প্রিয় নানুভাই
-জয়নব জোনাকি
বিরহের অশ্রু গুলো,
ব্যথার নীল বৃষ্টি হয়ে,
টুপটাপ ঝরে পড়ছে
চোয়াল বেয়ে-
একাকী খুব নীরবে,
প্রেরণার বাতি ঘরে,
অদৃশ্য আলো হয়ে,
আমার স্বপনের ভূবনে-
ছায়ার মতো কি রবে!
আমিতো দেখি তোমায়
সবুজের শিশির ফোঁটায়
মুক্ত বিহঙ্গের মতো
চঞ্চন বুনো-
পাখীদের ডানায় উড়তে,
এখনো দেখি তোমায়
কলমের অস্ত্র হাতে-
হিংসুকের মূল আস্তানায়
সেই তীর নিশানা ছুড়তে।
দুঃখিদের দুঃখ পাড়ায়
কষ্টের নীল মোহনাতে
সুখের সেই নদীর মতো
দুঃখ তীরে -
দাঁড়িয়েছো কূল হয়ে,
পরম ভালবাসাতে
হৃদয়ের মনিকোঠায়
আমাদের আঙ্গিনাতে
থাকবে তুমি ফুল হয়ে।
তুমি আছো সবসময়
বিশাল পৃথিবীর কোলে
অনন্ত প্রবাহিত
ঝর্নার মতো-
সুশোভিত বন জুড়ে,
অমলিন স্মৃতি হয়ে
আমার মনের কুরসীতে
প্রিয় নানুভাই হয়েই-
থাকবে তুমি মন জুড়ে।
২২/০১/২০১৭
.
চেতনায় জাগ্রত তুমি
উম্মে হাবিবা রাহনুমা
.
মুক্তো ঝরানো হাসিটা যে আর নেই,
নেই তুমি আর তব উচ্ছ্বল প্রাণ।
ভালোবাসা মাখা সেই ডাকগুলি কই
আজ বলো আর কার মুখে শুনি গান?
হৃদয়ের যতো কাছে থাকা যায়,জেনো
ততোটুকু কাছে শ্রদ্ধায় ছিলো ঠাঁই,
আর সেই তুমি হারা হয়ে গেলে আজ!
এখানে ওখানে নাই নাই তুমি নাই।
বিনয়ী ও মন দুখীদের প্রিয়জন
দিশেহারাদের হাত ধরে নেয়া সেই,
আজ তুমি নেই;বড়ো ভয় জাগে মনে
সাহস না পেয়ে হারিয়ে ফেলি কি খেই!
কুড়িয়ে চলছি তোমার শব্দমালা
চুপ-চুপিসারে গাঁথব বুকের মাঝ,
তব নিষ্ঠা ও সাহসের পথ ধরে
দেখো;গড়ে নেবো আলোকিত নব সমাজ।
.
আব্দুস সামাদ নানুভাই;কখনও দেখি নি।এতবার ওনার সিরাজগঞ্জে যেতে বলেছেন যে একসময় বিরক্ত হয়ে বলে উঠি- বিয়ে দিয়ে দাও,তোমার নাতিকে নিয়ে যাবো! সেই যাওয়া আর হলো না।আম্মুকে বলতেন- হাবিবা তো আমার নাতনি,তুমি আমার মেয়ে হলে সমস্যা কোথায়!আম্মু তো হেসে আটখান। তখন মা কে বলেন- এতো খুশি,দেখ আবার হাবিবা যাতে দুষ্টুমি না করে। দুষ্টুমি আমি ঠিকই করছি না। কিন্তু তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সবার সাথে কথা বলে গেলেন কিন্তু সেষ সময়ে আমার নাম্বারটাও ওনার কাছে ছিল না।ভুলতে পারব না নানুভাইকে।
আরও পড়তে পারেন-- কবি আবু তাহের লেলালের হৃদয় ছোঁয়া তিনটি ইসলামিক গান--
.
Abdus Samad নানু ভাই স্মরণে।
রশীদ রওশান
নানু তোমার চাঁদমাখা মুখ
হলো না আর দেখা,
গল্প-কথার ডাইরিতে আর
পেলাম না তার লেখা।
.
নানু তোমার ভালোবাসায়
হৃদয় ছোঁয়া সুখ,
এতো সকাল হারিয়ে কেনো
ভক্তরা পায় দুখ।
.
নানু তোমার সরল জীবন
নেই তো এমন কেউ,
নানু তোমার ফোনের কথা
তোলছে বুকে ঢেউ।
.
নানু তোমার বেহেস্ত যেনো
আল্লাহ করেন দান,
দুহাত তোলে প্রভুর নিকট
গাইছি তারই গান।
রচনা কাল: ২১ জানুয়ারি-২০১৮
নানা ভাইয়ের স্মরণে
নার্গিস নাহার রুনু
ঘুমিয়ে তুমি রয়েছ যে
দূর আরবের দেশে,
দোয়া করি জান্নাতেতে
বেড়াও তুমি হেসে।
তুমি ছিলে সবার প্রিয়
আপন চোখের মনি,
নানা ভাইয়া রূপে ছিলে
স্নেহাদরের খনি।
সকল সময় রাখতে খবর
মধু মাখা স্নেহে,
তোমার ভালোবাসার চাদর
তাই জড়ানো দেহে।
সেই তুমি নেই ভাবতে সবার
শোকের পাথর বুকে,
শ্রাবণেরই ঢল নামে যে
রোদন করি দুখে।
দোয়া মাঙ-গি খোদার কাছে
ইয়া রহীম রহমান,
জান্নাতুল ফিরদৌসে
হয় যেন তাঁর স্হান।
মাটির চেয়ে মাটি ছিলেন
জুবায়ের বিন ইয়াছিন
নেই পরিচয় হয়নি দেখা হয়নি কথা ফোনে
টুকরো কিছু ভাব হয়েছে মেসেজ আলাপনে
ভার্চুয়ালের নীল-সাদাতেই মান-অভিমান হাসা
তবুও এই অল্পে হলো গভীর ভালোবাসা।
মানুষ ছিলেন সাদার সাদা মাটির চেয়ে মাটি
জীবন ছিলো খুব গোছানো সহজ-পরিপাটি
সময়গুলো করতো খরচ আলোর পথে থেকে
পথভোলাকে দ্বীন বুঝাতেন ভালোর মতে ডেকে।
অনেক পরিপক্ব ছিলেন কাব্য-কথার হাতে
কথাগুলোর খই ফোটাতো বাস্তবতার সাথে
কারো সাথে মিশতে হলে তার কি সময় লাগে?
শত্রুদেরও বন্ধু হতে হাত বাড়াতেন আগে।
তিনি ছিলেন সবার নানু, হয়ে অনেক প্রিয়-
সবার মনে প্রেম বিলাতেন,গন্ধ মোহনীয়
এমন মানুষ নেই ভবে আর যায় কি ভাবা মোটে?
স্মরণ হলেই বুকে ব্যথার হাজার কাঁটা ফোটে।
তার বিয়োগের কষ্টগুলো ভেজা জলেই রাখি
আর মিনতির সাথে সাথে রবকে বলি,ডাকি-
আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে রহম দিয়ো তাতে-
ভাব বিনিময় হয় যেনো তার পুলসিরাতের সাথে।
সাহিত্যাসর ১৬৮
নাসিমা বিনতে মালেক
( সদ্যপ্রয়াত নানাভাই.........
স্মরণে)
সৌম্য তোমার মুখখানা ওই
অার হলোনা দেখা,
এটায় বুঝি ছিলো অামার
ললাটলিপির লেখা।
নিত্য অামায় বলতে নানু
এসো তুমি দেশে,
তোমায় দেখে বুকটা অামার
উঠবে তখন হেসে।
নানু তোমার স্মৃতির স্রোতে
ভাসি চোখের জলে,
পূন্যভূমির শীতল ছোঁয়ায়
ধন্য তুমি হলে।
পরপারে সুখের নিবাস
যেনো পায় নানুভাই,
এই ফরিয়াদ রবেের কাছে
নিত্য করে যাই!!!!!
নানু ভাই
----নাজীর হুসাইন খান
নানু ভাই
চিনি তাই
করে নিলাম দোস্তি
কোনো বার
সাথে তার।
করিনি তো কুস্তী ।
হেসে হেসে
ভালোবেসে
টেনে নিতো বুকে
নানু ভাই
ভালো তাই
জানে সর্বলোকে।
দু:খ যাদের
খোজে তাদের
দু:খ ভাগে নিতো
কাছে ডেকে
পকেট থেকে
ভালোবাসা দিতো।
মনের সুখে
ফেইসবুকে
গল্প ছড়া লিখতো
উদার মনের
ভালো জনের
সেরা তিনি ঠিকতো।
ওমরায় গিয়ে
নেকি নিয়ে
আল্লাহ্ তা'য়ালার ডাকে
সাড়া দিলেন
ভালো ছিলেন
কেমনে ভুলি তাকে ।
আল্লাহ্ তুমি
জান্নাত ভূমি
করো তাকে দান
তোমার কাছে
ক্ষমা আছে
তুমি দয়াবান ।
নানা ভাই
নাছির বিন ইব্রাহীম
তিনি ছিলেন ফেসবুকে
সকলের নানা,
এতো তরা চলে যাবেন
কার ছিলো জানা।
-
বিশাল উদার ছিলো
তার বুক খানি,
তার কথা মনে হলে
চোখে আসে পানি।
-
চেনা নেই জানা নেই
দেখাও নেই তবে,
কেবলি বলতো ওভাই
দেখা হবে কবে?
-
হটাৎ পাখির মতো
উড়ে গেলো হায়!
সকলের প্রিয় সেই
সামাদ নানু ভাই।
-
থেকো তুমি নানু ভাই
জান্নাতবাসী,
আমরা এলেই তুমি
দিও সেই হাসি।
নানা নাতি
আলানূর হোসাঈন
#আ জ হৃদয়ে দোল খেয়েছে, একটি আহ্বানে।
#ব ন্ধ আমার নানা ভাই, ডাকল যখন ফোনে।
#দু’চার কথা বলব নানা, দেখতে তোমায় চাই,
#স ত্যি! মোদের দেখা হবে, প্রিয় নানা ভাই?
#সা রাটা পথ তাই খুশিতে, কখন দেখা হবে,
#মা নতে চা্য়না মনটা আমার, একটু কথা কবে।
#দ শ দিগন্ত হইল খুশি, যখন দেখা হয়,
#ও দয়াময় দিয়ো মোদের নানা নাতির জয়।
#আ মি যেন কি আনন্দ, পেলাম মনের মাঝে,
#লা গুক নানার ভালোবাসা, মোদের লেখার কাজে।
#নূ তন মোরা কলম যু্দ্ধে, চাই নানাকে চাই।
#র ক্ত দিয়ে লিখব বিজয়, আমরা নানা ভাই।।
কাঁদে শত প্রাণ!
উৎসর্গঃ আব্দুস সামাদ,নানু ভাইকে।
হুমায়ূন ফরিদী।
কমলা কলস-(মৌলভী বাজার)
________
দিন যাবে-তুমি মনেই থেকে যাবে
কখনোও কী ভোলা যাবে
তোমার অবদান,
তোমার জন্য কাঁদিতে আছে
শত শত প্রাণ!
তুমি!কখনো বাবার মত করেছো আদর
কখনোও ভালো এক বন্ধু,
ভালোবাসা কম ছিলোনা কাহারোও প্রতি এক বিন্দু।
খোদা তায়ালার প্রিয় ছিলে তাই
পেয়েছো অনেক মান!
তোমার জন্য-------------------প্রাণ।।
নানু ভাই ডাক দিলে সারা পেতাম
কেমন আদর ছিলো পেয়ে যেতাম,
হারিয়ে তোমায় বুঝেছি ওগো
কেমন ছিলো তব শান!
তোমার জন্য------------------প্রাণ।।
হাশর দিনের সেই কঠিন সময়
তোমায় যেনো খুঁজে পাই,
পথ হারিয়ে বিপথি হলে
খুঁজে নিও নানু ভাই।
দোয়া করি প্রভুর কাছে
হও জান্নাতের মেহমান!
তোমার জন্য----------------প্রাণ।।
আমার জীবনের প্রথম লেখা এটি, এ লেখাটি লেখার আগে কখনই ভাবিনি আমার হাত ছড়া কবিতা লেখা হবে, কিন্তু সেদিন নানু ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় নানু ভাইকে নিয়েই লিখেছিলাম এই ছড়াটি।
.
প্রিয় নানু ভাই আব্দুস সামাদের স্বরনে..
“নানু ভাই”
গোলাম মোস্তফা টুটুল.
১০/০৮/২০১৫
আমাদের নানু ভাই যার নেইকো তুলনা,
দ্বিনের কাজে ব্যস্ত তিনি,
নেই অন্য ভাবনা।
জ্ঞনের আলোই দিপ্ত তিনি,
আন্ধোকারের বাতি,
তাইত মোরা ভাবি তারে চলার পথের সাথী।
অনেক যুবক তারি চেষ্টায় পেল আলোর দিশা,
যাদের মনে এখন শুধুই জ্ঞন আহরনের নেশা
অবশেষে দোয়া করি ,
হে মালিক মাহান
নানু ভাই কে দিয়ো তুমি
জান্নাতে সম্মান.......।
নানা ভাইয়ের নেক আমল
( ছড়া)
ওয়াজ কুরুনী সিদ্দিকী
হৃদয়ের খুব গভীরে
মিশে আছেন নানা ভাই।
কল্পনায় আজো যার
হাসি মুখটি দেখতে পাই।
লাব্বাইক ধ্বনি মুখে
গিয়েছিলেন হারামে।
প্রভুর ডাকে সারা দিয়ে
ঘুমিয়ে আছেন আরামে।
নানা ভাইয়ের নেক আমল
কবুল করো দয়াময়।
নানা ভাইয়ের প্রতিষ্ঠানে
তোমার রহম যেন রয়।
নানা ভাইয়ের প্রিয়জনে
করো প্রভু সবর দান।
জান্নাতি নিয়ামতে
ভরিয়ে দাও কবরখান।
ধন্য নানা ভাই
ওমর ফারুক
ধন্য নানা জীবন তোমার
বাংলায় জন্ম নিয়ে,
মৃত্যু তোমার ধন্য হলো
ওমরা করতে গিয়ে।
যতো কিছু করলে ভবে
জীবনের মাঝ পথে,
ভুল-ত্রুটি ক্ষমা হোক
আমলনামা হতে।
আব্দুস সামাদ নানা ভাই নেই
সাহিত্য - সমাজে,
দুখ-বেদনা স্মৃতি ছায়া
এই বুকে জমা যে।
কবুল হোক কবিতা-গল্প
যতো আছে হামদ-নাত,
রহম করে কবুল হোক
ফেরদাউস ঐ জান্নাত।
২২.০১.১৮ইং
নানুভাই
নবাব আব্দুর রহিম
-
ঈমানের পথে ছিল
সদা চলাচল।
বুকে ছিল সাহস ও
দৃঢ় মনোবল।
-
হাসিমাখা মুখ তার
প্রশস্ত বুক
অপরকে টেনে নিতে
ছিল উন্মুখ।
-
কাবার অতিথি হয়ে
প্রিয় নানুভাই-
সবাইকে কাঁদিয়ে যে
নিলেন বিদায়!!
-
জীবনের ভুলগুলো
ক্ষমা করে তার-
জান্নাতে দেন যেন
প্রভূ গো আমার।
বিষয় :নানা ভাই
আক্তারুজ্জামান মোল্লা
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
আমাদের নানা ভাই সবার
প্রিয় জন
সকলেরে ভাবতেন তারই
আপন জন
মানব সেবায় তিনি জীবন
করছে পার
মানব সেবাই ছিলো জীবন
ব্রত তার
দোয়া করি পরপারে
সুখি হও
প্রভুর জান্নাত যেনো তুমি
কভু পাও।
বিষয়ঃ নানা ভাই
মফিজুর রহমান মানিক রাজা
নরসিংদী।
তার সাথে দেখা স্বাক্ষাত হয়নি কভু
সরাসরি এতটুকু কথা হয়নি যে তবু
তিনি ছিলেন হাজার জনমের চেনা
তার কবিতা গান আমার চির জানা।
তিনি স্থান করে নিয়েছিলেন হৃদয়ে
ব্যাথা পেয়েছি দূনিয়াবি এই বিদায়ে
সেতো আর কেউ নয় চির চেনাজানা
আমাদের সেই আবদুস সামাদ নানা।