মেয়েদের ইমামতি নেতৃত্ব ইত্যাদি নিয়ে মন্তব্যের শেষ নেই।
Lulu Akhtar Banu Sugandhiপ্রথমে বলি লোকের যুক্তি যে মহিলা নবী পীর ইত্যাদি নেই তাই নারীর নেতৃত্ব ও ইমামতির প্রশ্নই আসে না।
একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন নারীদের সৃষ্টিই করা হয়েছে মা হওয়ার জন্য। যা অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
যদি বলা হয় আল্লাহ নারীকে গোনায় ধরেন নি তাহলে বলতে হয় অহি যেমন পুরুষের কাছে এসেছে তেমন নারীর কাছেও এসেছে। তাই আল্লাহ নারীকে ডিগ্রেড করেছেন এটা সত্য নয়।
নারীকে মা হয়ে সন্তানের রক্ষা করতে বলা হয়েছে।
পুরুষকে দেয়া হয়েছে মানব জাতিকে পরিচালনার দায়িত্ব।
আল্লাহ কোরআনে ৪ঃ৩৪ এ বলেছেন একজনকে আরেক জনের উপর বৈশিষ্ট দেয়া হয়েছে। সেই বৈশিষ্টের এটাও একটা বিষয়।
সন্তান ধারন বয়সে নারীর পক্ষে সম্ভব নয় ইমামতি করা বা নেতৃত্ব দেয়া। তার শরীর সে ভাবে তৈরী নয়।
যেমন পুরুষের পক্ষে সম্ভব নয় একটা নতুন জীবনকে পৃথীবির আলো দেখানো। কিন্তু আল্লাহ কিন্তু নেতৃত্ব বা ইমামতি নিষেধ করেন নাই।
যারা নারীকে দিয়ে ইমামতি করিয়ে নারীকে মানসম্পন্ন প্রমান করতে চায় তারা জানেও না যে এতে নারীর মান বাড়ার চেয়ে পুরুষের মান কমে। কারন পরিচালনার দাহিত্ব পুরুষের।
নারী নেতৃত্ব নিয়ে আপ্লুত হওয়ার মতো বোকামী আর নেই।
পারস্য রাজ কেসরার কন্যা থেকে আজকের হাসিনা খালেদা নেতৃত্ব সবাইই পুরুষের অক্ষমতা অকর্মন্যতা কলহ পরায়নতা হিংসা হিংস্র মানসিকতার ফসল।
পুরুষ তার দায় এড়ালে বা অক্ষম হলেই কেবল নারী নেতৃত্বের অবকাশ থাকে। ইসলামের দোহাই দিয়ে নারী নেতৃত্ব হারাম বলে কি আর নারী নেতৃত্বকে ঠেকানো যায়?
সংসার যখন বিধবা স্বামী পরিত্যাক্ত মহিলারা চালিয়ে সন্তান মানুষ করতে পারেন তখন প্রয়োজনে সমাজের হাল ও ধরতে পারেন।
বাস্তব চিন্তা করুন। আজ পুরুষের জীবনে যদি ইসলামের আদর্শ থাকতো তাহলে আল্লাহ তো বলেইছেন যে " যদি মুমিন হও জয়ী তুমি হবেই" তারাই নেতৃত্ব দিতেন।
দেশে এত মহা মহা স্কলার এত দাঃ বাঃ দের ছড়াছড়ী তারা কেন নেতৃত্বে নেই?
জর্দা দিয়ে পান খায় আর জাকির নায়েক মওদুদূর শ্রাদ্ধ করে মেয়েরা তেতুল না বুনো ওল তাই দেখে কই মুসলিম সমাজের নেতৃত্বে তার কেন নেই?
এ লজ্জা রাখার জায়গা নেই যদি তারা বুঝতেন।