বাঁচাও হে জগতস্বামী
আলানূর হোসাঈন
.
বাংলার ভাগ্যাকাশে ছেয়ে আছে অদৃশ্য কালো ছায়া,

ইসলাম ধ্বংসে শকুনিরা করে উল্লাস।

ক্ষমতার মসনদ রবে চিরকাল নেই কোনো মায়া।
তাই নানা কৌশলে হয় উদ্ভাস।
থমথম অস্থির মানব রক্তে হয় ভুমি লাল,
অসহায় মানবতা কাঁদে আর্তচিৎকারে।
বাঁচাও হে জগতস্বামী দাবাণল রবে কতকাল
ভেঙে ফেলো জালিমের মসনদ মহাফুৎকারে।

-----------------------------------
অস্থির জনপদ
আলানূর হোসাঈন
.
অস্থির জনপদ শকুনদের হিংস্র উল্লাসে,

বিভৎস শিশু নারীর ক্ষত বিক্ষত দেহ।

রাজপথে রক্তনদী মজলুমের আর্তচিৎকার,
পাশে নেই বিশ্ব মানবতা কেহ।
মুসলিম হওয়া যেন আজ মহাঅপরাধ
পাপিষ্ট আত্মার যেন এই ধরনী
শয়তানের সাথী আর ইহুদীর চর
তারাই সত্যের রক্তচুষে হতে মহাস্বরণী ।
তারাই জঙ্গি সেজে করে বিশ্ব চরাচর,
মুসলিম বেশধরে দেয় নাম ইসলামের।
দালালের অভিনয়ে সত্যেরা অসহায়
ঠিকানা তার মৃত্যু নয় কারাগারের ।।
‪#‎ফার্মগেটগামী‬ গাড়িতে বসে ।

---------------------------------

আর্তচিৎকার

.
হৃদয়গগনে জমেছে অজস্র বেদনার মেঘ,
আত্মগর্জনে উঠেছে তার জগত কেঁপে।
দুঃখময় বিজলিতে ঝরেছে অশ্রুধারা,
কাল থেকে কালান্তরে অবিরাম জগত ছেপে।
স্বপ্নময় ভুবনে নিষ্পাপ আত্মার ছিল বিচরণ,
স্বপ্ন আজ মরুবালুকনা আত্মার আর্তচিৎকারে।
হৃদয়ের পত্রপল্লবে উঠেছে মহা প্রলয়,
বেদনার নিঃশ্বাসরূপ মহা পবনের ফুৎকারে।

-------------------------------------

পৃথিবী আমাকে চায় 

আলানূর হোসাঈন
.
ঘুমন্ত পৃথিবী ঘোর অমানিশাতে,, 
আমি আনবো নতুন সূর্যোদয়। 
লাখো-কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে,,
পৃথিবী শুধু যে আমাকেই চায়।
মানুষের চিৎকারে,
পৃথিবীটা হলো ভারি,, হৃদয়ে যন্ত্রণা অফুরান। 
সেই সুখ সেই হাসি আনবো আনবো আমি,,
করে দেবো এ জীবন কুরবান।
মানুষে মানুষে খেলা যুদ্ধে মাতোয়ারা,,
অবাক তাকিয়ে আজ পৃথিবী।
অসহায় মানবতা ফাঁসি হল স্বাধীনতা,,
কেড়ে নিলো শত ফুলের সুরভী ।
পৃথিবীর চিৎকারে,
জেগে ওঠো এ হৃদয়,,
যদি থাকে বুকে তোমার ভালোবাসা।
মিথ্যার সয়লাবে, দেবো না ঢেকে যেতে,,
এ জীবনে এটাই মোর শেষ আশা ।।

--------------------------------------

সুখে থাক

মো. আলানূর হোসাঈন
.
সুখে থাক মানবাত্মার মাঝে, 
স্নান করো পবিত্র আত্মার শুদ্ধি।
জীবনের বিনিময়ে
জীবন বিলিয়ে,
যৌবনের করো উপলদ্ধি।
প্রভাতলগ্নে পাথর
চুরমার করে,
ফোটাও ফুল জীবনের শাখায় শাখায় ।
জীবনবৃক্ষে সুখের হাওয়া, দোলা দিয়ে যাক প্রতিটি
পাতায় পাতায়।
সকল বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে,
সুখের সাথে কর আত্মীয়তা।
মৃদ হাসি আর মৃদ আঘাত দিয়ে ভাঙো তারে,
যেন হৃদয়ে আসতে না পারে যত হীনতা।
যেই দুঃখ সীমাহীন যন্ত্রনা
আর,
বেদনায় ঝরিয়েছে শত
অশ্রুজল।
হাসিমাখা হৃদয়ে তারে কর যদি বরণ,
সেই হবে তোমার একদিন
দীপ্ত মনোবল।
ওরে বাছা, আঘাত দিয়ে কভু কি,
কেউ পেয়েছে শান্তি চিরদিন।
দীর্ঘ দিন রবে নাতো
সেই শান্তি,
ক্ষুদ্রকাল পরে তা হয়ে
যাবে লীন!!..

--------------------------------------

অনু কাব্য

.
আমি কবি 
দেখি ছবি,
অসহায় মানুষের মুখ।
তাই লিখি
ঝরে আঁখি,
যদি তার কেটে যায় দুখ।
কত কবি
দেখে ছবি,
দেখে ঐ নারীদের রূপ।
লিখে তারা
হীন ধারা,
তুমি কবি হয়ে গেলে চুপ!

---------------------------------

পরনিন্দা

মো. আলানূর হোসাঈন
.
একের দোষ অপর সনে
যাইবা বল সংগোপনে
সবই তো পরনিন্দা
নিন্দা তোমায় নিন্দা।
হিংসা মনে করছো লালন
পরের ক্ষতি দেখছ স্বপন
করছো যে পরনিন্দা
নিন্দা তোমায় নিন্দা।
পরের বিজয়ে আত্মা পুরে
তার ক্ষতিতে জগত জুড়ে
করছো যে পরনিন্দা
নিন্দা তোমায় নিন্দা।
‪#‎ক্ষমা‬ চেয়ে নিচ্ছি, হাজিরা দিতে হল তাই কোনও মতে।

--------------------------------

চিঠির কথা

১৫।০৭।২০০৬
জানি ভগ্নস্তুপে পরিণত হবে
আমার চিঠির বাণী,
শত সহস্র মানুষে ভীরে
যদিও লেখি আমি ।
থাকবে যদিও বন্দিশালায়
পড়বে চোখের জল,
মুক্ত করে আনবে নাতো
খুঁজবে নতুন ছল ।
ওগো আমার বন্ধুমহল
আছ যত ভবে ,
তোদের জন্য চিঠিটা মোর
পড়েনিও সবে ।
প্রথমেতে তোদের আমি
জানাই হাজার ছালাম
জানাই তোদের ভালোবাসা
আশির্বাদটুকু তামাম।
লাল গোলাপের শুভেচ্ছা
রইল তোদের জন্য ,
আশির্বাদ করি সদা 
হও যে তোরা ধন্য ।
তোরা বুঝি নিত্য নতুন
ভাসছ সুখের ভেলায়
ভাসছ তোরা রং মাখিয়া
সুখ বাজারের মেলায়।
আমার কি আর সইবে সুখ
রইলে তোদের সনে,
তাইতো তোদের ত্যাগ করিলাম,
জানুক সর্বজনে ।
দীর্ঘ দিনের সঙ্গহীনা
ভঙ্গ মনের আমি ,
তোদের ছাড়া সুখ পেলাম না
অন্ধ দিবা যামী ।
দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতায়
বল না তোরা দেখি 
মিছে কথা বলছি আমি
নাকি দিলাম ফাঁকি ।
হইতো যদি মিছে কথা
স্বরণ করি কেন !
তোদের কাছে ঋণী আমি
তা কি কভু জানো?
ভেবেছিলা শোধ করিবো
তোদের স্বরণ করে
তাই তো লেখা চিঠিটা মোর
নয়নের জল ফেলে ।
পরকে তোরা আপন করে
কেমনে কাছে নিলি
প্রেম প্রয়োসী মোনটা তোদের
উজার করে দিলি ।
কী পেয়েছো ত্যাগ করে সব
দেখি নাতো কিছু ,
যাবে না কি বিফলে সব
হবে না তো মিছু ?
লাখ জনতার ঢেউ সমুদ্রে
দিচ্ছ প্রেমের ভেলা ,
সেই ভেলাতে উঠে আমি
করছি অব হেলা ।
হেলায় হেলায় কাটছে লগন 
বৃদ্ধ অবশেষে,
শোধ হলো না ঋণ তব মোর
মৃত্যু গেল এসে ।
দিসরে তোরা ক্ষমা করে
শোধ হবে না যদি,
পরকালে পূণ্য দেব
দেব নয়ন মুদি ।
এসব লেখা পড়ে কভু
কষ্ট পেয়ো নাতো
কবিতারই ছন্দে আমি
লিখবো আরো শত ।
জেনে রেখ তোদের গান
গাইবো চিরদিন ,
পরকালেও লীন হবে না
বাজবে তাহার বীণ ।
তোমরা বুঝি আমার কথা
রখবে না তো মনে
আর কী হবে মনে রেখে
জানুক সর্বজনে ।
জানি বুঝতে তোদের কষ্ট হচ্ছে
আমার চিঠির বাণী
মর্ম ভেবে বুঝে নিয়ো
কী লিখেছি আমি ।
হঠাৎ করে আসল চিঠি
পুবের বাতাশে ,
দিবে এমন কে বা চিঠি
কোন বা আকাশে ।
কাহার এমন হল হৃদয়
ধ্রুব তারার মতো ,
কোন সাগরে দিলো চিঠি
হৃদয় করে শত ।
সেই চিঠিটা খুলে দেখি
গোলাপ রাশি রাশি,
সৌরভে তার পাপড়িগুলো
যায় গো চলে ভাসি।
এমন লেখা মিষ্ট মধুর
পড়ছি যখন মুখে ,
নয়নে মোর জল এসে যায়
হাজার মহা সুখে ।
কীযে তাহার ধীর গতি 
মায়ের ভাষায় লেখা
এমন মধুর চিঠি কভু 
আর দেবে না দেখা ।
ছিল কত প্রশ্ন তাহার 
চাওয়া পাওয়ার ধ্বণী 
আরো ছিল ভালোবাসা
ছিল সুরের বাণী ।
এখন তোদের চিঠির জবাব কান খুলিয়া শুনো
যুক্তি দিয়ে মুক্ত করো 
মুখ বুঝিয়া মানো ।
মিলে মিশে থাকবে সদা
বন্ধু আমার যত
ছাত্রবাসের শৃঙ্খলা 
রাখবে অবিরত ।
ওহিদ , জামাল, তাওহীদ কাজী, 
মামুন জাহিদ সবে ,
ওদের কাছে আমার ছালাম পৌঁছে দিও তবে ।
আরো আছে কত বন্ধু
আছে তোদের জানা,
তাদের কাছে আমার প্রেমের দিও একটু হানা।।
আর কত নষ্ট করবো
তোদের খেলো সময় ,
কবিতাকারে লেখার জন্য
মাফ করে দাও আমায়।
মন যে আমায় বারণ করে
লিখতে সুরের বাণী
আর যে দিবি কত কষ্ট
তুই যে মহা ঋণী ।
ক্ষমা চেয়ে নেবার সময়
আসলো বুঝি এখন ,
বুঝবো আমি মূল্য তাহার
হারিয়ে যাবে যখন ।
থামছে না যে কলমটা মোর
চলছে অবিরত,
কেমন করে থামাই তারে
লেখার আছে শত ।
কী যে এমন লেখার আছে
পাই না ভেবে কূল ।
কেমন করে লিখি আমি
হয় যদি সব ভুল।
ভালো থেকো সুখে থেকো
মনে রেখো মোরে ,
চাই যে ভুলতে তোদের আমি 
ভুলব কেমন করে ।
তোদের মঙ্গল কামনাতে
ব্যাস্ত কলম কালি ,
বাকি সব কথাগুলো 
কেমন করে বলি।
শেষ করি টানলাম ইতি
করলাম অবসান ।
কষ্ট দিলাম তোদের আমি
আলানূর তবাজন ।।
‪#‎আমি‬ যখন প্রথম বারের মত কোটালী পাড়ে ছেড়ে বাড়ীতে চলে এসে ছিলাম তার ছয় মাস পর কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাকে একটি চিঠি দিয়েছিল সেই চিঠির প্রতিত্তর ছিল এই চিঠিটি।
‪#‎ভুলগুল‬ ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । তখন কবিতা কাকে বলে জানতাম না ।

------------------------------------------------------------
]] মৃত্যুর মুখে [[
....মোঃ আলানূর হোসাঈন
কোন খেয়ালে কোন লগনে ,

বাঁধন ছেড়ে যাবে উড়ে ।

সাথী হারা সর্ব হারা ,
সূর্য কিরণ চন্দ্র কিরণ ,
মেঘ করেছে গগন তলে ।
কোন খেয়ালে কোন লগনে ।।

মাটির ঘর মাটির কায়া ,
পাষাণ হৃদয় নেই তো দয়া ।
আস্ত মানুষ খাচ্ছে গিলে ।
কোন খেয়ালে কোন লগনে ।।
দালান কোঠা বাড়ি গাড়ি ,
প্রিয় জনের আহাজারী ,
অর্থ দিয়ে যায়না ফেরা ,
মৃত্যু নামক সেই ছোবলে ।
কোন খেয়ালে কোন লগনে ।।
সক্তিশালী বীর সেনানী ,
থাকনা যত বাহাদুরি ,
বন্দি করে যায় না রাখা ,
পরবে যখন সেই ছোবলে ।
কোন খেয়ালে কোন লগনে ।।
প্রান পাখিটা পোষলা তুমি ,
দুধ-কলা ভাত সবই দিলি ,
এক সেকেণ্ডের নেই ভরসা ,
খাঁচা ভেঙ্গে যাবে চলে ।
কোন খেয়ালে কোন লগনে ।।
মিছে প্রেমের ঘোর ছলনায় ,
ভাসছো তুমি সেই মোহনায় ,
শেষ হবে তোর মিছে আশা ,
প্রিয়া যাবে গর্তে ফেল ।
কোন খেয়ালে কোন লগনে ।।।
-------------------------------------------
বৈশাখী পূজাসহ সকল মহামারী থেকে বাঁচার উপায়
---মো. আলানূর হোসাঈন
-------------------------------
আমাদের প্রত্যেক সচেতন মানুষকে এ বিষয়ে চিন্তা করা দরকার। আমরা যদি চিন্তার গভীরতায় প্রবেশ না করি তাহলে অপসাংস্কৃতির মহামারী আমাদের কাউকে ক্ষমা করবে না। বিশেষ করি লেখক সমাজ ও প্রজ্ঞাবানদের এগিয়ে আসতে হবে।এই মহামারী চড়ম আকার ধারণ করবার আগেই কিছু করতে হবে। 
একটা কথা মনে রাখতে হবে রোগের কারন নির্ণয় না করে রোগ দেখে ঔষধ প্রয়োগ করলে সেই রুগী সাময়ীক ভালো হলেও তা বার বার দেখা দেবে এবং নতুন নতুন রোগের সৃষ্টি করবে । এই মহামারী থেকে জাতিকে সুস্থ করতে হলে সঠিক কারন খুঁজে বেড় করতে হবে।আমাদের ভাবনা খুবই দূর্বল, আমরা উপরে উপরে ভাবি, সাময়িক ভাবনা ভাবি, ভাবনার গভীরতা আমরা যাই না, ফলে আমাদের এলোমেল ভাবনা কাজে লাগাতে পারি না। 
শুধু বৈশাখ বলে কথা নয় বাঙগালীর যত উৎসব আছে তাতে অংশগ্রহণ করে আনন্দিত হবার কারন ? খেলা দেখে আনন্দিত হওয়ার কারন ? নাচ, গান, নাটক, চলচ্চিত্র, সাংস্কৃতিক যত অনুষ্ঠান এসবে মানুষ কেন আকৃষ্ট হয় তার কারন ? বর্তমান মহামরি থেকে বাঁচতে হলে এসব কিছু নিয়ে ভাবতে হবে।
একটা কথা মনে রাখতে হবে এসব কিছুর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া মানুষের একটা প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য।মানুষ চাইলেও এসব থেকে দূরে থকতে পারবে না । এসব মানুষের মনের ক্ষুধা , মনের ক্ষুধা তাকে দিতেই হবে । এজন্যই মানুষ আনন্দ ভালোবাসে, বিনোদন ভালোবাসে । এখানে দ্বিমত করবার কোনো উপায় নেই। বলতে পারেন মসজিদের ইমাম সাহেব সে কি মানুষ নয়? সে তো আনন্দ ফুর্তি করে না, উৎসব করে না , বিনোদন পছন্দ করে না। কথাটি সঠিক নয়। যত বড় বুজুর্গ হোক প্রথমে ধরে নিতে হবে সে একজন মানুষ সে ফেরেস্তা নয়! মানুষ বলতেই অনেক দূর্বলতা তার থকবে। ইমাম সাহেবের কানে যদি ইসলামী সঙ্গীত মধুর সুরে আসে সে কান খারা করে শুনতে চাইবে। সে ঈদে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ করবে। সে একজন ইমাম সে জানে বিনোদনের নামে যা হচ্ছে তা পাপ, অন্যায় এই জানার কারনে ভয়ের কারনে সে নিজেকে এই পাপ থেকে দূরে রেখেছে নতুবা সেও এই পাপে জড়িয়ে পরতো । কিন্তু এই জাতির সবাই তো ইমাম বা বুজুর্গ নয়। তারা তো এই অপসাংস্কৃতিকে রক্তের সাথে মিশিয়ে ফেলেছে। তাদের রক্তকে দূষিত করে ফেলেছে।কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ এগুলো জাতি ভাবে না , বৌশাখী উৎসব পালোনের নামে তারা যে মূর্তি পূজা করছে , বিনোদনের নামে অশ্লীল ও পাপে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে তা তারা হিসেব করে দেখে না । 
একটু আগেই বলেছি এসব মানুষের রক্তের সাথে মিশে গেছে । এখন কি এই দুষিত রক্ত মানুষের শরীর থেকে ফেলে দিবেন ? যদি ফেলে দেন তাহলে তো তারা মারা যবে। তাহলে কী করবেন ? আমাদের যা করতে হবে তা হলো একদিক থেকে ভালো রক্ত প্রবেশ ঘটাতে হবে অন্য দিক থেকে দুষিত রক্ত সমান তালে বেড় করতে হবে। যদি অধৈর্য হয়ে এক দিনে দুষিত রক্ত ফেলে দিয়ে এক দিনেই বিশুদ্ধ রক্ত প্রবেশ করাতে চান তাহলে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যার্থ হবেন। কারন এতদিন যেই রক্ত তাকে চালিত করেছে সেখানে হঠাৎ করে অপরিচিত রক্ত শরীরের সাথে মিশতে এবং খাপ খেতে সময় লাগবে। এজন্য ধীরে ধীরে কৌশলে এগোতে হবে। অনুরুপ ভাবে এই জাতির দেহ থেকে অপসাংস্কৃতির এই মহামারী দূর করতে চাইলে দুষিত রক্তের মত একদিনে ফেলে দিতে চাইলে জাতি মারা যাবে বা রিএকশন করবে । ঐ রক্তের মতই এক দিক থেকে ভালো বিনোদন, সাংস্কৃতি ঢুকাতে হবে ঠিক সেই তালে মন্দটা দূর করতে হবে। আপনি মানুষের মনকে বিকল্প খাবার না দিয়ে বর্তমান মন্দ খাবার কেড়ে নিতে চাইলে তারা আপনার বিরুদ্ধে দাড়াবে, বিদ্রোহ করবে। আপনি এভাবে তাদের ভালো করতে গিয়ে খারাপটাই বেশি কর ফেলবেন । এই জন্যই রাসূল স. আগে বলেছেন সৎকাজের আদেশ দাও তার পর অসৎ কাজের নিষেধ করতে বলেছেন। তিনি আগে নিষেধ করতে বলতে পারতেন। অসৎকাজের বিকল্প সৎকাজ। বিকল্প আগে দিতে হবে তারপর মন্দটি সে ভুলে যাবে বিকল্পটি পেয়ে। 
এই জন্য দীর্ঘ্য মেয়াদী পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে এগোতে হবে। বিনোদনের যতোগুলো শাখা প্রশাখা আছে, উৎসবে যা কিছু করা হয়, মনের ক্ষুধা মিটানোর যতগুলো মাধ্যম আছে, সব কিছুতেই বিকল্প প্রবেশ করাতে হবে। 
প্রথমেই বলেছি কৌশলে আগাতে হবে, বুঝতে দেয়া যাবে না। তাহলে আপনার প্রতিপক্ষের এই বিশাল রাজ্যে যারা অশুভ দিয়ে মানুষের হৃদয় দখল করে রেখেছে, মানুষের খাবরের প্রতি দূর্ব লতা দেখে যা খুশি তাই খেতে দিচ্ছে তারা আপনাকে ভালো কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে দিবে না। পদে পদে বাধাঁর সৃষ্টি করবে, অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিবে সকল প্রচেষ্টা। আপনারা যদি আশা করেন কয়েকদিনেই সব পরিবর্তন করে ফেলবেন তাহলে সম্পূর্ণ ব্যার্থ হবেন।
একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উদহরণ দিচ্ছি, আমি যখন কোটালীপাড়া পড়শুনা করতাম , তখন সেখান প্রাইভেট পড়ার একটা মহামারী আকার ধারন করেছিল। ক্লাস ছুটি হলেও বুঝা যেত না ছুটি হয়েছে । রাত ৮টা পর্যন্ত চলত প্রাইভেট পড়া। তৃতীয় শ্রেণী থেকে শুরু করে বিএ পর্যন্ত। প্রাইভেট পড়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কখনও শুভ নয়। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ ছাত্রদের জন্য হতে পারে। আমি প্রতিটি ক্লাসে গিয়ে ছাত্রদের প্রাইভেট পড়তে নিষেধ করতাম। তারা আমার কথা শুনতোই না বরং বলতো আপনি কি চান আমরা ফেল করি বা খারাপ রেজাল্ট করি ? যারা প্রাইভেট পরে তারা তো এ প্লাস পেয়েছে। পরে আমি বুঝতে পারছি আমি যতই তাদের নিষেধ করি কাজ হবে না। আমার যতটুকু সম্মান আছে সেটুকুও যাবে। তখন ভেবে আবিষ্কার করলাম এই প্রাইভেট বন্ধ করতে হলে আমাকে বিকল্প কিছু ছাত্রদের সামনে দিতে হবে। আমার ভাবগুলো কয়েক বন্ধু ও সমমনা দুই শিক্ষকের সাথে শেয়ার করলাম। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম একটা কোর্চিং সেন্টারের মাধ্যমে এর সমাধান করবো। নাম দিলাম ’বিকল্প স্টুডেন্ট কোচিং সেন্টার’ । যেখানে প্রাইভেটে ৩০০ টাকা দিতে হতো, সেখানে আমরা নিবো মাত্র ১০০ টাকা এবং দরিদ্রদের ফ্রী পড়াবো। ক্রমশ প্রাইভেট ছেড়ে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হচ্ছে ছাত্র ছাত্রী। প্রাইভেট শিক্ষকরা হতাশ হচ্ছে। আমরা সবাই বিনা বেতনে ক্লাস দিচ্ছি। ওদের বেতন ওদের কাজেই লাগাচ্ছি। এখন ঐসব শিক্ষরা আমাদের সাথে জিদ করে ক্লাসে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে পড়াচ্ছেন। ছাত্ররাও নিজে নিজে পড়তে পারছেন এখন তাদের কোচিং দরকার হয় না । কয়েক মাস পর আমরাও কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিলাম। পরবর্তিতে পরিক্ষায় প্রারাইভেট ছাড়াই আগের চেয়ে অনেক ভালে ফলাফল অর্জন করছে। আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।আমরা চেয়েছি শিক্ষক যেনো ঠিক ভাবে ক্লাসে পড়ায় । আমাদের উদ্দেশ্য ছাত্র ছাত্রীদের উপর চাপিয়ে দেইনি। চাপিয়ে দিতে গেলে এটা সম্ভব হতো না । অতএব আমাদের ক্ষণিকের চিন্তা করলে হবে না। আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে বসে থাকলে চলবে না । সবাইকে বাদ দিয়ে শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলেই হবে না । আল্লাহ আমাদের যে মেধা এবং জ্ঞন দিয়েছেন তাকে কাজে লাগাতে হবে। অন্যের যায়গায় নিজেকে বসিয়ে ভাবতে হবে।তাহলেই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবো । মানুষ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব দেশ, জাতি, মানুষ ও মানবতার কল্যাণে কাজ কারা এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমস্ত রকম অন্যায় ও অপসাংস্কৃতির বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখা ।সবাই এগিয়ে আসুন আমরা আমাদের মার্তৃভূমির জন্য কিছু করি ।
-------------
মো. আলানূর হোসাঈন
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,
বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ।
-------------------------------------------------
বিপন্ন পৃথিবী !
মোঃ আলানূর হোসাঈন 
||<>||<>||<>||<>||<>||
এ আমার পৃথিবীর ধ্বংস লিলা , 

কোমল হৃদয়ের তিক্ত হাহাকার । 

বাতাস রৌদ্র আকাশ সমুদ্র ,
সমস্ত কিছু বন্দি আপন কারাগার ।
কিন্তু না, আবার পৃথিবী উঠবে জেগে ,
পারবে না কেহ করিতে ক্ষত ।
পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে চলবে আবার ,
মানবতার গান গাইবে শত ।
বিদিশার কালো নিশা হতে ,
উঠবে জেগে লাশ পড়ে থাকা মানুষের ।
দরজা কপাট খুলবে আবার ,
মাকড়সার জালে বেঁধে থাকা জড়াকির্ণ জীবনের ।
আবার পৃথিবী মুখরিত হবে ,
ঘাস পোরা জমিনে শীতল বর্ষাঢ় বারি ।
ফুলে ফুলে উঠবে ভরে শূণ্য মাঠ ,
শান্তির সাগর পাড়ি দিবে জীবন তরী ।।
#2005
--------------------------------------

সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর/পর্ব ৭৬

সাহিত্য ও সমাজ ভাবনা
--মো. আলানূর হোসাঈন
----------------
শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি এই তিনটি উপাদান মানুষ না চাইলেও তার রক্তের সাথে, মস্তিস্কের সাথে মিশে মানুষকে চালিত করে।তার আত্মার তৃষ্ণা নিবারণ করে। এই তিনটি উপাদান কর্তৃক তৈরি হয় পরিবেশের ভালো মন্দ। পরিবেশ ভালো হলে নাকি মানুষও ভালো হয়। যে পরিবেশ সভ্য, সুন্দর ইসলামী, তার মানূষও সভ্য, সুন্দর ও ইসলামী রুপে গড়ে ওঠে। আর এই ভালো মন্দ পরিবেশ তৈরি করে তার শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃত। যার প্রধান উপাদান আমি মনে করি সাহিত্য। সাহিত্য থেকেই আসে শিক্ষা ও সংস্কৃতি। একজন লেখক একটি বই রচনা করার পর বইটি স্কুলে যাবে শিক্ষার্থীরা পড়ে জ্ঞান অর্জন করবে। হাজারো ভ্রান্ত পথের তরুণ তরুণীরা একটি সুন্দর বই, একটি ইসলামী সাহিত্য হাতে পেয়ে অন্ধকার থেকে আলোয় এসেছে,। আমি সাহিত্যের সঙ্গায় লেখকদের নেব না, আমার দৃষ্টিতে যারাই পাঠকের পাঠ উপযোগী কিছু লিখছে তারাই সাহিত্যিক।একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত যত শাখা-প্রশাখা আছে সব কিছুই সাহিত্যের অধীন। বলা হল তুমি মেডিসিন বিষয়ে বই রচনা করতে চাও? তাহলে মেডিসিন বিষয়ে কিছু সাহিত্য পড়ে নিও। আপনি ইসলামী সংগঠনের কর্মী হতে চান, আপনাকে অবশ্যই কিছু ইসলমী সাহিত্য পড়তে হবে। বর্তমানে আপনরা লক্ষ করবেন স্কুল ,কলেজ সাদ্রাসার পাঠ্য-পুস্তকে ইসলাম বিরোধী রচনা ঢুকিয়ে দিয়েছে। এগুলো কারা করেছে? সাহিত্যিকরাই করেছে। আপনি গভির ভাবে লক্ষ করুন, ইসলাম ও সত্যর পথে মানুষের কল্যাণের মানুষকে আহ্বান জন্য মানুষকে নানা ভাবে দাওয়াত দিতে হয়, বুঝাতে হয় , ইসলামী সাহিত্য, কোরআন-হাদিস পড়াতে হয় , আবার প্রতি বছর সারা দেশেই শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কিন্ত বাম, অনৈসলামিক, নাস্তিক হবার জন্য বা এই জাতীয় দলে আহ্বান করতে আজ পর্যন্ত দেখেছেন কাউকে দাওয়াত দিতে, সাহিত্য পড়াতে, মাহফিল করতে? দেখেননি কারন তারা এই দাওয়াত শিক্ষা, মাহফিল, স্কুল কলেজের পাঠ্যপুষ্তক থেকে , পরিবেশ থেকে পেয়েছে এবং পেতেছে। আর যদি পুরোটাই এর বিপরীত হত, অর্থাৎ শিশু থেকেই, পরিবার থেকে , স্কুল থেকে , পরিবেশ থেকে ইসলামী শিক্ষা পেত , কোরআন –হাদিস, ইসলামী সাহিত্য স্কুলে পড়াতো তাহলে ইসলামের পথে সুন্দরের পথে কল্যাণের পথে কাউকে দাওয়ত দিতে হত না। সব অটোমেটিক ভাবে চলে আসতো। বরং ভ্রান্ত পথে, খারাপ পথে, নৈসলামীক দল করতে মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না দাওয়াত দিতে হতো। আজ স্কুল কলেজে যে সব সাহিত্য পড়ানো হয় তার কোনটাই ইসলামের ধারে কাছেও নেই। যার ফলে ঐ সমস্ত ছাত্ররাই সন্ত্রাসী, নীতিহীন, ধর্ষক , চাঁদাবাজ এবং উচ্চ শিক্ষা নিয়েও দূনীতিবাজ হচ্ছে। আপনারা যখন মানুষকে দাওয়াত দেন, আপনারা কত কষ্ট করে কোরআন –হাদিস, ইসলামী সাহিত্য বাধ্যতামূলক ভাবে পড়িয়ে থাকেন। একেক জনের পিছনে অনেক মূলবান সময় ব্যায় করে থাকেন। ওয়াজ মাহফিল করেন এই কাজটি তো স্কুল কলেজের করার কথা ছিল। তারা যদি এটা করতো , তবে আপনাকে আমাকে এত কষ্ট , সময় -শ্রম যুগের পর যুগ ধরে করতে হতনা। আর কল্যাণমুখী একটি সুন্দর সমাজ গঠন করতেও যুগ-যুগান্তর অপেক্ষা করতে হত না । আমার মূল বিষয় হল সাহিত্য,, আজ আপনি সুন্দর পথের অভিযাত্রি, একজন বড় নেতা, আপনি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন বাংলাদেশে কয়জন সুসাহিত্যক তৈরি করতে পেরেছেন? সাহিত্য থেকেই আসে সাংস্কৃতি। আজ টিভি চ্যানেল, রেডিও খুললেই দেখতে পাই অশ্লীল গান, নাটক, নৃত্য আরো কত কি! এসব কার রচনা? সাহিত্যিকরাই রচনা করে, সাংস্কৃতিক কর্মীরা সেগুলো উপস্থাপন করে। আজ যদি আপনি একটি কল্যাণমুখী সুন্দর সমাজ চান, তাহলে আপনাকে আন্দোলন ,সংগ্রাম, মিটিং, মিছিল সভা-সমাবেশ, দাওয়াত দিলেই হবেনা, আপনাকে ইসলামী তথা সুসাহিত্য-সংস্কৃতির বিপ্লব ঘটাতে হবে , বাকিগুলো অটোমেটিক চলে আসবে। আমাদেরকে যুগের পর যুগ অপেক্ষা করতে হবেনা। আসুন আমরা সাহিত্যের ময়দানে বিপ্লব ঘটাই।পারস্পারিক হিংসা বিদ্বেষ ভুলেগিয়ে ভালোবাসার সেতু বন্ধন করে সাহিত্যের ময়দানে নিজেদেরকে দক্ষরুপে গড়ে তুলি। নিজেকে সর্বদা শিক্ষর্থী ভেবে উপস্থাপন করে আমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করি ।অপরকে মূল্যায়ন করি, অপরের মতমতকে শ্রদ্ধা করি, নিজের সার্থ ভুলে মানুষের স্বার্থে কাজ করি। প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করে তাদের প্রতিভা বিকশে নিজেদেরকে প্রস্তুত করি। আমরা একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম গড়েতুলি, যার মাধ্যমে আমরা একে অপরকে চিনতে পারব, জানতে পারব, নানা ভাবে সহযোগিতা করতে পারব। সর্বপরি মহান আল্লাহর কাছে সাহয্য চাই। 
----------------------- 
মোঃ আলানূর হোসাঈন 
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,
বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ।
----------------------------------------------------------

খোকার স্বপ্ন

মো. আলানূর হোসাঈন
===
আমার খোকা স্বপ্ন দেখে
অনেক বড় হবে,
দেশের বোঝা মাথায় নিয়ে
সবার সেবায় রবে।
করবে সেবা দুখিজনের
থাকবে সদা সুখে,
অনাহারি গরিব দুখির
দিবে খাবার মুখে ।
স্বপ্ন দেখে ফুলের মত
বাসবে সবে ভালো
চাঁদের মত আঁধার মাঝে
ছড়িয়ে দিবে আলো।
---------------------------------------

রাগ-রাগিনী সুরে আমার

হারিয়ে গেল মন,
কে যেন কে বাজায় বাঁশি,
হারিয়ে স্বজন ।।
সুধালো মন তার তরে,
অঘাত নিদ্রায় কেমন করে।
হৃদয় যদি কেঁপে উঠে শুনে সে গর্জন।
ব্যর্থ হৃদয় অনুরাগী,
কখনো সে তারই লাগি,
দুঃখ পেয়ে বাজায় বাঁশি এইতো নিদর্শন।
ফন্দি খুঁজে সুখের তরে,
ভালোবাসার শমসরে,
বক্ষ তার ছেদ হয়ে যায়
খুঁজে সে নন্দন ।
উল্লাসে আজ দুল দুলালী,
সে নাকি হয় চোখের বালি.
তাইতো দেখি অশ্রুসিক্ত জল ভরা নয়ন।
---------------------------------------
[]মিছে ধারনা[]
মো. আলানূর হোসাঈন
এখনো চোখ খুলে দেখনি,

পুব দিগন্তে উঠেছে সূর্য। তুমি মিশে গেছ আঁধারে,

তাই আঁধারেই হারিয়েছ ধৈর্য্য।
যে ফুলের সৌরভ নিলে যত কাল,
কাগজের ফুল নয়ত ছায়া কিছু।
এখনো ঘুম তোর ভাঙ্গেনি তো চোখে,
ঘোর তমাশারে আপন ভাব তুমি মিছু।
একটু দৃষ্টি প্রসারিত করে দেখ,
কত কৌতুহল আগ পিছ রয়ে গেছে বাকি।
কি ভাবে তুমি তারে টানলে ইতি,
বিশ্বাস বুঝি তেরো কত দিয়েছে ফাঁকি।
লাশের পরে লাশ জমিনে পড়বে চারদিন,
তাই বলে কি সত্য হয়ে যাবে লাশ?
মিছে ধারনা কভু তুমি রাখো নাকো বুকে,
রাত্রি ভেদ করে আসে দিন বার মাস।
যেই সুখের সন্ধানে তুমি কাল করেছ ক্ষয়,
কভু কি পেয়েছ তুমি তার সন্ধান। 
যদি না পাও তারে ভুলো না মহান প্রভুরে। 
আল কোরআনের কাছে পাবে মহা সেই দান।।
------------------------------------------
মানুষ
======
ইতর মনের মানুষগুলো

কেনরে ভাই এমন হয়।

আঘাত হানে মানব মনে,
আল্লাহপাকে নেই তো ভয়।
ছিঃ ছিঃ শিক্ষিতরাও
হার মেনে যায় কর্মে তার।
নষ্ট দেখে যায়না বুঝা,
বেশ ভুষাতে চমৎকার ।।
‪#‎মোট‬ চার লাইনের প্রথম অক্ষরগুলো দিয়ে একটি নাম।
-------------------------------
ভাষার গান
আলানূর হোসাঈন
-------
যে ভাষাতে বললে কথা
হৃদয় সিক্ত হয়,
যে ভাষাতে জন্ম আমার
দিলেন দয়াময় ।
সে যে আমার মার্তৃভাষা
বাংলা তারে কয়।
বাংলা তারে কয় ।।ঐ
ছালাম বরকত রফিক জব্বার,
নাম না জানা কত,
বীর সেনানী গোলাম আজম
লড়েন তাদের মত ।
রক্ত পথে বাংলা এলো সবুজ এ ধরায় ,
সবুজ এ ধরায় ।। ঐ
বাংলাতে ভাই বললে কথা
যায় সহজে বোঝা,
তবু কেন ভিন ভাষাতে
বাংলা কত সোজা,
দেখ বাংলা কত সোজা।
মার্তৃভাষা ছেড়ে যারা অন্য ভাষায় কয় ।
দেশ ছাড়া আজ কর তারে, সে আমাদের নয় ।
সে আমাদের নয় ।। ঐ
------------------------------------------

প্রেমময় মনে

...মো. আলানূর হোসাঈন
|
প্রেমময় মনে, 
জাগে সেই ক্ষণে, 
হৃদয়ের ভালোবাসা জাগে সিমাহীন।
জানি আমি জানি,
সেই স্মৃতি বাণী,
ইতিহাসে রবে লেখা চির অমলীন।
শত প্রিয় মুখে,
জেগে উঠে সুখে,
ছিল এক ফজলে রাব্বি দ্বীন।
যেন বিনা তারে,
বেঁধে নিলো মোরে,
সেই প্রেম কোনও দিন হবে নাতো লীন।
এই মম টানে,
জয় ছিনে আনে, অতীতের পাতা খুলে দেখি আমি তা।
নেই কোনো ভয়,
পাবো নিশ্চয়,
কত দূর যেতে হবে তা তো জানি না।
----------------------------------------

একটা শুন্য জীবন

মো. অালানূর হোসাঈন
-----------------------
একটা শুন্য জীবন দিয়েছে উপহার,
ভরিয়ে দিতে ওর যত্র তত্র যন্ত্র।
জল ভরা আখি তার ভরে দিতে মমতার ,
সাজিয়ে দিতে হবে ওর যত শত মন্ত্র।
এখন ওর আত্মা শুন্য, হাজারো পূণ্য
রং ভরে হবে তার পরিবর্তন।
আঁখি তার শুন্য জল, বেদনার কোলাহল
কি ভাবে হবে তার বারি কর্তন।
এক রাশ বেদনা, হতে কভু দেবো না,
প্রেরণা দেবো তারে অক্ষয়,
তুলে হাতে দেবো আলো, পৃথিবীর সব ভালো,
সব বাণী হবে তার সঞ্চয়।
---------
কত ডালে ডালে পাখি, কিচি মিচি করে ডাকি,
সকাল সন্ধ্যায় , নানা সুরে গান গায়,
এই নব জীবনে করি আহ্বান।
কতো নদী বাঁকে বাঁকে, জলে জলে আঁকা থাকে,
নব জীবনের আশা, সমুদ্রের ভালোবাসা,
এই নব জীবনের মহা কলোতান।
কতো মেঘ যায় চলে, পাখাহীন দলে দলে,
ওদের দীপ্ত মনোবল, বেদনার অশ্রুজল,
মিশাতে চাই নব জীবনের মমতায়।
কতো বৃক্ষ পুষ্পরাজি, কাননে কাননে রয়েছে সাজি,
নিঃস্বার্থে করেছে দান, তুলনাহীন সে মহান,
রাঙ্গিয়ে দিবো নব জীবনের সীমানায়।
কতো শিল্পী আঁকে ছবি, দেশে দেশে কত কবি,
তাদের দু’ চারটি চরন, করিবো অনুসরণ,
এই নব জীবনের রুপালী পাতায়।।
---------------------------------------------

থাকব পাশে

মো. আলানূর হোসাঈন
ණණණණණණණණ
থাকব আমি তোদের পাশে, ওহে সর্ব হারা। 
মুছে ফেল নয়নের জল, জল ফেলেছ যারা। 
কীসের এত দুঃখ তোদের, কীসের অভিমান।
কীসের তরে মরছ ধুকে, কাঁদছে কেন প্রাণ।
জন্ম তোদের এই দেশেতে, এই মাটি তোর মা।
লক্ষ কোটি জনতা আজ, ভাইয়ের তুলনা।
বেঁচে থাকার অধিকার আজ,
ওদের আছে যেমন।
এখন তুমি আদায় কর, সেই অধিকার তেমন। শক্তি সাহস রাখ বুকে, মার হায়দারী হাঁক। কাঁপিয়ে দাও বিশ্বটাকে, হায়েনারা নিপাত যাক। জাগিয়ে দাও এবার তুমি ঘুম পরানো মন।
দৃঢ়ভাবে করবে এবার,
যুদ্ধ জয়ের পণ।
সহ যোদ্ধা পাবে মোরে, ওগো বন্ধু তুমি।
তোদের হাসি না দেখিয়া, মরব নাকো আমি।
----------------------------------------

আমি কবি 

দেখি ছবি,
অসহায় মানুষের মুখ।
তাই লিখি
ঝরে আঁখি,
যদি তার কেটে যায় দুখ।
কত কবি
দেখে ছবি,
দেখে ঐ নারীদের রূপ।
লিখে তারা
হীন ধারা,
তুমি কবি হয়ে গেলে চুপ!
--------------------------------

স্বাধীনতা কি ?
-------মোঃ আলানূর হোসাঈন

স্বাধীনতা কি ফেলানীর লাশ ?

কাটাতারে ঝোলা !

স্বাধীনতা কি মানুষ মেরে,
লাশের উপর খেলা ?
স্বাধীনতা কি অস্ত্র দিয়ে ,
করবে ওরা গুলি ?
স্বাধীনতা কি ধ্বর্ষণ করে ,
করবে সেঞ্চুরী ?
স্বাধীনতা কি বিশ্বজিতের
করুন মৃত্যু চাওয়া ?
স্বাধীনতা কি সত্য বললে
গুম হয়ে তার যাওয়া ?
স্বাধীনতা কি মিছিল হলে
পুলিশ দিয়ে খুন ?
স্বাধীনতা কি অন্য দলের
অফিসে দেয়া আগুন?
স্বাধীনতা কি বঙ্গ বীরকে,
রাজাকার গালি দেয়া ?
স্বাধীনতা কি ব্যাংকের টাকা,
লুট করিয়া নেয়া ?
স্বাধীনতা কি বিচারপতির,
স্কাইপি কেলেংকারী ?
স্বাধীনতা কি সত্য লেখায়
মাহমুদুর রহমানকে গালি ?
স্বাধীনতা কি ছাত্রাবাসে,
সন্ত্রাসীদের আগুন ?
স্বাধীনতা কি সারা দেশে ,
করবে ওরা খুন ?
স্বাধীনতা কি লগীবৈঠায়,
মানুষ মারতে বলা ?
স্বাধীনতা কি দশ টাকার চাল,
চল্লিশ টাকায় খাওয়া ?
স্বাধীনতা কি সত্য বলায়,
সাগর রুনীর লাশ ?
স্বাধীনতা কি মানুষ মেরে,
করা আইন পাশ ?
স্বাধীনতা কি শিক্ষকদের,
মরিচের গুরি চোখে ?
স্বাধীনতা কি আত্মহত্যা ?
শেয়ার লুঠের দুঃখে !
স্বাধীনতা কি টিপাইয়ে বাঁধ?
কিরষকের চোখে জল ?
স্বাধীনতা কি ঠেকাইয়ের চোখে
অশ্রু টল মল ?
স্বাধীনতা কি লীগের দ্বারা,
শিক্ষকের মার খাওয়া ?
স্বাধীনতা কি গরিব দুঃখীর
রক্ত চুষে নেওয়া ?
স্বাধীনতা কি মজলুমের ঐ,
করুণ আর্তনাদ ?
স্বাধীনতা কি রাস্তার ছেলে
পায় না খেতে ভাত ?
স্বাধীনতা কি সংসদ ভবন
গালীর মঞ্চ হওয়া ?
স্বাধীনতা কি বিরোধী নেতার,
বাড়িটা কেড়ে নেয়া ?
স্বাধীনতা কি মন্ত্রীদের ঐ
কোটি টাকার বাড়ি ?
স্বাধীনতা কি গরিব দুঃখীর
করুণ আহাজারী?
স্বাধীনতা কি ভয় দেখিয়ে
মিডিয়া পক্ষে রাখা ?
স্বাধীনতা কি উচ্চ শিক্ষার
লক্ষ বেকার থাকা ?
স্বাধীনতা কি গণতন্ত্র
বুটের তলায় মারা ?
স্বাধীনতা কি সত্য বললে
গুম হয়ে তার যাওয়া।
স্বাধীনতা কি সেনা নিবাসে
তনু হত্যার ছবি।
স্বাধীনতা কি মিথ্যে আশার,
পুব আকাশের রবি।।।
-------------------------------------------------

---------------------

জাম খাওয়া হলো না
----------------------
জামের মৌসুম। জাম পাকার সময় যত ঘনিয় আসছে; জাম খাবার লোভ তত বেড়েই চলেছে। আমাদের বাড়ি থেকে পুর্ব উত্তর দিকে বেশ খানিকটা দূরে গোল বনের পাশে একটা বড় জাম গাছ। আশে পাশে কোনও বাড়ি ঘর নেই । কোনো মানুষ জনের আনাগোনাও নেই। ঠিক দুপুর ১২টা । আমি আর আমার বড় ভাই ছাড়া কোনো পশু পাখিরও কোনও সাড়া শব্দ নেই। আমরা দুই ভাই পরিকল্পনা করে আসলাম আজ জাম কুড়িয়ে খাব না , আমরা অনেক জাম খাব । উহ! কি যে সুন্দর দেখাচ্ছে বড় বড় জাম পেকে কালো হয়ে গেছে । লোভ ধরে রাখতে পারছি না। পরিকল্পনা মত দা নিয়ে আসলাম । গাছের ডাল কেটে অনেক জাম পাবো। গাছের দিকে তাকিয়ে দুই ভাই একটা ডালকে টার্গেট করলাম । দুজনেই ডাল কাটব । আগে আমি গাছে উঠে কতটুকু কেটে নামব তার পর তুমি উঠবা , তুমি কতটুকু কেটে নামবা তার পর আবার আমি উঠব । এই ভাবে আমার মাধ্যমে শুরু হল জাম গাছের ডাল কাটা। অনেকক্ষণ কাটলাম, খুব কষ্ট হল দায়ে ধার কম আমার হাতে শক্তি কম কারন বয়স কম ছিল কেবল তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। আমি নেমে গেলাম বড় ভাই উঠে কিছুটা কেটে নেমে গেল তারপর আবার আমি উঠলাম। ডাল কেটে ফেলার খুব বেশি একটা বাকি নেই। হঠাৎ একটা বাতাশ এসে চলে গেল । বাতাশ চলে যাবার প্রায় ৩০ সেকেন্ড পর একটা পাতাও যেন নড়ছে না। হঠাৎ হাত থেকে দা পড়ে গেল । মুহূর্তেই আমার পা ফসকে গেল । আমার পা দুটো আর গাছে নেই। শুধু হাত দুটি দিয়ে গাছটির ডাল ধরে ঝুলে আছি। ভয়ংকর অবস্থা ছিল গাছের নিচে। কারন আমি যে বরাবর ঝুলে আছি ঠিক সেই বরাবর গাছের নিচে ছিল একটি খেজুর গাছ। কত বড় বড় খেজুর কাটা । পড়ে গেলে আমি মরে যাবো । খুব কান্না করতে ছি আর আপ্রাণ উঠার চেষ্টা করতেছি গাছে উঠার। আমার ভাইও অসহায়ের মত তাকিয়ে কান্না করতেছে। আমাদের কান্না কেউ শুনছে না। আর পারতেছি না । হাতে আর শক্তি নেই , এখনই যেন পড়ে যাব খেজুর গাছের মাথায়। মুহূর্তেই পড়ে গেলাম খেজুর গাছের মাথায়। তখন যেন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি।খেজুর গাছটি বেশি বড় ছিল না। কাটাগুলো আমার হাতে পায়ে ঢুকে ভেঙ্গে গেছে । আমি খেজুর গাছ থেকে কিছুটা ঝুলে পড়েছি । ভাই আমাকে টেনে নিচে নামিয়ে বসিয়ে জোড়ে জোড়ে চিৎকার করতে লাগল। বাড়িতে তেমন লোকজন ছিল না । বাবা স্কুল থেকে এসে খেতে বসে আমাদের হালকা চিৎকার শুনে দৌড়ে আসল। ভাই ভয়ে একটা তাল গাছের আড়ালে লুকালো । বাবা বলল আলামিন বাবা ভয় পাসনে চলে আয়। আমাকে কোলে করে বাবা বাড়িতে নিয়ে আসল। তখনি কিছু খাবার খাইয়ে আমাকে কলাপাড়া শহরে নিয়ে আসল। ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর এখানে ভর্তি করল। ডাক্তার ছিলেন কলাপাড়া বিএনপির এমপি প্রার্থী এখন সে উপজেলা চেয়ারম্যান। তখন থেকে আমি তার ভক্ত ছিলাম। এখনও আমি তাকে ভালোবাসি। সে নিজ হাতে আমার অপারেশন করেছিল । অনেকে আমাকে দেখতে আসল। পায়ে , আঙ্গুলে এমন ভাবে কাটা ঢুকে ছিল যে দুটি আঙ্গুল এক সাথে জোড়া লেগেছিল । পায়ের পাতায় নিচ থেকে ঢুকেছে উপর দিয়ে কাটা দেখেছে। অপারেশনের পর যখন একটু সুস্থ হলাম তখন অনেকে বলল কি জাম খাওয়া হয়েছে ? আমি বললাম জাম খাওয়া হল না !!! এই দিনটি কথা কোনও দিনও ভুলব না। বাড়িতে গেলে প্রতিবার গাছের কাছে যেতাম । খেজুর গাছও অনেক বড় হয়েছে । ৫ বছর হয় গাছ দুটি আর দেখিনা কেটে ফেলেছে । তবে আমার হৃদয়ে ঐ গাছ দুটি আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবে।
---------------------------------------------------
সূর্য্য মামা
---মোঃ আলানূর হোসাঈন

সাঝের বেলা সূর্য্য মামা/

কইযে গেল কই।
তার খোঁজেতে পুকুর পারে/
একলা বসে রেই।
মা যে আমায় ডেকে বলে
আয়রে খোকা আয়।
সূর্য মামা আসবেনা ফের ,
যায় পালিয়ে যায় ।
মিছে কথা মিছে কথা/
আর বলনা মা।
সুর্য্য মামা যায় পালিয়ে/
কে বলেছে তা।
আকাশ পনে চেয়ে চেয়ে/
ঘুম আসিলো চোখে।
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি/
সূর্য্য মামাটাকে।
সূর্য্য মামা আমার সাথে/
খেলছে লুকোচুরি।
হঠাৎ কোথায় পালিয়ে গেল/
দিয়ে একটা তুড়ি।
সকাল বেলা ঘুমের শেষে ,
তাকাই যখন পিছে ।
সূর্য্য মামা আমায় দেখে/
হাসছে মিছে মিছে।।
-------------------------------------------
প্রতিবাদ
---মোঃ আলানূর হোসাঈন

পথের পাশে দেখছো তুমি

কাঁদছে শিশু চিৎকারে,
করছে আঘাত দুষ্ট পাষাণ
নিচ্ছে জীবন ফুৎকারে।
ছোট্ট শিশু টানছে বিড়ি
হাসছো তুমি তাই দেখে
অবুজ ছেলে মন্দ বলে
অবলিলায় তাই শেখে।
পরের জমি নিচ্ছে কেড়ে
দেখছ তুমি চোখ মেলে
কাজ করে দেয় অফিসারে
একটু যদি ঘুষ পেলে।
রুপের বাহার দেখছে মায়ে
সাঁজছে মেয়ে পার্লারে
তাই না দেখে কত ছেলে
করছে তাদের হামলারে।
এত কিছু দেখে তুমি
করছো না ভাই প্রতিবাদ
তোমার যেদিন আসবে বিপদ
করবে শুধু আর্তনাদ
‪#‎মাত্রা‬ বিন্যাস
৪+৪
৪+৩
--------------------------------------
একটি পরিবার
.........Alanoor Hossain
সাদা কালো ধনী গরিব
কীসের অহংকার ,
একই মায়ের সন্তান মোরা একটি পরিবার।।
মোরা একটি পরিবার।।ঐ
একটি ফুলে পাপড়ি যেমন
থাকে মিলে মিশে,
আমরা তেমন পাপড়ি সম
রয় ভেদাভেদ কিসে।।
মিলেমিশে থাকা ভাইরে
সবার অধিকার।।ঐ
একটি পরিবার আমরা একটি পরিবার।।
দুষমনেরা হানলে আঘাত
আমরা রুখে দেব,
অসহায় ঐ গরিব দুঃখী
বুকে টেনে নেব।
আমরা বুকে টেনে নেব।
জীবন যুদ্ধে করব লড়াই
ভয় নেই হারিবার।।ঐ
একটি পরিবার
আমরা একটি পরিবার।।
------------------------------------------
অনুতাপ
ত্যাগের মহিমা জাগেনি হৃদয়ে,
শুষ্ক মনেতে আসেনি অনুভব।
কুরবানি কি তা জানিনি সময়ে,
অবেলা ভাবি যে বৃথা যেন সব।
আঁধারে ডুবিয়া জগতে মিশেছি,
করিনি জবাই মনের পশুকে।
গরুকে কাটিয়া ফুর্তি করেছি,
দেইনি গোস্ত পথের শিশুকে।
খ্যাতিতে পড়িয়া কিনেছি লাক্ষেতে,
সকলে বলিবে বড় মহাজন,
গরিব এতিমে রয়েছে আশাতে,
তাড়িয়ে দিয়েছি তাদেরে সেই ক্ষন।
পাপের দহনে পুড়িয়া হৃদয়,
ত্যাগ করবানে শুধু অনুতাপ।
ক্ষমা কর মোরে ওহে দয়াময়,
ক্ষমাশীল তুমি ক্ষমা কর পাপ ।।

------------------------------------------

প্রিয় রব
মোঃ আলানূর হোসাঈন

কার কথাতে উঠছে রবি ,পাখীর কণ্ঠে সুর ।
কার কথাতে বইছে তরী ,জীবন সমুদ্রর ।
কার কথাতে পাচ্ছ আলো, বইছে হিমেল হাওয়া ।
কার করুনায় পাচ্ছ মা কে, যার কোলে সুখপাওয়া।
কার করুনায় বইছে নদী , শান্ত দিঘির জল ।
কার ইশারায় দিচ্ছে মধু , মৌ মাছিদের দল ।
কার ইশারায় পাচ্ছ রাত , ঘুম আসে দুই চোখে।
কার করুনায় সুস্থ দেহ , কাটছে জীবন সুখে ।
কার করুনায় হইছ গায়ক , আজকে মহা কবি।
কার দেয়া রং তুলি দিয়ে ,আঁকছ ধরার ছবি ।
কে দিয়েছে শাপলা ঝিলে , দিঘির জলে মাছ ।
কে দিয়েছে মন মাতানো , ফুল ভরা ঐ গাছ ।
কার নামেতে সাঁঝের বেলা, গাইছে পাখী গান ।
কার নামেতে জিকির কর , করছ টাকা দান ।
সে হল মোর সৃষ্টিকারী , আমার প্রিয় রব ।
যার চরণে সিজদা করে , এই ধরনীর সব ।।

-----------------------------------

দুখ মিয়া
-----মোঃআলানূর হোসাঈন

শোনেন শোনেন দেশবাসী , শোনেন দিয়া মন।
দুখ মিয়ার জীবন কথা, করিব বর্নণ।
তের শত ছয় সালে , জন্মে ছিলেন যিনি।
কে জানিত মোদের গর্ব, নজরুল হবেন তিনি।
জন্মে ‍ছিলেন পশ্চিম বঙ্গে, জেলা বর্ধমান।
ফকির আহমদ বাবা তাহার, মসজীদের ইমাম।
সবাই তাকে আদর করে, ডাকত দুখ মিয়া।
শিখত দুখ কোর আন হাদিস , মক্তবেতে গিয়া।
শিখত দর্শন ধর্ম তত্ত, করত জ্ঞান অর্জন।
নয় বছরে বাবার মৃত্যু, ভাঙ্গল তাহার মন।
অভাব অনটনে তাহার , দুঃখের পরিবার।
শিশু বয়সেই এইনা দুঃখির, করতে হয় রোজগার।
চাকরী শুরু মক্তবেতে, শিক্ষকতা দিয়া।
মধুর সুরে আজান দিত, শিশু দুখ মিয়া।
এইনা ফলে অল্প বয়সে, শিখলো ধর্মের জ্ঞান।
গান কবিতায় ছন্দে মোরা, পাই যে তাহার মান।
ইসলামেরই মহান বাণী, আনলেন সাহিত্যে।
সাম্য, শান্তি , ইসলামী গান, রইলেন গহিতে।
লোক শিল্পের প্রতি মোহ, ছিল বাল্যকালে।
যোগ দিলেন তাই লোট নামক, একটি নাট্যদলে।
তাহার চাচা বজলে করিম, নাট্যদলের গুরু।
চাচার কাছেই উর্দ, ফার্সি, শিখতে করলেন শুরু।
লোটদলেই সাহিত্যের, সাধন অবিরত।
কবি গানের আসরেও, থাকতেন নিয়মিত।
লিখে দিতেন নাট্য গান, শিখতেন অভিনয়।
অল্প দিনেই সবার হৃদয়, করে নিলেন জয়।
যাহার প্রমান লোট থেকে , বিদায় নেয়ার কালে।
চায় না দিতে বিদায় সবে, ভাসে নয়ন জলে।
ঊনিশ শত দশ সালে, লোট দল ছেড়ে।
নতুন করে স্কুলেতে, আসেন আবার ফিরে।
রানিগঞ্জের সিয়ারসোল, প্রথম স্কুল ছিল।
বেশি দিন নাথকিয়া, ম্যাথরুন পাড়ি দিল।
আথিক অভাব দুখ মিয়ার, দেয়না পড়তে তারে।
ষষ্টের পরে আবার দুখ , যায় যে কাজে ফিরে।
দুখ মিয়ার দুঃখের কথা , কেমন করে বলি।
চায়ের দোকানে করত কাজ, নয়নের জল ফেলি।
স্কুল ছেড়ে করব কাজ, ভিষণ মনের দুঃখে।
তার কবিতা বফিউল্লাহর, পরল একদিন চোখে।
সেই কবিতা পড়ে তিনি , অবাক হয়ে যান।
যেমন মেধা জ্ঞান প্রতিভা, আর না কোথায় পান।
তারে উনিশ শত ১৪ সালে, ময়মংসিংহ জেলায়।
সেথায় নিয়ে সপ্তমেতে, ভর্তি করে দেয়।
’১৭ তে স্কুল ছাড়েন , দেশের প্রেমে পরে।
বৃটিশ থেকে দেশ উদ্ধরে, যাবেন যুদ্ধ করে।
সৈনিক হয়েও জ্ঞান পিপাশায়, থাকতেন পিপাশিত।
পাইলে কোথাও জ্ঞানের মানুষ, শিশ্য হয়ে যেত।
করাচির সেনা নিবাস, সৈনিক জীবন শুরু।
সেথায় পেলেন ফার্সি ভাষার , নতুন শিক্ষা গুরু।
বাদ্য যন্ত্র, সঙ্গিত শিক্ষা, অব্যাহত রাখেন।
গদ্যে পদ্যে সমান তালে, চর্চা করতে থাকেন।।
(দুঃখ পর্ব সংক্ষেপে)

----------------------------------------------

නනනනනනනනනන
মা জননী
মোঃআলানূর হোসাঈন
නනනනනනනනනන

আজ কবিতার বসবে আসর, আলোচিত হবে মায়ের দান ।
এই আসরের মধ্যমনি
হৃদয়ের মেহমান।
হৃদয় মাকে দিচ্ছে সালাম আপন অন্তরালে।
নামটি মায়ের মধ্যমনি থাকবে সর্বকালে।
কালে কালে স্বরণীতে,
রাখবে লিখে তুমি।
মায়ের ভালোবাসার কথা,
বুঝবে কত দামি।
মায়ের কাছে এই হৃদয়টা, হয়েছে কত দেনা।
ভালোবাসা তার জীবন দিয়ে, যায়না কভু কেনা।মায়ের ভালোবাসা মোদের, চারদিনের সাথী।
সুখে দুঃখে তার মমতায়, ফুলের মালা গাঁথি।
মা জননী এই আসরে,
আজকে তোমায় চাই।
তুমি বিনে এই আসরের,
নাইরে মূল্য নাই।
আজ দেখে যাও তোমায় নিয়ে, লিখছে সবাই বাণী। তুমি মাগো মহামহীম,
দোয়া কর তুমি।
মাগো তোমায় দুই নয়নে, দেখিনা কত দিন।
তুমি বিনে এই হৃদয়ে,
বাজে না সুখের বীণ।
কত আদর সোহাগ দিয়ে,
মুখে খাবার দিতে।
একটু আঘাত পেলে মাগো,
বুকে টেনে নিতে।
কত গল্প শুনাতে মা,
ঘুম পড়ানি গান।
তোমার ভালোবাসা সেতো, প্রভুর মহাদান।
এই জগতে প্রভুর পরে,
তোমায় শুধু বুঝি।
তাইতো মাগো সারা জীবন,
তোমায় শুধু খুঁজি।
মাগো তোমার মুখে কেন, এত মধু মাখা।
হৃদয় তোমার মহা সাগর,
যায়না কভু লেখা।
কি পেয়েছ মাগো তুমি,
এত কষ্ট করে।
তোমায় শুধু দুঃখ দিলাম,
সারা জীবন ভরে।
তোমার হৃদয় কেন মাগো,
এত দয়াময়।
জানতে বড় ইচ্ছা করে,
হয়না কেন ক্ষয়।
আমায় ভালো রাখতে মাগো , রাত জেগেছ কত।
কীসের টানে সুখ দিয়েছ,
কষ্ট করে শত।
প্রশবেরই বেদনায় মা,
মৃত্যু প্রায় তখন।
মৃত্যু কষ্ট ভুলে গেলে,
দেখলে আমায় যখন।
বুকে টেনে নিলে মাগো,
একটু দিলে হাসি।
ঐ হাসিটাই বিশ্বসেরা,
জানে জগতবাসী ।
কোলে কোলে রাখতে আমায়, করাতে দুগ্ধ পান।
তোমার দুগ্ধে সর্ব ঔষধ,
দিলেন মেহেরবান।
বলতে তুমি চাঁদ মামাকে,
টিপ দিয়ে যা।
রাগ করোনা রাগ করোনা,
আমার লক্ষী সোনা।
এখনও মা আমায় ভেবে,
দিন করেছ ক্ষয়।
আমার কষ্টে তোমার হৃদয়, কাঁপছে সর্বময়।
পাঁচ ওয়ক্ত নামাজ পড়ে,
করছ দোয়া তুমি।
যেন সদা খোদার পথে,
চলতে পারি আমি।
আমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখ,
অনেক বড় হব।
জ্ঞন গরিমায় দ্বীনের পথে,
অটুট আমি রব।
হাসলে আমার বদনখানি,
হাসে তোমার মন।
তোমার হৃদয় আমার জন্য, ভাবে সর্বক্ষণ।
তোমার ভালোবাসার মাগো, নাই যে তুলনা।
স্বর্গ তোমার পদতলে,
আমার ঠিকানা।
তাইতো রাসূল তোমার কথা, বলেন বারংবার।
প্রিয় রাসূল এতিম ছিলেন,
মা ছিল না তার।
কত সন্তান তোমাকে মা,
বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়।
সুখের নেশায় তারা মাগো, কোরমা পোলাও খায়।
তবুও তো মা অভিশাপ,
একটু দাওনি তুমি।
প্রভুর কাছে করছ দোয়া, তুমি দিবা যামী।
এখনও মা করছে দোয়া,
নামাজে কেঁদে কেঁদে।
ঈদের দিন চেয়ে থাক,
শিরনি পোলাও রেধে।
মা যে আমার পর্দানীশী,
নিত্য কুরআন পড়েন।
তাহার কাছে প্রতিবেশী, এলেম শিক্ষা করেন।
মা হল মোর এই জগতে, প্রথম পাঠশালা।
যার কাছে পাই ধর্ম শিক্ষা, গলে দ্বীনের মালা।
হে পরোয়ার সুস্থ রেখ,
আমার মাকে তুমি।
তোমার কাছে এই ফরিয়াদ,
করতেছি আজ আমি।
অনেক তুফান ঝড় বহিছে, মায়ের জীবন দিয়ে। আজ ক্লান্ত মা জননী, শুধুই ধৈর্য্য নিয়ে।
এই জগতে মা নেই যাহার,
বড়ই দুঃখ তার।
পায় না যে তার আদর সোহাগ, জীবন অন্ধকার।
এখন কিছু মায়ের জাতির, বড়ই করুন দশা।
পায়না সম্মান নিজেকে সে , করল পণ্য পেশা।
শয়তানেরই রশি হয়ে,
দেখায় রূপের খেলা।
মানুষ রূপে শয়তান আবার, বসায় নারীর মেলা। বড়ই কষ্ট পাই যে মাগো, বড়ই কষ্ট পাই।
এই জগতে নরীর সম্মান,
হইল দেখি ছাই।
কিন্তু দেখ কত যে মা, হিজাব পড়ে চলে।
তাদের সবাই ভালোবাসে,
আল্লাহ ভীরু বলে।
আবার দেখ কত নারী,
নীতির লড়াই করে।
খোদার দোয়া নীতি ছেড়ে,
শয়তান লইয়া মরে।
আজ হুশিয়ার হওযে নারী, তোমরা মায়ের জাতি। সবার উপর তোমার সম্মান।
ছাড়ো ভ্রান্ত নীতি।
নারী নীতির নামে তোমরা, আর কেট না ধান।
অর্ধালঙ্গ হাট বাজারে,
তোমাদের অপমান।
এই হৃদয়ে কষ্ট চেপে,
দোয়া করি আজ।
সরল পথে তোমাদের যেন,
চালান প্রভু রাজ।
আজ কবিতায় এই আসরে,
তোমার কথায়ই বলে।
কেউ বা আবার মা হারিয়ে, ভাসায় নয়ন জলে।
আজকে মাগো দোয়া চাহে, এই আসরে যারা।
তোমার দোয়াহীনে মাগো,
আমরা সর্বহারা।
কবিতার আসর কবুল কর, হে রহমান তুমি।
আজ অনুষ্ঠান মার চরণে,
শপে দিলাম আমি।।
[খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের লেখা ।

-------------------------------------------------

সততা
......মোঃ আলানূর হোসাঈন


সততার ফল যদি তিক্ত হয় , 

যেনে রেখ তার মাঝে শান্তি রয়।
ফুল তুলতে গেলে কাটা খেতে হয় ।ঐ
অসৎ ভাবে কাটে বিলাসী জীবন ,
মাটির বিছনা হবে হলে মরন ।।
ভাবে না কখনো সে জাগে না ভয় । ঐ
অসৎ ভাবে ধন কুড়ালে তুমি ,
মানুষের রক্তে ভাসালে ভুমি।
জগতের স্বার্থে তোমার হল পরাজয় ।।ঐ
রিক্ত হস্তে তুমি এসেছিলে ভবে ,
মরনের পরে তুমি রিক্তই হবে ।
তবে কেন সব কিছু নিজের মনে করা হয় ।।ঐ
------------------------------------------
নীতি
...মোঃ আলানূর হোসাঈন
নীতিহীন মানুষ যেন
কাগজের ফুল
শুরভিত হয় নাকো
দেখাতেই আকুল।
নেই কোনও প্রাণ তাতে
শুধু কায়া যত,
কাঁদে নাকো আঁখি তার
দেখে দুঃখী কত।
নীতি যার আছে তার
অন্তরে মায়া,
ভালোবেসে বুকে টানে
মনে শুধু দয়া।
অপরের ক্ষতি কভু
করে নাকো সে,
লুটে নাকো সম্পদ
হাতে পেয়ে যে।
শ্রী যত আছে তার
যদি নীতি নেই,
অমানুষ বলে সবে
মানুষ নীতিতেই।।

------------------------------------

জন্ম ভূমির গান
......মোঃআলানূর হোসাঈন


বাংলা আমার জন্মভুমি, 

প্রভুর সেরা দান।
তাহার মাঝে পেলাম আমি, সৃষ্টি অফুরান।।ঐ
প্রভাত বেলা সূর্য্য উঠে, নিত্য পুব আকাশে।
পাখ পাখালির কলতানে
হৃদয় যেন হাসে।।
জন্ম ভুমির এই নেয়ামত
দিলেন মেহেরবান।।ঐ
মাঠে বিলে কৃষকেরা
করেন শস্য চাষ,
তার হাসিতে আমরা হাসি
হাসি বারো মাস।
কি অপরুপ জন্ম ভুমি
নদীর কলোতান।।ঐ
মুয়াজ্জিনের আজান শুনে
হৃদয় শিতল হয়,
তার নেয়ামত এ দেশ আমার,
সুখের হাওয়া বয়।।
রক্ত দিয়েও রাখব এ দেশ
রাখব দেশের মান।।ঐ
-------------------------------------
ভ্রাতৃত্ব বোধ
...মোঃ আলানূর হোসাঈন
মহান সৃষ্টি কর্তা এই পৃথিবীতে মানব জাতি সৃষ্টি করেছেন এক আদম (আ) থেকে। আজ ধরণীতে লক্ষ কোটি মানুষের বসবাস। প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা বংশ পরিচয় , রূপে জ্ঞনেও আলাদা ।চিন্তা চেতনার সাথেও কারো পূর্ণ মিল নেই। নানা বৈশিষ্ট্যে সৃষ্টি করবার পরও কিছু বিষয় এক ও অভিন্ন ঘোষণা করেছেন। মানব জাতির জীবন পরিচালনার ম্যানুয়াল হল আল কুরআন। আর যারা আল কুরআনের বাণী ঈমানের সাথে মেনে নিবেন , তারা হল পরস্পর ভাই ভাই বা ভ্রাত্ববোধ । এখানে আপন ভাইয়ের কথা বলা হয়নি। রাসূল (স) পরিস্কার বলেছেন , এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই বোন । আপন ভাই বোনের প্রতি যেরকম সম্মান প্রেম ভালোবাসা মমতা থাকবে তেমনি অপর মুসলমানের জন্যও অনুরূপ সম্মান,ভালোবাসা, প্রেম, মমতা থাকবে। রাসূল (স.) এমনও বলেছেন এক মুসলমান উপর মুসলমাননের হাত ও জিহ্বা থেকে থেকে নিরাপদ থাকবে। এভাবেই পৃথিবীতে বিরাজ করবে সুখ শান্তিময় পরিবেশ। যার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন রাসূল (স) এর সাহাবীগণ। অর্ধ পৃথিবীর খলিফা হয়েও তার প্রজাদের নিজের ভাই ভেবে রাতের অন্ধকারে খবর নিতেন। মুসলিম ভাই হাবসি গোলাম বেলালের (রা) প্রতি অত্যাচার দেখে তাকে আবুবকর (রা) তাকে ক্রয় করে মুক্ত করে দেন। তাদের অন্তরে তখন অহংকারের স্থান ছিল না। আজ সেই মুসলিমের করুন অবস্থা। জাহেলিয়াতের অন্ধকারও হার মেনে যায় এক ভাইয়ের প্রতি অপর ভাইয়ের আচরণ দেখ। গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে মানব সভ্যতা। একটা সুস্থ তরতাজা মানুষকে নির্মম পাশবিতায় পিটিয় পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে অবার উল্লাস করে হিংস্র হায়েনার মত। যেন ক্ষুধার্ত বাগ্রের ন্যায় ছিড়ে ছিড়ে তার মাংস খেতে চাচ্ছে। নারী জাতিকে যেখানে রাসূল (স) মায়ের সম্মান দিয়েছেন আর আজ সেখানে হাজার জনতার সামনে নারীদের বস্ত্র হরণ করে বৈশাখী উৎসব করছে। কোথায় আজ মানবতা, কোথায় ভ্রাতৃত্ব বোধ। আজ জীবনের মূল্য মাপা হচ্ছে তুচ্ছ টাকা দিয়ে। কেউ কারো থেকে নিরাপদ নয়। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের প্রেম ভালোবাসা মায়া মমতা দিনে দিনে শুন্যের কোটায় নেমে আসতে শুরু করছে। কেন ভ্রাতৃত্বের এই চরম অবক্ষয় ? রাস্তার পাশে এক ভাইয়ে প্রতি অপর ভাইয়ের অত্যাচার দেখে শত শত মানুষ কোনও প্রতিবাদ না করে দর্শকের মত খেলা দেখছে । কেন এমন হচ্ছে? এর থেকে কি মানব সভ্যতা মুক্তি পাবে না?
‪#‎যে‬ সব কারনে ভ্রাত্বের এই চরম অবক্ষয়
১। পারিবারিক ভালোবাসার অভাব ২। ধর্ম ও নীতি শিক্ষার অভাব ৩। অর্থ লিপ্সা ৪। রাজনৈতিক হিংসা ৫। স্বার্থপরতা ‪#‎পারিবারিক‬ ভালোবাসা থেকে সন্তান বঞ্চিত হচ্ছে। বাবা মা সন্তাদের নৈতিক ভদ্রতার শিক্ষা দিচ্ছে না। আবার পারিবারিক কলহ দেখে সন্তান রুষ্ট হচ্ছে
‪#‎দেশের‬ সর্বচ্চ ডিগ্রীধারী এক ভাইয়ের ক্ষতি করে অপর ভাইয়ের থেকে অর্থ আদায় করছে ধর্ম ও নীতি শিক্ষা নেই বলে। ‪#‎অর্থ‬ নেশায় মানুষ এতটাই অন্ধ হয়েছ যে জন্মদাতা বাবা মাকেও ক্ষুন করতে দ্বিধা করছেন সেখান মুসলিম ভাই তো দূরের কথা।‪#‎রাজনৈতিক‬ প্রতি হিংসা নিকৃষ্ট আকার ধারণ করেছে । যেখানে রাজনৈতিক স্বাথে অপর ভাইকে রাষ্ট্রীয় ভাবে ফাঁসি দেয়া হয় সেখানে সাধারণ মানুষের মাঝে কিভাবে ভ্রাতৃত্ববোধ জন্মাবে? ‪#‎মানুষ‬ সদা নিজের স্বার্থ নিয়েই পরে থাকে, ফলে অপর ভাইয়ের খবর রাখেনা, স্বার্থ উদ্ধারে সে যা খুশি তাই করতে পারে। এসব কারনে ভাতৃত্বের অবক্ষয় চরম রুপ ধারণ করছে। আজ যদি ভ্রাতৃত্ব বোধ থাকত তাহলে বিশ্বজিৎকে নির্মম ভাবে খুন হতে হত না, কিশোর রাজনদের আত্ম চিৎকার এখনো কানে ভেসে অসত না, ২৮ অক্টবর পিটিয়ে হত্যা করে লাশের উপর নৃত্য দেখতে হত না, বিয়ানি বাজার পিটিয়ে হত্যা হত না, হাজার জনতার সামনে নারীর অসম্মান হত না। অতএব আমরা যদি নিজেদের সৃষ্টির সেরা মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে চাই। তবে আসুন আমরা পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরস্পরকে ভালোবেসে সুখ দুঃখে এগিয়ে আসি। সবাইকে আপন ভাই ভাবি। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে অটুট থেকে গড়ে তুলি এক সুন্দর সোনালী সুখময় আবাসভুমি প্রিয় বাংলাদেশ।।

----------------------------------------------------------

সম্পদ
...মোঃ আলানূর হোসাঈন

শুন্য হাতে এসেছ ভবে

কখনও কি ভেবেছ তবে

এখন এত সম্পদ আমার
কে করেছে দান?
চেয়ে দেখ কত পথিক
রিক্ত হস্ত খায়না যে ঠিক
কেন খেলেছে এমন খেলা
প্রভু মহিয়ান।
বিশ্ব জাহানের মালিক যিনি
কেন ভেদাভেদ করলেন তিনি
তাহার ভাণ্ডে তো পরেনি টান
রহস্য কি জান ?
যে সম্পদ দিয়েছেন প্রভু
গরীবের হক ভুলোনা কভু
যাকাত তাতে মানো।
এ হল ভাই বিধির খেলা
না বুঝে তাই কর হেলা
প্রভুর সম্পদ নিজের বলে
গর্ব কর নাকো।
তাহার সম্পদ সঠিক ভাবে;
ব্যায় করিলে মুক্তি তবে
নতুবা এই সম্পদ দিয়ে জাহান্নামকেই ডাকো।।
---------------------------------------
] মন মানুষ [
...মোঃ আলানূর হোসাঈন

পেয়েও আমি মন মানুষ , তবুও মন পেলাম না ।

কোন দিবসে পাব তারে , সেই দিবস মোর নেই জানা।
অজানার ঐ হাত ধরে মোর ,
যেতে হবে কত দূর।
দূর দিগন্ত পথ হেটেছি , থামলো কেন বাঁশির সুর। বাঁশিতে আর সুর ওঠে না, থামল রে মোর পথ চলা। ক্লান্ত আজ পাগোল আমি, বাঁধব কবে মোর শালা। তুমি বিনে এই অন্তরে , বইবে সদা ঝড় তুফান। মাঝি বিহীন তরী যেমন , কাটবে শাতার উর্মিমান।
‪#‎তখন‬ আমার বেশির ভাগ কবিতা ছিল অপরের অনুরোধে তাদের দেয়া বিষয়ের উপর। এই কবিতাটিও আমার খালাত ভাই আল আমিনের অনুরোধে।
---------------------------------------------------
ধৈর্য্য
দেখিবে যত মহান ব্যাক্তি
শুধিয়া জানিও তাহার উক্তি ,
কি রুপে আজ মহান কৃতি করিল সাধন ।
অশীম কষ্টের পর্বত ছেদিয়া,
বিজয় তাহার আনিল কাড়িয়া।
সুখের জাল শত ছিড়িয়া বাঁধন ।
জলের আঘাতে পাথরও হয় ক্ষয়,
আত্মবিশ্বাসে শ্রমে হয় জয়,
অবশেষে পাবে তুমি মহান আসন।।

-------------------------------------------------------


করুন দশা

.......মোঃআলানূর
হোসাঈন
ණනණනණනණනණ
আজ মুসলিমের করুন
দশা ,
উম্মাতী ইয়া নফসী
রব । লাঞ্ছিত হয়
চতুর্দিকে ,
মন বেদনায় ভুগছে সব ।
নূর মুহাম্মদ সাল্লে
আলা , মেহেরবান হে
দয়াময় । রক্ষা কর
রক্তমাখা , হাজার
শিশু বাঁচতে চায় ।
হোলি খেলে রক্ত
নিয়ে , বিশ্ব দেখে
তামাশা ।
সারে জাহান
মুসলিমেরা , বাঁধন হারা
বিদিশা । মহান রবের
পথ ভুলিয়া ,
রুল মানি সব শয়তানের
। নসিবে তাই দুঃখ
মোদের , মাগফেরাত
নাই অন্তরের ।।

-------------------------------------------------

বিদ্রহী নারী

....মোঃআলানূর হোসাঈন
---------------------------
আমি এক নন্দিনী, ক্ষত বিক্ষত আত্মা,
আমি এক বিষাক্ত নিঃশ্বাস, ধ্বংস পাপিষ্ঠের।
আমি এক স্বপ্ন চুর্ণ হওয়া, জীবিত লাশ,
আমি নীড় হারা কন্যা, কোনও মানুষের।
আমি এখনও চেয়ে থাকি, নীল আকাশের পানে।
আমার সুখের কথা গায়, পাখিরা গানে গানে।
আমার হাসির সূর্য্য ওঠে, নিত্য পূব দিগন্তে।
আমার বিজয়ের সুর বাজে, সাগরের কলতানে।
ভেবেছ আমি রক্তে মাংসে, এখনও বেঁচে আছি?
ভেবেছ আমি তোমাদের, খুব কাছাকাছি!
ভেবেছ আমি সবচেয়ে, মহা সুখি এই জগতের!
ভেবেছ আমি সুখি নারী, কোনও এক পুরুষের!
আমার হৃদয় করেছে ছিন্ন, ঐ কাপুরুষ মানব শয়তান।
আমি এক পরাজিত নারী, যৌতুকের নির্মম বলিদান।
আমার কান্না কেউ শোনে না, এই নিষ্ঠুর সমাজের।
আমার রক্তাক্ত আত্মা, শুধু অভিশাপ দেয় তাহাদের।
আমার মত আর্ত্মানাদ করে, কত অসহায় অবলা কন্যা।
জীবন বিনাশ করেছে কত হৃদয়ে বয়েছে শত ঝড় বন্যা।
কত বাবা মা কন্যা হারিয়ে, কেঁদে কেঁদে আজ নয়ন করেছে অন্ধ।
কত নারীর সংসার ভেঙ্গে যায়, চলে নিত্য কলহ দ্বন্দ।
আর নয় এবার সত্যের দিপ্ত মশাল ধর, হে সত্য সন্ধানী তরুনী।
ধর্মের আলোয় আলোকিত কর, মূর্খ মানব সমাজ যামীনী।
আপন মহিমা বিকশিত কর, শিখবে ভগিনী যারা পশ্চাতে।
আপন সম্মান অটুট কর, কোনও পুরুষ পারবে না হীন করিতে।।

----------------------------------------------

মেয়েটির স্বপ্ন !

==================
আজ সকাল ৭.৩০ মিনিটে একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে । ছালাম দিয়ে বলল , ভাইয়া আমি সালমা , আমাকে চিনেন নাই , আমি কোটালী পাড়া থেকে বলছি। 
*চিনতে না পাড়ার করণ হল প্রায় তিন বছর ঐ পরিবারের সাথে যোগাযোগ নেই । তাই একটু অবাকহলাম,সামান্য কুশল বিনিময় হল , তারপর বলল এটা বাসার নম্বর , আব্বু আপনার সাথে একটু পরে কথা বলবে । অনেক কষ্ট করে আব্বু আপনার নম্বর সংগ্রহ করেছে ।। তার ১৫ মিনিট পর ওর আব্বু আমাকে ফোন দিল কুশল বিনিময় হল । তার পর বলল সালমার তো বিয়ে ঠিক হয়েছে , ঈদের পরের বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান । তোমাকে কিন্তু আসতেই হবে । আমাকে কথা দাও নতুবা আমরা কষ্ট পবো । শত ব্যাস্ততা মাথায় নিয়ে বললাম ইনশা আল্লাহ আসব , বোনের বিয়েতে আসব না তা কি হয় ! জিজ্ঞেস করলম ছেলে কি করে ? সালমা কি মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিল না দিবে ? ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার , একটা কম্পিউটার দোকানে কাজ করে ।। না বাবা ওর পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হবে না ! কেন আঙ্কেল ? বিয়ের পরে তো ওকে শশুর বাড়িতে থাকতে হবে ওখানে পড়ার সুযোগ পাবে না ।। 
মূহুর্তেই আমার আনন্দ মনটা খুব মলিন হয়ে গেল । কারন এই সালমা আর সাধারণ পাঁচটা সালমার মত ছিলো না ! ওর ভেতর ছিল লেখা পড়ার প্রবল আকাংক্ষা আর স্প্রিট । 
আমি যখন ফাযিল বি এ , সালমা তখন ক্লাস সিক্সে পড়ে । মাঝে মাঝে প্রন্সিপ্যাল আমাকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ক্লাস নিতে বলতো । ক্লাস সিক্সে যখন ক্লাস নেই তখন দেখতাম ঐ মেয়েটির পড়াশুনায় প্রবল আগ্রহ। শুধু আগ্রহ বললে ভুল হবে ওর চোখে মুখে স্বপ্নে শুধুই লেখা পড়া বড় হবার আকাঙ্খা। মেধা তুলনা মূলক কম হলেও নিজের শ্রমে রোল নং দুই হয়েছে । আমাদের একটা কোচিংসেন্টারে সালমা প্রায় ফার্স্ট হত । আমরা কোচিং এর টিচার সহ কয়েক জন ক্লাস টিচারও অবাক হয়েযেতাম ওর লেখা পড়ার ধ্যান ধারনা দেখে । ওর স্প্রিট দেখে আমরা ওর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতাম . কোচিংয়েও বেতন কিছুটা মওকুফের ব্যাবস্থা করলাম। আর বেশি দিন সেখানে আমার থাকা হল না । 
আমি ফাযিল বি এ পাশ করে ঢাকায় কামিল এম এ ভর্তি হলাম । প্রায় এক বছর পর হঠাৎ এক দিন ফোন আসল । ছালাম দিয়ে বলল ভাইয়া আমি সালমা , আপনার ছোট বোন । আব্বু আপনার সাথে কথা বলবে । ওর বাবা বলল আমরাতো একটা বিপদে পরে গেছি , সালমাকে আর অত দূর মাদ্রাসায় পাঠাতে পারছি না , পথে বখাটে ছেলেরা ওকে ডিষ্ট্রাব করে । ওর ক্লাসের এক ছাত্রও ছিল বখাটেদের একজন। ক্লাশ টিচারের কাছে বিচার দেয়া হল , টিচার বরং সে ঐ ছেলেটার পক্ষ নিল ।তাই ক্ষোভে কষ্টে ওর মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি ।এখন কি করব ? আশেপাশে মাদ্রাসাও নেই । তার ইচ্ছা ছিল মাদ্রাসায় পড়ানো । একটা ইস্কুল আছে সেটা কোটালীপড়া সদর গার্লস ইস্কুল । আমি দূর থেকে শুধু এইটুকু বললাম , আংকেল চিন্তা করে দেখেন যেটা ভালো হয় সে ভাবে করেন । পারলাম না তাদের বিপদে পাশে দাড়াতে ।আবার ১৫ দিন পর ওর আব্বু ফোন দিল , সালমাকে অনেক কষ্টে টিচারকে অনুরোধ করে গার্লস স্কুলে ভর্তি করিয়েছি । তারা সালমাকে বছরের মাঝখানে কোনও ভাবেই ভর্তি করবে না তারপর মাদ্রাসা থেকে এসেছে , শিক্ষক বলে ওতো পাশ করতেই পারবে না ! অনেক অনুরোধের পর ভর্তি করল । ২০ দিন পর পরীক্ষা ।। পরীক্ষার রেজাল্ট পেয়ে আমাকে ফোন করল, ভাইয়া আমি তৃতীয় হয়েছি । ওর কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম , চোখে কিছুটা জলও আসল । কারন ওর ক্লাসে ১০০ এর উপর ছাত্রী ছিল । মনে মনে ভাবলাম মানুষের স্বপ্ন আর শ্রম থাকলে অনেক অসাধ্যকেও সাধন করতে পারে । 
তার পর প্রায় তিন বছর ওদের সাথে আমার কোনও যোগাযোগ নেই । কারন আমার মোবাইল হারিয়ে যাবার পর নতুন নম্বর ব্যাবহার করি যেটা তারা সংগ্রহ করতে পারে নি ! আমিও তাদের নম্বর খুঁজে পাইনি।। আমি অনেক ছেলে মেয়ে দেখেছি খুব কম দেখেছি যারা প্রবল স্বপ্ন নিয়ে সাধনা করেন । অনেক বাঁধা তাদের জীবনে আসে । সালমা একটা মেয়ে । পারিবারিক অবস্থা এবং সামাজিক পরিবেশ তার পথে বাঁধা হয়ে দাড়ালো । সে বাঁধা সালমা অতিক্রম করতে পারেনি ।
তাই আজ এটা স্বপ্নের অপমৃত্যু হলো । প্রত্যেক বাবা মা বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি চিন্তাগ্রস্থ থাকেন । এই স্বার্থপর নীতিহীন ধর্মহীন সমাজে মেয়ের বিয়ে , গরিব বাবা মায়ের কাছে মহা চিন্তা থেকে পরিত্রান ও আনন্দের মহা খবর । 
এ ভাবে সালমার মত হাজারো সালমার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় । জাতি হরায় অনেক মেধাবী মুখ ও সম্পদ।
‪#‎আমার‬ কথা , প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা এই লেখাটি পড়েছেন , আপনাদের কাছে আমার একটা নিবেদন আপনারা যারা বিয়ে করেছেন বা করবেন । আপনারা আপনার অর্ধঙ্গীনীর যদি কোন ভালো স্বপ্ন থাকে , তাকে সাহায্য করুন । তার অতীত সৎ ইচ্ছার কথা জানার চেষ্টা করুন । পিতা মাতাকেও বলি আপনারা আপনার সন্তানের প্রতিভা বিকশিত করতে সুযোগ দিন ।। হে প্রভু তুমি সবার সৎ স্বপ্ন পুরন কর ।।আমিন ।।
মোঃআলানূর হোসাঈন ।

---------------------------------------
! গন্তব্যহীন যাত্রা ! গন্তব্যহীন যাত্রা ¡
....মোঃআলানূর হোসাঈন
এক গন্তব্যহীন যাত্রা পথে ,

এক লাগামহীন ভ্রান্ত রথে , 

চলছে প্রিয় স্বদেশ ।
চলছে তরুন নিরুদ্দেশ ।।

কান্ডারী গিয়েছে যাত্রি ভুলি ,
যাত্রিরা দেখেনি চোখটি খুলি ,
এখন করে দুঃখ ভোগ ।
আমৃত্যু তরুন করবে শোক ।।
অকারনে যুবক করেছে খেলা ,
ধরেনি কোরআন কেটেছে বেলা ,
তাই রাসূলের অপমানে ,
ব্যাথা লাগেনা মনে ।।
জন্ম দিয়েছে জন্মদাতা ,
হতে পারেনি আজও পিতা ,
মা কাটে পর পুরুষে ।
কি শিখবে সন্তান এসে ।।
কত তরুন বিপথ গেল ,
মাতা পিতা কি শেখাল ,
কে নেবে তার দায় ।
আলো নিভে যায় ।।
মনে মনে হরি বোল ,
গানের তালে বাজাও ঢোল ,
আপন ধর্ম ভুলি ।
সন্ধা প্রদিপ তুলি ।।
কাদের তরুন দিচ্ছ ভোট ,
সে ইবলিসের মহা জোট !
হবে জাহান্নাম ।
তোমার পরিনাম ।।
সময়ের স্রত থাকে না বসে ।
এখনো বন্ধু সময় আছে ,
সত্য জানো আজ ।
এটাই এখন কাজ ।।
যারা কোরআন ভালোবাসে ,
থাকিও যুবক তাদের পাশে ,
শক্তি জোগাও তারে ।
যাওগো যদিও মরে ।।
চাওগো যদি শান্তি আজ ,
আল কোরআনের কর রাজ ,
গন্তব্যহীন যাত্রা পথে ।
আর চলো না ভ্রান্ত পথে ।
-------------------------------------
කකකකකකකකකක
দূর্নীতির দাবানল
......মোঃআলানূর হোসাইন
කකකකකකකකකක
দূর্নীতি আমাকে করে দিল নিঃষ,
তোমাকেও বুঝিও তাই।
হৃদয়ের কান্না কেউ আর শোনে না,
জীবনের স্বপ্ন হয়ে গেল ছাই।
সনদের কপালে দিয়েছি আগুন,
তাহার মূল্য আজ কে দেবে?
দুঃখীনী মায়ের ছেলে অকালে মরে যায়,
তাহার দায় আজ কে নেবে?
যার আছে ক্ষমতা সে পায় মমতা,
এটাই বুঝি আজ হীন সত্য।
ফাঁসির মঞ্চে আজ মানবতা,
বিচারকের কলমে দেখি রক্ত।
ভদ্রতার আড়ালে শয়তানের মস্তক,
পরেছে মুখশ মহা সুশিলের।
বিশ্বাস ভঙ্গের হয় কি বিচার?
নীরবে কাঁদে হৃদয় মানুষের।
মেহনতি মানুষেরা রক্ত পানিকরে,
টাকা দেয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।
উন্নতির নেই ছোঁয়া জনতার কপালে,
খেয়ে ফেলে রাক্ষুসী সরকারে।
মাতৃভুমি আজ বড় আসহায়,
না হলে সন্তানদের সাথে ছলনা!
দূর্নীতির বিষাক্ত কালো থাবায়,
জর্জরিত হয় হৃদয় পায় যাতনা।
ত্রিশ লক্ষ জীবিত লাশ কবর দেয়,
অবৈধ রাক্ষুসী সরকার।
কেউবা শেয়ারে নিঃষ হয়ে,
পথ বেছে নেয় আত্মহত্যার।
পদ্মার সাঁকো আজ শুধু মরিচিকা,
অর্থ লুটে নেয় মহা জোট শয়তান।
মানুষের স্বপ্ন জলে আজ ভেসে যায়,
থেমে যায় পদ্মার মহা কলোতান।
তিন হাজার কোটির হয়নি সুরাহা,
ব্যাংক লুটিয়া জনতার।
পঙ্গু হলে দেশ তবে ওদের শান্তি,
সর্বত্র চলে শুধু অবিচার।
দূর্নীতির বিষাক্ত কিট ছড়িয়ে পরেছে,
প্রতিটি পত্র পল্লবে।
প্রতিটি শাঁখায় বেঁধেছে বাসা,
বন্দী মানুষ কাঁদে নীরবে।
আদালত যেন আজ কসাই খানা,
রাক্ষসদের মিছিলে মুখরিত।
সত্য সেনানীদের বন্দী করে নেয়,
হাসিনার পাগলা কুকুর অবিরত।
দূর্নীতির বিষাক্ত ছোবলে বন্দী সাঈদী,
ফাঁসির কাষ্ঠে আজ দাড়িয়ে।
কসাই হাজারী আর শামিমদের গলে,
জাজেরা দেয় পুষ্প মাল্য পরিয়ে।
কসাই কাদের আর মোল্লা কাদের এক নয়,
জানে লক্ষ কোটি জনতা।
রাক্ষোসের রোশানলে ইসলামী সেনানী।
ফাঁসির মঞ্চে আজ মানবতা।
জনতার আমানত ভোট করে ডাকাতি,
সেজেছে নেতা আজ এলাকার।
অসহায় মানুষদের জোটে না খাবার,
পায়না একটু শান্তি সুবিচার।
সম্পদের পাহার গড়েছে মন্তী,
কালো বিড়াল ধরাপরে বস্তায়।
পথের পাড়ে আশ্রয়হীন বঞ্চিতরা,
মরে যায় ক্ষুদার যাতনায়।
সর্বচ্চ বিদ্যাপিঠে দেখ আজ,
দূনীতির মহা করাল গ্রাস।
ভর্তি বঞ্চিত মেধাবী অসহায়,
সূষ্টি করে শকুনিরা শর্তের ত্রাস।
খাবারে মিশ্রণ বিষাক্ত ক্যামিক্যাল,
অকালে শিশুরা ঝড়ে যায়।
মানুষের নীতি আজ বন্দী বনবাসে।
বাবা তার সন্তানকে জবাই দেয়।
নীতির আজ হল কি দূর্নীতির রাজত্ব,
রাজস্ব ফাঁকি দেয় জনগন।
পুটি হয় বোয়ল মাছ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ,
পিছে নেই দূর্নীতি কমিশন।
যার কাছে বিচার চাই সেই করে অবিচার,
ঘুষ যেন পুলিশের ধর্ম।
বসতের অযোগ্য যেন দেশ জনপদ,
ভালোবেসে নেই কোনও কর্ম।
কোথায় আছ নওযোয়ান জেগে ওঠো হে হৃদয়।
যদি থাকে বুকে তোর ভালোবাসা।
দূর্নীতির ছয়লাবে দিওনা ঢেকে যেত,
মুছে ফেল দুঃখীনীর নিরাশা।
দেশ বড় ক্লান্ত হৃদয়ে রক্তক্ষরণ,
বুকে তার বয়ে গেছে বহু ঝড় ঝঞ্ঝা।
মৃত্যুর মুখো মুখি অধিকার হারা দুঃখী,
দূর্নীতির সাথে করে পাঞ্ঝ ।
দূর্নীতির শৃংঙ্খলে বন্দী জাতি মোরা ,
কবে উঠবে মুক্তির সূর্য্যদয়।
হে রহমান দয়া কর তুমি,
তুমি ছাড়া আজ মোরা বড় অসহায়।।
---------------------------------------------------
পেট পূজাতে ব্যাস্ত সবে
.............................................
কজন ভাবে এলাম ভবে
ভাবে কর্ম কি ?

পেট পূজাতে ব্যাস্ত সবে

ঢালছে শুধু ঘি।
কত বাড়ি অর্থ কড়ি
আরও কত চাই,
মদের নেশায় চক্ষু বিভোর
জান্নাতি সুখ পাই।
কত সুখ কীসের দুঃখ
অর্থ ভুরি ভুরি,
খেয়ে-নেয়ে ফূর্তি করে
তবে তো ভাই মরি।
আল্লাহ বিল্লাহ করেই না হয়,
কাটবে বুড়ো কাল,
এখন যত নেচে খেলে
হইরে বেশামাল।।
-------------------------------------------------------
শ্রেষ্ঠ রজনী
......মোঃআলানূর হোসাঈন
ওহে মুসলিম তোর দুয়ারে এসেছে

শ্রেষ্ঠ রজনী আজ ।

তামাম জাহান সিজদা রত
ফেলে রেখে সব কাজ।
নে চেয়ে নে পূণ্য যত
নয়ন জলে পাপ;
ভাসিয়ে দাও, দু হাত তুলে
কর হে অনুতাপ।
দুঃখ কিসে হৃদয় তোমার
প্রভুর কাছে চাও।
শ্রেষ্ঠ রজনী এই জীবনে
আর যদি না পাও।
দিল কর আজ ধবল সাদা
রেখ না একটু কালি।
পূণ্য দিয়ে আজ পূর্ণ কর
দাও দিলে সব ঢালি ।।
-----------------------------------------------
॥ কাজ ॥
......মোঃআলানূর হোসাঈন
রাত্রি শেষে আসলো ভেসে , আজানের ধ্বণী ।

ঘুম ভাঙ্গিয়া উঠলরে সব , শুনিয়া তার বাণী । 

সালাত পড়ে কর্ম বেশে , ছুটছে মানুষজন ।
হালাল ভাবে করবে রোজগার,
দিনটি সারাক্ষণ ।
নানান রঙ্গে চলছে মানুষ , নানান কাজ নিয়ে । কেউবা ঘুরছে ভাবনা বিহীন ,
কর্ম ফাঁকি দায়ে ।
কর্ম বিহীন মানুষ যারা , ভাবনা বিহীন মন ।
আজ নাহয় কাল হারারে , লক্ষ-কোটি ধন ।।
---------------------------------------
প্রত্যেক লাইনের প্রথম অক্ষর দিয়ে
"অহংকার পতনের মূল"
......মোঃআলানূর হোসাঈন

অসীম পূণ্য করিবার পরে

ওস্তাদ হলেন ফেরেস্তার ।
হংকারে তার পূণ্য বিনাশ
নিকৃষ্ট আজ দুনিয়ার ।
কামনার ফল পূর্ণ হল
যাহার অসীম করুনায় ।
রলাম ভুলে হংকারে আজ
পেয়ে খ্যাতি জগতময় ।
পাণ্ডিত্য আমি করছি জাহির ,
মূর্খ ভাবি বাদ বাকি ।
তপস্যাতেও ক্ষুদ্র অহং
পূণ্য মোদের হয় মাটি ।
নেভাই মনের সকল রিপু
সবার সাথে যাই মিশে ।
রক্ত সবার লাল দেখ ভাই
মরলে মাটি খায় শেষে ।
মূলে নাপাক এক ফোটা জল,
সৃষ্টির সেরা মানুষ সব।
লব্ধ জ্ঞানে সঙ্গোপনে ,
সিজদায় জপ প্রিয় রব।।
...6:17 AM 28:6:2015
----------------------------------------------
ধৈর্য্য ধরার শক্তি দিও
...মোঃআলানূর হোসাঈন
ধৈর্য্য ধরার শক্তি দিও

আল্লাহ মেহেরবান,

ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও যেন
গাই তোমারই গান।।
তোমার পথে চলতে গিয়ে
যানি বাঁধা আসবে।
মুমিন মুসলিম ধৈর্য্য ধরে,
তোমার প্রেমে হাসবে।।
তোমার পথে যেন আমি,
দিতে পারি প্রাণ।।ঐ
যানি তুমি ভালোবাস
ধৈর্য্য ধারী মুমিন
যুদ্ধ করতে বললে আবার
তুমি রাব্বুল আলামিন।।
সঠিক সময় সঠিক কাজ
করতে দিও রহমান ।।ঐ
---------------------------------------------
সূরা আল-আ'রাফ
৩৭ ও ৩৮ আয়াত অবলম্বনে
......মোঃআলানূর হোসাঈন

এই কথা পরিষ্কার 

জেনে রেখ সবে/
তাহার চেয়ে বড় জালিম
নাইরে কোনও ভবে/
মিথ্যা কথা যে রচিয়া
প্রভুর বাণী কয় /
কিংবা প্রভুর আয়াতকে
মিথ্যা বলা হয় /
এসব লোক অংশ পাবে
ভাগ্যে যাহা আছে /
যত কাল আজ্রাইল (আ)
পৌঁছবে না তার কাছে /
মৃত্যুর কালে তাহরা
জিজ্ঞাসিত হবে /
কোথায় গেল সেসব রব
এখন কোথায় যাবে/
প্রভু ছেড়ে যাহাদিগকে
মান্য করে ছিল /
বলবে ওরা সবই আজ
উধাও হয়ে গেল /
আর তাহারা সাক্ষ্য দিবে
নিজের বিরুদ্ধেই /
আমরা বড় পাপি ছিলাম
প্রভুর অবাদ্ধই /
বলবেন প্রভু এখন তোমরা
জাহান্নামে চলো /
তোমার পূর্ব জ্বীন ও মানুষ
পাবে তাদের দলও/
যখন তারা একে একে
জাহান্নামে যাবে /
তখন তাদের পূর্বদেরকে
লা'নত করতে রবে /
হবে যখন একত্রিত
এমনই ভাবে সব/
পূর্বদেরকে দুষি করে
বলবে হে রব/
পথভ্রষ্ট করেছিল
এরাই আমাদিগকে /
তাই দ্বিগুন আজাব দিও
প্রভু উহাদেরকে /
উত্তরে হইবে বলা
দ্বিগুন আজাব পাবে /
প্রত্যেকেরই জন্য তাহা
তোমরা জান না যে ।।
সূরা আল-আ'রাফ
৩৭ ও ৩৮ আয়াত অবলম্বনে
--------------------------------------------
ছাত্র সমাজ
......মোঃআলানূর হোসাঈন
ණණණණණණණණ
ছাত্র সমাজ তোরা হও আগুয়ান ,

লেখা পড়ার ফাঁকে ফাঁকে গেয়ে যাবে গান ।

সেই গান গান নয় মহা কলতান ।
আঁধারের মাঝে তোরা আনবে আলো ।
মিথ্যাকে কভু তোরা বাসিওনা ভালো ।
এই গান যেই গাবে তারি সম্মান ।
শত শত বই পড়ে কি বা লাভ হবে .
যদি কাজ নাহি কর সেই মতে তবে ।
না পারিলে দেশটারে কিছু দিতে দান ।
শুধু নয় লেখা পড়া করার আছে কিছু ।
সমাজটা কে কর সম যেথা উঁচু নিচু ।
সাদা কালো ভেদাভেদ কর সমমান ।
একই সাদের তলে বাস তোরা ভাই ভাই ,
কেন কর মারা মারি খবরেতে পাই ।
হানা হনি ভুলে গিয়ে সুখ সুখ খুঁজে আন ।
বুকে রাখো হিম্মত মনে রাখো বল ।
ব্যাথা কভু আসে যদি নাহি ফেল জল ।
দৃঢ় মনে করে যাবে মহা অভিযান ।।
-----------------------------------------------------

>থাকব পাশে< 

মোঃআলানূর হোসাঈন
ණණණණණණණණ
থাকব আমি তোদের পাশে, ওহে সর্ব হারা । মুছে ফেল নয়নের জল , জল ফেলেছ যারা । কীসের এত দুঃখ তোদের , কীসের অভিমান । কীসের তরে মরছ ধুকে , কাঁদছে কেন প্রাণ । জন্ম তোদের এই দেশেতে , এই মাটি তোর মা । লক্ষ কোটি জনতা আজ , ভাইয়ের তুলনা । বেঁচে থাকার অধিকার আজ , ওদের আছে যেমন । এখন তুমি আদায় কর , সেই অধিকার তেমন । শক্তি সাহস রাখ বুকে , মার হায়দারী হাঁক । কাঁপিয়ে দাও বিশ্বটাকে , হায়েনারা নিপাত যাক । জাগিয়ে দাও এবার তুমি ঘুম পরানো মন । দৃঢ়ভাবে করবে এবার , যুদ্ধ জয়ের পণ । সহ যোদ্ধা পাবে মোরে , ওগো বন্ধু তুমি ।তোদের হাসি না দেখিয়া , মরব নাকো আমি ।।
----------------------------------------------------
..--.. নারী ..--..
মোঃআলানূর হোসাঈন
কেন হইলা অপমানি,

ওগো নারী জাতি। 

নিভলে কেন ধরার বুকে, হইয়া মোমের বাতি। মায়ের সম্মান দিল তোদের,
নবী ধরায় এসে।
সেই মানেরই করলা হানি, হইয়া পুরুষ বেশে।
বেহেস্ত তোদের করল সহজ, প্রভু দয়াময়।
স্বামীর খেদমত নামাজ রেজা, পর্দা যদি হয়।
সম অধিকারের নামে, কাটছ বিলে ধান।
অর্ধো উলঙ্গ হাট বাজারে,
হইছো অপমান।
মোরা মাগো তোদের সন্তান,তাইতো বলছি মা। ইসলাম ছাড়া অন্য আইন, বানাইতে যেও না। বানাইতে মা পাড়বে না কভু, হইবা ক্লান্তিনী। কাঁদার মত দুই নয়নে, থাকবে না আর পানি। যতই কর নারী আন্দলন, হবে নতো কাম।
ইসলাম ছাড়া দোজাহানে, পাবে নাতো দাম।।।
----------------------------------------

কেন হইলা অপমানি, 

ওগো নারী জাতি। 
নিভলে কেন ধরার বুকে, হইয়া মোমের বাতি। মায়ের সম্মান দিল তোদের, 
নবী ধরায় এসে। 
সেই মানেরই করলা হানি, হইয়া পুরুষ বেশে। 
বেহেস্ত তোদের করল সহজ, প্রভু দয়াময়। 
স্বামীর খেদমত নামাজ রেজা, পর্দা যদি হয়। 
সম অধিকারের নামে, কাটছ বিলে ধান। 
অর্ধো উলঙ্গ হাট বাজারে,
হইছো অপমান। 
মোরা মাগো তোদের সন্তান,তাইতো বলছি মা। ইসলাম ছাড়া অন্য আইন, বানাইতে যেও না। বানাইতে মা পাড়বে না কভু, হইবা ক্লান্তিনী। কাঁদার মত দুই নয়নে, থাকবে না আর পানি। যতই কর নারী আন্দলন, হবে নতো কাম। 
ইসলাম ছাড়া দোজাহানে, পাবে নাতো দাম।।।
---------------------------------------
স্বপ্নের সমাজ
......মোঃআলানূর হোসাঈন
ළූළූළූළූළූළූළූළූළූ

স্বপ্ন দেখি দুই নয়নে,

গড়ব সোনার সমাজ।
যেই সমাজে কায়েম হবে,
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
এমন একটি সমাজ আমার,
দুই নয়নে ভাসে।
যেই সমাজের ধনী মানুষ,
গরিব ভালোবাসে।
এমন একটি সোনার সমাজ,
গড়তে আমি চাই।
যেই সমাজে সাদা কালো,
নাই ভেদাভেদ নাই।
যেই সমাজে থাকবে নাকো,
সুদের মহা পাপ।
কবর দেব মদ্য পানের,
সকল অভিশাপ।
কোরান ভিত্তিক সমাজ-ই,
গড়তে আমার হবে।
যেই সমাজের ধনী গরিব,
সমান বিচার পাবে।
যেই সমাজে স্বাধীন ভাবে,
করবে সবাই বাস।
খুন হবেনা রাস্তা ঘাটে,
পরবে না আর লাশ।
এমন সোনার গড়তে সমাজ,
চলরে তরুন চল।
কলম যুদ্ধে করব শপথ.
সকল পেশার দল।।
-------------------------------------------------
এস. এস. সি র সংবর্ধণা
...মোঃআলানূর হোসাঈন
আজ এস. এস. সি র সংবর্ধণা, এক নব উদ্দিপনা হৃদয়ের ভাঁজে । দশ বছরের শ্রম সাধনা , তার বিজয়ের সুর কানে বাজে।

নব কাননের পদচারণার, মনের মাঝে জাগে তার সুখ । আজ নতুনের সংবর্ধণা, তাই ভুলে যাই পেছনের শত দুখ। 

প্রতিক্ষা আমার হল অবসান ,
আজ এই দিনেরই তরে । প্রবেশ আমার নতুন জগতে, জ্ঞানরুপ এক মহা সাগরে।
তোমরা মোদের করিতে বরণ , করেছ এক মহা আয়োজন ।
তোমাদের পথে চলিতে মোদের ,
দিয়েছ এক মহা সম্ভাষণ । আমরা নবীন আজ এসেছি , তোমাদের পুষ্প আঙ্গিনায় ।
আমাদের বুঝি সংবর্ধণা দিবে , তোমাদের ভালোবাসা প্রেম মমতায় । আমাদের হাতে তুলে দিয়ো আজ , সত্যের দিপ্ত জ্ঞানের মশাল ।
পথ দেখিও আমাদের বন্ধু , আলোর পথে যেন থাকি চির কাল ।।
-----------------------------------------------
হায়রে টাকা
মোঃআলানূর হোসাঈন
হায়রে অর্থ তোমার তরেই, জীবন করে শেষ।

তোমার জন্য মরছে মানুষ, কেউবা করে দ্বেষ।

তোমায় ছুঁতে হন্য মানুষ, স্বপ্ন দেখে চোখে।
দালান কোঠা বাড়ী গাড়ী, কাটবে জীবন সুখে।
তোমার জন্য নৃত্য করে, পর্দা ছেড়ে নারী।
পন্য হয়ে এ্যাড করেছে,
লজ্জা শরম ছারি।
তোমায় পেতে মিথ্যে বলে, করছে অভিনয়।
টাকা দিয়েই মোল্লার ফাঁসির, বিচার কেনা হয়।
তোমার জন্য ছাড়ছে নামাজ, ব্যাবসার পিছে ছুটে। তোমায় ছাড়া গরিব দুঃখীর, ভাত পরে না পেটে।
তোমায় ছাড়া যায়না কেনা, কোরআন হদীস বই। তোমার টাকার খাবার খেয়ে, দ্বীনের চর্চায় রই।
তোমায় ছাড়া হজ্জ হবে না, তাইতো তোমায় চাই।
তোমার মাঝেই ভালো মন্দ,
নিত্য দেখতে পাই।
মুর্খ মানুষ পাইলে টাকা,
অকাজেতে খাঁটায়।
জ্ঞানী মানুষ খরচ করে, ভালো আছে যেথায়।
--------------------------------------------
! গন্তব্যহীন যাত্রা ¡
....মোঃআলানূর হোসাঈন
এক গন্তব্যহীন যাত্রা পথে , এক লাগামহীন ভ্রান্ত রথে , চলছে প্রিয় স্বদেশ । চলছে তরুন নিরুদ্দেশ ।। কান্ডারী গিয়েছে যাত্রি ভুলি , যাত্রিরা দেখেনি চোখটি খুলি , এখন করে দুঃখ ভোগ । আমৃত্যু তরুন করবে শোক ।। অকারনে যুবক করেছে খেলা , ধরেনি কোরআন কেটেছে বেলা , তাই রাসূলের অপমানে , ব্যাথা লাগেনা মনে ।। জন্ম দিয়েছে জন্মদাতা , হতে পারেনি আজও পিতা , মা কাটে পর পুরুষে । কি শিখবে সন্তান এসে ।। কত তরুন বিপথ গেল , মাতা পিতা কি শেখাল , কে নেবে তার দায় । আলো নিভে যায় ।। মনে মনে হরি বোল , গানের তালে বাজাও ঢোল , আপন ধর্ম ভুলি । সন্ধা প্রদিপ তুলি ।। কাদের তরুন দিচ্ছ ভোট , সে ইবলিসের মহা জোট ! হবে জাহান্নাম । তোমার পরিনাম ।। সময়ের স্রত থাকে না বসে । এখনো বন্ধু সময় আছে , সত্য জানো আজ । এটাই এখন কাজ ।। যারা কোরআন ভালোবাসে , থাকিও যুবক তাদের পাশে , শক্তি জোগাও তারে । যাওগো যদিও মরে ।। চাওগো যদি শান্তি আজ , আল কোরআনের কর রাজ , গন্তব্যহীন যাত্রা পথে । আর চলো না ভ্রান্ত পথে ।।
----------------------------------------------------
নাস্তিক্য মিডিয়া
মোঃআলানূর হোসাঈন
গণমাধ্যমের মুখোশ পরছে আজ, নিকৃষ্ট মানবরুপি আওয়ামী শয়তান।
রাক্ষসের রাজত্ব কায়েম করেছে, নাস্তিক্যবাদী সৈরাচারী সুলতান।।
জাতির ব্যারোমিটার পদদলিত করে, তালা মেরে দিয়েছে সত্য সব মিডিয়ায়। ওরা দম্ভভরে বিচরণ করছে আজ, হিন্দুয়ানী কালচার দেখাচ্ছে অবলীলায়।
ক্ষণে ক্ষণে নিকৃষ্ট মিথ্যাচারে, গুজবে সয়লাব করে পত্রিকার পাতা। মিডিয়া আজ আওয়ামী শাঁখা গোষ্ঠী, মুখোশ পরেছে সব শয়তানের নেতা।
বিপরীত হলে গর্দান পরে, জাতি দেখেছে সাগর রুনির লাশ। গণ মানুষের প্রিয় দিগন্ত, নাস্তিকদের হিংস্রতায় হয়েছে বিনাশ।
মুসলিম জাগরণের কান্ডারী, অত্যাচারে কাতরাচ্ছে বন্দী জেলে। নাস্তিক্যবাদী ভারত প্রেমী সরকার, আমারদেশকে দিয়েছে আগুনে ফেলে।
জাতিকে অন্ধকারে রাখতে, অভিনয় করছে পাঁ চাটা মিডিয়া। ইচ্ছেমত রাজত্ব করে হাজির হয়, ওদের বাবার সংবাদ নিয়া।
মজলুমের আর্ত্মনাদ আসে না চ্যানেলে, আসে না মাটি ও মানুষের কথা। মিডিয়ার নামে সন্ত্রাস করে জানোয়ার। অভিনয় করে গণ মানুষের নেতা।
বিশ্ব মিডিয়া নেমেছে মুসলিম নিধনে, বাংলাদেশি কুত্তারাও তাই বসে রবে না। ধর্মীয় শিক্ষালয়ে অস্ত্ররেখে, ঘোষণা দেয় এসব জঙ্গীদের আস্তানা।
চ্যানেলে চ্যানেলে করে গলাবাজী করে, টকশোতে সাজে বুদ্ধিজীবী পন্ডিত। যেন এরাই দেশের মাথা বাকি সব বোকা, এসব কুশিলদের জানাও সবে ধিক।
আমরা আর বসে বসে তামাক খাব না, গিলবো না ওদের মিথ্যে তথ্য। নতুন দিগন্তের দ্বার খুলব মোরা, প্রকাশ করব মোরা জগতের সব সত্য।
ওদের কণ্ঠ রোদের সময় এসেছে, ভেঙ্গে দিতে হবে ওদের বিষদাত। শত মাহমুদুর রহমানের জন্ম হবে, নাস্তিকদের মিডিয়া করে দেবে বরবাদ।
নেমেছে ভগিনিরা কলমের যুদ্ধে, সহ্য করবনা চুলছেড়া নারীদের দম্ভ। সত্যের মশাল জ্বালাবই জ্বালাব, রুখতে পারবেনা জালিমের সঙ্গ।
ফিরে পাবে মিডিয়া আপন মহিমা, আবার হবে সংবাদ জাতির দর্পণ। সত্যের হবে জয় মিথ্যার পরাজয়। খোদার কাছেই কর হৃদয় অর্পণ।।
--------------------------------------------
মানুষ
মোঃআলানূর হোসাঈন
সৃষ্টি করলেন প্রভু মানুষ।

অতি আদর করে।

সৃষ্টির সেরা দিলেন খ্যাতি
এই জগৎ সংশারে।
এই ধরনীর যাহা কিছু
দেখা আর অনুভব.
সব কিছুই মানব তরে
দিলেন প্রভু রব।
দিলেন প্রভু জ্ঞান গরিমা
হাজার কোটি কায়া।
হাজার কোটি রং মিশিয়ে
দিলেন তাতে মায়া।
-----------------------------------

\\শপথ\\

.....মোঃআলানূর হোসাঈন
ණණණණණණණණ
আয়রে সকল নবীন মোরা, দল বাঁধিয়া আয়।
হাত ধরিয়া করব শপথ, নতুন প্রেরণায়। 
জাগিয়ে দেব নব আশা, আসাহীনের বুকে।
ঘুচিয়ে দেব দুঃখ মোরা,
যে যয়েছে দুঃখে।
সোনার সমাজ গড়ব মোরা, শিক্ষার আলো দিয়ে। হিংসা কারো রবে নাকো, সাদা কলো নিয়ে।
ধনী গরিব এক কাতারে, পড়ব যে নামাজ।
দেশটাকে আজ গড়ব মোরা, করব সোনার সমাজ।।
------------------------------------------

সাঈদীকে মুক্ত কর 

...মোঃআলানূর হোসাঈন 
================
হাসিনার জেলখানাতে দিনে রাতে, আমার লক্ষ ভাই। 
প্রভুর কাছে করছে দোয়া, সাঈদীর মুক্তি চাই। 
কি পরীক্ষা নিচ্ছ খোদা এই ভব সংসারে।
লক্ষ তরুন আজ জীবন দিবে, তোমার সাঈদীর তরে।
কোরআনের বুলবুলি আজ বন্দি খাঁচায়, মুক্ত কর প্রভু তুমি।
মুক্ত হয়ে করবে প্রচার এই ধরাতে, আল কোরআনের মধুর বাণী।
হে আল্লা হে রহমান লক্ষ কর্মীর, এই ফরিয়াদ কবুল কর।
জানি না ফাঁসি দিলে কত মায়ের সোনার মানিক জীবন দিব।
আল কোরআনের ভাষণ শুনে পাগল হলাম, তাই সাঈদীকে ভালোবাসি। চাইলে প্রভু দ্বীনের তরে, অমার গলায় দিও ফাঁসি।।
-------------------------------------------------
[[হাসি]]
মোঃআলানূর হোসাঈন

হাসতে আমার ভালোলাগে, 

তাই তো আমি হাসি।
দিবা নিশি হাসতে আমি, বড়ই ভালোবাসি।
হাসির মাঝে বড় সুখ, হেসে দেখ ভাই।
যতই দেবে হ্রাস হবে না, বাড়বে আরও তাই।
হাসি হীন এ জীবনে,
কেউ বাসেনা ভালো। পাইতে সবার ভালোবাসা,
ছড়াও হাসির আলো। গোমড়া মুখে চলো নাকো, চলবে হাসি মুখে।
মহা ধনী হবে তুমি, কাটবে জীবন সুখে।
আশা জাগায় হতাশারে, একটু মুখের হাসি।
তাই তো বন্ধু হাসতে আমি, বড়ই ভালোবাসি।।
---------------------------------------
..॥ গরমে ঝড়ে ঘাম ॥..
...মোঃআলানূর হোসাঈন
যাত্রিরা রৌদ্রে,

ক্লান্তিতে ঘাম ঝড়ে। 

কিষাণেরা শ্রান্তে,
পেটের দায়ে কাম করে। জমিনের ফেটে বুক,
পুড়ে যায় শষ্য।
কারও মরে ছাওয়াল পুত, কেউ হয় নিঃষ।
পুকুরের পানিগুলো যায় সব শুকিয়ে।
মাছগুলো মরে যায়, রৌদ্রের গরমে।
কাঁপে বুক থর থর,
সস্তি পায় না।
হাওয়াহীন গরমে,
গাছের পাতা নড়েনা। নগরের জনতারা,
পার্কে জড়ো হয়।
গাছের তলে বসে তারা, হাত তুলে হাওয়া চায়। ফুটপাতের খোলা পানি, পান করে ছেলেরা।
পর দিন রাত্রিতে,
হল তাদের কলেরা। ক্লিনিকে খালি নেই,
ছিট সব ভর্তি।
তুলে হাত বলে তারা,
দাও খোদা মুক্তি।।।
--------------------------------------------

হাসির বিশ্ব রেকর্ড 

মোঃআলানূর হোসাঈন 
================= 
আমার চেয়ে ভালো হাসে, এমন কেবা আছে।
বিশ্বাস না হয় দেখে যাও, 
এসে আমার কাছে।
এক টানা হাসছি আমি,
মিনিট পয়ত্রিশের বেশি। হরেক রকম ভঙ্গি করে , দেশি আর বিদেশি।
বিশ্ব রেকর্ড হল না মোর, থাকলে নব্বই কোটি। গানের মত কিনে নিতাম, না হোক সেটা খাঁটি। হয়তো নেই মোর দেশপ্রেম, তাই হল না রেকর্ড। হাসির রাজা হতাম আমি, প্রিয় সবার নিকট।
আমার রজ্যে আমি রাজা, যে আসবে সম্মুখে।
হাসি দিয়ে করব ধনী, কাটবে জীবন সুখে।
নাই যে টাকা মোর পকেটে, নাই যে মিডিয়া। আজ পত্রিকায় ছাপতো ছবি, মোর হাসিটা নিয়া। দুঃখ কেন কর তুমি, হায়রে আলানূর।
তোমার হাসি এই জগতে, রইবে বহু দূর ।।‪#‎লাইক‬ দিন কলম ও কবিতা যুদ্ধের ময়দানেনামক পেইজে ।আর মোন খুলে একটু হাসুন। আপনার হাসিই পৃথিবীর সব চেয়ে সুন্দর হাসি।।
--------------------------------------------

যে কারনে ভারত বাংলাদেশের ভুমি দখল করবে না

......মোঃআলানূর হোসাঈন
================
আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভারত কোনদিনও বাংলাদেশের ভুমি দখলের চিন্তাও করবে না । তারা এখানে শাসন করতেও আসবে না । তার পরেও আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ভারতের দখলে চলে যাবে । আর এটা এক প্রকার রক্তপাত ছাড়াই । বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন হবেন । ভারতের কোন সৈনিক বাংলাদেশে প্রবেশ করবে না । যদি রক্তপাত হয় তা এদেশের জনগণই ভারতের হয়ে আপন ভাইয়ের রক্তপাত ঘটাবে । একটা দেশের মানুষের মস্তিস্ক তথা শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি উৎসব আনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য বিনোদন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে নেয়া মানে বিনা রক্তপাতে সেই দেশ দখল করা । একটু লক্ষ করলে দেখতে পাবেন ভারতী কালচার বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রবেশ করছে । মঙ্গল শোভাযাত্র , বৈশাখীর অশ্লীলতা , মঙ্গল প্রদিপ জালানো , রং দিয়ে হলি খেলা , ভারতীয় সাংশারীক কলহে রচিত সিরিয়ালগুলো এ সব বাংলাদেশের কালচার নয় । মুসলমানের কালচার নয় । বাংলাদেশে ইসলাম বিদ্বেষী নষ্ট মস্তিস্ক তৈরি করছে ভারত ফলে ইস্কুলে কোমল মতি বাচ্চাদের শেখানো হচ্ছে ভগবানের নামে পশু জবাই করলে হালাল হবে । বাচ্চাদের শেখানো হচ্ছে ললিত কলা , শেখানো হচ্ছে একটা ছেলে কিভাবে একটা মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করবে এবং তার গুরুত্ব । ভালোবেসে ব্যার্থ হবেন ! চিন্তা কিসে লাভ গুরুতো আছে । আজ আপনি এসবের বিরুদ্ধে একজন দাড়াবেন আপনার বিরুদ্ধে পাঁচ জন দাড়াবে । ভারত আমাদের বিরুদ্ধে দাড়ানোর প্রয়োজনই পরবে না । এটাই ভারতের দেশ দখলের যুদ্ধ । এ যুদ্ধে তাদের একমাত্র বাঁধা ইসলাম প্রেমিক কিছু জনগণ ও তাদের রাজনৈতিক দল । এরা কখনও চাইবে না ভারতী কালচার গ্রহণ করতে । এরা চাইবে ইসলামী সংস্কৃতি প্রশার ঘটাতে । তাইতো ভারত বাংলাদেশে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের উত্থান ঘটিয়েছে । সাথে ইসলামী রাজনীতি বিশেষ করে জামায়াত ধ্বংসের বিফল চেষ্টা করছে । এ সব কিছু বাংলাদেশের মানুষ দ্বারাই করানো হচ্ছে ! আর ঐ সব মানুষ ও রাজনৈতিক দল নিজেদের দাবি করছে আমরাই দেশ প্রেমিক অন্য সব রাজাকার । এখন আপনিই বিচার করুন কারা আসল দেশ প্রেমিক । ( মোঃ আলানূর হোসাঈন )
------------------------------------------------------

কাজ

...মোঃআলানূর হোসাঈন
ඟඟඟඟඟඟඟඟඟ
রাত্রী শেষে আসল ভেসে,
আজানের ধ্বনী।
ঘুম ভাঙ্গিয়া ঈঠলরে সব,
শুনিয়া তার বাণী।
সালাত পড়ে কর্মবেশে,
ছুটছে মানুষজন।
হালালভাবে করবে রোজগার,
দিনটি সারাক্ষণ।
নানান রঙ্গে চলছে মানুষ,
নানান কাজ নিয়ে।
কেউবা ঘুরছে ভাবনা বিহীন,
কর্ম ফাঁকি দিয়ে।
কর্ম বিহীন মানুষ যারা,
ভাবনা বিহীন মন।
আজ নয় কাল হারাবে,
লক্ষ কোটি ধন ।।
------------------------------------------------------------
উদ্দ্যোগী হও
....মোঃআলানূর হোসাঈন
উদ্দ্যোগী হও বন্ধু তুমি, মন কাননে ফোটাও ফুল।
মেদুর সৌরভ দাও ছড়িয়ে, হারতে তোমার নেই যে ভুল। বিশ্ব চেয়ে তোমার পানে, বাঁধার পাহার?নেইতো ভয়! রুদ্ধ মনের দরজা খোল, মানব প্রেমের হবেই জয় । আল্লাহ আছেন তোমার সাথে, লাভ ছেড়ে আজ কর কাজ। নূর জাহান আজ সৃষ্টি কর, রেখো না ভাই মনে লাজ। হোক না তোমার জীবন সঞ্চার, সাকিন তোমার জেলখানা। ঈমান তোমার রাখবে অটুট, নরকে বাস তোমার না ।।
----------------------------------------------------
মহান প্রভু দেখিবেন না,
চেহারা সুরাত/
আরও যত আছে তোমার,
ধন ও দৌলত/

কাজ আর অন্তরে,

তাকাবেন তিনি/
এটাই হল চির সত্য,
হাদিসের বাণী ।।
-----------------------------------
করুন দশা
.......মোঃআলানূর হোসাঈন
ණනණනණනණනණ

আজ মুসলিমের করুন দশা , 

উম্মাতী ইয়া নফসী রব । লাঞ্ছিত হয় চতুর্দিকে ,
মন বেদনায় ভুগছে সব । নূর মুহাম্মদ সাল্লে আলা , মেহেরবান হে দয়াময় । রক্ষা কর রক্তমাখা , হাজার শিশু বাঁচতে চায় । হোলি খেলে রক্ত নিয়ে , বিশ্ব দেখে তামাশা ।
সারে জাহান মুসলিমেরা , বাঁধন হারা বিদিশা । ঈশ্বরেরই পথ ভুলিয়া ,
রুল মানি সব শয়তানের । নসিবে তাই দুঃখ মোদের , মাগফেরাত নাই অন্তরের ।।
------------------------------------------------

] আলোর উদয় [

....মোঃআলানূর হোসাইন
---==<<>>==---
আলোর পথের পথিক কর , উদয় সূর্য্যদয় । 
লাশারীক এক আল্লাহ আমার , 
মন কর নির্ভয় ।
নূরের প্রদিপ ছড়িয়ে দেব , মেদিনীর চতুর্দিক ।
রক্ত চোষা ঐ পাপিরা , হাজতে আমায় নিক । হোঁচট খেলে হাত ধর মোর , বিশ্ব দয়াময় ।
সাধনা মোর আলোর তরে , বাঁধায় কীসের ভয় । ঈমান আমার অটুট কর , রুদিত এই মন ।
নতুন আলোয় খুলবরে চোখ ,
মানুষের অচেতন ।।
-----------------------------------------------

মাসুদ ও তার মৃত্যু বোনের কাহিনী

ණණණණණණණ
শোনেন শোনেন ফেসবুক বাসি,শোনেন দিয়া মন ।
ভাইয়ের পাপে বোনের 
মৃত্যু , করিব বর্ণন ।
মেয়েবাহী একটি ট্রাক , ইন্ডিয়াতে যাবে ।
গভীর রাতে সেই ট্রাকটি,
সিমান্ত পাড়ি দিবে ।
অবশেষে সেই ট্রাকটি ,
শেষ সীমানায় খাড়া ।
নানা বয়সের মেয়ে দিয়ে,
আছে তাতে ভরা ।
নানা ছলে নানা কলে ,
আনল তাদের ধরে ।
কাউকে আবার নানা ভাবে . অপহরণ করে ।
কেউ এসেছে আপন ইচ্ছায়, পড়ে পেটের দায়।
কেউ এসেছে মিথ্যা লোভে, পুরে কপাল হায় ।
পাচার হবে ভারত নামক,
ধ্বর্ষণ নগরীতে।
সেথায় নাকি শেখ হাসিনার , মন চায় ছুটে যেতে।
ভারত একটা পতিতালয়,
সবাই কিন্তু জানি ।
অসভ্য এক জাতি ওরা,
মানচিত্রটাও মানি ।
ড্রাইভারের পাশে যিন,
নাম তার মাসুদ মিঞা,
নানা বয়সের মেয়ে এনে,
সিমান্তে যায় দিয়া।
ইহার পরে সিমান্ত,
করে যারা পাড় ।
শামিম ওসমান জয়নাল রুপে, তাদের গডফাদার।
মাসুদ মিঞা মেয়ে যখন,
গুনে গুনে দেয় ।
মোটা অংকের টাকা মাসুদ , পকেট ভরে পায় ।
টাকার জন্যই মাসুদ মিঞা, এই হীন কাজ করা,
টাকার কাছে পরাজিত,
সুনীল সুন্দর ধরা ।
এই জগতে টিকার মোহে,
কি বা করার আছে।
কেন জিতবে মাসুদ মিঞা,
স্বাধের টাকার কাছে।
এই সিমান্তের দালালেরা,
মেয়ে গুনে দেয়।
ঐ সিমান্তের দালালেরা,
তাদের বুঝে নেয় ।
মাসুদ শুধু রাস্তায় খাড়া,
এইটুকু তার কাজ।
নারীর প্রতি লোভ নেই তাহার, অদ্যবধিও আজ।
মাসুদ মিঞা বসে যখন,
টাকা গুনতে ছিল। হঠাৎ একটা চিৎকার তাহার,
কানে ভেসে এলো।
চিৎকার শুনে মাসুদ মিঞা, দৌড়ে সেথায় যায়।
দালাল বলে একটা মাল, মরে গেল হায়।
ওরা কিন্তু নারীদেরকে, মাল বলিয়া ডাকে।
মোদের দেশেও মানব শয়তান, তাই বলিয়া থাকে।
মুখটা তখন ঢাকা ছিল,
সেই অভাগীর হায়।
প্রণটা গেল ঘুমের ঔষধ,
বিষেরই জালায়।
মুখের কাপড় যেই সরাল,
হায়রে মাসুদ মিঞা।
কলিজা তার পাক মারিল,
উঠল চিৎকার দিয়া।
দুইটা নয়ন কাঁদছে তাহার, কাঁদছে যে তার মন। সেই মেয়েটা নয়ত কেহ, তাহার আপন বোন।
সারা দেহ কাঁপতে থাকে,
কাঁপছে জগৎময়।
টাকার কাছে মাসুদ মিঞার, হইল পরাজয়।
এই জগতে টিকার মোহ,
আনল সর্বনাশ ।
তাই উপহার পেল মাসুদ,
প্রিয় বোনের লাশ ।।
‪#‎নিলা‬ আপুর স্টাটাস অবলম্বনে
--------------------------------------------------

দেখ জাতি দেখ

পাশান চোখে মানবতার
চশমা দিয়ে দেখ ।
মাসুদ ভাইকে দেখ ।
যাকে তোমরা দুদিন আগে
হাটতে দেখে ছিলে ।
খুনি হাসিনা আজকে তারে
পঙ্গু করে দিলে ।
কোথায় মানবতা ?
কোথায় গেল কানা মিজান
কেন নীরবতা ?
ওরে কি ভেবেছিস ?
পঙ্গু করলে ভেঙ্গে যাবে
মোদের মনোবল ?
ভুল ভেবেছিস !
তোদের মসনদ ভেঙ্গে দিব
আমরা তরুণ দল ।
এমন পঙ্গু করব মোরা
আজীবনের তরে ।
মৃত্যুর কষ্ট ভোগ করবি
তবু মৃত্যু হবে নারে ।
আর মানবতার ব্যাবসা করিস
সুলতানা কামাল ।
তোদের কবর খুরবো মোরা, আমরা তরুণ দামাল ।
মিডিয়ার কাটব জিহ্ববা , পঙ্গু করব হাত ।
শয়তান জীবীর চোখ উঠাবো
তোদের জীবন করব রাত।
যত করছ অত্যাচার ,
দশগুন ফিরে পাবে ।
অবশেষে তোদের বাস ,
জাহান্নামে হবে ।
কান খুলিয়া শুনে রাখ,
মোদের নাইরে কোন ভয়।
খোদার পথে সবাই কিন্তু,
শহীদ হতে চায় ।।
------------------------------------------------
মহান রবের বাণী
পড়ে দেখ শীতল হবে
তোমার হৃদয়খানি
ණණණණණණණ
এই কথা পরিষ্কার
জেনে রেখ সবে/
তাহার চেয়ে বড় জালিম
নাইরে কোনও ভবে/
মিথ্যা কথা যে রচিয়া
প্রভুর বাণী কয় /
কিংবা প্রভুর আয়াতকে মিথ্যা বলা হয় /
এসব লোক অংশ পাবে
ভাগ্যে যাহা আছে /
যত কাল আজ্রাইল (আ)
পৌঁছবে না তার কাছে /
মৃত্যুর কালে তাহরা
জিজ্ঞাসিত হবে /
কোথায় গেল সেসব রব
এখন কোথায় যাবে/
প্রভু ছেড়ে যাহাদিগকে
মান্য করে ছিল /
বলবে ওরা সবই আজ
উধাও হয়ে গেল /
আর তাহারা সাক্ষ্য দিবে
নিজের বিরুদ্ধেই /
আমরা বড় পাপি ছিলাম
প্রভুর অবাদ্ধই /
বলবেন প্রভু এখন তোমরা
জাহান্নামে চলো /
তোমার পূর্ব জ্বীন ও মানুষ
পাবে তাদের দলও/
যখন তারা একে একে
জাহান্নামে যাবে /
তখন তাদের পূর্বদেরকে
লা'নত করতে রবে /
হবে যখন একত্রিত
এমনই ভাবে সব/
পূর্বদেরকে দুষি করে
বলবে হে রব/
পথভ্রষ্ট করেছিল
এরাই আমাদিগকে /
তাই দ্বিগুন আজাব দিও
প্রভু উহাদেরকে /
তার উত্তরে হইবে বলা
দ্বিগুন আজাব পাবে /
প্রত্যেকেরই জন্য তাহা
তোমরা জান না যে ।।
সূরা আল-আ'রাফ
৩৭ ও ৩৮ আয়াত অবলম্বনে
---------------------------------------------
=>খেলা<=
মোঃআলানূর হোসাঈন
অন্ধকারের যাত্রি মোরা নাচ্ছি খেলার তালে ।
সত্য কথা এই জগতে , কেবা কখন বলে । খেলা নামক ঘুর্ণিপাকে , ঘুরছে মানবকূল । বারেক ফিরে যে তাকাল , সে হয়ে যায় ধুল । ধুলিকনা হওগো বন্ধু , রাখতে ঈমান কভু । এই ধুলি কনায় খেলার চোখ , অন্ধ করবেন প্রভু । মানসপটে অঙ্কিত আজ , ঝলকানি দুই চোখে । মিথাকে ভাই সত্য বলি আঁধার টানি বুকে । হায়রে খেলা হায়রে মেলা , হায়রে ঈমান নাশ । পাপের পূজা করছি মোরা , হই জাহেলির দাস । জাহেলিও হার মেনে যায় , দেখিয়া মনব চরিত্র । ছেলের হাতে এ সংশারে , মা হয় ধ্বর্ষিত । এসব একই ঘুর্ণিপাকে রে ভাই , একই ঘুর্ণিপাকে । হাজার হাজার মানব শয়তান , ওৎ পাতিয়া থাকে । খেলা আর মেলা হল , দুই ইবলিসের ভাই । ধর্মহীন শিক্ষা পেয়ে , আপন বলে যাই । জাতির এই ক্রান্তিকালে , কোথায় হে ধুলি কনা । যেগে ওঠো লক্ষ তরুন , লক্ষ শিবির সেনা । ভেঙ্গে ফেল খেলা ঘর , মেলার আয়োজন । অন্ধকারে জ্বলতে আলো , শিবির প্রয়োজন ।
-------------------------------------------------
>< প্রিয় বোনকে ><
...মোঃআলানূর হোসাঈন
জিজ্ঞেসিল , এক প্রিয় বোনকে আমার , বাজারের খোলা নাকি প্যাকেট তেল, বোন তুমি কর ব্যাবহার । কহিল বোনটি আমার , খোলা জিনিস অ নিরাপদ , বাজে বলেই জানি । এমন যুগে খোলা জিনিস , কার পছন্দ শুনি ? তব খোলা সবই সস্তা , ময়লা থাকে তাতে । মোর পছন্দ ঢেকে রাখা , দেখতে ভালো যাতে । কহিল MD.HAMID ... তবে কেন চলছ খোলা মেলা , একটু জবাব দেবে ? একেবারে সস্তার মত অ নিরাপদ , কেবা তোমায় নেবে ? সস্তা খোঁজে বখাটেরা , ভদ্র খোঁজে ভালো । কলম ও কবিতার কিবা জবাব , বোনটি দিবে বলো ??
-----------------------------------------------
গর্জে ওঠো শপথ কর
......মোঃআলানূর হোসাঈন
ණණණණණණණණ
গর্জে ওঠো ইসলামী চেতনায় , লাক্ষো কোটি মুসলিম জনতা ।
বদর প্রান্তরের কথা স্বরণ করে গড়ে তোল মুসলিম বিশ্ব একতা ।
তাগুতের শত বাঁধার পাহার ভেঙ্গে ছুটে চল স্বর্গপানে ।
কোন আশাতে বসে আছ মুলিম তুমি আজ ঘরের কোনে ?
শত মজলুমের রক্তে ভেজা লাশ দেখেনি কি তোমার দুটো চোখ ?
যায়নি কি ডাক কর্ণ কুহুরে সন্তান হারা মায়ের কান্না শোক ?
আর কত নির্যাতন তিব্র হলে জাগ্রত হবে তোমার চেতনা ?
আজকে মাসুদ বন্দী হল কি দেবে তার সন্তানকে সান্তনা ?
আর কত কাল ঘুমিয়ে থাকবে কাটবে জীবন সুখের বিলাশ ।
বিছানা ছেড়ে উঠো হে মুমিন আজ হায়েনাদের কর বিনাশ ।
আজ মুসলিম শপথ কর হবেনা তাগুতের সূর্য্যদয় । ওদের যত মনশক্তি আল্লাহু আকবার হুংকারে করিবে ক্ষয় ।
জেল জুলুমের ভয় কর না মৃত্যু চাহো মুমিন বীর শহীদের । মুমিন টলে না বজ্র আঘাতে ভাঙ্গে না মোন দেখে মৃত্যু ভাইয়ের ।
আমৃত্যু লড়াই করব মোরা যত কাল না হবে ইসলামী রাজ ।
হাত রেখে হাতে করগো শপথ লাক্ষ মুসলিম ভাই এখনি আজ ।।
---------------------------------------------------
মাসুদ ভাই তুমি আছ
......মোঃআলানূর হোসাঈন
ණණණණණණණණ
মাসুদ ভাই তুমি আছ , 

থাকবে আমাদের অন্তরে ।

তোমাকে পারবে না আটকে রাখতে , ঐ হাসিনার কারাগারে । লক্ষ তরুনের প্রেরণা তুমি , তুমি ছাত্র সমাজের অহংকার । আপন সাধনায় পেয়েছ তুমি , সেরা ছাত্রের স্বর্ণ পুরুষ্কার । তোমাকে পেয়েছি সেনাপতি মোরা , ক্লান্ত হওনি কখনও কভু । সামনে থেকে যুদ্ধ করেছ , পেছনে ফিরে তাকাওনি তবু । তোমার বজ্র কণ্ঠ তাগুতের বুক ভেঙ্গে করেছে চুড়মার । আজকে মোরা করেছি শপথ , ভাঙ্গব হাসিনার বাঁধার পাহার । তোমার প্রেরণায় লক্ষ তরুন , অত্যাচারে আজ করে না ভয় । মোদের অস্ত্র দিপ্ত ঈমান , বাতিলের শক্তি করিব ক্ষয় । তোমার মত লক্ষ মাসুদ , জন্মিবে বাংলার প্রতি প্রতি ঘরে । যত কাল না হবে ইসলাম কায়েম , আমৃত্যু যাব যুদ্ধ করে ।।
----------------------------------------------------------
এস. এস. সি র সংবর্ধণা
......মোঃআলানূর হোসাঈন
আজ এস. এস. সি র সংবর্ধণা , এক নব উদ্দিপনা হৃদয়ের ভাঁজে । দশ বছরের শ্রম সাধনা , তার বিজয়ের সুর কানে বাজে । নব কাননের পদচারণার , মনের মাঝে জাগে তার সুখ । আজ নতুনের সংবর্ধণা , তাই ভুলে যাই পেছনের শত দুখ । প্রতিক্ষা আমার হল অবসান , আজ এই দিনেরই তরে । প্রবেশ আমার নতুন জগতে , জ্ঞানরুপ এক মহা সাগরে । তোমরা মোদের করিতে বরণ , করেছ এক মহা আয়োজন । তোমাদের পথে চলিতে মোদের , দিয়েছ এক মহা সম্ভাষণ । আমরা নবীন আজ এসেছি , তোমাদের পুষ্প আঙ্গিনায় । আমাদের বুঝি সংবর্ধণা দিবে , তোমাদের ভালোবাসা প্রেম মমতায় । আমাদের হাতে তুলে দিয়ো আজ , সত্যের দিপ্ত জ্ঞানের মশাল ।পথ দেখিও আমাদের বন্ধু , আলোর পথে যেন থাকি চির কাল ।।
--------------------------------------------------
প্রশ্নপত্র হয় ফাঁস
শিক্ষার্থী খায় বাঁশ
...মোঃআলানূর হোসাঈন
ණණණණණණණණ

এক মস্ত বড় বাঁশ খাইলামরে ,

মস্ত বড় বাঁশ ।
সরকার মোগো কইরা দেছে , প্রশ্নপত্র ফাঁস ।
পানির বদলে বিষের গ্লাস ,
তুইলা দিল হাতে ।
ছাত্র ছাত্রী না বুঝিয়া , চায় যে তাহা খাতে । লক্ষ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী বই ছাড়িয়া দেয় । পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস , কেন পড়িবে হায় ? ধ্বংস মেধা ধ্বংস জাতি , এই ডিজিটাল রূপ । ধ্বংস হাজার সোনার জীবন , পরিয়া সেই কুপ । খালেদা এসে করল বন্ধ , নকল নামের বাঁশ । এবার হাসুর ডিজিটালে , প্রশ্নপত্র ফাঁস । হায়রে জাতি হায়রে নেতা , হায়রে কান্ডারী । সাগর জলে এই জাতিরে ডুবায় পাঞ্জেরী । বই ছাড়িয়া অস্ত্র ধর , শিখতে যদি চাও । এই সরকারকে হত্যা করে , বই তুলিয়া নাও । আবার যদি শুনা যায় প্রশ্নপত্র ফাঁস । এবার কিন্তু জ্বালাবে আগুন , আর খাইয়ো না বাঁশ ।।
-----------------------------------------------

ছাত্র সমাজ 

......মোঃআলানূর হোসাঈন
ණණණණණණණණ
ছাত্র সমাজ তোরা হও আগুয়ান , 
লেখা পড়ার ফাঁকে ফাঁকে গেয়ে যাবে গান ।
সেই গান গান নয় মহা কলতান ।
আঁধারের মাঝে তোরা আনবে আলো । মিথ্যাকে কভু তোরা বাসিওনা ভালো ।
এই গান যেই গাবে তারি সম্মান ।
শত শত বই পড়ে কি বা লাভ হবে . যদি কাজ নাহি কর সেই মতে তবে । না পারিলে দেশটারে কিছু দিতে দান ।
শুধু নয় লেখা পড়া করার আছে কিছু । সমাজটা কে কর সম যেথা উঁচু নিচু । সাদা কালো ভেদাভেদ কর সমমান ।
একই সাদের তলে বাস তোরা ভাই ভাই ,
কেন কর মারা মারি খবরেতে পাই । হানা হনি ভুলে গিয়ে সুখ সুখ খুঁজে আন ।
বুকে রাখো হিম্মত মনে রাখো বল । ব্যাথা কভু আসে যদি নাহি ফেল জল । দৃঢ় মনে করে যাবে মহা অভিযান ।।
------------------------------------------------------

ණණ কাজ ණණ .....মোঃআলানূর হোসাঈন කකකකකකකකකක 

যা ঘটেছে পূর্বে তোমার , লাভ কি হবে ভেবে । খেলছ যে কাল অকারণে , কি মাসুল তার দিবে । কাল যে কত হল গত , হেলায় হেলায় ভাসি । কাজ যে তোমার রইল বাকি , কত রাশি রাশি । কোন আশাতে কাজ ছারিয়া , থাকলে কেন বসে । তোর তরে আজ মোর বেদনা , বুঝবি দিনের শেষে । দিন থাকিতে কাজ কর ভাই , রইল যে কাজ বাকি । দেশের তরে যাও করে যাও , আর দিও না ফাঁকি ।।
-------------------------------------------------------

নষ্ট কাব্য

.....মোঃআলানূর হোসাঈন
ණණණණණණණණණ 
কঠিন শ্রম সাধনা তোমার , কোন কাজে আজ করছ ব্যায়। 
খোদার দেয়া জ্ঞান প্রতিভা , নষ্ট কাব্যে করছ ক্ষয় । 
প্রেম প্রিতি কাব্য বিষয় , কাব্য বিষয় নারীর ঢং । অশ্লিল ধ্যানে মগ্ন থাক , ছন্দে মেশাও বিশ্রি রং । কেনরে ভাই কাব্য এমন , কেন এমন ভাষার রস । নাকি সস্তা হাত তালিতে , নাকি সস্তা পাইতে যশ । নাকি অন্ধে বসত তোমার , দেখনি কো আলোর মুখ । তাই কি এমন কাব্য রচে , তুমি বন্ধু পাচ্ছ সুখ ।।
--------------------------------------------------------

\\শপথ\\

.....মোঃআলানূর হোসাঈন
ණණණණණණණණ
আয়রে সকল নবীন মোরা , দল বাঁধিয়া আয় ।
হাত ধরিয়া করব শপথ , নতুন প্রেরণায় । 
জাগিয়ে দেব নব আশা , আসাহীনের বুকে ।
ঘুচিয়ে দেব দুঃখ মোরা ,
যে যয়েছে দুঃখে ।
সোনার সমাজ গড়ব মোরা , শিক্ষার আলো দিয়ে । হিংসা কারো রবে নাকো , সাদা কলো নিয়ে ।
ধনী গরিব এক কাতারে , পড়ব যে নামাজ । দেশটাকে আজ গড়ব মোরা , করব সোনার সমাজ ।।
-------------------------------------------

இ করুন দশা இ

.......মোঃআলানূর হোসাঈন
ණනණනණනණනණ
আজ মুসলিমের করুন দশা , 
উম্মাতী ইয়া নফসী রব । লাঞ্ছিত হয় চতুর্দিকে , 
মন বেদনায় ভুগছে সব । নূর মুহাম্মদ সাল্লে আলা , মেহেরবান হে দয়াময় । রক্ষা কর রক্তমাখা , হাজার শিশু বাঁচতে চায় । হোলি খেলে রক্ত নিয়ে , বিশ্ব দেখে তামাশা ।
সারে জাহান মুসলিমেরা , বাঁধন হারা বিদিশা । ঈশ্বরের পথ ভুলিয়া ,
রুল মানি সব শয়তানের । নসিবে তাই দুঃখ মোদের , মাগফেরাত নাই অন্তরের ।।
---------------------------------------
নারী প্রেমের কবিতা
AN
নারী প্রেমের কবিতা তোমার,

দেখেছি কত শত।

নষ্ট ছেড়ে মানব প্রেমে
হও বন্ধু আজ রত।
কি এমন সুখ পাচ্ছ তুমি
কাল করিয়া ক্ষয়।
খোদার দেয়া জ্ঞান প্রতিভা
করছ যে অপচয়।
নারী পূজা তোমার মনে
করছ মহা পাপ।
প্রভুর প্রেমে ফিরে আস
কর ভাই অনুতাপ।
খোদার দেয়া নেয়ামত খেয়ে, গাইছ নারীর গান।
নারী প্রেমের কবিতা লিখে
ভুললে প্রভুর দান!
হয়তো তোমায় বলবে ভালো, নষ্ট হৃদয় যার।
অশ্রাব্য কাব্য তোমায়
করবে যে ছারখার।।
নারী ছাড়া এই জগতে,
হয় না বুঝি লেখা?
শয়তান চোখে নারী ছাড়া
পাওনা কভু দেখা??
হাজার হাজার কাব্য লেখার, প্রভুর উপাদান।
তাই ছাড়িয়া নষ্ট কাব্যে
হয়েছ পেরেশান।
--------------------------------------------

স্বাধীনতা এবং

আর্থিক বিত্তবান ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতি আহ্বান 
ණණණණණණණ
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা কেমন আছেন জানতে চাইব না ,কারন আপনারা কতটু সুখে সস্থিতে আছেন তা ইতমধ্যে আপনাদের রচিত "স্বাধীনতা" কবিতাগুলোতে দিনের আলোর ন্যায় উজ্জল হয়ে আছে । একটা কবিতা যখন হয় তখন লেখকের মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকে না আপনাদের কবিতায় গণমানুষের হতাশার কথাই এসেছে । আপনারা যে ভাবে স্বাধীনতার কথা বলেছেন মনে হয়েছে স্বাধীনতা একটা ঘোড়ার ডিম। শুনতে তিক্ত লাগলেও স্বাধীনতা এখন একটা ঘোড়ার ডিমে পরিনত হয়েছে । যার কোনও বাস্তবতা নেই। লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু কি চেয়েছিলাম , শিক্ষার সমান অধীকার ,কোথায় সে অধীকার শিক্ষার নামে চলছে বানিজ্য , বৈষম্য , অসহায় গরিবরা হচ্ছে উপেক্ষিত। চেয়েছিলাম মত প্রকাশের স্বাধীনতা, কোথায় সে স্বাধীনতা আজ "সত্য বলা মহা পাপ" প্রবাদে পরিণত হচ্ছে । চেয়েছিলাম ভোটের অধীকার , কোথায় সে অধীকার যেখানে ভোট ছাড়া একজন গ্রামের মেম্বার হতে পারেনা সেখানে একটা সরকার গঠিত হয় এই স্বাধীনতার রুপ । নিরাপত্তার অধীকার চেয়েছিলাম । কিন্তু পাকিস্তানিরা আমাদের সব দাবি পূরণ করে চির বিদায় নিয়েছে । এখন আর তাদের দোষ দিতে পারিনা , তরা আমাদের মুক্ত স্বাধীন করে আমাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে চলেগেছেন। কিন্তু এই স্বাধীন ভুখন্ড একটা অসভ্য বর্বর নৃশংস হায়েনার সমাজ ডালপালা ছড়িয়েছে। পাকিস্তানিরা আমাদের সাথে যে অবিচার করেছে তার চেয়ে শতগুন অবিচার করছে এই শাসক গোষ্ঠি হায়েনার দল। তরা হাত মিলিয়েছে স্বাধীনতার সময় পালিয়ে থাকা ভারতের সাথে । দেখে মনে হচ্ছে এদের শরিরে বইছে কিছু ভারতী কিছু পাকিস্তানি আর কিছু খৃষ্ট্রানীদের রক্ত । খাঁটি বাংলাদেশীদের রক্ত এদের শরীরে থাকার কোনও প্রমান মেলেনা । এরা হল তিন আইছলা মানে তিনের মিশ্রণ । এরা শান্তি বিনষ্টকারী, স্বাধীনতা হরণকারী এদের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য আরেকটা যুদ্ধ অপরিহার্য্য। এটা ভুখন্ড পাওয়ার যুদ্ধ নয়, রক্ষা করার যুদ্ধু । হায়েনাদের পায়ের তলায় রাখার যুদ্ধ । স্বাধীনতা হরণ কারীদের স্বাধীনতা রক্ষায় তৈরী করার যুদ্ধ । কাটা দিয়ে কাটা তোলার যুদ্ধ । এ যুদ্ধ খারাপ মানুষকে ভালো করার যুদ্ধ । এ যুদ্ধ মানুষের হৃদয় দখল করার যুদ্ধ । এখানে শক্তি প্রয়োগে কাজ হবে না । কারন এর ভয়াবহতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বন্দুক তাক করলে দেখতে পাই সে আমার ভাই , চাচা , বাবা , কিংবা বন্ধু ।তাই এই যুদ্ধ হবে রক্তপাতহীন দীর্ঘ্য মেয়াদী। এজন্য একদল প্রতিভাবান কর্মঠ সৎ চরিত্রবান তরুন যুবক চাই। চাই একদল ধনবান বিত্তশালী মানুষ যারা এসব তরুন যুবকদের অর্থচিন্তা দূর করবে। এসব তরুন যুবকদের একটাই লক্ষ্য হবে নিজেকে ১০০ ভাগ সাধনায় লিপ্ত করা। এদের কাজ হবে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করা একজন নাট্যকার হিসেবে , একজন সাহিত্যিক হিসেবে । একজন কণ্ঠ শিল্পী হিসেবে। এরাই হবে বাংলাদেশের মানুষদের সাহিত্য সংস্কৃতির রোল মডেল । বাংলার তরুন তরুনিরা এদের অনুসরণ করবে । সাহিত্য সংস্কৃতির বিপ্লব ঘটাতে পারলে বাকি সব কিছু অটোমেটিক চলে আসবে। বাংলার প্রত্যেক মানুষ সাংস্কৃতি প্রিয় । আর এটাই হবে প্রধান অস্ত্র ।। আমরা কেন দূরে থাকছি পিছনে থাকছি , নিজেকে ঢেকে রাখছি তার প্রধান সমস্যা হল আমাদের প্রত্যেকের পরিবার আছে তাদেরকে অর্থ যোগান দিতে হয়। এ জন্য চাকরিতে চলে যেতে হয়। অর্থ সমস্যাই হল প্রধান অন্তরায় । অনেকের প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্যেও একটা চাকরির চিন্তায় ইচ্ছা শক্তি হারিয়ে ফেলে। এখানে একজনকে পুরোপুরি শপে দিতে হয়। আর যদি চাকরিটাই হত এমন যে এদের মাসিক বেতন দেয়া হবে । তারা পুরো সময় এই যুদ্ধ ক্ষেত্রেই থাকবে । এর ৫০ ভাগ যদি হত তাহলে কতইনা ভালো হত । এটা একা একা সম্ভব নয় । এ জন্য দুটি দল চাই এক দল টাকার যোগান দিবে অপর দল কাজ করবে। যতদিন এই দল তৈরী না হবে ততদিন পরাধীনতার শিকলে বন্দি হয়ে দুঃখ কষ্ট ভোগ করে ইসলামের অপমান রাসূলের অপমান চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে কিছুই করার থাকবে না। শয়তানের গোলামী করতে হবে কারন পরিস্থিতি এমন হবে আপনি একা হয়ে পরবেন মরতে চাইলেও পারবেন না কারন অত্ম হত্যা মহাপাপ । যা করার এখন থেকেই করতে হবে । কঠিন সময় ঘনিয়ে আসছে । আপনি কোনও দিন কল্পনা করেছেন আল্লাহ রাসূল (স) কে গালি দিবে মুসলমান তাও এখন শুনছেন। ঘরে ঘরে ভারতী চ্যানল দেশী চ্যানেল অশ্লীল , অসভ্যতা ছড়াচ্ছে । বাচ্চার এভাবেই তৈরী হচ্ছে। অতএব এখনই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি করবেন ? 
[ভুল হলে ক্ষমা করবেন।সবার পরামর্শ মন্তব্য আশা করছি]
----------------------------------------------
# জয় বাংলা #
জয় বাংলার মানে বন্ধু ,
কেউ কি তোমরা জান ।

না জানলে দয়া করে ,

একটুখানি শোনো ।
ধ্বর্ষণ মানে জয় বাংলা ,
অস্ত্রেরী ঝংকার ।
তসলিমা নাসরিন পরিমল,
সৃষ্টি জয় বাংলার ।
খুন মানে জয় বাংলা ,
বিশ্বজিতের খুনি ।
শেয়ার লুটে জয় বাংলা,
দরবেশ হল ধনী ।
বাকশাল মানে জয় বাংলা ,
ভোটের দরকার নাই ।
সিল মারিয়া জয় বাংলা ,
হইলো শাহানশাই ।
নাস্তিক মানে জয় বাংলা ,
হাজার আলেম খুন ।
রক্ত ঝড়ায় জয় বাংলা ,
বাড়ছে শত গুন ।
ভন্ড মানে জয় বাংলা ,
ফরিদ মাসুদ গং ।
রক্ত বহে শাপলা তীরে ।
হাসিনা বলে রং ।
পতিতা মানে জয় বাংলা ,
কিছু F.B. র পাতা ।
যারা ভালো আইডি খোলে ,
বন্ধ করে সেটা ।
ভগবান মানে জয় বাংলা ,
হরি হরি রাম ।
পশু জবাই হরির নামে ,
নইলে যে হারাম ।।
‪#‎AN‬ Hossain
---------------------------------------------
সময়
.........Alanur
কর্ম দোষে ভাগ্য নাশে
সময়কে দেই গালী ।
খারপ সময় বলি সবাই
নিজেই চোখের বালি ।
সময় কঠিন নিজের অধীন
পার করেছি কত
হেলায় হেলায় আপন বেলায়
হল কত গত ।
বুঝব সেদিন হারব যেদিন
কি করেছি ভুল ।
রইবে না আর সময় ভাবার
দেখব শুধুই ধুল ।।
----------------------------------------------
অধ্যাপক গোলাম আযমকে নিয়ে একটি গান। 
উৎসর্গঃ ইসলামী গানের সকল শিল্পীদের তরে।
<<>>==<<>>==<<>>
নামটি তাহার গোলাম আযম, 
জ্ঞানের সাগর ভাই। তাহার মত দ্বীনের নায়ক, আর তো দেখিনাই।।।
সারা জীবন দ্বীনের তরে, করে গেলেন সংগ্রাম। 
দ্বীন কায়েমে জেলে গেলেন, 
ফাঁসি হল পরিনাম।।
আমরা তরুন তাঁর অবদান, 
ভুলিনাই ভুলিনাই।।ঐ
লক্ষ মানুষ তাহার ডাকে, আঁধারে আলো পেল।
কত তরুন দ্বীন কায়েমে,
প্রাণটা বিলিয়ে দিল।
ফাঁসি হলেও দ্বীনের নিশান, 
উড়াবই এই বাংলায়।।ঐ
আজ বেঁচে নেই কে বলেছে, আছ এই হৃদয়।
তোমার লেখা রচনা পড়ে, প্রাণটা শান্ত হয়।
তোমার স্বপ্ন কোরআনী রাজ, 
গড়ব লক্ষ ভাই।।ঐ 
১৫/১১/২০১৪
-------------------------------------------
ফাঁসির রায়
আর কত রায় শুনলে তবে,
জাগ্রত হবে জাতি।

জাজের কলমে রক্ত মাখা।

ভ্রষ্ট হল তার নীতি।
মিথ্যে মামলা মিথ্যে সাক্ষ্যয়, মিথ্যে আভিনয়।
মোল্লাহ ভাইকে নিয়েছে ফাঁসি, দিচ্ছে কসাই রায়।
স্বার্থবাদী মানুষ যারা., ওয়াজে বয়ান মারে।
খল খলাইয়া হাসছে তারা, শয়তানের সুর ধরে।
এভাবেই কি দিনে দিনে,
সত্যের হবে ক্ষয়।
ভালো মানুষের অপমান আর, এ বুকে না সয়।
কোথায় আছ হে ঈমানদার,
জাগ্রত হও আজ।
সত্যের পক্ষে ঝাপিয়ে পর,
এটাই এখন কাজ।
না পারলে কি জবাব দিবে, তৈরি হয়ে রও।
হয় সত্য নয় মিথ্যে পথ,
এখনই বেছে লও।।
-----------------------------------------
কসাইখানার ফাঁসি
================
ওরা মানুষ নয় নর কিট,

ভালো আশা যায়না করা ওদের কাছে।

ওরা রক্তখেকো অর্থ লোভী,
ওদের কোটের তলে অস্ত্র আছে।
ঠান্ডা মাথার খুনি ওরা,
ওরা কলম দিয়ে হত্যা করে।
ওরা অর্থ লোভে যখন তখন,
রায় পাল্টিয়ে মানুষ মারে।
ইসলাম ওদের প্রধান শত্রু তাই মোল্লাহকে ফাঁসি দিল।
সাঈদীর রায়ের প্রতিবাদে, শত যুবকের প্রণটা নিল।
ওরা স্কাইপি সংলাপ করে, মৃত্যুদন্ডের চিত্র আঁকে।
ওরা হিন্দি বোতল খেয়ে বুঝি, ফাঁসির নেশায় মত্ত থাকে। ইসলাম নিয়ে কেন বল, ওদের বুকে এত জ্বালা,
কেন ধর্মীয় নেতার রিমান্ড দেয়, আর খুনিদের দেয় ফুলের মালা।
কেন বিচার বিভাগ কসাইখানা,
যেন রাক্ষসের আস্তানা।
ওদের রায়ে পঙ্গু ছেলে,
কে দেবে মাকে সান্তনা।
হিজাব পরা মেয়ে কেন,
ওদের রায়ে বন্দি আজ।
কোরআন হাদীস বই দেখিয়া, জঙ্গী বলে আখ্যা দেয়।
আমরা তোদের ছাড়ব নাক, লিখব তোদের ফাঁসির রায়।
তোদের কঠিন মৃত্যু হবে,
সেদিন বেশি দূরে নয়।।
হে বিচারক তৈরি থেক,
অমলনামা লেখা আছে,
সেদিন হাসিনা থাকবে নাকো, পাবে না খুঁজে তোদের কাছে।।
-------------------------------------------------------

বড়ই সুখে আছি বন্ধু,

জেলখানার ভিতরে।
তোমরা বুঝি দুঃখে আছ,
আরাম আয়েস করে।
সকাল বেলা দুইখান রুটি,
একটু ডালের পানি।
বাইরের আলো দুই নয়নে,
পায় না একটু খানি।
কত সুখ করছি বন্ধু,
নাই বাবা মা কাছে।
জেলখানাতে মশা মাছি,
কত সাথী আছে।
দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে,
ভাগ্যে এমন সুখ।
তবুও প্রভুর দ্বীনের কথা, বলবে আমার মুখ।।
-------------------------------------------------
হায়রে টাকা
মোঃআলানূর হোসাঈন
হায়রে অর্থ তোমার তরেই, জীবন করে শেষ।
তোমার জন্য মরছে মানুষ, কেউবা করে দ্বেষ।
তোমায় ছুঁতে হন্য মানুষ, স্বপ্ন দেখে চোখে।
দালান কোঠা বাড়ী গাড়ী, কাটবে জীবন সুখে।
তোমার জন্য নৃত্য করে, পর্দা ছেড়ে নারী।
পন্য হয়ে এ্যাড করেছে,
লজ্জা শরম ছারি।
তোমায় পেতে মিথ্যে বলে, করছে অভিনয়।
টাকা দিয়েই মোল্লার ফাঁসির, বিচার কেনা হয়।
তোমার জন্য ছাড়ছে নামাজ, ব্যাবসার পিছে ছুটে। তোমায় ছাড়া গরিব দুঃখীর, ভাত পরে না পেটে।
তোমায় ছাড়া যায়না কেনা, কোরআন হদীস বই। তোমার টাকার খাবার খেয়ে, দ্বীনের চর্চায় রই।
তোমায় ছাড়া হজ্জ হবে না, তাইতো তোমায় চাই।
তোমার মাঝেই ভালো মন্দ,
নিত্য দেখতে পাই।
মুর্খ মানুষ পাইলে টাকা,
অকাজেতে খাঁটায়।
জ্ঞানী মানুষ খরচ করে, ভালো আছে যেথায়।।
----------------------------------------------
ফাঁসির নেশা
ফাঁসির নেশায় মেতেছে হাসিনা ।
কবেহবে এর শেষ । বিচারকদের ফাঁসিদিতে ।

তৈরি হও প্রিয় বাংলাদেশ। 

চারি দিকে গুম আর খুনের সয়লাব,
ফাঁসির কাষ্ঠে মানবতা । রক্ত পানকরে রক্ত পিপাষু , মিডিয়া পালন করে নীরবতা।
আদালতের কলমে কষাইয়ের রক্ত,
বিচারের বাণী কাঁদে নীরবে।
বসে থাকার সময় যে নাই বন্ধু , যুদ্ধ করেই বাঁচতে হবে।
-------------------------------------------

ফাঁসি

====
হাসিনা আমার ভাইকে হত্যা করে, 
হাসছ মহা হাসি।
একদিন তোদের বিচার হবে, হবে তোদের ফাঁসি।
মিথ্যে সাক্ষ্যয় আজ
‪#‎কাশেম‬ আলীকে ফাঁসি দিতে চাও।
একদিন তোদের ঝুলতে হবে, তৈরি হয়ে রও।
যাদের জন্য করছ মঞ্চ, তারা মুক্তি পাবে।
তোদের জন্য ফাঁসির মঞ্চ, জাহান্নামেও হবে।
ভাবছ বুঝি এ দুনিয়ায়,
পেয়ে যাবি পাড়।
তোদের মঞ্চেই তোদের ফাঁসি, পাবি না ক্ষমা চাইলেও শতবার।
সময় থাকতে ও পাপিরা,
জুলুম ছেড়ে দে।
তওবা পড়ে প্রভুর কাছে,
ক্ষমা চেয়ে নে।
নাইলে তোদের বিপদের দিন, শুধুই অপেক্ষায়।
সেদিন তোরা বাঁচতে চেয়ে,
করবিরে হায় হায়।।
---------------------------------------------
ট্রাইবুনাল আজ কসাইখানা
================
ওরা মানুষ নয় নর কিট,

ভালো আশা যায়না করা ওদের কাছে।

ওরা রক্তখেকো অর্থ লোভী,
ওদের কোটের তলে অস্ত্র আছে।
ঠান্ডা মাথার খুনি ওরা,
ওরা কলম দিয়ে হত্যা করে।
ওরা অর্থ লোভে যখন তখন,
রায় পাল্টিয়ে মানুষ মারে।
ইসলাম ওদের প্রধান শত্রু তাই মোল্লাহকে ফাঁসি দিল।
সাঈদীর রায়ের প্রতিবাদে, শত যুবকের প্রণটা নিল।
ওরা স্কাইপি সংলাপ করে, মৃত্যুদন্ডের চিত্র আঁকে।
ওরা হিন্দি বোতল খেয়ে বুঝি, ফাঁসির নেশায় মত্ত থাকে। ইসলাম নিয়ে কেন বল, ওদের বুকে এত জ্বালা,
কেন ধর্মীয় নেতার রিমান্ড দেয়, আর খুনিদের দেয় ফুলের মালা।
কেন বিচার বিভাগ কসাইখানা,
যেন রাক্ষসের আস্তানা।
ওদের রায়ে পঙ্গু ছেলে,
কে দেবে মাকে সান্তনা।
হিজাব পরা মেয়ে কেন,
ওদের রায়ে বন্দি আজ।
কোরআন হাদীস বই দেখিয়া, জঙ্গী বলে আখ্যা দেয়।
আমরা তোদের ছাড়ব নাক, লিখব তোদের ফাঁসির রায়।
তোদের কঠিন মৃত্যু হবে,
সেদিন বেশি দূরে নয়।।
হে বিচারক তৈরি থেক,
অমলনামা লেখা আছে,
সেদিন হাসিনা থাকবে নাকো, পাবে না খুঁজে তোদের কাছে।।
--------------------------------------------------

নাস্তিকরা মেলেছে ডানা 

AN hossain
<>=<>=<>=<>=<>=<>=
নাস্তিকরা আবার মেলেছে ডানা, হাসিনাকে করে সম্বল। 
ওদের ডানা ভেঙ্গে চুরমার করে দাও। 
ওরা অসভ্য ধর্মহীন বর্বর। ওদের নাস্তিক মস্তক নিচু করে দাও, যেন না দাড়াতে পারে কখনো।
খোদার ভুবনে ওদের নাই কেনো ঠাই,
নাই কোনো ক্ষমা ওদের কভুও।
আল্লাহু আকবার কণ্ঠে করো ধারন,
রসুল হল মোদের প্রেরণা। অভিশপ্ত ঐ নাস্তিকদের হাসিনা,
কখনো বাঁচাতে পারবে না। যার কারনে এসেছি ভবেতে, তাকে কর অপমান। শোধ নেব হাসিনা,
অচিরেই হবে মহা অভিযান।
তৈরি হও বন্ধু তোমরা, নাও শারীরীক মানসিক প্রস্তুতি।
নাস্তিকদের দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে, হউক না মোদের যতই ক্ষতি ।।*
------------------------------------------------
বিদ্রোহী নারী
আলানূর হোসাঈন
আমি এক নন্দিনী, ক্ষত বিক্ষত আত্মা,
আমি এক বিষাক্ত নিঃশ্বাস, ধ্বংস পাপিষ্ঠের।
আমি এক স্বপ্ন চুর্ণ হওয়া, জীবিত লাশ,
আমি নীড় হারা কন্যা, কোনও মানুষের।
আমি এখনও চেয়ে থাকি, নীল আকাশের পানে।
আমার সুখের কথা গায়, পাখিরা গানে গানে।
আমার হাসির সূর্য ওঠে, নিত্য পূব দিগন্তে।
আমার বিজয়ের সুর বাজে, সাগরের কলতানে।
ভেবেছ আমি রক্তে মাংসে, এখনও বেঁচে আছি?
ভেবেছ আমি তোমাদের, খুব কাছাকাছি!
ভেবেছ আমি সবচেয়ে, মহা সুখি এই জগতের!
ভেবেছ আমি সুখি নারী, কোনও এক পুরুষের!
আমার হৃদয় করেছে ছিন্ন, ঐ কাপুরুষ মানব শয়তান।
আমি এক পরাজিত নারী, যৌতুকের নির্মম বলিদান।
আমার কান্না কেউ শোনে না, এই নিষ্ঠুর সমাজের।
আমার রক্তাক্ত আত্মা, শুধু অভিশাপ দেয় তাহাদের।
আমার মত আর্তনাদ করে, কত অসহায় অবলা কন্যা। জীবন বিনাশ করেছে কত হৃদয়ে বয়েছে শত ঝড় বন্যা।
কত বাবা মা কন্যা হারিয়ে, কেঁদে কেঁদে আজ নয়ন করেছে অন্ধ।
কত নারীর সংসার ভেঙে যায়, চলে নিত্য কলহ দ্বন্দ।
আর নয় এবার সত্যের দিপ্ত মশাল ধর, হে সত্য সন্ধানী তরুনী।
ধর্মের আলোয় আলোকিত কর, মূর্খ মানব সমাজ যামীনী। আপন মহিমা বিকশিত কর, শিখবে ভগিনী যারা পশ্চাতে।
আপন সম্মান অটুট কর, কোনও পুরুষ পারবে না হীন করতে।।
-------------------------------------------------------------
নামাজ ভিত্তিক সমাজ চাই 
ණණණණණණණණ
‪#‎না‬ মাজ হল বেহেস্তের চাবি,
‪#‎মা‬ ঠে থাকলেও পড়ে নিও ভাই।
‪#‎জ‬ বাব তোমার সহজ হবে,
‪#‎বে‬ হেস্ত যেতে নামাজ কিন্তু চাই।
‪#‎হে‬ বন্ধুগণ জেনে রাখ,
‪#‎স‬ মাজে সালাত কায়েম ছাড়া,
‪#‎তে‬ মন কোনও নাই উপকার, 
‪#‎র‬ বের পায়ে তব সিজদা করা।
‪#‎চা‬ লাও সমাজ নামাজ নিয়ে,
‪#‎বি‬ ধান কর আল কুরআনের বাণী।
নূর জাহান আজ সৃষ্টি হবে,
রবের কথা যদি মোরা মানি।।
--------------------------------------------
ফাঁসির রায়
আর কত রায় শুনলে তবে,
জাগ্রত হবে জাতি।

জাজের কলমে রক্ত মাখা।

ভ্রষ্ট হল তার নীতি।
মিথ্যে মামলা মিথ্যে সাক্ষ্যয়, মিথ্যে আভিনয়।
মোল্লাহ ভাইকে নিয়েছে ফাঁসি, দিচ্ছে কসাই রায়।
স্বার্থবাদী মানুষ যারা., ওয়াজে বয়ান মারে।
খল খলাইয়া হাসছে তারা, শয়তানের সুর ধরে।
এভাবেই কি দিনে দিনে,
সত্যের হবে ক্ষয়।
ভালো মানুষের অপমান আর, এ বুকে না সয়।
কোথায় আছ হে ঈমানদার,
জাগ্রত হও আজ।
সত্যের পক্ষে ঝাপিয়ে পর,
এটাই এখন কাজ।
না পারলে কি জবাব দিবে, তৈরি হয়ে রও।
হয় সত্য নয় মিথ্যে পথ,
এখনই বেছে লও।।
প্রিয় ভাই
#নাজির ভাইয়ের কথা হঠাৎ,
পরল আমার মনে।

#জি জ্ঞেসিলাম নম্বর নিয়ে,

থাকেন ভাই কোন খানে।
#র ইলাম বসে এয়ার পোর্ট,
জুয়েল ভাইয়ের আসে।
#হো ক না দেরি তবুও যাব,
নাজির ভাইয়ের কাছে।
#সা রাটা ক্ষণ তাইতো ভাবি,
কখন দেখা হবে।
#ঈ দের খুশি লাগবে আমার,
বুকে টেনে নিবে।
#ন ব আশা জাগবে আমার,
দুই কবিকে দেখে।
#ও পরোয়ার দাওগো আমার,
শক্তি সাহস বুকে।
#আ ল্লাহ আমার করল কবুল,
সাক্ষাৎ অবশেষে।
#লা গল মনে তার মমতা,
দুঃখ আমার কিসে।
#নূ র জাহানের স্বপ্ন দেখি,
নাজির ভাইয়ের মনে।
#র ইব না আর বসে একা,
আমরা জনে জনে।
#হো ক না যত বাঁধার পাহার,
ঐক্য প্রাচীর গড়ে।
#সা হিত্যের এই ময়দানে সব,
যাব যুদ্ধ করে।
#ই তিহাসে সোনার পাতায়,
নামটি মোদের রবে।
#ন তুন সকাল আনব মোরা,
ইসলামী রাজ হবে।।
#লাইনের প্রথম অক্ষরগুলো দিয়ে দুই ভাইয়ের নাম।
----------------------------------------



 
Top