আর্তচিৎকার
.
হৃদয়গগনে জমেছে অজস্র বেদনার মেঘ,
আত্মগর্জনে উঠেছে তার জগত কেঁপে।
দুঃখময় বিজলিতে ঝরেছে অশ্রুধারা,
কাল থেকে কালান্তরে অবিরাম জগত ছেপে।
স্বপ্নময় ভুবনে নিষ্পাপ আত্মার ছিল বিচরণ,
স্বপ্ন আজ মরুবালুকনা আত্মার আর্তচিৎকারে।
হৃদয়ের পত্রপল্লবে উঠেছে মহা প্রলয়,
বেদনার নিঃশ্বাসরূপ মহা পবনের ফুৎকারে।
---------------------------------------
বিপন্ন পৃথিবী !
মোঃ আলানূর হোসাঈন
||<>||<>||<>||<>||<>||
এ আমার পৃথিবীর ধ্বংস লিলা ,
কোমল হৃদয়ের তিক্ত হাহাকার ।
বাতাস রৌদ্র আকাশ সমুদ্র ,
সমস্ত কিছু বন্দি আপন কারাগার ।
কিন্তু না, আবার পৃথিবী উঠবে জেগে ,
পারবে না কেহ করিতে ক্ষত ।
পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে চলবে আবার ,
মানবতার গান গাইবে শত ।
বিদিশার কালো নিশা হতে ,
উঠবে জেগে লাশ পড়ে থাকা মানুষের ।
দরজা কপাট খুলবে আবার ,
মাকড়সার জালে বেঁধে থাকা জড়াকির্ণ জীবনের ।
আবার পৃথিবী মুখরিত হবে ,
ঘাস পোরা জমিনে শীতল বর্ষাঢ় বারি ।
ফুলে ফুলে উঠবে ভরে শূণ্য মাঠ ,
শান্তির সাগর পাড়ি দিবে জীবন তরী ।।
#2005
------------------------------------------------
২০০৫সালের একটি কবিতা নাম "জল ভরা নয়ন"
====
রাগ-রাগিনী সুরে আমার
হারিয়ে গেল মন,
কে যেন কে বাজায় বাঁশি,
হারিয়ে স্বজন ।।
সুধালো মন তার তরে,
অঘাত নিদ্রায় কেমন করে।
হৃদয় যদি কেঁপে উঠে শুনে সে গর্জন।
ব্যর্থ হৃদয় অনুরাগী,
কখনো সে তারই লাগি,
দুঃখ পেয়ে বাজায় বাঁশি এইতো নিদর্শন।
ফন্দি খুঁজে সুখের তরে,
ভালোবাসার শমসরে,
বক্ষ তার ছেদ হয়ে যায়
খুঁজে সে নন্দন ।
উল্লাসে আজ দুল দুলালী,
সে নাকি হয় চোখের বালি.
তাইতো দেখি অশ্রুসিক্ত জল ভরা নয়ন।
---------------------------------
মানুষ তোমার রং যে কত,
কার কি বুঝার সাধ্য হায়।
হয়না যদি মনের মিলন,
মূহুর্তে রং পাল্টে যায়।
বুঝবে না মোন কারো বারণ,
ঘুরছে আকাশ নিলিমায়।
বাক্যবাণে অশ্রু ঝরে,
কখনও মোন ভেঙ্গে যায়।।
---------------------------------
বিদ্রহী নারী
....মোঃআলানূর হোসাঈন
---------------------------
আমি এক নন্দিনী, ক্ষত বিক্ষত আত্মা,
আমি এক বিষাক্ত নিঃশ্বাস, ধ্বংস পাপিষ্ঠের।
আমি এক স্বপ্ন চুর্ণ হওয়া, জীবিত লাশ,
আমি নীড় হারা কন্যা, কোনও মানুষের।
আমি এখনও চেয়ে থাকি, নীল আকাশের পানে।
আমার সুখের কথা গায়, পাখিরা গানে গানে।
আমার হাসির সূর্য্য ওঠে, নিত্য পূব দিগন্তে।
আমার বিজয়ের সুর বাজে, সাগরের কলতানে।
ভেবেছ আমি রক্তে মাংসে, এখনও বেঁচে আছি?
ভেবেছ আমি তোমাদের, খুব কাছাকাছি!
ভেবেছ আমি সবচেয়ে, মহা সুখি এই জগতের!
ভেবেছ আমি সুখি নারী, কোনও এক পুরুষের!
আমার হৃদয় করেছে ছিন্ন, ঐ কাপুরুষ মানব শয়তান।
আমি এক পরাজিত নারী, যৌতুকের নির্মম বলিদান।
আমার কান্না কেউ শোনে না, এই নিষ্ঠুর সমাজের।
আমার রক্তাক্ত আত্মা, শুধু অভিশাপ দেয় তাহাদের।
আমার মত আর্ত্মানাদ করে, কত অসহায় অবলা কন্যা।
জীবন বিনাশ করেছে কত হৃদয়ে বয়েছে শত ঝড় বন্যা।
কত বাবা মা কন্যা হারিয়ে, কেঁদে কেঁদে আজ নয়ন করেছে অন্ধ।
কত নারীর সংসার ভেঙ্গে যায়, চলে নিত্য কলহ দ্বন্দ।
আর নয় এবার সত্যের দিপ্ত মশাল ধর, হে সত্য সন্ধানী তরুনী।
ধর্মের আলোয় আলোকিত কর, মূর্খ মানব সমাজ যামীনী।
আপন মহিমা বিকশিত কর, শিখবে ভগিনী যারা পশ্চাতে।
আপন সম্মান অটুট কর, কোনও পুরুষ পারবে না হীন করিতে।।
-------------------------------------