়ের প্রার্থক্য বুঝে
বাড়াতে হবে সামনে চলার গতি।
ভঙুর পৃথিবী শোধণ করে মনুষ্যত্যের পরিচয় দিতে হবে।
আমরা 'মানুষ'!
দাবী করি জোড়সে..
অথচ সমাজ ভাঙনের হাতিয়ার আমাদের হাতেই গড়ে ওঠে।
শিক্ষায় নেই সুশিক্ষা...
জ্ঞানপাপীরা সমাজের হর্তাকর্তা।
বেড়ে গেছে অন্যায়, অবিচার নামক গাছের ডালপালা।
নীতির মূল উপ্রে
গ্রোথিত হয়েছে ভ্রষ্ট কৃষ্টি,
নষ্ট পথে পা কেটে আবার আমরাই করি 'মানুষ' দাবী।
নির্বাপিত হোক নীতিহীন রাজ্যের ব্যবসা,
পবিত্র হাওয়ায় শুকিয়ে যাক লোভের ঘাঁ।
নষ্ট আবেগের চোখ মুদে
বিপ্লবের রক্তে জেগে উঠুক মানবতা।
মানবতায় মিশ্রিত হোক শুদ্ধ মানবতা।
ভেদাভেদ ভুলে অবশিষ্ট থাকুক প্রতিশোধহীন ভালোবাসা।
.
(১৩.৩.১৬)
----------------------------------------------------
ঘুমিয়ে কাটে দিন
কি করে শোধিব সময়ের ঋন?
পথ চলতে গিয়ে বারবার হয় ভুল
শুদ্ধতায় প্রেম না থাকলে যাওয়া যায় কি বহুদুর?
ঘুমিয়েই স্বপ্ন দেখি..
রঙ মাখি নতুন পৃথিবীর গায়,
লড়াই দেখে দুরে বসি..
ভুলে যাই নিজের দায়।
অনুতাপের বিষে নীল হোক তবে মনের অন্দরমহল,
'মানুষ' হবার প্রত্যয়ে ভেঙে পড়ুক অভিশপ্ত মনের চকমকে রঙমহল।
পথ চলা হোক ভালোবেসে..
কন্টক বিশ রয়ে সয়ে।
পবিত্রতার আবির স্থাপিত হোক ধীরে ধীরে,
মনের মরমে অস্পষ্ট ছোপ ছোপ দাগ মুছে যাবে।
অপবাদের ডাল যতই হোক বিস্তৃত
শুদ্ধ হাওয়ায় হবেই লন্ডভন্ড।
ঘুমিয়ে নয় দিন কাটুক লড়াইয়ে..
নিজেতে, নোংরা পৃথিবীর হাওয়া বদলে সবুজ পৃথিবী গড়তে।
-----------------------------------------
এইতো সেদিন!
পাঁজরের ধুঁকপুঁক, অনুভুতি
বেশ চঞ্চল ছিলো।
কথা শুনতো না...
চোখ রাঙানিও ভীষণরকম উপেক্ষা করতো।
গোধূলি হতে রঙ এনে ইচ্ছেমত মাখতো,
রাতের বিহনে কবিতা খুঁজতো;
শিশিরের স্পর্শে উষ্ণতা খুঁজতো।
কিন্তু অনুভুতিরা এখন বড় হয়েছে,
ভারিক্কি এসেছে চঞ্চলতায়।
অযথা আর বারিষে ভিজতে চায়না।
যদি সেটা এসিড বারিষ হয়!
সূর্য স্নান করতে এখন একটু ভেবে নেয়,
যেন অতি বেগুনি রশ্মি ঢেকে না নেয়।
তবু মাঝে মাঝে পাগলামো করে,
তখন শান্তভাবে বুঝাই....
এত বেহিসেবি হলে চলে?
তোকে যে ধারন করে মানুষটা!
তার অনেক দায়িত্ব,
শুধু তোকে নিয়ে থাকলেই হবে?
তুই তো সাময়িক!
এই উত্তাল, এই নিশ্চুপ।
অশান্ত পরিবেশ শান্ত করার দায়িত্ব এই মানুষটার।
তোকে অধিক অলংকৃত করলে
বাতাসের কণায় কণায় যে বিষ গেঁথে যাবে।
তখন নিরাময় না হয়ে..
নিরামিষ হয়ে পঙ্গুত্ব মেনে নিতে হবে।
.
.
(পাঁজরের কথা)
-------------------------------------------
এক পিচ হাওয়াই মিঠাই!
এ বসন্ত ফাগুনে,
মনেরও গহীনে চুপ চুপ আগুনে
বিগলিত হলেও!
আবার মনেরই গহীনে এক শক্ত পাথর বসাও
যাতে আগুন, ফাগুন, উচ্ছসিত আবেগ থুবরে পড়ে।
বসন্ত শুধু হোক শুদ্ধ আগমনী বার্তা,
শুদ্ধ ভালোবাসায় পূর্ণ।
ফাগুনের আগুনে পুড়ে যাক
যাবতীয় অপবিত্রতা।
জন্ম নিক প্রতিক্ষণে মুহূর্মূহ দিবস
দুর হয়ে যাক ভালোবাসা নামক হাহাকারের শূণ্যতা।
তবে এ ন্যাকামো কাকুতি আর নয়!
শব্দে নামুক, চাহনিতে খেলা করুক, চলায় নয় কেন!!
জীবনে নামুক পবিত্র বৃষ্টির পশলা।
...
.
(হাওয়াই মিঠাই)
--------------------------------------------
সময়ের এককেকটা সিড়িতে ভিন্ন ভিন্ন কাঠিন্য মেশানো।
ভিন্ন স্বাদ, ভিন্ন মমতা, ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষিত।
কখনো কখনো আবেগি সময় ভীষণ জড়িয়ে নেয়!
হারিয়েও যাই রঙমহলের গহিনে।
আবার কখনো কখনো সময়ের শাসন ভেতরটাকে নারিয়ে দেয়!
তখন চুপ করে যাই, স্তব্ধ হয়ে সামনে তাকাই....
ধূসরতার এক বিশাল আবরণ ঢেকে দেয় দুটি চোখ,
চোখ কচলে আবার তাকাই..তীব্র কাটার এক পথ আবিস্কার করি,
দেখি কেউ নেই পাশে, একার পথ একাই চলে যেতে হবে সময়ের শুদ্ধ তীরে।
আসলে সময়ের সিড়িতে টিকে থাকার যোগ্যতা সবার থাকেনা!
আমিও তাদের মধ্যে একজন....
তাই পাঁজরের গহীনে ব্যথা নিয়ে ঘুম যাই,
নতুন এক আবির রাঙা ভোরের প্রতিক্ষায়।
যে ভোরেরর শিশিরে সুর ওঠে পৃথিবী বদলাবার,
সে ভোরের আবিরে স্বপ্ন দেখা প্রত্যেকটা মানুষের স্বপ্নে জন্ম নিবে পবিত্রতার বিশাল গাছ।
আমরা হেরে যাওয়া মানুষ নাহয়!
সে গাছের ছায়ায় একটু জিরিয়ে নিবো।
৮.২.১৬
-----------------------------------
মৃত্যু
------------
এ ঝমকালো পৃথিবীর তীব্র আকর্ষণ, তীব্র মায়া..
একদিন ফিকে হয়ে যাবে।
রঙগুলো ধূসরে মিশবে...
এ পৃথিবীর তীব্র ভালোবাসা শেষ হয়ে যাবে।
ওপারের পৃথিবী দু রকমের হয়!
খুব ভালো,প্রশান্ত আর খুব খারাপ,অশান্ত।
এ পৃথিবী হতে কতটা ভেজালমুক্ত পুঁজি ডালায় তুললাম??
সেমতেই হবে এ আত্মার ব্যবস্থাপন।
মৃত্যু!
আমাদের খুব নিকটে থাকে,
একদম সজাগ!
শুধু একটা ইশারার অপেক্ষা।
মনে হলেই গা শিহরে ওঠে...
ভুলে গেলেই অন্যায় গিলি গোগ্রাসে।
তাই মৃত্যু কে স্মরিতে হবে অহরহ বার..
শুদ্ধ পুঁজি নিয়ে যোগ্যতা হয় যেন ওপাড়ে পারি জমাবার।
(৩.১.১৬)
----------------------------------------------

বহুদূরের সীমানায় প্রতীক্ষিত একগুচ্ছ কাশফুল।
ওখানে হাসির ফোয়ারা বয়, আবার মাঝে মাঝে
দিতে হয় ত্যাগের পরিচয়।
ইচ্ছে হলেই ওখানে যাওয়া যায়!
কিন্তু বুকের ভেতরের নদী পরিশুদ্ধ না হলে থাকাটা দুঃস্বপ্নময়।
এই সীমানায় আসার একটাই নদী..
যার তীব্র স্রোত অন্তরে প্রবাহিত হতে হয়।
তারপর স্রোতের গতিতেই ছবি অংকিত হয়,
কোন একটি ইন্দ্রিয় প্রচন্ড করাঘাত করে হৃদ দরজায়,
তখনই!
কি পেলাম? কি পেলাম না?
হিসাবের খাতা ছিড়ে ফেলে,
পথে পথিক মুক্তির রশিতে নিজে বেঁধে নেয়।
আবার চলতে চলতেই অচ্ছুত চিন্তারা মাথাচাড়া দেয়,
অনেক সময় পথিক এলোমেলো হয়ে যায়।
চিন্তার অসারতায় ইস্পাত হৃদয়ে ফাটল ধরায়।
চাঁদও কিছু কলংক নিয়ে পৃথিবী আলোকিত করে যাচ্ছে,
'মানব' হয়ে থাকবো ভুলের উর্ধ্বে
এ চিন্তাতেই পাপ মিশ্রিত থাকে।
অন্যকে একবার দেখে, নিজেকে শতবার দেখতে হবে অনুতাপের আয়নায়,
অন্যের দোষে রঙ না লাগিয়ে
শুদ্ধতা ঢালা উচিত নিজস্ব কদর্যতায়।
তবু 'কেন এমন!' কথাটা মুছে দিয়ে
আরেকবার স্নান হোক পরিশুদ্ধ নদীতে।
মুক্তির স্বপ্ন বুনোক পথিকে অহংকার থাকেনা মিশে!
তবে কেন এত দেরি হিসাবের খাতা ছিড়তে?
এমন তো হবার নয়,
সব হিসাবের প্রাপ্যতা এখানেই মিলবে!
কিছু হিসাবের সবুজন্ততা মিলুক না হয় ওখানে গিয়ে।
------------------------------------------------
(শীত এসেছে)
.....................পর্বঃ৬১
শীত এসেছে...
কুয়াশায় ভেজাবে বলে।
সাদা ধুম্রজালে জড়িয়ে
শিশিরের স্পর্শ দিতে।
শীত এসেছে..
ঝরা পাতা ঝরে গিয়ে,
সবুজ কচিদের প্রানবন্ত করতে।
শীত এসেছে...
পিঠা পুলির ধুমধামে মেতে উঠতে,
আপনজনদের মাঝে খুশি বিলাতে।
শীত এসেছে...
বুনোফুল, ঘাসফুলে সজীবতা দিতে।
শিশির মাখা শুভ্র শুভেচ্ছা প্রিয়জনকে দিতে।
শীত এসেছে...
'মানুষ' হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত করতে।
বঞ্চিত আর অসহায়দের শীতের কাপড়ের মতই কাছে টানতে।
শীত এসেছে...
আবার চলেও যাবে!
আমার মাঝে কতটা 'মানুষ' সেটা জেনে নিয়ে।
----------------------------------------------
একসাথে,একই পথে
মরু কিংবা সাগর পাড়ি দিয়ে;
ওপারের পৃথিবীর কিছু সগন্ধ পবন এখানে নিয়ে আসবো।
ওই পৃথিবীরর শান্তির বীজ এখানের মাটিতে রোপন করবো।
একসাথে, একইমতে
যন্ত্রনার কীট সরিয়ে;
এ মাটির উর্বরতা ফিরিয়ে আনবো।
লালিত স্বপ্নকে বাস্তবের সিড়িতে দাঁড় করাবো।
একসাথে, এক মুঠোতে অসংখ্য হাতের বন্ধন..
জোড়ালো করে বন্ধুরতা পেরিয়ে সামনে দেখবো ;
হাজারো তীরের কষ্ট সইবো।
বুকের রক্তে একটিই নাম লিখবো।
একসাথে, সহস্র চোখের একটিই স্বপ্নালক্ষ্য নিয়ে..
পথের এ ধারে দাঁড়িয়েই রবো!
অসংখ্য বাজপাখির ঠোট হতে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিবো।
একসাথে, কোটি হৃদয়ের রক্তের একটি সমূদ্রে...
সত্য, ন্যায় আর অধিকারের স্রোত বয়ে দিবো।
প্রয়োজনে!
একসাথে, একই আবেশে ঘুম গিয়ে..
লাল সবুজের পতাকা হবো।
তবুও একটিই নাম লিখবো 'বাংলাদেশ'।
----------------------------------------
তুমি কি জান?
এখানে তোমার কাজ এখনো শেষ হয়নি।
'ভালো আছো' তোমার মতো করে,
যখন যেরকম ইচ্ছে সেভাবেই রঙ মাখো
যত্রতত্র ;
এটা কখনোই হতে পারেনা তোমার বৈশিষ্ট্য।
তুমি ভালোবাসো আকাশ, মাটি, গোধূলি, প্রকৃতির সবুজরাশি।
তবে মানুষকে নয় কেন?
মানবিক হয়েও অমানবিকের চাদরে খুব বেশি ঘুমের গাঢ়ত্ব।
এখন এমন কি হলো?
চিন্তায় দোদুল হয়ে অসহনীয় শব্দে 'মানবিক' হবার এ কেমন প্রয়াস!
দায়ভার আমরা কেউ এড়াতে পারিনা..চাইলেও না,
এটাই প্রকৃতির নিয়ম!
তাহলে এসব গঠন কথা, ভালোবাসা, শব্দে শব্দে নিজেকে হারিয়ে ফেলা দায়ভার এড়ানোর জন্যই কি???
----------------------------------------------
ঝরা পাতার মর্মর শব্দ শুনে আর চারদিকে কুয়াশার সাদা চাদর দেখে বুঝতে পারি আমাদের মাঝে শীত সমাগত। আমরাও খুব খুশি আর উৎফুল্লতারর সহিত শীতকে বরণ করে নিচ্ছি। শীতকে কেন্দ্র করে গ্রামে এক উৎসব মুখোর পরিবেশ বিরাজ করে। আগুনের কুন্ডলীর পাশে লোকজনের সমাগম, আড্ডা, শীতের রাতে বনভোজন, নদীতে রাত জেগে মাছ ধরা, পিঠা বানানোর ধুম। ইত্যাদি। গ্রামের তুলনায় শহরের চিত্র অন্যরকম, যান্ত্রিকতা পিছু ছাড়েনা কখনোই। 
এ তো গেলো শীতকে ঘীরে আমাদের আবেগ, অনুভুতি, আবেশের কথা। যদি একটু সচেতন দৃষ্টি মেলে দেখি! দেখা যাবে আমাদের চারপাশের, কাছের মানুষেরাই শীতকে আমাদের মতো আবেশে বরণ করতে পারেনা। এ দেশের একটা উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠী ভাসমান এবং দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে, যারা নিয়মিত খাবার পায়না, কর্মসংস্থান ও চিকিৎসার সুবিধা পায়না। তারা কিভাবে শীত বা অন্য ঋতু বরণ করবে??
অথচ একটা গোষ্ঠীর দিকে তাকালে দৃষ্টিতে তাদের বিত্ত বৈভবের জৌলুসই দেখতে পাই। প্রত্যেক দিবস, উৎসব, ঋতু যাই বরণ করি তাতেই তাদের উপস্থিতি রমরমা।
আমরা যদি একটু মানবিক হতাম, তবে কতইনা সুন্দর হত। না খেয়ে থাকা মানুষের মুখে দু মুঠো তুলে দেয়াতেই যে সুখের উৎস লুকায়িত!
তাই বলি..শীতকে বরণের পাশাপাশি বঞ্চিত মানুষগুলোর কষ্টকে বরণ করে আমরাই পারি তাদের মুখে হাসি ফোটাতে।
যদিও অনেক ব্যক্তি, কিছু সংগঠন শীতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস চালায়। তবে তাদের একার পক্ষে সম্ভব না। যদি আমরা সবাই সবার সামর্থানুযায়ী পাশে দাঁড়াই, তাহলে এ অসহায়দের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
---------------------------------------------------
হোক তবে সেই গান!
আবার বেজে উঠুক সেই সঙ্গীত।
যার তাল,লয়ের তীব্রতায় ঘুমন্ত..
একবারে নিশ্চল বিবেক জেগে উঠবে।
আমাদের রক্ত নেচে উঠুক, স্বপ্ন জাগানিয়া সঙ্গীতের ইনজেকশনে।
যে সঙ্গীতের প্রতিটা শব্দে নতুন পৃথিবীর রুপায়ন দেখবে এখানের মানুষ।
ন্যায়ের গলায় অন্যায়ের পুতি ঝুলিয়ে
তারা আর কীর্তন করবেনা।
ভয়ে বসে থাকবেনা ঘরের কোনে!
নতুন পৃথিবী রচনের জন্য মাঠে নামবে লাঙল কাঁধে।
আর সেই সঙ্গীত গাইবে..
যাতে মনুষত্য আবার ঘুমিয়ে না পড়ে??
চিল, শকুনেরা যেন সুযোগ না পায়,
অংকুরিত ফসল নষ্ট করতে।
হোক তবে সেই গান!
আবার বেজে উঠুক সেই সঙ্গীত।
আমরা জেগে উঠি ঘুমের দুঃস্বপ্ন থেকে,
বাস্তবের দুঃস্বপ্নকে গলা টিপতে।
অন্তত একটু কথা বলা শিখি!
কিংবা প্রতিবাদী ইশারা!
একটু কলম ধরতে!
---------------------------------------
মৃত্যু!
এইতো আমার একদম পাশে।
ছুঁতে গিয়েও ছোঁয়না! আমাকে সুযোগ দেয়,
বিবর্ণতায় রঙ লাগাতে!
বুনো পথে বিষ কাটা সরিয়ে, ফুলের গাছ লাগাতে।
মৃত্যুর সাথে আমিও খেলি..
সুযোগ পেয়ে আরও কিছু বিবর্ণতা ধার নেই সময়ের কাছে।
হাসি, অভিনয়ের মধ্য দিয়ে
ঝকমকে তিমিরের শাড়ি জড়িয়ে!
চলে এসেছি মৃত্যুর নিশ্বাসের বিন্দুতে।
আমি আবার সুযোগের আশায় তাকিয়ে আছি,
আর অংক মেলাই। কতগুলো সুযোগের বোতল নিজ হাতে ভেঙেছি?
নেশায় মত্ত হয়ে ভঙ্গুর কাঁচকে মুক্তো ভেবেছি,
হাত কেটে অরুন রক্তকে বলেছি এইতো অর্জন!
মৃত্যুর কোন রুপ নেই!
কোন গন্ধ নেই!
তবুও মৃত্যু আসে...
গুটি গুটি পায় একদমই কাছে।
জড়িয়ে নেয়
মানুষের অর্জনের রুপ দেখে।
ভালোবেসে অথবা ঘৃনা নিয়ে।
------------------------------------------
আজকের সময়ে...
আত্মসম্মান আর বিবেকবোধ হয়েছে আত্মপ্রবঞ্চনায় রুপায়িত।
নিরাভরণ মনের উঠোনে প্রদীপ নির্বাপিত হয়েছে,
সেইদিন থেকে -যেদিন আলোতে বিরক্ত হয়ে 'আত্মা' মেতেছে আলুথালু অস্থায়ীতে।
এখন আমরা নিজেকে প্রবঞ্চনা দেই,
এই বলে..সব ঠিক হয়ে যাবে, সামনেই ঝলমলে দিন!
পরিণতিবিহীন কথায় শুধুই সময়ের অপচয়,
আর আগত প্রজন্মের জন্য খনন করছি গহীন খাদ!
ওরা খাদে পড়ে আর্ত্নচিৎকারে আমাদের মরা 'আত্মায়' অভিশাপ সিঞ্চন করবে।
হায়!
যদি প্রবঞ্চনার সমস্ত তাজ খুলে,
পাঁজরে লুকায়িত পরম্পরায়িত গাদ্দারি আগুনে পুড়িয়ে,
নেহায়েতই থুকথুকে আনন্দে পানি ঢেলে
পবিত্র হতে পারতাম!
তবে প্রবঞ্চনার মঞ্চে আমাদের থাকতে হতোনা,
করতে হতোনা কারো পদলেহন।
আমরা এখনো কমজোর ঈমান নিয়ে বড়াই করি;
আর আত্মার সওদা করে ভাবি আমি আমরাই সুখি।
আগত, অনাগত প্রজন্মের জন্য তৈরি করছি সুসরম্য পৃথিবী।
হায়!
আমাদের বোকামি!
লোভে পড়ে বেছে নিয়েছি গোলামি।
'ওদের' ;পুতুল হয়ে নিজেরাই করি রেষারেষি।
আত্মমর্যাদা, গৌরবের পোশাক খুলে মর্যাদাহানিতে আজ সুখ খুঁজি।
.
.
(ভবিতব্য জানালায় অতীত)
----------------------------------------
অবারিত আলো আসবে,
লুটিয়ে হাসবে সব কটা ইন্দ্রিয়।
যদি উত্তাল ঢেউয়ে গতি ফিরে আসে।
বিনয়ে লুটিয়ে পড়বে
অন্ধকারের জালক ভেদ করে।
ঝড় শেষে লুটিত ঘাস সজিবতা পেলে।
কাব্য ও কবিত্বের মরচে খসে পড়বে,
অশান্ত আত্মারা প্রশান্ত হবে;
শয়তানি হাসিতে আগুন ঢেলে পড়বে।
যখন মুঠো মুঠো পবিত্র আলোয় বক্ষ পূর্ণ হবে,
ঘুম আর জাগরণে ইনসাফের মিছিল জোড়ালো হবে।
রক্ত চক্ষুর অনল বৃষ্টি
কিংবা ভেতরের বেঈমান!
থেমে যাবে, মানুষ হবে।
মানবতা হবে না যাযাবর
মনুষ্যত্যের নৌকায় যদি ওঠে পাল।
সমস্বরে গায়িত হবে মানবতার গান।
-------------------------------------------
(দ্রোহ)
ইয়াসমিন.
.
.
..ছড়িয়ে পড়ুক সত্য আর মুক্তির দাবানল,
ভষ্মিত করুক আমাকে, আমার অন্তরাত্মাকে।
আজন্ম লালিত,পুষিত কিংবা সদ্য প্রবেশিত মিথ্যার প্রহেলিকা জ্বলুক;
দাবানলের এক চিলতে বহ্নিতে।
আমাতেই হয়েছিলো 'আত্মা' পঁচনের সূচন!
রচনা করেছিলাম রক্তশূন্য 'আত্মার' সাতকাহন।
মরিচীকার প্রহেলিকায় চোখ ধাঁধিয়ে,
কানামাছি খেলা খেলে;
'পঁচা আত্মার' রাজ তৈরি করেছিলাম এখানের জমিনে।
তাই মানবাত্মা পঁচনের গন্ধে দূষিত হয়েছে বাতাস,
নিশ্বাসে নিশ্বাসে আজ বিশ্বাসঘাতকতার বাস।
পবিত্র অপবিত্র বলে এখানে কিছু নেই,
সব এক একাকার, নিটল বিশ্বাসে আজ কুফরির দাগ।
রক্তের ফোটায় ফোটায় সমস্ত 'পঁচা' আত্মা খেলা করে,
আমার হাতেই তাদের জীবন অংকুর গজেয়েছিলো বলে।
সময়ের ধারালো পাশে প্রচন্ড এক হোঁচট খেয়েছি,
আবছা আলোয় বুঝতে পেরেছি;
আত্মার জাগরণেই হবে হয়তো মুক্তি।
কিন্তু আমার আত্মায় কবেই বিশ্বাসঘাতকতা ঢেলেছি!
গলা টিপে হত্যা করেছি কত আত্মার দাবানল।
সময়ের অন্তিমে কি করে করবো আত্মাগুলোয় শুদ্ধতা দান?
তাই সময়ের দাবী এখন...
খুবই প্রয়োজন এ বিশ্বাসঘাতক আত্মার শিহরিত মরণ।
----------------------------------------
হৃদয় নামক মাংসপিণ্ড আছেনা!!
ওখানে খুব যন্ত্রনা হয়।
যন্ত্রনারা সারাক্ষণ নিস্পেশিত করে,
বেদনার আকাশ হরহামেশাই কাঁদে রাতের গহীনে।
জানি শুদ্ধ বিপ্লবের দরকার...
হৃদয়ে কেন এত অশুদ্ধ হাহাকার??
হামেশাই তপ্ততার ঘরে অবস্থান হোক দৃঢ়।
হিংসা,বিবাদ আর অবহেলার বিন্দু পেরিয়ে
উদার আকাশ আমার চাই।
উদার আকাশ চাইলেই পাওয়া যায়??
উদারতাকে ঠায় দেবার জন্য উদার হৃদয় থাকা চাই!!
সংকীর্ণ আর অমানুষীর পাথর সরিয়ে..
'মানুষ' হতে হবে এবার।
আর কত আলুথালু স্বপ্নে ঘুম যাবো??
'সময়' ডাকে অতি বিনয়ের সাথে,
অন্তরাত্মা পূর্ণ করতে হবে আবে জমজমে।
রক্তের ফোটায় ফোটায় হোক আরেকবার বিপ্লব!
আমার 'মানুষ ' হওয়াতেই হয়তো এখানে হবে শান্তির সয়লাব।
তবে তাই হোক!
নতুবা নেমে আসুক চিরঘুম...
চলে যাই পথের মধ্যখান হতে।
এ অযাচিত অবস্থানে যন্ত্রনা শুধু বেড়েই চলে,
বেদনার আকাশে অনবরত তারা ঝরে পড়ে।
তবে কেন 'মানুষ' হওয়া কিংবা প্রস্থানে কষ্ট লাগে??
-------------------------------------------------
স্বপ্নের গাঁথা...
...............ইয়াসমিন
ছোট্ট মনি,
ফুলের কুড়ি।
তুমি জাতির আশার বাতি।
তোমার মাঝে আছে
সম্ভাবনার অমর খনি।
বড় হবে তুমি..
'মানুষ' হবে ভালো,
শিক্ষার আলোয় নিজেকে রাঙাবে যত।
তোমার জ্ঞানের আলোয়
হবে ভুবন আলোকিত!
কল্যান নেই মিথ্যা বলায়,
তোমার জেগে ওঠায় হবে পৃথিবী সংশোধিত।
হিংসা অহংকারে নেই কোন বীরত্ব,
হয় শুধু দিলে কদর্যতার সমারোহ।
তুমি হবে সৎ, শুদ্ধ মানুষ!
তোমার সততার রোহে ভষ্মিত হবে অমানুষ।
ছোট্ট মনি..
তুমি হবে জ্ঞানের পিয়াসি।
তোমার গড়িমায় উঠবে প্রদীপ্ত রবি,
তোমার হাতেই হবে ন্যায়ের মুক্তি।
তুমিই হবে অমর সত্তার..
জানবাজ এক বীর সেনানী।
---------------------------------------
দৃঢ় প্রত্যয়ী, সংযোমী, আত্মঅনুতপ্ততার এক খন্ড তরী।
ভীষন দরকারী।
যাক দুর হয়ে যাক সমস্ত অভিনব মরিচীকা!
ছুটে চলায় দরকার আজ গতির তীব্রতা।
আত্মিক খাদ্যের অভাব বিরাজিত আজ এ তটে,
তবে কোন শক্তির ওপর ভর করে মাঝীরা ছুটে চলবে??
কি করে আলোর সয়লাব ঘটাবে??
কি করেই বা শান্তির চিহ্নু প্রফুষ্ঠিত হবে পালে পালে?
ভীষন দরকারী এক খন্ড অগ্রগামী তরবারি,
যার অস্তিত্বহীনতা তীব্রভাবে অনুভব করি।
যার অস্তিত্ব বদলে দেবে,
নিত্য তপ্তায় ঝলসানো পৃথবী ।
--------------------------------------------
(শ্রেষ্ঠ আশ্রয়)
শেকরবিহীন যেমন বৃক্ষ হয়না!
পরিবারের ছায়া ছাড়া তেমনি 'মানুষ' হওয়া যায় না।
সভ্যতার অত্যাধুনিক যুগে,
পরিবারের গুরুত্ব আজ শূণ্যের কোঠায়।
পশ্চিমাদের অনুকরণ করে আমরাও পা দিয়েছি মনুষ্যত্বহীন নৌকায়।
শেকর যেমন খাদ্য শোষন করে
বন্টন করে বৃক্ষের এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত।
তোমার আমার পরিবার সেই শিক্ষাই দেয়,
যাতে ভুলহীন থাকে জীবনের আদ্যপ্রান্ত।
স্রষ্টা দিয়েছেন পরিবার নামক বৃক্ষে অসীম রহমত,
চন্দ্র সূর্য যতদিন থাকবে
পারিবারিক কাঠামোও থাকবে ততদিন বলবৎ।
পরিবারের শিক্ষা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা
যদি তাতে সন্নিবেশিত হয় স্রষ্টা প্রেমের দিক্ষা।
নিতে হবে হবে শিক্ষা, গড়তে হবে শ্রেষ্ঠ পরিবার
তবে এ পৃথিবী হবে শান্তি আর সুখের নিবাস।
--------------------------------------
.ডাক হরকরা ক্লান্ত শ্রান্ত হয়েছে,
তাই আর রাত্রি দ্বিপ্রহরে ছুঁটে বেড়ায় না।
দায়িত্বে প্রেম নেই বিরাজিত ঢিলেঢালা ভাব,
শরীরের ভাজে ভাজে যে অবিশ্বাসের বাস!
কি করে বুঝবে??
এখানে নিষ্ঠা প্রোথিত হলে রাত্রি শেষে সুসোম্য প্রভাতের দেখা মিলবে।
হরকারারই বা কি দোষ??
নিয়োজেন্তারাই বা কি শেখালো!
রাত্রি দ্বিপ্রহর হবার আগেই চোখে ঘুম নেমে এলো।
.
শেখাবেনা বলেই কি শিখবো না!!
তাহলে আবেগের একপাশে বিবেকের কি কার্জকারিতা???
আমি অনুতপ্ত, আমি ভালো
এগুলো বলে হরকরা তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে,
যার শুদ্ধতা প্রদীপ্ত ভোরের বাতাস বওয়াতে পারেনা
তাকে কি আদৌ ফেলা যায় পরিবর্তনেয়ন্তা মানুষের কাতারে।
--------------------------------------
শুদ্ধ মানুষ হবার গল্প জানিনা,
কিভাবে শুদ্ধ হব তাও জানি অল্প!
তবে মনের মরমে ইচ্ছা প্রচন্ড।
শুদ্ধ হবো, শুদ্ধ করবো সমাজ এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত।
তুমি কি জানো??
তোমার মধ্যেও আছে পবিত্রতার মহাসমূদ্র!
সেই সমূদ্রের খানিক আগে শুধু ময়লার স্তুপ যৎসামান্য।
তুমি যদি তোল ঝড় হৃদ গগনে,
ধুলো, ময়লা যত অপবিত্রতা যাবে নিমিষেই উবে!
এ ঝড়ের তীব্রতাই শান্তি বয়ে আনবে তোমার চারপাশের জগতে।
আমরা জীবনকে রাঙাতে এসেছি এ ভবে,
আল্লাহর অমোঘ অমলীন রঙে।
যে সে পারেনা সেই রঙ মাখতে রুহানে!
আমরা পেয়েছি সুযোগ অসীম রহমত
চলো রঙিন হই সমস্ত লালসা রেখে পদতলে।
আর যে অবহেলার সময় নেই!
বেলা বয়ে যায়! এই বুঝি এলো এ বেধোরক জীবনের অন্তিমতা।
এখনই সময় শক্ত করবার ঈমানের সিলসিলা।
--------------------------------------
পর্ব#৫২
..দেহঘড়িতে ধরেছে ঘুন, পড়েছে সময়ের কালোচ্ছোটা;
অবয়বহীন পশুটা কবেই বেড়ে উঠেছে পড়িয়ে বিবেককে হাতকড়া।
আজ এ সমাজে, রাষ্ট্রে পশুত্বের অমানবিকতার জয় জয়কার রাজত্ব!
রক্ত হোলিতে নিত্যে মেতে অবয়বহীন থাকে সদা জাগ্রত।
...সময়ের হাতকড়া নির্মম মনে নিয়ে এবার বাজাতে হবে যে বিবেকের ঘন্টা!
হতে হবে জানবাজ ঘোড়সওয়ার,
বিপদের একপাশে নেজা মেরে ধারন করতে হবে ত্যাগের ঝান্ডা।
...এ সমাজ, রাষ্ট্র, সমগ্র পৃথিবী পশুত্বের কর্কশ গানে হয়েছে বধির,
এ সমাজ মুক্তির স্বাদ পেতে চায় ত্যাগীর তলোয়ারের শানে!
শাশ্বত বিধান বুকে নিয়ে কেন্দ্রে হতে হবে সুস্থির।
...সমাজ, মানবতার মুক্তির বিপ্লব শুরু হোক তবে স্বল্প পদক্ষেপের প্রশিক্ষণে!
ভেতরের বিকৃত কংকাল ভেঙে চুড়ে,
ইস্পাত প্রাচীর হিম্মত নিয়ে,
শুদ্ধ মানুষদের আলো পড়ুক রাষ্ট্রের আনাচে কানাচে।
আলোতে দৃশ্যায়িত অশুদ্ধতা উপরে ফেলবো শুদ্ধতার তীক্ষ্ণ ফলোকে।
প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে, গৃহ থেকে বিতারিত হয়ে।
...যে দিন থেকে হবো আমরা আল্লাহর রঙের তুলির আস্তরণ,
ভালোবাসবো জীবনের চেয়ে জীবনের রাহবার,
সেদিন থেকেই এ পৃথিবী হবে জান্নাতের গুলশান।
---------------------------------------------
জীবন তরীর বাঁক কখন কোন দিকে??
কখনোই যায়না বলা নির্দিষ্ট করে।
আজ এখানে এই অবস্থায়!!
কাল কোথায় তা সর্বদাই থাকে অজানায়।
ভুলের গোলকে আমি এক ঘুরন্ত পথিক
এই বের হব হব করেও অবস্থান হয় গোলকের মধ্যক।
হৃদতন্ত্রীর কাঁপন মাঝে মাঝে বেশ বুঝি!
প্রত্যাবর্তনের পথ হন্য হয়ে খুঁজি।
আবার মাঝেমধ্যে তন্ত্রী থাকে বধীর, নিস্কর্মা;
শত চেষ্টার পরেও কেন জানি পবিত্র মানুষ হতে পারিনা!!
ওপারে আমার অবস্থান কি হবে জানিনা??
ভুলের গোলক মাড়াতে পারবো কিনা!
সেখানেও বিরাজ করছে ধূসরতার অস্পষ্টতা।
শুধু কামনা এটাই....
শেষ্টায় বলতে চাই...
লাব্বাইক লাব্বাইক লাব্বাইক ও আমার প্রিয়তম আল্লাহ।
----------------------------------------
নতুন করে আর কি লিখবো?
সব গল্প, কবিতা ফিকে হয়ে গেছে.।
আমি এক ঘুনে ধরা পুরানো কুঠির..
সামান্য ঝড়ো হাওয়ায় মাটিতে মুখ থুবরে পড়ে যায়।
মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে...
তাই ডায়েরীর শেষ পাতায় আজ আমার অবস্থান।
অন্তিমকালে হৃদসাগরে বয় পূণ্যতার সমীরণ
কিংবা হয় পূণ্যতার ভেলায় যাত্রার পারম্ভন।
অথচ....
ডায়েরীর মাঝপাতাগুলোয় শোভা পায়
উঠতি রোমান্সের নীলসাগর কিংবা মহাসমূদ্র।
চাইলে অন্তঃপুরের রসালো বর্ণমালাগুলোকে পুড়িয়ে..
শুদ্ধতায় শুদ্ধ হয়ে রচন করা যেত আরেক সাতকাহন।
কিন্তু হায়!!
আমি এক ভ্রষ্ট সাতকাহনের অন্যতম চরিত্র..
হৃদমে এঁকেছি নষ্ট স্বপ্নের কল্পিত স্বপ্নগাঁথা।
গল্প, কবিতার তাৎপর্য আমার হলো না জানা।
অন্তিম ভেলায় ভেসে মন তো চায়..লিখি উমরের মহত্ব,
বদর বিন মুগীরার বুদ্ধিদীপ্ত পদচারণ!
ডায়েরীর মাঝপাতার ভ্রষ্টতার মাস্তি ক্ষমা দেবে কি ঐ মহাসম্রাজ্ঞ?
শুদ্ধ হয়ে আওয়াজ তোলার সময় আর নেই...
তাই করুনভাবেই বলি তোমাদের!
জেগে ওঠো..ঐ হৃদমে আর কয়লা জমতে দিওনা,
ঢালো তবে আবে জমজম!
নোঙর তোলো...জানিয়ে দাও!
আমরা বলবৎ, রচন করবোই ডায়েরীর পুরোটা জুড়ে আরেক সাতকাহন।
,,
‪#‎ডায়েরীর_শেষপাতা‬
----------------------------------------------
"যবনিকাপাত "
..
জীবনের যবনিকাপাত
এই বুঝি এলো!
কিন্তু আমি আজও এলোমেলো।
এই পথে রক্ত ঝরে, রক্ত কথা বলে,
আমি নিথর অথর্বো পাশ কেটে যাই রক্তের ঘ্রাণ নিয়ে।
এখানের আকাশে একসময় সিতার মেলা বসতো..
শুদ্ধ হাওয়ার ঢেউ খেলতো!
আমার অলসতা, কদর্যতার দরুন
সিতারাদের বীরত্বে হয়েছে কালি লেপণ।
আমি পারিনি পারিনা শুদ্ধ হাওয়ায় ফুল ফোটাতে,
আমি অনবরত ছাপ রেখে যাই লুলায়িত তাগুতের গোলাম হয়ে।
এখানে একসময় নীতির রাজ ছিল,
বৈষ্যমের বাধ গুঁড়িয়ে প্রথিত ছিল ভ্রাতৃত্ব।
আমি মানিনি...হাতে নিয়েছি ভাঙনের হাতিয়ার,
জোর করেই আদায় করবো বলে সম্মান।
অন্যায়ে সাঁতার কেটে ন্যায়ের চাদর পড়ে..
ফাঁকি দিয়ে থেকেছি বন্ধু বেশে।
নিজের রক্তে বিষ ঢেলে..
আজ অন্যের রক্তে গন্ধ খুঁজে ফায়দা কিসে???
ভাঙনের সয়লাব ঘটিয়ে...
আমার মত হাজারো আমি তৈরি করে,
আজ বুঝলাম করেছি কত বড় ভুলের গাছ রোপণ।
তাই সময় করেছে অনশন...
না হবে প্রত্যাবর্তন!
এখনি হয়তো হবে জীবনের যবনিকাপতন।
.
(১৩.৯.১৫)
-----------------------------------------
(নিপুণ শিল্পী) (পর্ব:৫০)
আকাশের নিপুণ কারুকাজ,
তারকারাজিরর জ্বলে ওঠা।
এমন সৌন্দর্য আছে কোন কারিগরের দক্ষ্যতাতে!!
কখনো কি জেগেছে মনে??
অবিরাম বর্ষণ..
অস্থিরতায় প্রশান্তির অনুরণন,
কে দেয় ভেবে দেখো কিছুক্ষন??
হাওয়া বয়,ভেসে যায় মেঘ,
নিদ্রা থেকে জেগে ওঠা...
বুঝতে পারো কি এটা কার ইশারা??
অসুস্থতায় সুস্থতার পরশ..
বৃক্ষের চির সবুজন্ততা,শীতে ঝরে পড়া,
একবার অন্তরমাঝে অংক কষে মিলিয়ে নাও না!!
এই মহাবিশ্বের গ্রহ নক্ষত্র, ছায়াপুঞ্জে
প্রতিষ্ঠিত কার আধিপত্যতা???
তিনি রাহমানুর রাহীম,
তিনি গাফুর ও গাফফার..
হাশরের দিন বলবৎ থাকবে কেবল তারই আরশে আজিম।
যিনি' হও'বললেই হয়ে যায়,
হতভাগা সেই যে তাকে করে অস্বীকার।
জীবন মৃত্যুর চাবি
মুষ্টিবদ্ধ করে আছেন যিনি,
হিসাব গ্রহনকারী,মুক্তিদাতাও তিনি।
আমার ভালোবাসার সমস্ত পুষ্পতা
তার জন্যই নির্ধারিত।
অযোগ্য আমি, ভুল করে তার কাছেই ফিরি
আমার, তোমার, সবার জন্য ক্ষমা ফেরি করেন তিনি।
------------------------------------------
...নিত্য যেথায় অন্ধকার হয় গভীর থেকে গভীর,
সেথায় সামান্য আলোর ঝলকানি তীব্র মনে হয়।
তাই হয় অন্ধকারেই বাস,
সল্প আলোতেই আত্মতুষ্টির বাহবা।
...অন্ধকারে বোঝার উপায় নেই কে মানুষ,কে পশু,কে অহেতুক?
আর এতো নিত্য গভীর অন্ধকার,এখানে সবই এক, একাকার।
আলোতেই দৃশ্যায়িত হয়!
আমি মানুষ! তুমি মানুষ! আমরা মানুষ!
অথবা এখনো মানুষের খোলসে অহেতুক।
...অন্ধকার আর চাইইনা!
আলোয় পা দুটো ছোঁয়াতে চাই,
দেখতে চাই আমি, আমরা মানুষ কিনা???
...অন্ধকার দুর করবো,
অন্ধকারের পাঁজরের গহীনে আলোর সয়লাব বয়ে দিবো।
এসো সাহস করে পা বাড়াই!
মুঠোয় মুঠোয় আলো নিয়ে,মুক্তির গান গাই।
-----------------------------------------
"শুদ্ধতার এক বিন্দু"
...সময়ের আস্তাকুড়ে কতগুলো কয়লা জমেছে,
বিশ্বস্ততা,শুদ্ধতায় তৃষ্ণা বেড়েছে।
নেত্রের জল শুকিয়েছে..
স্রষ্টা প্রেমের প্রদীপ নিভু নিভু হয়েছে।
অনুভুতির দরিয়ায় বয় দমকা হাওয়া,
প্রত্যাবর্তনের চেষ্টায় পড়েছে কিঞ্চিত ভাটা।
...সময়ের আস্তাকুড় রাঙাতে চাই,
শুদ্ধতার রঙ মেখে।
নিষ্ঠাতে নাই কোন শ্রম...
নিত্য চলাফেরায় বেসুরো গান বাজে হরদম।
ভুল জেনেও মরীচিকায় আছি বেশ মেতে।
....চঙমঙে গোলক ধাঁধায় আর নয়!
ভুলের সুতো কেটে,
হৃদয় গোলক রাঙাবো এবার শুদ্ধ শুভ্রতায়।
---------------------------------------
'মা'
মা'তেই শান্তি,
মা'তেই আমার শক্তি;
মা'কে ভীষন ভালোবাসি।
মা'হীন জগতে অন্ধকারের প্রগারতা,
মা ছাড়া আমার অস্তিত্বে বিরাজিত শূণ্যতা।
মা'কে দেই অনেক কষ্ট,করি জ্বলাতন,
তবুও বলবো মা'কে ভালোবাসি ভীষন।
মা'ই যে সকল আবদারের উৎস করেছে খনন।
মা'তেই সমস্ত ফুলের সুবাস স্পষ্ট,
মা'ছাড়া ধরণীর সব কিছুই নিরর্থ।
মা'কে যে বাসেনা ভালো!
তার অন্তরে জমেছে কয়লা কালো।
কিছুতেই পাবেনা সে জান্নাতের আলো।
মা'তেই পূর্ণতা,
মা'তেই শেষ হয় শূণ্যতা।
মা'তেই রাখো সমস্ত মুগ্ধতা!
তাহলেই পাবে স্রষ্টার রহমতের ঝর্ণাধারা।
--------------------------------------
( আসরর_৪৭)
"মা আমার বেহেস্ত"
মা'তে শুধুইই মমতা আর ভালোবাসা,
মা বিহীন কিছু যায় কি ভাবা??
আদর্শ 'মা' সে!!
আল্লাহর পথে সন্তানকে যে দেয় ঠেলে।
মায়ের ভালোবাসার দাম কিছুতেই হয়না সোধিত,
সুখ বিকিয়েই আমাদের করেছেন লালিত।
পরম স্রষ্টা 'মা'কে দিয়েছেন অনন্ত সম্মান,
আমরা হতভাগা বেহেস্ত পায়ে ঠেলে...
অন্ধ হয়ে গড়ে যাচ্ছি বৃদ্ধাশ্রম।
-----------------------------------
রাত ঘুমিয়েই থাকে...
তবুও অন্যায়, অপরাধের অংকুরোদগোম তখনই হয়।
আর দিনে!!
ডালপালা ছড়ায়।
অশ্লীলতার প্লাবন শুরু হয়েছে আমাদের এ তটে,
নোংরামীর গন্ধ স্পষ্ট।
যদি চাই শ্লীলতার বিন্দু ফোটাই যথেষ্ট।
চলো শ্লীলতা খুঁজি, খুঁজি সত্য!
আমি,তুমি, আমরাই পৃথিবীর অশ্লীল পাশটুকু সুগন্ধে মাখবো।
তাই সর্বপ্রথম আমাতেই পবিত্রতার আবে জমজম ঢালতে চাই,
শুদ্ধতায় সিদ্ধ হতে হতেই
অন্ধ, বোবাদের আলো দেখানো যায়।
সকল অন্যায়ের শুরুকর্তা যেমন আমরা,
মূলোৎপাটনকারীও হব আমরা।
বসুধায় পবিত্রার বাতাস বয়ে দেবো আমরা,
নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করবো আমরা।
----------------------------------
★★★মাধূর্যতার এক চিলতে রশ্মি★★★
নির্মম হলেও সত্য..!
আমরা মানুষ হিসেবে বুলি সর্বস্ব।
মুখে, লেখায় ওঠে ন্যায় নীতির ঝড়,
বাস্তবে, রণক্ষেত্রে মাধূর্যতার বড়ই অভাব।
যদি প্রত্যেকে অশালীন অন্ধকারের চাদর খুলে ফেলি,
ধৈর্য্য নিয়ে স্রষ্টারর অমোঘ নিয়মে জীবন গড়ি..
তবেই সমস্ত মাধূর্যতায় পূর্ণ হবে আমাদের পংকিল ধমনী।
.
কিন্তু!
আমরা উল্টো পথের দক্ষ্য অভিযাত্রী,
শৈশব, কৈশর, যৌবনের আজন্ম শিক্ষাও নৈতিকতার বিরোধী।
রঙিন চশমার তলে!
যুবসমাজের বিবেক কবেই চাপা পড়েছে,
বৈরী আকাঙ্ক্ষা মেটাতে জীবনের মানেই গেছে ভুলে।
..
পাপের সয়লাবে টইটুম্বুর এ স্নিগ্ধ সাগর,
চরিত্রহীনদের দুর্গন্ধতায় বাধ্য হয়ে করছি অবগাহন।
পাপ,অন্যায় হয়না স্থায়ী!
এসো নৈতিকতার মুকুট পড়ে আমরা হাল ধরি।
দুঃখের পরে যেমন দেখতে পাওয়া যায় সুখের অমলিন হাসি..
স্রষ্টার নিয়ম!
অন্ধকার মিশে শেষ প্রভাতে প্রফুষ্ঠিত হবে আলোর রশ্মি।
---------------------------------
..ভ্রাতৃত্বে ভালোবাসা বাড়ে, শক্তি বাড়ে;
ভীতির সঞ্চার করে কাপুরুষদের মনে।
.
...নির্ভেজাল ভ্রাতৃত্ববোধে, ঐক্যে থাকে স্রষ্টার রহমত,
সংখ্যাধিক্য হয়েও পরাজয়ের রশি পরাতে হয়না কারো হিম্মত।
...কিন্তু করুন পরিতাপের বিষয় আজ!
ইতিহাসে দেখেছি ভ্রাতৃত্বে চিহ্নিত হয়েছে কিছু গাদ্দারের হস্তাক্ষর;
সেখান থেকেই হয়েছে পরাজয়ের পারম্ভন।
...তবুও আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছি!
মুসলিমরাই যে ভ্রাতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত,,
তাই জয় জয়কার রব উঠেছিল তাদের যেমন মুহাম্মদ বিন কাশিম।
...যদি হই সত্যিকারের মুসলিম!
ভ্রাতৃত্ব হবে অটুট..
অন্যায়, অসত্য হবে লুট।
ভ্রাতৃত্বের বিধান অবতারন করেছেন ঐ অপার মহা মহিম।
--------------------------------------
গলে মজে যেওনা..!
ভুলায়িত জনশ্রুত প্রেমে।
পাপী মন লুলায়িত করবেই
সীমালঙ্ঘণ করতে।
আলুলায়িত থেকে গচ্ছিত হওয়া যায়!
ভুল থেকে শুদ্ধতায় অবগাহনও করা যায়!
সদইচ্ছায় স্রষ্টা প্রেম থাকলে।
পাপী মনে ঢালো তবে আবে জমজম..
মুছে যাবে কয়লা কালো পুরো আস্তরণ।
আমি,তুমি, আমরা হব শুদ্ধতম!
------------------------------------
চাইনা সময় শেষে কাঁদতে!
চাইনা এখন সময়কে ঠকিয়ে হাসতে।।
সময়ের বদলা বড় কঠিন....
বেলা শেষে যাতনা হবে অনন্তহীন!
.
চাইনা বাকা পথে সুখ নিতে!
চাইনা নির্জনে কেউ নেই ভেবে
কল্পলোকে ভাসতে।।
তাকে কখনোই ফাঁকি যায়না দেয়া!
বেলা শেষে হিসেব হবেই কড়া।।
.
চাই বিনিত সমর্পণ করতে....
যা চলে গেছে সব মুছে,
শুভ্র সবুজে সাজতে হবে!
বেলা শেষে আমারই কাছে সুখের নহর বইবে।
.
চাইনা মূল্যহীন মন্ত্রে মন্ত্রমুগ্ধ হতে..
পাশে কেউ থাকুক চাই না থাকুক,
একলা পথ পাড়ি দিতে হবে।
পথের পথিক না হলে আলুথালু বন্ধুত্বে বিপদ বাড়ে।
.
'ভুল ’তো সময়ের একপাশে একটা গোলক!
প্রবেশ হতেই পারে যে কারো পথ পাড়ি দিতে গিয়ে।
বেরিয়ে হিম্মত সহকারে শ্বাস নিতে হবে পবিত্রতায় অবগাহন করে।।
বেলা শেষে মুকুট আসবে আমাদেরই হাতে!!
.
‪#‎বেলা_শেষে‬
-------------------------------------
পথের ধারেই প্রতিক্ষীয়মান..কিছু চটপটে সময়!
আলিঙ্গনেই হবে হয়তো আরেকটু চঞ্চল।
আবার পথের ধারেই প্রতিক্ষীয়মান..কিছু বোবা সময়!
আলিঙ্গনেই মিলবে হয়তো অমৃত পেয়ালা,
তাই মাড়াতে হবে একটু আধটু কাদা।
তবেই অন্তরে বয়িত হবে শীতল শান্তির ঝর্ণাধারা।
আমি ভুলে ভুলায়িত, তবুও আশাবাদি...
হতাশা যে আমার জন্য গুনাহ!!
পথের ধারেই প্রতিক্ষীয়মান. দু অবয়বের সময়!
আমি সরল সমীকরণেই সুখ খুঁজে নিতে চাই..
মাঝে মাঝে একটু তো দ্বিধাতে হারিয়ে যাই।
চটপটে সমীকরণের হাত ধরতে ভীষন মন চায়,
কিন্তু পাঁজরের ওমটুকু লুকিয়ে আত্মবুঝ দেই..
এ চটপটে রঙমহলে বিলিন হবার এজাযত যে আমার নাই।
তাই আশায় বুক বেধে....
নিজেকে বেধেছি সংযমে।
হৃদনোঙরের আকুলতা পৌছাতে চাই
আরশে মঞ্জিলে..।
.
‪#‎সময়ের_পদচারণ‬
-------------------------------------
নতুন করে আর কি লিখবো?
সব গল্প, কবিতা ফিকে হয়ে গেছে.।
আমি এক ঘুনে ধরা পুরানো কুঠির..
সামান্য ঝড়ো হাওয়ায় মাটিতে মুখ থুবরে পড়ে যায়।
মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে...
তাই ডায়েরীর শেষ পাতায় আজ আমার অবস্থান।
অন্তিমকালে হৃদসাগরে বয় পূণ্যতার সমীরণ
কিংবা হয় পূণ্যতার ভেলায় যাত্রার পারম্ভন।
অথচ....
ডায়েরীর মাঝপাতাগুলোয় শোভা পায়
উঠতি রোমান্সের নীলসাগর কিংবা মহাসমূদ্র।
চাইলে অন্তঃপুরের রসালো বর্ণমালাগুলোকে পুড়িয়ে..
শুদ্ধতায় শুদ্ধ হয়ে রচন করা যেত আরেক সাতকাহন।
কিন্তু হায়!!
আমি এক ভ্রষ্ট সাতকাহনের অন্যতম চরিত্র..
হৃদমে এঁকেছি নষ্ট স্বপ্নের কল্পিত স্বপ্নগাথা।
গল্প, কবিতার তাৎপর্য আমার হলো না জানা।
অন্তিম ভেলায় ভেসে মন তো চায়..লিখি উমরের মহত্ব,
বদর বিন মুগীরার বুদ্ধিদীপ্ত পদচারণ!
ডায়েরীর মাঝপাতার ভ্রষ্টতার মাস্তি ক্ষমা দেবে কি মহাসম্রাজ্ঞ?
শুদ্ধ হয়ে আওয়াজ তোলার সময় আর নেই...
তাই করুনভাবেই বলি তোমাদের!
জেগে ওঠো..ঐ হৃদমে আর কয়লা জমতে দিওনা,
ঢালো তবে আবে জমজম!
নোঙর তোলো...জানিয়ে দাও!
আমরা বলবৎ, রচন করবোই ডায়েরীর পুরোটা জুড়ে আরেক সাতকাহন।
.
‪#‎ডায়েরীর‬ _শেষপাতা
-----------------------------------------
আমি এক হতভাগা পথচারী!
বক্র পথেই হয়েছে রাত্রি।
নিস্তব্ধতায় একলা বিহনে..
রঙিন হই আলুথালু চিন্তার অবগাহনে।
হৃদয়েও পড়েছে বক্রতার ছাপ
একটু আকটু অনুতপ্ততায়ও হতে পারিনি অন্ধকার পার।
মনের আঙিনায় জমেছে আজ ধুলোর আস্তরণ
জানিনা কবে করতে পারবো প্রত্যাবর্তনের আবেদন।
এক পা দুপা করে খুলেছে বিবেকের মুদিত আঁখি
তাই হৃদপ্রকোষ্ঠে বেড়েছে দহনের কম্পনের গতি।
প্রচণ্ড ইচ্ছাম বয় এ হৃদমে.....
বুভুক্ষু তৃষ্ণার্ত আমি খুবই....
সকল যাতনা..সুখময় বাসনা কবর দিয়ে যেতে চাই স্বপ্ন বাড়ি।
.
.
‪#‎স্বপ্ন_বাড়ি‬.
---------------------------------
ভুলোমনে অজানায় দিক বেদিক ছুটে চলা,
আলোর পরশে নয় অন্ধকারেই হয়েছে অনুভুতি চঞ্চলা।
কাকড়কে নুড়ি ভেবে চলেছি দৌড়িয়ে,,
অমৃত নয়, শরীরে পুশিত মন্দের তীব্র ইনজেকশন।
নিদ্রা..জাগরণ সবই এক একাকার!
উগ্র উচ্ছলতার নেশায় শুরু হয়েছে বিষক্রিয়া,
ছুটছি তো ছুটছি নেশায় লেগেছে মরণকামড়!
অনিশ্চিত গন্তব্যে জমেছে ভাবের আস্তরণ।
ঝুম বৃষ্টিতে উড়িত ধুলো যায় মাটিতে মিশে,
থাকে মুখ থুবরে...
হবে কি মোচন নেশার বিষক্রিয়ার প্রেম?
পাওয়া যাবে কি জ্যোৎস্না বর্ষিত রাত দিনান্তে??
-------------------------------
বিদ্রোহী রণবীর..
সময়ের আকুল আবেদন..
জন্ম হোক আর একজন নজরুলের,
বিদ্রোহের আগুনে পুড়ে ছাই হোক অন্যায়ের কালো জিহবা।
সাম্যের গানে এক হয়ে যাক ধনী গরীব আর মজলুম।
কলমের কালিতে ঝরুক বারুদের আগুন!
ভষ্ম হোক..প্রগতিবাদীদের নোংরা হোলী খেলা।
আসবে কি আর একজন নজরুল???
দেশ ও সমাজ পরিবর্তনের ভেলায় পা দিলে..
পুষ্পিত পৃথবীর স্বপ্ন নিয়ে এগুলে,
হাজারো নজরুল জন্মবে তখন ঘরে ঘরে।
-------------------------------------
তামাশা দেখবে তামাশা!!
তাহলে আসো এই মুজিবীয় দেশে..
হাটো কিছুক্ষণ,
দেখতে পাবে..অফুরান তামাশা,
হিস্রতার তামাশা,
মিথ্যার তামাশা,
নাটকের তামাশা।
নিপুণ অভিনেত্রীরর তামাশা।
তামাশাতারুতায়..দেশ পূর্ণ,
যৌবন পেরিয়ে..
প্রবীন হবার পথে।
----------------------------------
স্পষ্টতই অস্পষ্টতায় ঢেকে যাওয়া..
হৃদয়বিনার সুরগুলো আজ বড্ড বেসুরো।
সুর বেসুরেই বা কি আসে যায়?
ভুল তো ভুলই!
স্পষ্টতই অস্পষ্টতারর গহবরে হাতরে ফেরা...
অনুভুতিগুলোর চঞ্চলতায় কন্টকেরা করে খেলা।
আলো আঁধারীর প্রেম চিরন্তন,
তবুও আঁধার আঁধারই!
আলোতে পা ফেলার সুখ...বোঝা, ধরে রাখা,
হৃদকম্পনগুলোর স্থিরতা।
আঁধারে মিলতে পারেনা।
স্পষ্টতই অস্পষ্টতায় সেজে গুঁজে..
কি আনন্দ উল্লাস!
ওপারের চিরন্ততা ভুলে, এপারেই করে যাচ্ছি
সুখ বিলাস।
স্পষ্টতই অস্পষ্ট সব..
জেনে না মেনে, বুঝে না বোঝার ভানে..
সরলতার ছোঁয়ায় আজ এই পর্যন্ত।
----------------------------------------


------------------------
 
Top