হলদে ফুল শর্ষে ফুলের টানে ঝটিকা ভ্রমণ
লেখক শাহরিয়ার কাসেম: অাজ ভোরের তেরছা রোদ দরজার ফাঁক দিয়ে ঢুকে যখন চোঁখে মুখে লাগল তখন রোদের প্রখরে ঘুম ভাঙ্গল। ঘুম থেকে উঠলাম। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সারলাম। রোদের তাপে কনকনে শীত যেন দোঁড়ে পালাল।
ভাবছি অাজ দিনটা কিভাবে কাটাব। তৎক্ষণাত মনে হল পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে শর্ষে ক্ষেতে যাব। কারণ অজপাড়া গায়ের হলদে ফুল খ্যাত শরিষা ফুল সবার চিরচেনা। হলুদে ফুলের টানে যেতেই হবে। যা ভাবা তাই করলাম। বন্ধুদের খোঁজ করে জানালাম অাজ বাড়ির পাশে শরিষা ক্ষেতে যাব। সবাই সাই দিল যেতে। সময় বেঁধে দিলাম অাজ দুপুরের খাবার সেরে যাব।
সিংগাপুর প্রবাসী বন্ধু এনামুল হক, মো: লালন মিয়া, মেঘনাগ্রুপে কর্মরত স্বপন দেবকে নিয়ে হাটা শুরু করলাম শরীষা ক্ষেতের দিকে।
খানিক হাটলাম। যতই সামনে হাটছি ততই হলুদ রং দেখা যাচ্ছে। হাটার সাথে সাথে যেন অারো হলুদ রং গাঢ় হচ্ছে। কাছে যেতেই হলদময় মনে হল পুরো এলাকা। অাহ্ অাল্লাহ তায়লার অপূর্ব সৃষ্টি। এ রূপ দেখে অাল্লাহর নিয়ামত অাদায় না করলেই নয়।
শরীষা ক্ষেতে গেলাম। ফুলে হাত বুলালাম। স্পর্শ করতেই অনুভূতিটা মনে হল সেই প্রাইমারী স্কুলের পড়ার সময়ের। সেই দুরন্ত ছেলেবেলার কথা। শরীষার অাইল ধরে দৌঁড়াদোঁড়ি কতা। মনে হল ফিরে গেছি স্বপ্লীল শৈশবে।
অনেক্ষণ অামরা ঘুরাঘুরি করলাম। শরীষা ক্ষেতের মধ্যে বসে সামান্য সাথে নেওয়া পটেটো, কোকিজ, চকলেট খেলাম। এবং অামরা ছবি উঠালাম একেকজন একেক রকম ভাবে।
প্রায় একদুপুর সময় সেই শরীষা ক্ষেতের অাশেপাশে কাটালাম। সোঁজা দুপুরের রোদ মাথার উপড় থেকে পশ্চিমা অাকাশে হেলা পযর্ন্ত অামরা সেখানে থাকলাম। সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে অামরাও বাড়ি ফিরলাম।