প্রথম উপন্যাস "শূন্য বালুচর"

নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এক ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলের কাহিনী এবং আমাদের জীবনের কিছু না পাওয়ার কথা।



আজ সকাল বেলা প্রকাশক ভাইয়া যখন বললেন "মারিয়া স্টলে তোমার বই এসেছে। তুমি আসো "। আমি চুপচাপ শুনলাম এবং কেন যেন চুপচাপ বসেও রইলাম। যে বই নিয়ে এত আগ্রহ ছিল হঠাৎ করে এত অনাগ্রহের কারণ খুঁজে পেলাম না। মনে হচ্ছিল বলে ফেলি, "শখ করে লিখেছিলাম এবার বই পুড়িয়ে ফেলুন। "
যাই হোক শেষ পর্যন্ত বিকেলে গিয়েছিলাম। আমি নিজেও জানতাম না বই এত তাড়াতাড়ি আসবে নইলে আপনাদের জানাতাম। কয়েক জন এমনিতেই ঘুরতে এসেছিল না জেনেই। তাদের সাথে দেখা হয়েছে। ও হ্যাঁ প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলি, আমি মাথা নিচু করে বই পড়ছিলাম। আমার পাশে দুইজন ভাইয়া আমার বইটা উল্টে পাল্টে দেখছিলেন এবার বলেই ফেললেন" এগুলা তো পুরাই ফেসবুকের লেখা। হা হা হা এগুলা কে পড়বে? এত কম পেজ কেন? দাম বেশি কেন? এগুলা কোন লেখা হল? এসব পড়া লাগবে না" বাস্তবে ফেসবুকে আগে যে লেখাগুলো লিখেছিলাম ছোট গল্প সেগুলো কিছুই নেই এখানে। আমি মুচকি মুচকি হাসছিলাম আর কি। আমি সিউর তারা এখন আমার এই লেখাটা পড়ছে। তারা যদি আমাকে চিনতেন হয়ত খুশি করার জন্য নিয়ে যেতেন আবার নাও নিতে পারতেন। এটা অবশ্যই যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কাউকে বলি না আমার লেখা পড়ে আপনি মুগ্ধ হবেন। এই দুঃসাহস আমার নেই কারণ মুগ্ধ করার জন্য জ্ঞান লাগে,প্রচুর পড়াশোনা, পরিশ্রম সবই লাগে আমি কিছুই জানি না। ট্রাস্ট মি, মন থেকে চাই কারো একশ টাকা জলে না যাক। মলাট মূল্য যদিও একশ ত্রিশ কিন্তু বইমেলায় ছাড় আছে। এসব শুনে মন খারাপ করিনি কারণ একেবারে শূন্য জ্ঞান নিয়ে আসলেই লেখা ঠিক না। প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে লিখলেন কেন? উত্তর হচ্ছে আপনাদের বকা খাওয়ার জন্য এবং বকা খেতে খেতে যদি কিছু শিখতে পারি সেইজন্য। আর এটাই যদি জীবনের শেষ লেখা না হয় তবে আরও শিখতে শিখতে লিখব যদি হয়রান লাগে তবে থেমে যাব।
.
ইচ্ছে আছে কালও যাব বিকেলে। ইন্তামিন প্রকাশনী ৬৬৯ নম্বর স্টলে। যদি টাকা পয়সা জলে ফেলতে চান তবে আসতে পারেন। যদি না চান তবে অবশ্যই ভালো কোন লেখকের বই পড়ুন,নিজেকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন এই প্রত্যাশা। বই হোক নিত্যদিনের সঙ্গী

 
Top