মানুষ মানুষের জন্য
জিনাতুননেছা জিনাত
তোহফা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে, সম্প্রতি তার ব্লাড ক্যান্সার (লিউকেমিয়া ) ধরা পড়েছে ৷ তিন বোন এক ভাইয়ের সংসারে সে মেজো মেয়ে, বড় বোন বুশরা দশম শ্রেণীতে পড়ে । ছোট বোন তিতলি, তৃতীয় শ্রেণীতে আর ভাই সিয়াম একেবারে ছোট, স্কুলে ভর্তি হয়নি এখনও ৷ তোহফার বাবা একটা ছোট-খাট ব্যবসা করেন, মা গৃহিনী ৷
তিন মেয়ের পড়াশুনা, বাসা ভাড়া এবং অন্যান্য সংসার খরচ, সব মিলিয়ে মোটামুটি ভাবে সংসার চলে তাদের । এর মধ্যে এই আকস্মিক দু:সংবাদে বাবা-মায়ের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ! কোথায় পাবেন চিকিৎসার এতো খরচ ?
চোখের সামনে মেয়েটাকে বিনা চিকিত্সায় মরতেও তো দিতে পারেন না, কি করবেন এখন ?
সাত পাঁচ ভেবে ভেবে অবশেষে হাতে যে তুচ্ছ সম্বল ছিলো সেটা দিয়েই চিকিৎসা শুরু হলো ৷ টেস্ট আর টেস্ট, এতেই তো খরচের শেষ নেই, তার উপর ডাক্তররা বললেন -ওর এখন যা অবস্থা তাতে এখানে আর ভালো করা কঠিন, বরং আপনারা চাইলে ওকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে কোথাও নিয়ে যেতে পারেন ।
প্রতিবশী, আত্মীয়- স্বজনদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই বললো-চেন্নাই বা ভ্যালোরে নিয়ে যান, সেখানে চিকিৎসা করানোটা তোহফার জন্য ভালো হবে ৷
গ্রামে যে অল্প কিছু জমিজমা ছিলো তাও বিক্রি করে ফেললো । চারদিকে নানাজনের নানা কথাবার্তায় তোহফার পরিবার দিশাহারা ! আত্মীয়-স্বজন , প্রতিবেশীদের কেউ কেউ আবার বলতে শুরু করলো- এ কি যে সে রোগ! ক্যানসার গো ক্যানসার! ভালো তো হবেই না, মাঝখান থেকে পুরো সংসারটা পথে গিয়ে বসবে । তোমাদের তো আরও তিনটে ছেলেমেয়ে আছে, তাদের কথা ভাববে না ?
চারপাশের মানুষগুলোর স্বভাব বড্ড বেশি বিচিত্র! পরামর্শ দাতারও কোনো অভাব নেই । কতো সহজে যে তারা বলতে শুরু করলো, যে ক'দিন আয়ু আছে সে ক'দিন তো এমনিই বাঁচবে, খামাখা মেয়েটাকে নিয়ে টানাটানি করো না তো !
বাবা মায়ের মন মানে না ! তাই বলে আমরা বেঁচে থাকতে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে মেয়েটা ?
দু:সংবাদ বাতাসের আগে যায় ! তোহফার স্কুলে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লো খবরটা ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুটা সাহায্যের আশ্বাস দিলেন ৷ সাময়িক কিছু টাকারও ব্যবস্থা করে দেয়া হলো ।
বাবা-মা তোহফাকে নিয়ে চেন্নাই রওনা হলো ৷
শুরু হলো তোহফার ক্যান্সারের চিকিৎসা, জীবন বাঁচানোর লড়াই ৷ ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদী । ডাক্তার বললেন- তিন বছর চিকিৎসা করতে হবে ৷ একদিকে ক্যান্সারের জীবাণুকে বাড়তে না দেবার চেষ্টা, অন্যদিকে শরীরের যাবতীয় কর্মকান্ড ঠিক রেখে ফিটনেস বাড়ানো, কারণ ওর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হবে ৷
তুচ্ছ সম্বল নিয়ে ওরা ভ্যালোরে গিয়ে মেয়ের শুরু করলো ৷ যেমন রাজকীয় রোগ তেমনই রাজকীয় তার চিকিৎসা ৷ বাচ্চা মেয়েটার বেঁচে থাকার যুদ্ধ চলতে থাকে ...মাঝে মাঝে দেশে ওর স্কুলে, পরিচিত মহলে খবর আসতে থাকে, কখনও একটু আধটু ভালো খবর, কখনও খারাপ খবর ৷ বাবা মায়ের দু:শ্চিন্তার কোনো শেষ নেই, কোথায় পাবেন এতো টাকা ?
আমেরিকা থেকে অস্থিমজ্জার জন্য ডোনার আনতে হবে ।তার সাথে রক্ত, টিস্যুর ম্যাচিংসহ যাবতীয় খরচ রোগীর পরিবারকেই বহন করতে হবে । শারীরিক, মানসিক, আর্থিক কষ্টে পুরো পরিবারটিই ছিন্ন ভিন্ন হতে বসেছে । অন্য তিনটি বাচ্চাদের দিকে তাকানোর কোন ফুরসত নেই বাবা মায়ের । মা- বাবা দু’জনই দিনের পর দিন তোহফাকে নিয়ে কোনমতে ভ্যালোরে পার করতে থাকেন দু:খ, কষ্টের কঠিন সময় ।
এদিকে তোহফার এই খবর জানার পর স্কুলে ওর শিক্ষক, সহপাঠী ও অভিভাবক মহলে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় । শুরু হয় তোহফাকে বাঁচানোর সংগ্রাম । যে যেভাবে পারে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করতে থাকে ।
কখনও "ফিরবে তোহফা, বাঁচবে মানবতা", আবার কখনও "তোহফাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসুন", এ ধরণের আকুতি নিয়ে নানাভাবে পোস্টার বানিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয় । একই সাথে চলতে থাকে অর্থ সংগ্রহ আর তোহফাকে বাঁচানোর চিকিত্সা সফল করার নিরন্তর প্রচেষ্টা ।
ইতোমধ্যে হাসপাতালে পা পিছলে পড়ে তোহফার মায়ের পা ভেঁঙ্গে যায় । তাঁকে পায়ে ট্রাকশন দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় হাসপাতালের বিছানায় ।
ওদিকে বাচ্চা মেয়েটা একা একা হাসপাতালের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাগলের মতো ছুটে বেড়ায় । প্রায় সজ্ঞানে করা হয় বোনম্যেরোর পরীক্ষা নিরীক্ষা । জীবিত অবস্থায় হাড়ের ভেতর থেকে বেরিয়ে আনা হয় অস্থিমজ্জা!
দেখতে দেখতে দু'বছর কেটে গেলো, অপারেশান করতে হবে কিন্তু ফিটনেসের অভাবে আরও তিনমাস অপেক্ষা করতে হলো ।
একসময় ঘনিয়ে এলো অপারেশানের দিন!
আমেরিকা থেকে আসা যাওয়ার বিমান ভাড়া এবং থাকা খাওয়ার খরচ দিয়ে ডোনার আনা হলো, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য । নির্ধারিত দিনে অস্ত্রোপচার শুরু হলো । দীর্ঘমেয়াদী অস্ত্রোপচার, একদিকে ডোনারের অস্থিমজ্জা তোহফার শরীরে দেয়া হবে, অন্যদিকে ওর শরীরের সমস্ত রক্ত অন্যপথে বদলে দেয়া হবে । নয় ঘন্টাব্যাপী অপারেশান হলো । এই অপারেশানে খরচ হলো এক কোটি সাত লক্ষ টাকা । এই টাকার সিংহভাগই তোহফাকে ভালবেসে তার চেনা-অচেনা, কাছের-দূরের মানুষগুলো একটু একটু করে পাঠিয়েছে ।
অপারেশান সফল হলো । দীর্ঘ ছয় মাস বেড রেস্টের পর মোটামুটি সুস্থ হলো সে । তিন বছর পর আবার স্কুলে আসতে শুরু করেছে, জীবনটাকে নতুন করে সাজাতে শুরু করেছে ।
যে দেশের মানুষ একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করে, একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরে, সে দেশের মানুষের পক্ষেই সম্ভব ভালোবাসা দিয়ে জীবন ফিরিয়ে আনার নিরন্তর চেষ্টা করে যাওয়া ।
শিক্ষণীয়: ভালো কাজ করার জন্য অনেক বেশি অর্থ, সম্পদ বা বয়সের দরকার হয় না, দরকার ভালো মন মানসিকতার। সবসময় সামর্থ্য অনুযায়ী বিপদগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করা উচিত, একটু হলেও ভালো কাজ করা উচিত ।আমাদের সাহায্যের একটি টাকায়ও অনেক সময় জীবনের আলো ফিরে পেতে পারে মৃত্যু পথযাত্রী মানুষটির প্রাণ ।
গল্পসমগ্র : এসো গল্প পড়ি, উন্নত জীবন গড়ি
প্রকাশকাল: একুশে বইমেলা-২০১৮
প্রকাশনী : বিশ্বসাহিত্য ভবন
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ : কাজী মাইশা যয়নব
জিনাতুননেছা জিনাত
তোহফা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে, সম্প্রতি তার ব্লাড ক্যান্সার (লিউকেমিয়া ) ধরা পড়েছে ৷ তিন বোন এক ভাইয়ের সংসারে সে মেজো মেয়ে, বড় বোন বুশরা দশম শ্রেণীতে পড়ে । ছোট বোন তিতলি, তৃতীয় শ্রেণীতে আর ভাই সিয়াম একেবারে ছোট, স্কুলে ভর্তি হয়নি এখনও ৷ তোহফার বাবা একটা ছোট-খাট ব্যবসা করেন, মা গৃহিনী ৷
তিন মেয়ের পড়াশুনা, বাসা ভাড়া এবং অন্যান্য সংসার খরচ, সব মিলিয়ে মোটামুটি ভাবে সংসার চলে তাদের । এর মধ্যে এই আকস্মিক দু:সংবাদে বাবা-মায়ের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ! কোথায় পাবেন চিকিৎসার এতো খরচ ?
চোখের সামনে মেয়েটাকে বিনা চিকিত্সায় মরতেও তো দিতে পারেন না, কি করবেন এখন ?
সাত পাঁচ ভেবে ভেবে অবশেষে হাতে যে তুচ্ছ সম্বল ছিলো সেটা দিয়েই চিকিৎসা শুরু হলো ৷ টেস্ট আর টেস্ট, এতেই তো খরচের শেষ নেই, তার উপর ডাক্তররা বললেন -ওর এখন যা অবস্থা তাতে এখানে আর ভালো করা কঠিন, বরং আপনারা চাইলে ওকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে কোথাও নিয়ে যেতে পারেন ।
প্রতিবশী, আত্মীয়- স্বজনদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই বললো-চেন্নাই বা ভ্যালোরে নিয়ে যান, সেখানে চিকিৎসা করানোটা তোহফার জন্য ভালো হবে ৷
গ্রামে যে অল্প কিছু জমিজমা ছিলো তাও বিক্রি করে ফেললো । চারদিকে নানাজনের নানা কথাবার্তায় তোহফার পরিবার দিশাহারা ! আত্মীয়-স্বজন , প্রতিবেশীদের কেউ কেউ আবার বলতে শুরু করলো- এ কি যে সে রোগ! ক্যানসার গো ক্যানসার! ভালো তো হবেই না, মাঝখান থেকে পুরো সংসারটা পথে গিয়ে বসবে । তোমাদের তো আরও তিনটে ছেলেমেয়ে আছে, তাদের কথা ভাববে না ?
চারপাশের মানুষগুলোর স্বভাব বড্ড বেশি বিচিত্র! পরামর্শ দাতারও কোনো অভাব নেই । কতো সহজে যে তারা বলতে শুরু করলো, যে ক'দিন আয়ু আছে সে ক'দিন তো এমনিই বাঁচবে, খামাখা মেয়েটাকে নিয়ে টানাটানি করো না তো !
বাবা মায়ের মন মানে না ! তাই বলে আমরা বেঁচে থাকতে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে মেয়েটা ?
দু:সংবাদ বাতাসের আগে যায় ! তোহফার স্কুলে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লো খবরটা ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুটা সাহায্যের আশ্বাস দিলেন ৷ সাময়িক কিছু টাকারও ব্যবস্থা করে দেয়া হলো ।
বাবা-মা তোহফাকে নিয়ে চেন্নাই রওনা হলো ৷
শুরু হলো তোহফার ক্যান্সারের চিকিৎসা, জীবন বাঁচানোর লড়াই ৷ ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদী । ডাক্তার বললেন- তিন বছর চিকিৎসা করতে হবে ৷ একদিকে ক্যান্সারের জীবাণুকে বাড়তে না দেবার চেষ্টা, অন্যদিকে শরীরের যাবতীয় কর্মকান্ড ঠিক রেখে ফিটনেস বাড়ানো, কারণ ওর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হবে ৷
তুচ্ছ সম্বল নিয়ে ওরা ভ্যালোরে গিয়ে মেয়ের শুরু করলো ৷ যেমন রাজকীয় রোগ তেমনই রাজকীয় তার চিকিৎসা ৷ বাচ্চা মেয়েটার বেঁচে থাকার যুদ্ধ চলতে থাকে ...মাঝে মাঝে দেশে ওর স্কুলে, পরিচিত মহলে খবর আসতে থাকে, কখনও একটু আধটু ভালো খবর, কখনও খারাপ খবর ৷ বাবা মায়ের দু:শ্চিন্তার কোনো শেষ নেই, কোথায় পাবেন এতো টাকা ?
আমেরিকা থেকে অস্থিমজ্জার জন্য ডোনার আনতে হবে ।তার সাথে রক্ত, টিস্যুর ম্যাচিংসহ যাবতীয় খরচ রোগীর পরিবারকেই বহন করতে হবে । শারীরিক, মানসিক, আর্থিক কষ্টে পুরো পরিবারটিই ছিন্ন ভিন্ন হতে বসেছে । অন্য তিনটি বাচ্চাদের দিকে তাকানোর কোন ফুরসত নেই বাবা মায়ের । মা- বাবা দু’জনই দিনের পর দিন তোহফাকে নিয়ে কোনমতে ভ্যালোরে পার করতে থাকেন দু:খ, কষ্টের কঠিন সময় ।
এদিকে তোহফার এই খবর জানার পর স্কুলে ওর শিক্ষক, সহপাঠী ও অভিভাবক মহলে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় । শুরু হয় তোহফাকে বাঁচানোর সংগ্রাম । যে যেভাবে পারে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করতে থাকে ।
কখনও "ফিরবে তোহফা, বাঁচবে মানবতা", আবার কখনও "তোহফাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসুন", এ ধরণের আকুতি নিয়ে নানাভাবে পোস্টার বানিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয় । একই সাথে চলতে থাকে অর্থ সংগ্রহ আর তোহফাকে বাঁচানোর চিকিত্সা সফল করার নিরন্তর প্রচেষ্টা ।
ইতোমধ্যে হাসপাতালে পা পিছলে পড়ে তোহফার মায়ের পা ভেঁঙ্গে যায় । তাঁকে পায়ে ট্রাকশন দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় হাসপাতালের বিছানায় ।
ওদিকে বাচ্চা মেয়েটা একা একা হাসপাতালের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাগলের মতো ছুটে বেড়ায় । প্রায় সজ্ঞানে করা হয় বোনম্যেরোর পরীক্ষা নিরীক্ষা । জীবিত অবস্থায় হাড়ের ভেতর থেকে বেরিয়ে আনা হয় অস্থিমজ্জা!
দেখতে দেখতে দু'বছর কেটে গেলো, অপারেশান করতে হবে কিন্তু ফিটনেসের অভাবে আরও তিনমাস অপেক্ষা করতে হলো ।
একসময় ঘনিয়ে এলো অপারেশানের দিন!
আমেরিকা থেকে আসা যাওয়ার বিমান ভাড়া এবং থাকা খাওয়ার খরচ দিয়ে ডোনার আনা হলো, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য । নির্ধারিত দিনে অস্ত্রোপচার শুরু হলো । দীর্ঘমেয়াদী অস্ত্রোপচার, একদিকে ডোনারের অস্থিমজ্জা তোহফার শরীরে দেয়া হবে, অন্যদিকে ওর শরীরের সমস্ত রক্ত অন্যপথে বদলে দেয়া হবে । নয় ঘন্টাব্যাপী অপারেশান হলো । এই অপারেশানে খরচ হলো এক কোটি সাত লক্ষ টাকা । এই টাকার সিংহভাগই তোহফাকে ভালবেসে তার চেনা-অচেনা, কাছের-দূরের মানুষগুলো একটু একটু করে পাঠিয়েছে ।
অপারেশান সফল হলো । দীর্ঘ ছয় মাস বেড রেস্টের পর মোটামুটি সুস্থ হলো সে । তিন বছর পর আবার স্কুলে আসতে শুরু করেছে, জীবনটাকে নতুন করে সাজাতে শুরু করেছে ।
যে দেশের মানুষ একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করে, একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরে, সে দেশের মানুষের পক্ষেই সম্ভব ভালোবাসা দিয়ে জীবন ফিরিয়ে আনার নিরন্তর চেষ্টা করে যাওয়া ।
শিক্ষণীয়: ভালো কাজ করার জন্য অনেক বেশি অর্থ, সম্পদ বা বয়সের দরকার হয় না, দরকার ভালো মন মানসিকতার। সবসময় সামর্থ্য অনুযায়ী বিপদগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করা উচিত, একটু হলেও ভালো কাজ করা উচিত ।আমাদের সাহায্যের একটি টাকায়ও অনেক সময় জীবনের আলো ফিরে পেতে পারে মৃত্যু পথযাত্রী মানুষটির প্রাণ ।
গল্পসমগ্র : এসো গল্প পড়ি, উন্নত জীবন গড়ি
প্রকাশকাল: একুশে বইমেলা-২০১৮
প্রকাশনী : বিশ্বসাহিত্য ভবন
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ : কাজী মাইশা যয়নব