উপদেষ্টা , বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ

লেখক পরিচিতি

.
পরিচিতি আহবান করে যখন উনাকে ম্যাসেজ করলাম, তখন তিনি অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে জানালেন- “ভাই আমি প্রচারমুখী মানুষ নয়। আমারটা না হয় থাক”। জবাবে আমি যখন আমাদের নিজেদের আগ্রহের কথা জোরালোভাবে জানালাম তখন তিনি রাজি হয়ে গেলেন। বেশ কয়েকদিন পরেই ভাইজানের ম্যাসেজ। খুশিই হলাম সম্ভবত পরিচিতি পাঠিয়েছেন। আমার ধারণা সত্যি হয়েছে। সুন্দর গুছিয়ে পয়েন্ট আকারে দিয়েছেন। প্রিয়কবি আজম খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা, কষ্ট করে আমাদের চাওয়া পূরণ করার জন্য। হ্যাঁ প্রিয় কবিবন্ধুগণ আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করে দেব বিশিষ্ট কবি আমাদের সবার প্রিয় আজম খান ভাইকে।
.

আজম খান 

পুরো নাম এম.এন আজম খান। জন্ম ৬ই জুলাই ১৯৬৪ ফরিদপুর উপজেলায় পশ্চিম খাবাসপুর গ্রামে। পিতা মরহুম আমির হোসেন খান মাতা নুরজাহান বেগমের দুই সন্তানের মধ্যে তিনি বড়। বাবা ছিলেন সাব পোস্টমাস্টার। শৈশবে কবি ছিলেন শান্ত-সুশীল, সদা জিজ্ঞাসু , সবকিছু জানার একটা প্রবল আগ্রহ কাজ করতো মনে ।
তিনি ফরিদপুর ময়েজইদ্দিন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সনে ২য় বিভাগ নিয়ে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ফরিদপুর ইয়াছিন মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সনে ২য় বিভাগ নিয়ে আই এ পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে ১৯৮৭ সনে ২য় বিভাগ নিয়ে অনার্স পাশ করেন।
লেখালেখির যাত্রাশুরু ’৮০ দশকে। ক্রান্তিকাল সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাহিত্য কর্মে প্রবেশ করেন। ছাত্রজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশের পর পরই বাবা মারা যান ১৯৮৯ সালে। পরিবারিক চাপে হারিয়ে যায় লেখালেখি। তিনি ১৯৯১ সালে শাহানারা বিলকিসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি এখন দুই কন্যা এবং এক পুত্রসন্তানের জনক। তিনি ২০১৩ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসে আবারো লেখালেখি শুরু করেন।
.
ইসলামী চিন্তাধারার এইকবি ইসলামী বিষয় নিয়েই লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ছড়া-কবিতাই বেশি লিখে থাকেন। তাই আমরা তার লেখায় ইসলামী রেনেসাঁর আকাঙ্ক্ষা অবলোকন করে থাকি।
.
ন্যায় যেখানে উপেক্ষিত
অন্যায় সেখানে বাঁধে বাসা ।
অত্যাচারী হয় স্বেচ্ছাচারী
মজলুম হারায় প্রতিবাদের ভাষা ।।
অন্ধগলিতে অন্যায়ের জন্ম
সন্তর্পণে গ্রাস করে জনপদ ।
যেমন মেঘ ঢেকেদেয় সূর্য্য
নামে আঁধার, ক্ষণিক মুসিবত ।।
সোচ্চার হও অন্যায়ের বিরুদ্ধে
গড়েতোলো আলোকিত মানুষ ।
একদিন আঁধার কেটেই যাবে
দূর হবে জুলুমের মিথ্যে ফানুশ ।। 

(কবিতা-একদিন আঁধার কাটবেই, আজম খান)
.
ব্যক্তিজীবনে অত্যান্ত মিশুক একটি মানুষ কবি আজম খান। সহজেই সকলকে আপন করে নিতে পারেন। তিনি মনে করেন -কবি’রা সমাজ দর্পণ । পাঠকগণ কবি সাহিত্যিকদের চোখদিয়ে সমাজকে দেখেন আর তাই একজন কবি বা সাহিত্যিক সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারেন তার এঁকে দেয়া প্লটটিতে নীতি-আদর্শ ও ধর্মীয় শিষ্ঠাচার সম্পৃক্ত করে । তিনি মানবতার জন্য সত্য-ন্যায়ের, নীতি-আদর্শের, ধর্মীয় শিষ্টাচারের বার্তা মানুষের কাছে পৌছে দেওয়াই সারাজীবনের ব্রত হিসেবে মনে করেন।
.
তিনি বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ[BPSP] একজন উপদেষ্টা হিসেবে পরিষদকে এগিয়ে নিতে প্রতিনিয়তই পরামর্শ এবং উৎসাহ দিচ্ছেন। পরিষদের পক্ষথেকে কবির জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা। আজ এই পর্যন্তই। আগামীতে হাজির হব অন্যকোন লেখকের লেখক পরিচিতি নিয়ে। ততদিন ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন।
 — with Azam Khan.

 
Top