সবার প্রতীক্ষা এখন আরেকটি প্রলয়
"কারো বেডরুম পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের না"কিন্তু কারো বেডরুমে
'সাদা পোষাকধারী ফেরেশতা' ঢুকিয়ে দিয়ে
তাকে গায়েব করে ফেলার
গুরু দায়িত্ব কারা পালন করছে?
কারা?
আর কতো সাধারণ মানুষ গুম করলে
তাদের প্রাণে 'ওম শান্তি ওম' বিরাজ করবে?
আর কতো রাত্রিতে
অন্ধকারের গর্ভে বিভৎসতার জন্ম দিলে
তোমাদের পাজরে জিঘাংসার ঝড় থামবে?
আর কতো?
এখনো এখানে কালো রাত্রি নেমে আসে।
পথের উপরে মুখ গুজে পড়ে থাকে মানুষের লাশ।
এখনো বাতাসে গলিত লাশের গন্ধ ভাসে।
নগ্ন নারীর নিথর শরীরে দেখি ধর্ষক-শকুনীর বিভৎসতার আচড়।
এখনো এখানে নিরাপত্তা নেই।
রাষ্ট্র যেখানে জিঘাংসায় মেতে ওঠে
সেখানে জীবনের নিরাপত্তা কোথায়?
বায়ান্ন সাল।
সেদিন রাষ্ট্র ছিল হন্তারক।
বুলেট দিয়ে ওরা স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল
জনতার স্লোগান। কিন্তু পারে নি।
ঊনসত্তুর।
সেদিনও রাষ্ট্র ছিল হন্তারক।
জেল-জুলুম- নিপীড়ন চালিয়ে
ওরা থামিয়ে দিতে চেয়েছিল জনতার জাগরণ।
কিন্তু পারে নি।
একাত্তর?
সেদিনও রাষ্ট্র ছিল হন্তারক।
আগুন দিয়ে, কামানের গোলা দিয়ে, গণহত্যা চালিয়ে
ওরা নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল
আত্মপরিয়ের স্বীকৃতি পেতে উদ্গ্রীব
একটি জাতির সমুদয় অস্থিত্ব। কিন্তু পারে নি।
নব্বই!
সেদিনও রাষ্ট্র ছিল হন্তারক।
ট্রাকের চাকায় ওরা পিষিয়ে দিতে চেয়েছিল
জাগ্রত জনতার টগবগে শরীর।
থামিয়ে দিতে চেয়েছিল অধিকারের সংগ্রাম।
কিন্তু পারে নি।
দুই হাজার ষোল।
এখনো রাষ্ট্র হন্তারক।
নির্বিচারে গুম-খুন-গ্রেফতারে শঙ্কিত জনপদ।
মানুষকে ফাঁসানোর জন্য প্রতিনিয়ত
রাষ্ট্রই এখন রচনা করে চলেছে স্বাস্থ্যবান প্রহসন।
জন্ম দিয়ে চলছে একের পর এক অহেতুক ইস্যু।
আর কতো?
রাষ্ট্র এখানে হন্তারক।
জনগণ এখানে ভান ধরা অবুঝ।
পুরুষের হৃদয়ে এখন আর প্রেম নেই,
রাজত্ব গেড়েছে লকলকে ধর্ষক।
নারীদের লজ্জ্বা এখন হাওয়ায় মিশে গেছে,
সবখানে নর্তকী নায়িকার উৎপাত।
আর কতো?
মানুষের মুখে আর গান নেই।
দুঠোঁটে লেগে থাকে গালি।
বৃদ্ধার মুনাজাতে উঠে আসে অভিশাপ।
দোয়া নেই।
হুজুরের তসবিহতে এখন আর জিকির নেই।
ঘুরে ফিরে চলে আসে গীবত।
আবালবৃদ্ধাবনিতা এখনো এখানে অপেক্ষায় থাকে।
কোন প্রিয়তম স্বজ্জনের জন্য নয়।
নতুন সূর্যের ঝলমলে আলোর জন্যও নয়।
ধ্বংস।
অন্ধকার।
সবার প্রতীক্ষা এখন আরেকটি প্রলয়।
১৫,০৮,২০১৬
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ
আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।
তাদের প্রাণে 'ওম শান্তি ওম' বিরাজ করবে?
আর কতো রাত্রিতে
অন্ধকারের গর্ভে বিভৎসতার জন্ম দিলে
তোমাদের পাজরে জিঘাংসার ঝড় থামবে?
আর কতো?
এখনো এখানে কালো রাত্রি নেমে আসে।
পথের উপরে মুখ গুজে পড়ে থাকে মানুষের লাশ।
এখনো বাতাসে গলিত লাশের গন্ধ ভাসে।
নগ্ন নারীর নিথর শরীরে দেখি ধর্ষক-শকুনীর বিভৎসতার আচড়।
এখনো এখানে নিরাপত্তা নেই।
রাষ্ট্র যেখানে জিঘাংসায় মেতে ওঠে
সেখানে জীবনের নিরাপত্তা কোথায়?
বায়ান্ন সাল।
সেদিন রাষ্ট্র ছিল হন্তারক।
বুলেট দিয়ে ওরা স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল
জনতার স্লোগান। কিন্তু পারে নি।
ঊনসত্তুর।
সেদিনও রাষ্ট্র ছিল হন্তারক।
জেল-জুলুম- নিপীড়ন চালিয়ে
ওরা থামিয়ে দিতে চেয়েছিল জনতার জাগরণ।
কিন্তু পারে নি।
একাত্তর?
সেদিনও রাষ্ট্র ছিল হন্তারক।
আগুন দিয়ে, কামানের গোলা দিয়ে, গণহত্যা চালিয়ে
ওরা নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল
আত্মপরিয়ের স্বীকৃতি পেতে উদ্গ্রীব
একটি জাতির সমুদয় অস্থিত্ব। কিন্তু পারে নি।
নব্বই!
সেদিনও রাষ্ট্র ছিল হন্তারক।
ট্রাকের চাকায় ওরা পিষিয়ে দিতে চেয়েছিল
জাগ্রত জনতার টগবগে শরীর।
থামিয়ে দিতে চেয়েছিল অধিকারের সংগ্রাম।
কিন্তু পারে নি।
দুই হাজার ষোল।
এখনো রাষ্ট্র হন্তারক।
নির্বিচারে গুম-খুন-গ্রেফতারে শঙ্কিত জনপদ।
মানুষকে ফাঁসানোর জন্য প্রতিনিয়ত
রাষ্ট্রই এখন রচনা করে চলেছে স্বাস্থ্যবান প্রহসন।
জন্ম দিয়ে চলছে একের পর এক অহেতুক ইস্যু।
আর কতো?
রাষ্ট্র এখানে হন্তারক।
জনগণ এখানে ভান ধরা অবুঝ।
পুরুষের হৃদয়ে এখন আর প্রেম নেই,
রাজত্ব গেড়েছে লকলকে ধর্ষক।
নারীদের লজ্জ্বা এখন হাওয়ায় মিশে গেছে,
সবখানে নর্তকী নায়িকার উৎপাত।
আর কতো?
মানুষের মুখে আর গান নেই।
দুঠোঁটে লেগে থাকে গালি।
বৃদ্ধার মুনাজাতে উঠে আসে অভিশাপ।
দোয়া নেই।
হুজুরের তসবিহতে এখন আর জিকির নেই।
ঘুরে ফিরে চলে আসে গীবত।
আবালবৃদ্ধাবনিতা এখনো এখানে অপেক্ষায় থাকে।
কোন প্রিয়তম স্বজ্জনের জন্য নয়।
নতুন সূর্যের ঝলমলে আলোর জন্যও নয়।
ধ্বংস।
অন্ধকার।
সবার প্রতীক্ষা এখন আরেকটি প্রলয়।
১৫,০৮,২০১৬
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ
আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।