চার্লি চ্যাপলিন
(১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯ – ২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৭৭)
স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন ১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯ সালে ইষ্ট স্ট্রিট, ওয়ালওয়ার্থ, লন্ডনে জন্ম গ্রহণ করেন। চার্লি চ্যাপলিনের কোনো বৈধ জন্ম প্রমানপত্র পাওয়া যায়নি, তাই তার জন্ম নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম নানা সময়ে নানা রকম তথ্য দিয়েছে তার জন্মস্থান সম্পর্কে। এমনকি তার চলচ্চিত্র জীবনের প্রথমদিকে চ্যাপলিন নিজেও একবার বলেছেন যে তিনি ফ্রান্সের ফঁতেউব্ল শহরে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।
১৮৯১ সালের আদমশুমারী থেকে জানা যায় যে চার্লি তার মা হান্নাহ চ্যাপলিন এবং ভাই সিডনির সাথে ওয়ালওয়ার্থ, দক্ষিণ লন্ডনের বার্লো স্ট্রিটে থাকতেন, এটি কেনিংটন জেলার অন্তর্গত।
ইতিমধ্যে তার পিতা চার্লস চ্যাপলিন জুনিয়ারের সাথে তার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে গেছে। চ্যাপলিনের শৈশব কাটে প্রচণ্ড দারিদ্র্য আর কষ্টের মাঝে আর তাই হয়তো তিনি উপলদ্ধি করতেন দেওয়া ও পাওয়াতে কী আনন্দ।
তিনি একটা কথা প্রায়ই বলতেন যে বৃষ্টিতে হাঁটা খুবই ভালো কারণ এই সময় কেউ তোমার চোখের অশ্রু দেখতে পায় না। অত্যধিক দারিদ্রই চ্যাপলিনকে শিশু বয়সেই অভিনয়ের দিকে ঠেলে দেয়...
তার মা-বাবা দুজনেই মঞ্চের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন তাই এই পেশাতে আসাটাই তাঁর কাছে সহজ ছিল। চ্যাপলিন সেইসময়ের জনপ্রিয় লোকদল “জ্যাকসন্স এইট ল্যাঙ্কাসায়ার ল্যাডস” এর সদস্য হিসাবে নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এরপর ১৪ বছর বয়সে তিনি উইলিয়াম জিলেট অভিনিত শার্লক হোমস নাটকে কাগজওয়ালা বিলির চরিত্রে অভিনয় করেন।
এই সুবাদে তিনি ব্রিটেনের নানা প্রদেশে ভ্রমণ করেন ও অভিনেতা হিসাবে তিনি যে খুবই সম্ভাবনাময় তা সবাইকে জানিয়ে দেন ।
চার্লি চ্যাপলিন তিনি এই নামেই বেশী পরিচিত। তাঁর পূর্ণ নাম স্যার চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন জুনিয়র। তিনি ১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একজন ব্রিটিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা ও হলিউড সিনেমার প্রথম থেকে মধ্যকালের বিখ্যাততম শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম এবং পৃথিবী বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালকও বটে। চ্যাপলিনকে চলচ্চি্ত্রের পর্দায় শ্রেষ্ঠতম মূকাভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতাদের একজন বলেও মনে করা হয়। চলচ্চিত্র শিল্প জগতে চ্যাপলিনের প্রভাব অনস্বীকার্য।
নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের অন্যতম মৌলিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব চ্যাপলিন নিজের ছবিতে নিজেই অভিনয়, সংলাপ রচনা, পরিচালনা, প্রযোজনা এমন কী সঙ্গীত পরিচালনা পর্যন্ত করেছেন। শিশুশিল্পী হিসেবে ইংল্যান্ডের ভিক্টোরিয়ান নাট্যমঞ্চ ও মিউজিক হলে সূচীত চ্যাপলিনের ৬৫ বছরের কর্মজীবনের যবনিকাপাত ৮৮ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুতে।
চ্যাপলিন অভিনীত মুখ্য চরিত্র তাঁর নিজের সৃষ্ট ভবঘুরে দ্য ট্রাম্প, ১৯১৪ সালে। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পর্তুগালে “শার্লট” নামে পরিচিত চ্যাপলিনের ট্রাম্প ভবঘুরে হলেও বিট্রিশ ভদ্রজনিতচিত আদব-কায়দায় সুসংস্কৃত এবং সম্মানবোধে অটুট। শার্লটের পরনে চাপা কোট, সাইজে বড় প্যান্ট, বড় জুতো, মাথায় বাউলার হ্যাট, হাতে ছড়ি আর একমেবাদ্বিতীয়ম টুথব্রাশ গোঁফ। চ্যাপলিনের বর্ণময় ব্যক্তিজীবন তথা সমাজজীবন খ্যাতি - বিতর্ক দুইয়েরই নিম্ন থেকে শীর্ষবিন্দু ছুঁয়ে গেছে।
কীভাবে অভিনয় জীবনের শুরু?
চার্লি চ্যাপলিনের মা থিয়েটারে কাজ করতেন। চ্যাপলিনের বয়স তখন পাঁচ বছর। একদিন তার মা মঞ্চে গান গাইছিলেন। আর ছোট্ট চ্যাপলিন বসে বসে মায়ের অভিনীত গীতনাট্য দেখছিলেন। সে সময় লন্ডনের খেটে খাওয়া শ্রমিক, ভবঘুরে কিংবা নেশাতুর পাবলিকরাই বিনোদনের জন্য থিয়েটারে ভিড় জমাতো। মঞ্চে গায়িকা বা নর্তকীর হেরফের হলেই চিৎকার-চেঁচামেচি করে থিয়েটার মাথায় তুলে নিতো। মঞ্চে গান গাইছিলেন চ্যাপলিনের মা হানা চ্যাপলিন। চ্যাপলিনের মায়ের গলায় আগে থেকেই সমস্যা ছিল। গান গাওয়ার এক পর্যায়ে চ্যাপলিনের মায়ের গলার স্বর ভেঙ্গে যায়। বাধ্য হয়ে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান। কিন্তু মঞ্চ ভর্তি দর্শককে বুঝ দেওয়ার জন্য মায়ের জায়গায় চ্যাপলিনকে মঞ্চে ওঠানো হয়।
চার্লি চ্যাপলিনের মা থিয়েটারে কাজ করতেন। চ্যাপলিনের বয়স তখন পাঁচ বছর। একদিন তার মা মঞ্চে গান গাইছিলেন। আর ছোট্ট চ্যাপলিন বসে বসে মায়ের অভিনীত গীতনাট্য দেখছিলেন। সে সময় লন্ডনের খেটে খাওয়া শ্রমিক, ভবঘুরে কিংবা নেশাতুর পাবলিকরাই বিনোদনের জন্য থিয়েটারে ভিড় জমাতো। মঞ্চে গায়িকা বা নর্তকীর হেরফের হলেই চিৎকার-চেঁচামেচি করে থিয়েটার মাথায় তুলে নিতো। মঞ্চে গান গাইছিলেন চ্যাপলিনের মা হানা চ্যাপলিন। চ্যাপলিনের মায়ের গলায় আগে থেকেই সমস্যা ছিল। গান গাওয়ার এক পর্যায়ে চ্যাপলিনের মায়ের গলার স্বর ভেঙ্গে যায়। বাধ্য হয়ে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান। কিন্তু মঞ্চ ভর্তি দর্শককে বুঝ দেওয়ার জন্য মায়ের জায়গায় চ্যাপলিনকে মঞ্চে ওঠানো হয়।
চার্লির প্রথম কৌতুক অভিনয় কোনটি?
চার্লি তার মায়ের পরিবর্তে স্টেজে গান গাইতে শুরু করেন, “Jack Jones well and known to every body”। তার গানে দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে স্টেজে কয়েন ছুঁড়তে থাকে। চাপলিন হঠাৎ অঙ্গভঙ্গিসহ বলে ওঠেন, “আমি এখন গান গাইব না; আগে পয়সাগুলো কুড়িয়ে নিই, তারপর আবার গাইবো”। এটি ছিল দর্শকের হাসির জন্য চার্লির প্রথম কৌতুকাভিনয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তার ভূমিকা ছিল একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিকের মতো। যুদ্ধের বিরুদ্ধে তিনি বই লিখলেন, সিনেমা করলেন, বক্তৃতাও দিলেন। “The Great Dictator” মুভিটি যে দেখেছেন তিনিই মুগ্ধ হয়েছেন সেই জ্বালাময়ী বক্তৃতা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই থেকে তার সখ্যতা বাড়লো কমিউনিষ্টদের সাথে। তখন তিনি করেছিলেন সেই বিখ্যাত উক্তি, “মানুষকে ভালোবাসার জন্য যদি আমাকে কমিউনিষ্ট বলা হয়, তো আমি কমিউনিষ্ট”।
চার্লি তার মায়ের পরিবর্তে স্টেজে গান গাইতে শুরু করেন, “Jack Jones well and known to every body”। তার গানে দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে স্টেজে কয়েন ছুঁড়তে থাকে। চাপলিন হঠাৎ অঙ্গভঙ্গিসহ বলে ওঠেন, “আমি এখন গান গাইব না; আগে পয়সাগুলো কুড়িয়ে নিই, তারপর আবার গাইবো”। এটি ছিল দর্শকের হাসির জন্য চার্লির প্রথম কৌতুকাভিনয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তার ভূমিকা ছিল একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিকের মতো। যুদ্ধের বিরুদ্ধে তিনি বই লিখলেন, সিনেমা করলেন, বক্তৃতাও দিলেন। “The Great Dictator” মুভিটি যে দেখেছেন তিনিই মুগ্ধ হয়েছেন সেই জ্বালাময়ী বক্তৃতা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই থেকে তার সখ্যতা বাড়লো কমিউনিষ্টদের সাথে। তখন তিনি করেছিলেন সেই বিখ্যাত উক্তি, “মানুষকে ভালোবাসার জন্য যদি আমাকে কমিউনিষ্ট বলা হয়, তো আমি কমিউনিষ্ট”।
চার্লি চ্যাপলিনের জীবনের মজার একটি ঘটনা-
চার্লি চ্যাপলিন তখন পৃথিবী-বিখ্যাত। তার অনুকরণে অভিনয়ের একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গোপনে চার্লি চ্যাপলিন নাম দেন সেই প্রতিযোগিতায়। মজার বিষয় হলো প্রতিযোগিতা শেষে দেখা গেলো ১ম ও ২য় স্থান অর্জন অন্য দুজন প্রতিযোগী। চার্লি চ্যাপলিন হন তৃতীয়।
চার্লি চ্যাপলিন তখন পৃথিবী-বিখ্যাত। তার অনুকরণে অভিনয়ের একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গোপনে চার্লি চ্যাপলিন নাম দেন সেই প্রতিযোগিতায়। মজার বিষয় হলো প্রতিযোগিতা শেষে দেখা গেলো ১ম ও ২য় স্থান অর্জন অন্য দুজন প্রতিযোগী। চার্লি চ্যাপলিন হন তৃতীয়।
------------------------------------------------------
আসুন জেনে নিই এই বিশাল পাজি লোকটির গভীর কিছু উক্তিঃ
“My pain may be the reason for somebody’s laugh.
But my laugh must never be the reason for somebody’s pain”.
“My pain may be the reason for somebody’s laugh.
But my laugh must never be the reason for somebody’s pain”.
“Your naked body should only belong to those who fall in love with your naked soul”.
(তার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন)
(তার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন)
“What do you want meaning for? Life is desire, not meaning”.
“I always like walking in the rain, so no one can see me crying”.
“You need Power,
only when you want
to do something harmful
otherwise
Love is enough to get everything done”.
only when you want
to do something harmful
otherwise
Love is enough to get everything done”.
“Like everyone else I am what I am: an individual, unique and different, with a lineal history of ancestral promptings and urging; a history of dreams, desires, and of special experiences, all of which I am the sum total”.
“I have many problems in my life. But my lips don’t know that . They always smile”.
“A day without a laughter is a day wasted”.
চ্যাপলিনের অনেকগুলো ছবির মধ্যে যেগুলো সেরা ধরা যায়ঃ
1. Modern Times (1936)
2. City Lights (1931)
3. The Great Dictator (1940)
4. The Gold Rush (1925)
5. The Kid (1921)
6. Limelight (1952)
7. The Immigrant (1917)
8. The Circus (1928)
9. Monsieur Verdoux (1947)
10. A Dog’s Life (1918)
2. City Lights (1931)
3. The Great Dictator (1940)
4. The Gold Rush (1925)
5. The Kid (1921)
6. Limelight (1952)
7. The Immigrant (1917)
8. The Circus (1928)
9. Monsieur Verdoux (1947)
10. A Dog’s Life (1918)
এর বাইরে আরও মুভি থাকতে পারে।
১৯৬৪ সালে চার্লির আত্মজীবনী প্রকাশিত হয় (My Autobiography)। বইটি সর্বকালের সেরা বেস্ট সেলার হিসেবে বিক্রি হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে “মূর্তি”।
১৯৬৪ সালে চার্লির আত্মজীবনী প্রকাশিত হয় (My Autobiography)। বইটি সর্বকালের সেরা বেস্ট সেলার হিসেবে বিক্রি হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে “মূর্তি”।
এক নজড়ে চার্লি চ্যাপলিনঃ
পুরো নামঃ স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন
জন্মঃ ১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যুঃ ২৫ শে ডিসেম্বর, ১৯৭৭, ভিভে, সুইজারল্যান্ড
পেশাঃ অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও সংগীতশিল্পী
বাবাঃ চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন সিনিয়র
মাঃ হান্নাহ হেরিয়েট চ্যাপলিন
স্ত্রী গণঃ
মিলড্রেড হ্যারিস (১৯১৮ – ২০),
লিটা গ্রে (১৯২৪ – ২৭),
পোলেট গোদা (১৯৩৬ – ৪২),
উনা ও-নিল (১৯৪৩ – ৭৭)
পুরো নামঃ স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন
জন্মঃ ১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যুঃ ২৫ শে ডিসেম্বর, ১৯৭৭, ভিভে, সুইজারল্যান্ড
পেশাঃ অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও সংগীতশিল্পী
বাবাঃ চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন সিনিয়র
মাঃ হান্নাহ হেরিয়েট চ্যাপলিন
স্ত্রী গণঃ
মিলড্রেড হ্যারিস (১৯১৮ – ২০),
লিটা গ্রে (১৯২৪ – ২৭),
পোলেট গোদা (১৯৩৬ – ৪২),
উনা ও-নিল (১৯৪৩ – ৭৭)