বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ
এর শততম সাহিত্য আসর ও কিছু কথা
..সেই ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশা! যে নেশায় আজো আকণ্ঠ নিমজ্জিত। একনিষ্ঠ পাঠক বলতে যা বুঝায় আমি ছিলাম তাই।বাবা মা হারা একাকী জীবনে বই ছিল আমার নিত্যসঙ্গী। কত হাজার বই পড়েছি এজীবনে তার কোন ইয়ত্তা নেই।এমন কি বই পড়তে পড়তে খাবার খেতাম।এজন্য সবার কত বকা খেয়েছি!
কিন্তু নিজে কখনো কিছু লিখব তা কখনো ভাবিনি।ছোট ভাইয়ার উৎসাহে কলেজ জীবনে একটা ছোট গল্প লিখেছিলাম,যা পড়ে ভাইয়া আপুরা কেঁদে ফেলেছিল। ওটাই প্রথম ওটাই শেষ আর কখনো লেখার ইচ্ছা জাগেনি।পাঠক হয়েই রইলাম।
২০১৪ সালে প্রথম ফেসবুক এ এসে দেখি সবাই কিছুনা কিছু লিখছে।এখানে ও শুধুই পাঠক। অনেক দিন পর নিজের এবাউট লেখার শখ হল! লিখলাম।
জুয়েল নামের একভাই অনুরোধ করল একটা কবিতা লেখার।বল্লাম একলাইন ও কোনদিন লেখিনি।বল্ল, আমার বিশ্বাস আপনি পারবেন।ভাবলাম দেখিতো পারি কিনা।বিদেশ ফেরত জীবন নিয়ে দেশের অবস্হা নিয়ে কিছু একটা লিখলাম! সবাই অনেক উৎসাহ দিল।সেই থেকে লেখার রাজ্যে প্রবেশ।কিছু হয় কিনা জানিনা। কিন্তু যা মনে আসে লিখি।গত বছর হঠাৎ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদের একটা পর্বের বিষয় ছিল ধৈর্য্য' তা নিয়ে একটা কবিতা লিখে এখানে দিলাম।একজন স্বপ্নিল মানুষ কমেন্ট করে উৎসাহ দিলেন।অনুপ্রাণি
নির্ধারিত বিষয় নিয়ে যে হরেক রকম লেখা যায় এখানে এসে প্রথম জানলাম। পরিষদের সবার থেকে কত কিছু শিখছি! অনেক ঋণী পরিষদের কাছে।আলানুরের কাছে কৃতজ্ঞ, যার কল্যাণে প্রথম ছাপার অক্ষরে নিজের কবিতা দেখতে পেলাম শত কবির কবিতা' সংকলনে।জাজাকাল্
এখানে এসে ছোট ভাইবোনদের, নবীন প্রবীনের লেখা দেখে অভিভূত হই,স্বপ্নের জগতে হারিয়ে যায়।আশার প্রদীপ জ্বালায় এদের মধ্য থেকেই নজরুল, ফররুখ তৈরি হবে! অপসংস্কৃতির বেড়াজাল ছিন্ন করে সুস্হ ধারার সংস্কৃতি নির্মাণে, মানবীয় মূল্যবোধ, স্বদেশপ্রেম আর ইসলামী নবজাগরণে ভুমিকা রাখতে একেকজন আলোর দিশারী হয়ে উঠবে।আর সেই আলোর দিশারীদের রাহবারের ভুমিকা পালন করতে "বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ' শতপর্ব নয়,সহস্রাধিক পর্ব অতিক্রম করে পৌঁছে যাক তার কাংখিত মন্জিলে।অনেক শুভকামনা সবার তরে.....