কেউ জানবে না, বুঝবে না সেই কষ্টের কথা!
.
আব্দুল্লাহ হাসান। পনের বছরের কিশোর। তার বাড়ি উপজেলার মোহাম্মদনগর গ্রামে। সে ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী রহিম উদ্দিনের ছেলে। হাসান সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় মনির আহমদ একাডেমির নবম শ্রেণিতে পড়ত। নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন সে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। গত ১৮ জানুয়ারি বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে খেলাধুলার জন্য হাসান বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরেনি। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও তাঁকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। পরদিন (১৯ জানুয়ারি) বড়লেখা থানায় জিডি করেন হাসানের মা। নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর গতকাল রবিবার বিকেলে সৌদি আরব আলী নামক টিলার ঢালুতে তার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাশ উদ্ধার করেছে। লাশটি ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়েছিল। মাথার খুলি এক স্থানে। বিচ্ছিন্ন একটি হাত শরীর থেকে দূরে পড়েছিল। ঘটনাস্থল হাসানের বাড়ি থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে।
হাসানের এমন নির্মম মৃত্যু আমাদের বেশ আহত করেছে। হয়ত কয়েকদিন এর রেশ থাকবে। এরপর আমরা হাসাকে ভুলে যাব। কিন্তু হাসানের মা-বাবা কি পারবে ছেলে হারানোর সে কষ্টটা ভুলতে। শুনেছি লাশ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে মা-বাবা বাকরুদ্ধ। হাসানকে নিয়ে হয়তো অনেক স্বপ্ন ছিল তাদের। কিন্তু সে স্বপ্ন আজ মরীচিকা। হয়ত মায়ের স্মৃতিপটে ক্ষণে ক্ষণে ভাসবে ছেলের নানা আবদারের টুকরো দৃশ্য। নীরব রোদনে ভাসবে বুক। অসহায় বাবার স্নেহমাখা হাত হাতড়ে বেড়াবে ছেলেকে নিয়ে সুখ–দুঃখের নানা স্মৃতি। বোনটি চুপি চুপি ভাইয়ের রেখে যাওয়া পোশাক আর জিনিসগুলোতে খুঁজবে তার স্পর্শ। নিভৃত কোটরে কেঁদে আকুল হবে তার দুঃখী মন। কেউ জানবে না, বুঝবে না সেই কষ্টের কথা। হাসানকে যারা নির্মমভাবে মেরেছে তার হত্যাকারীরা ধরা পড়লে হয়ত তার আত্মা একটু হলেও শান্তি পাবে। ওপারে ভালো থেকো হাসান।
.
আব্দুল্লাহ হাসান। পনের বছরের কিশোর। তার বাড়ি উপজেলার মোহাম্মদনগর গ্রামে। সে ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী রহিম উদ্দিনের ছেলে। হাসান সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় মনির আহমদ একাডেমির নবম শ্রেণিতে পড়ত। নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন সে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। গত ১৮ জানুয়ারি বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে খেলাধুলার জন্য হাসান বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরেনি। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও তাঁকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। পরদিন (১৯ জানুয়ারি) বড়লেখা থানায় জিডি করেন হাসানের মা। নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর গতকাল রবিবার বিকেলে সৌদি আরব আলী নামক টিলার ঢালুতে তার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাশ উদ্ধার করেছে। লাশটি ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়েছিল। মাথার খুলি এক স্থানে। বিচ্ছিন্ন একটি হাত শরীর থেকে দূরে পড়েছিল। ঘটনাস্থল হাসানের বাড়ি থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে।
হাসানের এমন নির্মম মৃত্যু আমাদের বেশ আহত করেছে। হয়ত কয়েকদিন এর রেশ থাকবে। এরপর আমরা হাসাকে ভুলে যাব। কিন্তু হাসানের মা-বাবা কি পারবে ছেলে হারানোর সে কষ্টটা ভুলতে। শুনেছি লাশ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে মা-বাবা বাকরুদ্ধ। হাসানকে নিয়ে হয়তো অনেক স্বপ্ন ছিল তাদের। কিন্তু সে স্বপ্ন আজ মরীচিকা। হয়ত মায়ের স্মৃতিপটে ক্ষণে ক্ষণে ভাসবে ছেলের নানা আবদারের টুকরো দৃশ্য। নীরব রোদনে ভাসবে বুক। অসহায় বাবার স্নেহমাখা হাত হাতড়ে বেড়াবে ছেলেকে নিয়ে সুখ–দুঃখের নানা স্মৃতি। বোনটি চুপি চুপি ভাইয়ের রেখে যাওয়া পোশাক আর জিনিসগুলোতে খুঁজবে তার স্পর্শ। নিভৃত কোটরে কেঁদে আকুল হবে তার দুঃখী মন। কেউ জানবে না, বুঝবে না সেই কষ্টের কথা। হাসানকে যারা নির্মমভাবে মেরেছে তার হত্যাকারীরা ধরা পড়লে হয়ত তার আত্মা একটু হলেও শান্তি পাবে। ওপারে ভালো থেকো হাসান।