একটি ভাল মানের সিভি লিখতে যা যা দরকার
সিভি বা curriculum vitae প্রয়োজন হয় যে কোন চাকরির জন্য আবেদন করার সময়। ইন্টারনেটে একটু খুঁজলেই আপনি পেয়ে যাবেন একটি প্রফেশনাল সিভি তৈরির বিভিন্ন নিয়ম। কিন্তু যারা সবেমাত্র পাশ করে বের হয়েছেন বা ১-২ বছরের বেশি কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই তাদের সিভির ধরণ আর প্রফেশনালদের সিভির ধরণ কিছুটা ভিন্ন। এই লেখায় আলোচনা করা হবে কিভাবে সদ্য পাশ করা একজন ব্যক্তির সিভি কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে।
১. Title/শিরোনামঃ
এই অংশের প্রথমেই থাকবে আপনার নাম। নিজের পুরো নাম যা আপনার স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটে আছে তা লিখবেন একটু বড় ফন্টে। প্রয়োজনে তা বোল্ড করে দিন। এর পর লিখবেন আপনার বর্তমান ঠিকানা যেখানে যোগাযোগ করলে আপনাকে পাওয়া যাবে। তারপর ই মেইল এড্রেস এবং মোবাইল বা টেলিফোন নাম্বার। ই মেইল এড্রেসটি নিজের নাম দিয়েই তৈরি করুন। ছদ্ম বা এমন কোন নামে তৈরি করবেন না যা দৃষ্টিকটু।
এই অংশের প্রথমেই থাকবে আপনার নাম। নিজের পুরো নাম যা আপনার স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটে আছে তা লিখবেন একটু বড় ফন্টে। প্রয়োজনে তা বোল্ড করে দিন। এর পর লিখবেন আপনার বর্তমান ঠিকানা যেখানে যোগাযোগ করলে আপনাকে পাওয়া যাবে। তারপর ই মেইল এড্রেস এবং মোবাইল বা টেলিফোন নাম্বার। ই মেইল এড্রেসটি নিজের নাম দিয়েই তৈরি করুন। ছদ্ম বা এমন কোন নামে তৈরি করবেন না যা দৃষ্টিকটু।
২. Career Objective/ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে গুছিয়ে লিখুন
আপনি নিশ্চয় শুধু মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানে সিভি পাঠাবেন না? প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা সিভি তৈরি করুন। Career Objective অংশ লিখবেন কোন প্রতিষ্ঠানে যে পদের জন্য আপনি সিভিটি পাঠাচ্ছেন তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে। সেই প্রতিষ্ঠান আপনার কাছ থেকে কি কি পেতে পারে, আপনার গুণাবলী তাদের প্রয়োজনীয়তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না এসব বিষয় মাথায় রাখুন।
আপনি নিশ্চয় শুধু মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানে সিভি পাঠাবেন না? প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা সিভি তৈরি করুন। Career Objective অংশ লিখবেন কোন প্রতিষ্ঠানে যে পদের জন্য আপনি সিভিটি পাঠাচ্ছেন তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে। সেই প্রতিষ্ঠান আপনার কাছ থেকে কি কি পেতে পারে, আপনার গুণাবলী তাদের প্রয়োজনীয়তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না এসব বিষয় মাথায় রাখুন।
৩. Experience/কাজের অভিজ্ঞতার বিবরণ দিন
আপনার যদি আগে কোন চাকরির অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে তা লিখবেন এই অংশে। সর্বশেষ যেখানে কাজ করেছেন তা দিয়ে শুরু করবেন, এবং শেষ করবেন সর্বপ্রথম যেখানে কাজ করেছেন তা দিয়ে। তথ্যগুলো সাজাবেন এইভাবেঃ
আপনার যদি আগে কোন চাকরির অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে তা লিখবেন এই অংশে। সর্বশেষ যেখানে কাজ করেছেন তা দিয়ে শুরু করবেন, এবং শেষ করবেন সর্বপ্রথম যেখানে কাজ করেছেন তা দিয়ে। তথ্যগুলো সাজাবেন এইভাবেঃ
- Employer বা Organization Name (যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন তার নাম)
- Position of Field বা Designation (যে পদে কাজ করেছেন)
- Time Period বা Duration (কবে কাজ শুরু এবং শেষ করেছেন)
- Achievement (কর্মক্ষেত্রে আপনার কোন উল্লেখযোগ্য সাফল্য থাকলে তা লিখবেন)
- যদি এমন হয় আপনি একই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তাহলে তা ক্রমানুসারে লিখুন।
৪. Educational Background/শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
এই অংশ শুরু করবেন সর্বশেষ যে কোর্সটি আপনি সম্পন্ন করেছেন তা দিয়ে। মনে করুন আপনি MBA শেষ করেছেন। তাহলে শুরু করবেন এভাবে-
এই অংশ শুরু করবেন সর্বশেষ যে কোর্সটি আপনি সম্পন্ন করেছেন তা দিয়ে। মনে করুন আপনি MBA শেষ করেছেন। তাহলে শুরু করবেন এভাবে-
- Master Of Business Administration(MBA) (এখানে উল্লেখ করে দিবেন আপনি কোন বিষয়ে MBA করেছেন)
- Institution: যে প্রতিষ্ঠান থেকে করেছেন
- CGPA: আপনার CGPA যা ছিল
- এর পর লিখবেন আপনার BBA কোন প্রতিষ্ঠান থেকে, তারপর HSC সবশেষে SSC.
- যদি এমন হয় আপনি BBA বা MBA এর ফাইনাল দিয়েছেন কিন্তু রেজাল্ট এখনো প্রকাশিত হয় নি তাহলে পাশে লিখবেন (Appeared). আর যদি কোন কোর্সে আপনি এখনো পড়ছেন এমন হয় তাহলে পাশে লিখবেন (Ongoing)
৫. Computer Skill/কম্পিউটারে দক্ষতাঃ
আজকাল যে কোন চাকরির জন্যই কম্পিউটার জানা আবশ্যক। তাই এ বিষয়ক কোন কোর্স করে থাকলে বা আপনি কম্পিউটারের কোন বিষয়ে পারদর্শী হলে তা এই অংশে উল্লেখ করবেন।
আজকাল যে কোন চাকরির জন্যই কম্পিউটার জানা আবশ্যক। তাই এ বিষয়ক কোন কোর্স করে থাকলে বা আপনি কম্পিউটারের কোন বিষয়ে পারদর্শী হলে তা এই অংশে উল্লেখ করবেন।
৬. Language Proficiency/ভাষাগত দক্ষতাঃ
কোন কোন ভাষায় আপনার দক্ষতা আছে তা উল্লেখ করবেন। কোন ভাষায় আপনি কথা বলতে পারেন কিন্তু লিখতে পারেন না তাহলে তার পাশে verbal লিখবেন। আর যদি দুটোই পারেন তাহলে Verbal,Written এভাবে লিখবেন। বাংলা আপনার মাতৃভাষা, তাই এর পাশে শুধু Mother tongue লিখলেই চলবে।
কোন কোন ভাষায় আপনার দক্ষতা আছে তা উল্লেখ করবেন। কোন ভাষায় আপনি কথা বলতে পারেন কিন্তু লিখতে পারেন না তাহলে তার পাশে verbal লিখবেন। আর যদি দুটোই পারেন তাহলে Verbal,Written এভাবে লিখবেন। বাংলা আপনার মাতৃভাষা, তাই এর পাশে শুধু Mother tongue লিখলেই চলবে।
৭. Hobbies and Interests/শখ এবং আগ্রহঃ
এইখানে আপনাকে একটু বুদ্ধি খাটাতে হবে। আপনি ক্রিকেট ফুটবল ডাকটিকেট সংগ্রহ করা ইত্যাদি লিখে যাবেন না। এমন কিছু লিখবেন যা আপনি যে পদের জন্য আবেদন করছেন তার সাথে সংযুক্ত।
এইখানে আপনাকে একটু বুদ্ধি খাটাতে হবে। আপনি ক্রিকেট ফুটবল ডাকটিকেট সংগ্রহ করা ইত্যাদি লিখে যাবেন না। এমন কিছু লিখবেন যা আপনি যে পদের জন্য আবেদন করছেন তার সাথে সংযুক্ত।
৮. Personal Information/ব্যক্তিগত তথ্যঃ
এই অংশে আপনি আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, বিবাহিত নাকি অবিবাহিত, রক্তের গ্রুপ এবং জাতীয়তা লিখবেন। এর বেশি কিছু লিখার প্রয়োজন হয় না।
এই অংশে আপনি আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, বিবাহিত নাকি অবিবাহিত, রক্তের গ্রুপ এবং জাতীয়তা লিখবেন। এর বেশি কিছু লিখার প্রয়োজন হয় না।
৯. Reference:
এই অংশে এমন কারো নাম উল্লেখ করুন যিনি আপনার ছাত্র বা কর্মজীবন সম্পর্কে অবগত। তাদের নাম, ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের নাম, ইমেইল এবং মোবাইল নাম্বার লিখুন। রেফারেন্সে ব্যবহার করার আগেই যার নাম উল্লেখ করছেন তাঁর অনুমতি নিয়ে নিন।
এই অংশে এমন কারো নাম উল্লেখ করুন যিনি আপনার ছাত্র বা কর্মজীবন সম্পর্কে অবগত। তাদের নাম, ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের নাম, ইমেইল এবং মোবাইল নাম্বার লিখুন। রেফারেন্সে ব্যবহার করার আগেই যার নাম উল্লেখ করছেন তাঁর অনুমতি নিয়ে নিন।
সবশেষে মাথায় রাখবেন আপনার সিভিটি এমন ভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে ২০-৩০ সেকেন্ডেই আপনার সম্পর্কে দরকারি সব তথ্য যিনি পড়ছেন তিনি জেনে নিতে পারেন। কারণ এর চেয়ে বেশি সময় নিয়ে সিভি খুব কম সংখ্যক চাকরিদাতাই পড়েন। ২ পৃষ্ঠার মধ্যেই সিভি সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করুন।