শততম পর্ব এবং পরিষদের ক্রমবিকাশ
আলানূর হোসাঈন-
তরুণ প্রজন্মের লেখক-লেখিকাদের প্রাণের স্পন্দন বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ[BPSP]আজ সাহিত্য আসরের ১০০টি সপ্তাহ অতিক্রম করেছে। এই সফলতায় আমি লেখক-লেখিকা, পাঠক- পাঠিকা সকলকেই আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি এক ক্ষুদ্র পিপিলিকা সাহিত্য সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞান নেই। কিন্তু আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতাম একটি জাতি পরিবর্তনে সাহিত্য বিশাল ভূমিকা পালন করে। আমি সবসময় তরুণ প্রতিভাবানদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দিতাম। প্রচন্ড ভালোবেসে তাদের থেকে লেখা নিয়ে উপহার দিতাম। ২০০৩সালে যখন দশমশ্রেণীতে ছিলাম তখন কিছু কবিতা লিখেছিলাম তখন ছন্দ-মাত্রাজ্ঞান কিছুই ছিলো না । শ্রদ্ধেয়শিক্ষক বাবু অতুল চন্দ্র বাড়ৈ স্যার আমার লেখার প্রশংসা করতেন । ২০০৬ সালে অনেকের বাঁধার মুখে লেখা বন্ধ করে দেই। এরমধ্যে মাদ্রাসার শত শত ছাত্রদের থেকে প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করতে দেয়ালিকার আয়োজন করি। তখন ব্যাপক সাড়া পাই । ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে চাঁদা তুলে পত্রিকার বোর্ড তৈরি করি। তখন দেখেছিলাম তাদের কতটা আগ্রহ। প্রতিটি ক্লাসে আমি ৩০মিনিট করে লেখালেখির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করতাম। পরবর্তীতে উৎসাহ-উদ্দিপনায় ভাটা পরে শক্তি হারিয়ে ফেলি। বন্ধ হয়ে যায় দেয়ালিকা। এখন সাহিত্যের গুরুত্ব যতটা বুঝি তখন ততটা বুঝতাম না। ২০১০ সালে ঢাকা এসে প্রতিভাবানদের প্রতি প্রেম মোটেও কমেনি। আমি প্রায় শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরীতে যেতাম। সেখানের অনুষ্ঠানগুলোতে থাকতাম। কেন জানি সাহিত্য সাংস্কৃতির প্রতি আমার প্রচন্ড টান থাকতো।
সেখানের একটি সাহিত্য আড্ডায় আমি প্রায়ই থাকতাম , আমি গভীর ভাবে লক্ষ্য করতাম তাদেরকে । তারা কীভাবে নিজেদের বিসর্জন দিয়েছে সহিত্যের জন্য। অথচ সত্যের পূজারীরা কত শত মাইল দূরে আছে সাহিত্যের উদাসীনতায়। তখন থেকেই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম এই ঘুমন্ত জাতির বিবেককে জাগাতে হলে একটি সাহিত্য বিপ্লব চাই। কিন্তু কীভাবে সম্ভব ! সত্য ও ন্যায়ের পথে সংখ্যায় খুবই কম। কোথায় পাবো এই প্রিতিভাবান তরুণ? মনের মাঝে গোপন করে রাখলাম আমার স্বপ্নকে।
আমি তো একা, আর একা কখনো বিপ্লব সম্ভব নয়। চাই সমমনা সঙ্গী । এভাবে স্বপ্নের ডানায় ভর করে ২০১৪ সালে পৌঁছলাম। তখন ফেসবুকে নিজের ওয়ালে কিছু কবিতা লিখতাম। আর একটি পেইজ খুললাম "পৃথিবী আমাকে চায়" এই নামে । এখানেই প্রতিদিন নতুন পুরাতন লেখা একা একা পোষ্ট করতাম। পরবর্তিতে চিন্তা করলাম সাহিত্য একটি যুদ্ধ, যে যুদ্ধ মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের। তাই পেইজটির নাম দিলাম "কলম ও কবিতা যুদ্ধের ময়দানে" যেটা এখন কলম ও কবিতা নামে । এভাবে কয়েকমাস চলছে । তখন পর্যন্ত কোনো লেখক-লেখিকা আমার ফ্রেন্ড লিষ্টে ছিলো না। মাঝেমাঝে লেখক খুঁজতাম। কোনো সাহিত্যগ্রুপও তেমন চোখে পরেনি। হঠাৎ একদিন এক আপুর একটি পোষ্ট আমার টাইমলাইনে আসে আমি সেখানে ছন্দে কমেন্ট করি সে আরো দ্রুত ছন্দে তার রিপলে দেয় । ভাবলাম সে একজন লেখিকা কিন্ত তার ওয়ালে কবিতা পেলাম না। তাকে পেইজে কবিতা লিখতে অনুরোধ করলাম। তখন থেকে সে পেইজে মাঝেমাঝে লিখতো। কয়েকদিনপরে একটা গ্রুপ চোখে পরে, “নবীনদের কবিতার ঝুলি”। সেখানে ঢুকে বন্ধুত্ব করার মত পেলাম না। তাদের লেখা আমার পছন্দ হলো না । আরো কয়েকটি গ্রুপ খুঁজে পেলাম । সবখানে একই অবস্থা । কয়েকজন ভাল লেখককে রিকোয়েষ্ট পাঠিয়েছিলাম। আমি চেয়েছিলাম সত্যপূজারীদের নিজস্ব একটি প্লাটফর্ম। তারা যেন গর্ব করে বলতে পারে আমাদের ঘর আছে। তখন সেই মেয়েটির সাথে পরামর্শ নিয়ে ২০১৪ সালের জুন মাসে Pen & poem in the fild of war কলম ও কবিতা যুদ্ধের ময়দানে" নামে গ্রুপ খুললাম । তখন একমাস লেখক বলতে আমরা দুজনেই ছিলাম। রমজান মাসে কবিতা আহ্বান করে সেই মেয়েটির একটি কবিতা পেয়েছিলাম। এরপর ধীরেধীরে সদস্য বাড়তে লাগলো । দু’একজন লেখকেরও আগমন ঘটতে থাকলো । এভাবে লেখক সংখ্যা বাড়তে থাকলো। সবাই যে যার মতো লেখা পোষ্ট করতো এর মধ্যে গ্রুপের অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হলো। Reza Cox, মোঃ জিহাদি আজাদ , মোঃ জিহাদি আজাদ এম আর শিহাব, Khadija Yeasmin , তাসলিমা জেরিন রিয়া,Hamid Hossain Mahadi , সুমাইয়া আফরোজ, শামীম মাহমুদ রেজা, আরো অনেকের সাথে । একদিন তাসলিমা জেরিন রিয়া নামের আপুটি আমাকে ম্যাসেজ দিলো যে, ভাইয়া আপনি গ্রুপে বিষয়ভিত্তিক লেখা আহ্বান করেন । এটা সপ্তাহে একদিন হবে । তখন তার কাছে উদাহরণসহ জানতে চাইলাম কীভাবে হবে। তখন রবিবার থেকে তার দেয়া প্রথম সাহিত্য আসর ’’মা’’কে নিয়ে শুরু হয়। প্রথমপর্বেই ২৩জন অংশ্রগ্রহণ করেছিলো । এরপর বিরামহীন চলে সাহিত্য আসর। দিনদিন বাড়তে থাকে সমমনা লেখকের সংখ্যা এরপর ঘনিয়ে আসে ২০১৫ বই মেলা। তখন অনেক গ্রুপকে দেখলাম তারা তাদের লেখকদের নিয়ে সংকলন প্রকাশ করতে যাচ্ছে। আমি ভাবলাম আমাদের তরুণরা কেন বঞ্চিত হবে আমরাও প্রকাশ করবো। এর মধ্যে পরিচয় হয় প্রবাসী Mizan Vai ভাই , প্রবাসী আনোয়ার শাহদাত জুয়েল ভাই, প্রবাসী মুজাহীদ লাভলু ভাই, নূর নাকীব মন্ডল ভাই, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভাই , হাসান মাহমুদ ভাইসহ অনেকের সাথে আমার সখ্যতা গড়ে ওঠে। তাদের সাথে আলোচনা করলাম কীভাবে বই প্রকাশ করতে পারি । তারাসহ অনেকেই আমাকে উৎসাহ উদ্দিপনা দিলেন। আর সবচেয়ে বড় মানসিক শক্তি পেয়েছিলাম মিজান ভাইয়ের কাছ থেকে। তিন সুদূর মালয়েশিয়া থেকে প্রায়ই ফোন করে আমার খবর নিতেন। সবসময় সাহস দিতেন। আর ছায়ার মত পাশে থাকতেন সেই আপুটি। সবাই মোটামুটি আর্থিক সহযোগিতা করে বই প্রকাশে এগিয়ে আসলেন।
তখন থেকে উপলব্ধি করলাম আমাদের আরো সংগঠিত হতে একটি সাহিত্য সংগঠন প্রয়োজন হয়ে পরেছে। এরপর প্রিয়লেখক সোহেল রানা, বন্ধু জাহিদুল ইসলাম, নাট্যগুরু হুসনে মোবারক , নাট্যবন্ধূ নূরনবী , শিল্পী বন্ধু মহিউদ্দিন মাহিসহ আরো অনেক বন্ধুদের নিয়ে বই মেলার নজরুল মঞ্চে সংকলনের মোরকউন্মোচনকালে চলচ্চিত্র নায়ক শেখ আবুল কাশেম মিঠুন ভাইকে প্রধান উপদেষ্টা, আর আমাকে সভাপতি করে পরিষদের নাম বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ ঘোষণা করি। এরপর থেকে আরো উদ্দিপনায় আমরা এগিয়ে চলতে থাকি আর একেএকে আমাদের মিছিলে যোগ হতে থাকে নতুন নতুন বন্ধু এর মধ্য উম্মুল খাইর, আকলিমা খানম সুমা, জয়নব জোনাকী, মাহবুব এ রহমান , জবা ইয়াসমিন, মহিউদ্দিন মুহিন , খালিদ হাসান , আব্দুর রহীম , ওমর ফারুকসহ আরো অনেকে । এর কিছুদিন পর আবদুস সামাদ যিনি তখনও নানা ভাই হননি তার সাথে আমার ঘনিষ্টতা বেড়ে যায়। হজ্জ্ব করে ফরে এলে আমি তার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি এবং খুব আপন করে নেই । তার বয়স বিবেচনা করে দাদা ভাই সম্ভধন করি তাতে সে আপত্তি করলে নানা ভাই ডাকি । আমি তখন চিন্তা করলাম আমরা সবাই তার ছোট অতএব আমি একা নানা ভাই ডাকলে তো হবে না সবাই তাকে নানা ভাই ডাকবে । এরপরেই আমি গ্রুপে পোষ্ট দেই। সবাই তখন ঈদের খুশির মত তাকে নানা ভাই ডাকতে শুরু করেন। আকলিমা আপু শাফিন শাহেদ আমাকে খুব ভালোবাসেন । সাহিত্যে ঘনিষ্ট হবেন বলে তাদের বাসা বেড়াতেও যাই। গ্রুপে ছায়ার মত কাজ করেন জয়নব জোনাকি আপু তিনি পরিষদ নিয়ে স্বপ্ন দেখেন , আমাকে উৎসাহ উদ্দিপনা দেন , নানা ভাবে সহযোগিতা করেন । অনেকবার তার বাসায়ও গিয়েছিলাম। খাদিজা আপু সেই আপুটি তো আছেই । কয়েকদিন পরে শাহজালাল বিমানবন্দরে দেখা করতে যাই জুয়েল ভাইয়ের সাথে সেদিন বিকেলে বিমান বন্দর থেকে কিছুটা দূরে দেখা করতে যাই আরেক প্রিয় মানুষ ছড়াকার নাজির হুসাঈন খান ভাইয়ের সাথে , দেখেই তিনি আমাকে তার বুকে টেনে নিলেন । এর কিছুদিনপর আরেক মহান হৃদয়ের সাথে পরিচয় হয় আজম খান, ভেবেছিলাম ৩মিনিটের বেশি কথা বলার চান্স পাবো না কিন্তু না ২৮মিনিট কথাবলায় আমাকে তার হৃদয়ের গহীনে নিয়ে যান। আপন করে নেন পরিষদকে ,শুধু তিনি নন তার দুই মেয়েকেও এখানে লিখতে বলেন।
লেখক লেখিকা ছাড়াও এমন কয়েকজন মানুষ আছেন যারা সবসময় ভালোবেসে কাছে থাকেন তার মধ্যে প্রবাসী আপু প্রিয় খন্দকার , নিরব খাঁন তৈয়াব, খালিদ হাসান।
এভাবে ক্রমশ বাড়তে থাকে মিলন মোহনায় একেরপর এক প্রাণপুরুষ । কিছুদিনপর হটাৎ গ্রুপে দেখতে পাই একটি নাম তিনি আর কেউ নন সৌমিক আহমদ মেরিন । পরিচয়ের পর থেকেই তিনি প্রায়ই ফোন করে আমার ভাল-মন্দ খোজঁ খবর নেন। এইভাবে মহান হদয়ের আগমন ঘটে । কিছুদিন পরে ঢাকাতে ঈদ পূণর্মীলনী অনুষ্ঠান করি । নানা ভাইয়ের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি থাকেন ফুলকুঁড়ি প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মতিউর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন কিশোরকন্ঠ সম্পাদক কবি মোশাররফ হোসেন খাঁন । অনেক কবি লেখক সেদিন উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠান শেষে কবি মোশররফ হোসেন খান আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার কপালে স্নেহের চুমু দিয়েছিলেন। চলতে থাকে পরিষদের কার্যক্রম। এর কিছুদিনপর পরিচয় হয় আরেক প্রিয় মানুষ ইসলাম তরিক ভাইয়ের । আপন করে নেন সকলকেই । প্রতিনিয়ত আমার খোঁজ খবর , পরিষদ বিষয়ে নানা চিন্তা ভাবনা পরামর্শ আমাকে দিতেন । এভাবে দিন যত যায় মিছিল আরো লম্বা হতে থাকে । কয়েকদিনপরে পরিচয় হয় আরেক হৃয়াকাশের , সবদিক থেকেই যিনি প্রতিষ্ঠিত তিনি আমাদের সকলের প্রিয় ছন্দের কারিগর নুরুজ্জামান ফিরোজ ভাই । তিনি প্রায়ই স্নেহের সাথে আমার খোঁজ খবর নেন । তিনি পরিষদের জন্য সবরকমের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন । ঘনিয়ে আসে বই মেলা ২০১৬ এবার ১০০ জন মিলে প্রকাশ করি কাব্য সংকলন “শত কবির কবিতা”। আয়োজন করি মিলন মেলার । তার কিছুদিন আগে পরিচয় হয় সিরাজগঞ্জের আব্দুল হাকিম ভাই, ফেনির আদিল হাসান ভাই, খুলনার আবুল হোসেন ভাই, কুষ্টিয়ার শাহ আলম ভাই , টাঙ্গাইলের আশরাফুল ইসলাম ভাইসহ অনেকের সাথে তাদের সাথে দেখা হয় মিলন মেলোয়। মিলনমেলায় ফরিদপুর থেকে আসেন প্রিয় আজমখাঁন ভাই , সিরাজগঞ্জ থেকে নানা ভাই , চট্টগ্রাম থেকে সৌমিক আহমদ মেরিন ভাই , ঝাল ছড়ার প্রতিষ্ঠাতা ছড়াকার নুরুজ্জামান ফিরোজ ভাই উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের শোভাবর্ধন করেন । তার হৃদয়াগ্রাহী আলোচনায় সকলে মুগ্ধ হয়ে যান । তিনিই উপস্থিত সকলের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যাবস্থা করেন । বিকেল তিনটায় প্রোগ্রাম শেষে আমরা বইমেলা পরিদর্শণ করি । চলতে থাকে আমাদের পথচলা । ও সেই আপুটির নাম বলা হলো না, তার নাম উম্মে হাবিবা রাহনুমা।
নানা ভাইয়ের আমন্ত্রণে প্রিয় ছড়াকার নুরুজ্জামান ফিরোজ ভাই , জয়নব জোনাকি আপু আর আমি চলেযাই সুদূর সিরাজগঞ্জে নানা ভাইয়ের নীড়ে। সেটা ছিল আমার জীবনে একটি ঐতিহাসিক সফর । তার আদর আপ্যায়ন , অসংখ্য মানুষের ভালবাসা, যা কোনোদিন ভুলবার নয়। চলতে থাকে গ্রুপে সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর । যা আজ ১০০তম পর্বে উপণিত হয়েছে । আজ সকলের কথা মনে পড়েছে । কারো কথা বাদ দিতে ইচ্ছে করছে না । সকলের কথা লিখলে এক সপ্তাহেও শেষ করতে পারবো না । খুব মনে পরছে । অনেকের কথা বলতে পারিনি বলে আন্তরিক দুঃখিত । আজ শততম আসরে এসে সবাইকে আমার শ্রদ্ধা , ছালাম , দোয়া আর ভালবাসা । আপনারা পরিষদের জন্য যা করেছেন তা আমি কোনোদিন ভুলবো না । আপনাদের প্রত্যেকের অবদান স্মরনীয় হয়ে থাকবে । আজ সময়ের অভাবে না লিখতে পারলেও একদিন সবার কথা লিখবো ।।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন । আপনাদের সকলের কল্যাণ কামনায়,
-
আলানূর হোসাইন ।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,
বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ।