শতকথা

এবারের ঈদছুটিতে ঘুরে আসুন নাসিরনগরে :: - শাহরিয়ার কাসেম

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">

<script id="GNR37356">
    (function (i,g,b,d,c) {
        i[g]=i[g]||function(){(i[g].q=i[g].q||[]).push(arguments)};
        var s=d.createElement(b);s.async=true;s.src=c;
        var x=d.getElementsByTagName(b)[0];
        x.parentNode.insertBefore(s, x);
    })(window,'gandrad','script',document,'//content.green-red.com/lib/display.js');
    gandrad({siteid:12258,slot:37356});
</script>
<br />
<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg0l41VZqr9AZX8k76zyLgQ84BOn4vTyhP25X2NrqLPC2J1VcCW6sN-TPtopvA6PdpgvfmnR029uM9fR0nzKv5986EMdIK11tsv-DNaXOnMBpWTK2LIwx-O_Ln8vjzqognbZyz5-gaXGYWC/s1600/11.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="ভ্রমণ নাসির নগর" border="0" data-original-height="412" data-original-width="730" height="180" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg0l41VZqr9AZX8k76zyLgQ84BOn4vTyhP25X2NrqLPC2J1VcCW6sN-TPtopvA6PdpgvfmnR029uM9fR0nzKv5986EMdIK11tsv-DNaXOnMBpWTK2LIwx-O_Ln8vjzqognbZyz5-gaXGYWC/s320/11.jpg" title="শাহরিয়ার কাসেম" width="320" /></a></div>
<div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px;">
এবারের ঈদছুটিতে ঘুরে আসুন নাসিরনগরে।<br />
ছবি ও লেখক:- শাহরিয়ার কাসেম</div>
<div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশে প্রাকৃতির গোলযোগে এখন আর ছয় ঋতুকে একেক ভাবে চিহ্নিত করা যায়না। অনুভব করা যায়না প্রতিটি ঋতুর স্পর্শ। রৌদ্রতাপ গ্রীষ্ম, টিনের ছালে টিপটিপ শব্দে বৃষ্টির আগমনে সজল বর্ষা, স্নেহময়ী শরৎ, সুমঙ্গলা হেমন্ত, ত্যাগব্রতী শীত এবং নন্দের অমৃত বসন্ত যেন এখন খুঁজে বের করতে হয়। তবে নাসিরনগর বড় বৈচিত্র্যময়। আকাশ নদীর সাথে চলে তাঁর মিতালি। ফসলি মাঠের সাথে কিষাণে দৃঢ় সখ্যতা। উজানের মাঝি মাল্লার নাউ ভাটিয়ালি গান<span class="text_exposed_show" style="display: inline; font-family: inherit;"> গেয়ে পাল তোলে যায় নাইওরী নিয়ে। হইহুল্লোরে বুনোহাঁসের মত পানিতে গা ভাসায় দুষ্ট ছেলের দল। জেলেরা মাছ ধরছে রাত- বিরাতে।</span></div>
<div class="text_exposed_show" style="background-color: white; color: #1d2129; display: inline; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px;">
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px;">
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিকে নাসিরনগর এক ধাপ এগিয়ে। কারণ শতবর্ষী জমিদারবাড়ী গুলোর স্হাপনা দেখলে তা হয়ত সহজেই বোধগম্য হয়। বিশেষ করে হরিপুর জমিদারবাড়ি ও বুড়িশ্বর সুকুমার দেব রায়ের জমিদারবাড়ির নকশা ও শৈল্পিক কারুকাজই সে সময়ের সাক্ষী দেয়। এবং রয়েছে মুগল আমলের মসজিদ, মন্দির।</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
ফান্দাউকের একপাশে নির্জন এলাকায় অবস্হিত কালীমন্দির। এই শতবর্ষী মন্দির বলভদ্র সেতুর উপড় থেকে দেখলে মনে হবে যেন কোন দ্বীপ ভেসে উঠেছে। শেষ বিকেলে এই মনোরম ব্রিজে সময় কাটায় বহু দর্শনার্থী।</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামে অবস্থিত রাজবাড়ী। এটি হরিপুর জমিদার বাড়ি বা হরিপুর রাজবাড়ি নামেও পরিচিত। তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে অবস্থিত বাড়িটি। এটি গ্রামের দক্ষিণ পার্শ্বে এবং নাসিরনগর সদর হতে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে তথা নাসিরনগর উপজেলা ও মাধবপুর উপজেলার সংযোগ পথে অবস্থিত।</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
প্রাসাদটির ভৌগোলিক অবস্থান ২৪ ডিগ্রী ৬'২৯.৪১" উঃ,৯১ ডিগ্রী ১৫'২৬.৩৪" পূঃ। এটির মালিক এবং পরিচালকবর্গ হলো বাংলাদেশ সরকার। জানা যায়,১৮শ শতাব্দীতে প্রাসাদটি জমিদার কৃষ্ণপ্রসাদ রায় চৌধুরী (১৮৭০-১৯৩৬) কর্তৃক নির্মিত হয়েছিলো। তবে কারো মতে এটি গৌরীপ্রসাদ রায় চৌধুরী' এবং কৃষ্ণপ্রসাদ রায় চৌধুরী মিলিত ভাবে করেছেন।</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
প্রাকৃতিক দিক দিয়ে নাসিরনগরকে বিচার করলে শতভাগ প্রাপ্তি তাঁরই। ঋতুর পালা বদল যেখানে নিয়ম করে হয়। বর্ষায় খাল, বিল, নদী নালা, হাওর, বাওর পানিতে টলমল। চৈত্রের রোদে মাটি ফেটে খা খা।</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
সারা বাংলাদেশের মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিতি লাভ করে অাছে নাসিরনগরের কুন্ডা-ধরন্তী মধ্যবর্তী জায়গাটুকু। বিশাল হাওয়ারের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে এক সরু পথ। শেষ বিকেলে দল বেঁধে জমা হয় বহু দর্শনার্থী। তাঁরা গায়ে লাগায় নির্মূল বায়ু। বহুদূর থেকে ভেসে অাছে ঢেউ। ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ শুনতে বেশ ভালই লাগে অাগত মানুষদের।</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
নাসিরনগরের ডাকাবাংলোর কথা জানে অনেকেই। লঙ্গনের তীরে অবস্হিত ডাকাবাংলো। সারি সারি গাছে বেষ্টিত এর পুরো এলাকা। এখান থেকে বসেই দেখায় রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে থাকা অশ্বত্থ। অশ্বত্থের পাশ দিয়ে বেয়ে যায় সারি সারি ছোট বড় নৌকা অার অাকাশে ডানা মেলে উড়ে চিল। যেন নৈসর্গিক সুন্দরের ভূমি।</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
কিভাবে যাবেন:- যে কোন যায়গা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন অতবা সরাইল বিশ্বরোড। রেলস্টেশন বা বিশ্বরোড থেকে সিএনজি যোগে নাসিরনগর।<br />
অন্যথায়:-<br />
নোয়াপাড়া রেলস্টেশন অথবা রতনপুর বিশ্বরোড থেকে সিএনজি যোগে নাসিরনগর।<br />

<script id="GNR37356">
    (function (i,g,b,d,c) {
        i[g]=i[g]||function(){(i[g].q=i[g].q||[]).push(arguments)};
        var s=d.createElement(b);s.async=true;s.src=c;
        var x=d.getElementsByTagName(b)[0];
        x.parentNode.insertBefore(s, x);
    })(window,'gandrad','script',document,'//content.green-red.com/lib/display.js');
    gandrad({siteid:12258,slot:37356});
</script>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQF3x_M08DU_k53Bko1t2F1S4YO-e2-UUYkq4xvox16SLFHk_HuoO_3cO5WOduAlw3ejC0dFbBk1I0VQ_IfMowbEoFcYvcuci8aiwrVDliiiT36zaOtx03pKbG45xBBqc4s0q3JYhbIUss/s1600/20496478_1954905008120452_1744619096_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="শাহরিয়ার কাসেম" border="0" data-original-height="540" data-original-width="960" height="180" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgQF3x_M08DU_k53Bko1t2F1S4YO-e2-UUYkq4xvox16SLFHk_HuoO_3cO5WOduAlw3ejC0dFbBk1I0VQ_IfMowbEoFcYvcuci8aiwrVDliiiT36zaOtx03pKbG45xBBqc4s0q3JYhbIUss/s320/20496478_1954905008120452_1744619096_n.jpg" title="শাহরিয়ার কাসেম" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiAmXZ9E_vKcVgCFwxvO0Bp5J4UdbLxGZzZ2Z5ff8RSQvjf8lVUkM4s_0NQOWKkAdDSLTErw6RHVIRE3m2_Cby6vcof6FhwDqW4Mc2lduSAruRckN4CDvwT-p711NTLTJArXi-cv0-bv_9S/s1600/21175080_1967600893517530_1367969509_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="এবারের ঈদ ছুটিতে ঘুরে আসুন নাসিরনগরে" border="0" data-original-height="312" data-original-width="552" height="180" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiAmXZ9E_vKcVgCFwxvO0Bp5J4UdbLxGZzZ2Z5ff8RSQvjf8lVUkM4s_0NQOWKkAdDSLTErw6RHVIRE3m2_Cby6vcof6FhwDqW4Mc2lduSAruRckN4CDvwT-p711NTLTJArXi-cv0-bv_9S/s320/21175080_1967600893517530_1367969509_n.jpg" title="এবারের ঈদ ছুটিতে ঘুরে আসুন নাসিরনগরে" width="320" /></a></div>
 
<script id="GNR37356">
    (function (i,g,b,d,c) {
        i[g]=i[g]||function(){(i[g].q=i[g].q||[]).push(arguments)};
        var s=d.createElement(b);s.async=true;s.src=c;
        var x=d.getElementsByTagName(b)[0];
        x.parentNode.insertBefore(s, x);
    })(window,'gandrad','script',document,'//content.green-red.com/lib/display.js');
    gandrad({siteid:12258,slot:37356});
</script>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiR4aqv1MGqetLHr3TgkQIKb7YxMN36Bp3-wcBzG9MS4hYq-jFePlVqDr_xdBdpHbyXzpiz6AyQbwBMi47DTZa3Ho0rWVN8yeTLWZjb5gFx_tFWupK-zke28wIDCOWxcvEQ4cRIYqiMwn16/s1600/21191287_1967600910184195_2005731641_o.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="662" data-original-width="1600" height="132" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiR4aqv1MGqetLHr3TgkQIKb7YxMN36Bp3-wcBzG9MS4hYq-jFePlVqDr_xdBdpHbyXzpiz6AyQbwBMi47DTZa3Ho0rWVN8yeTLWZjb5gFx_tFWupK-zke28wIDCOWxcvEQ4cRIYqiMwn16/s320/21191287_1967600910184195_2005731641_o.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg0-LQdTvYOcJgBhcD0Xnn9PJ9XdmkBy-aHQ46e7GrMtub1hoZ5SbAoanL3J2fcMi77CgPHWUhHwYPvHpSsnim8y9kVtO0-hzqbFLagTnurmLjAQpzk5sQX75G31-mwArzAtSwqnbZGUM99/s1600/21208333_1967600946850858_2122339519_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="এবারের ঈদ ছুটিতে ঘুরে আসুন নাসিরনগরে" border="0" data-original-height="540" data-original-width="960" height="180" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg0-LQdTvYOcJgBhcD0Xnn9PJ9XdmkBy-aHQ46e7GrMtub1hoZ5SbAoanL3J2fcMi77CgPHWUhHwYPvHpSsnim8y9kVtO0-hzqbFLagTnurmLjAQpzk5sQX75G31-mwArzAtSwqnbZGUM99/s320/21208333_1967600946850858_2122339519_n.jpg" title="এবারের ঈদ ছুটিতে ঘুরে আসুন নাসিরনগরে" width="320" /></a></div>
<br /></div>
</div>
</div>
</div>

এবারের ঈদছুটিতে ঘুরে আসুন নাসিরনগরে :: - শাহরিয়ার কাসেম

এবারের ঈদছুটিতে ঘুরে আসুন নাসিরনগরে। ছবি ও লেখক:- শাহরিয়ার কাসেম ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশে প্রাকৃতির গোলযোগে এখন আর ছয় ঋতুকে একেক ভাবে ...

আরও পড়ুন »

বিদ্রোহী কবির বিদ্রোহী কবিতা : বিদ্রোহী - কাজী নজরুল ইসলাম

Unknown কাজী নজরুল ইসলাম ৯:০২:০০ AM

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="" data-block="true" data-editor="7c5vh" data-offset-key="72s31-0-0" style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; white-space: pre-wrap;">
<h3 style="font-family: inherit; position: relative; text-align: left;">
<span data-offset-key="72s31-0-0" style="font-family: inherit;"><a class="rg_l" href="https://www.google.com.bd/imgres?imgurl=http%3A%2F%2Fbangla.newsnextbd.com%2Fwp-content%2Fuploads%2F2017%2F04%2F9-3.jpg&imgrefurl=http%3A%2F%2Fbangla.newsnextbd.com%2F%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2596%25E0%25A7%258B-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25A3%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A0%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25B9%25E0%25A7%2580-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25AC%2F&docid=THRcQvPw1-w1KM&tbnid=kk1EhbL4WXM8QM%3A&vet=10ahUKEwiQjdXh4_fVAhVCLY8KHSY1BBMQMwg5KBIwEg..i&w=600&h=300&bih=613&biw=1366&q=%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A7%80%20%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE&ved=0ahUKEwiQjdXh4_fVAhVCLY8KHSY1BBMQMwg5KBIwEg&iact=mrc&uact=8" jsaction="fire.ivg_o;mouseover:str.hmov;mouseout:str.hmou" jsname="hSRGPd" rel="noopener" style="background: rgb(184, 104, 37); color: #660099; cursor: pointer; display: inline-block; font-family: arial, sans-serif; font-size: 0px; font-weight: normal; height: 159px; left: 0px; position: absolute; text-decoration-line: none; white-space: normal; width: 299px;"><img alt="বিদ্রোহী কবিতা এর চিত্র ফলাফল" class="rg_ic rg_i" data-src="https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcTedzEqYttRfdQrxv2XR_ErEyvB5E9YASY6_vPFf8cMlfvyUpSD" data-sz="f" jsaction="load:str.tbn" name="kk1EhbL4WXM8QM:" src="https://encrypted-tbn0.gstatic.com/images?q=tbn:ANd9GcTedzEqYttRfdQrxv2XR_ErEyvB5E9YASY6_vPFf8cMlfvyUpSD" style="border: 0px; color: rgba(0, 0, 0, 0); display: block; height: 159px; margin-left: 0px; margin-right: -19px; margin-top: 0px; width: 318px;" /></a></span></h3>
<h3 style="font-family: inherit; position: relative; text-align: left;">
<span data-offset-key="72s31-0-0" style="font-family: inherit;"><br /></span></h3>
<h3 style="font-family: inherit; position: relative; text-align: left;">
<span data-offset-key="72s31-0-0" style="font-family: inherit;"><br /></span></h3>
<h3 style="font-family: inherit; position: relative; text-align: left;">
<span data-offset-key="72s31-0-0" style="font-family: inherit;"><br /></span></h3>
<h3 style="font-family: inherit; position: relative; text-align: left;">
<div style="font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: normal; margin-bottom: 6px; white-space: normal;">
বিদ্রোহী </div>
<div style="font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: normal; margin-bottom: 6px; white-space: normal;">
-কাজী নজরুল ইসলাম<br />বল বীর-<br />বল উন্নত মম শির!<br />শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!<br />বল বীর-<br />বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি<br />চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি<br />ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া<br />খোদার আসন আরশ ছেদিয়া,<br />উঠিয়াছি চিরবিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!<br />মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!<br />বল বীর-<br />আমি চির উন্নত শির!</div>
<div style="font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: normal; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; white-space: normal;">
আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,<br />মহা-প্রলয়ের আমি নটরাজ,আমি সাইক্লোন,আমি ধ্বংস!<br />আমি মহাভয়,আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,<br />আমি দুর্বার,আমি ভেঙে করি সব চুরমার!<br />আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,আমি দ’লে যাই যত বন্ধন,যত নিয়ম কানুনশৃঙ্খল!<br />আমি মানি না কো কোন আইন,<br />আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো,আমি ভীম ভাসমান মাইন!<br />আমি ধূর্জটি,আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর<br />আমি বিদ্রোহী,আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!<br />বল বীর-<br />চির-উন্নত মম শির!</div>
<div style="font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: normal; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px; white-space: normal;">
আমি ঝঞ্ঝা,আমি ঘূর্ণি,<br />আমি পথ-সমুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’।<br />আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,<br />আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।<br />আমি হাম্বার,আমি ছায়ানট,আমি হিন্দোল<br />আমি চল-চঞ্চল,ঠমকি’ ছমকি’<br />পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’<br />ফিং দিয়া দিই তিন দোল ;<br />আমি চপলা-চপল হিন্দোল।<br />আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা<br />করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা<br />আমি উন্মাদ,আমি ঝঞ্ঝা!<br />আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর;<br />আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।<br />বল বীর-<br />আমি চির-উন্নত শির!</div>
<div style="display: inline; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; font-weight: normal; margin-top: 6px; white-space: normal;">
আমি চিরদুরন্ত দুর্মদ,<br />আমি দুর্দম, মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম্ হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ।<br />আমি হোমশিখা, আমি সাগ্নিক জমদগ্নি,<br />আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি<br />আমি সৃষ্টি আমি ধ্বংস আমি লোকালয় আমি শ্মশান,<br />আমি অবসান নিশাবসান।<br />আমি ইন্দ্রাণীসুত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য<br />মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতূর্য;<br />আমি কৃষ্ণকন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা-বারিধির।<br />আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।<br />বল বীর –<br />চির-উন্নত মম শির!<br />আমি সন্ন্যাসী, সুর-সৈনিক,<br />আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক।<br />আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস<br />আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!<br />আমি বজ্র আমি ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার<br />আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা হুঙ্কার<br />আমি পিণাক-পাণির ডমরু ত্রিশূল, ধর্মরাজের দন্ড<br />আমি চক্র ও মহা শঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ প্রচন্ড!<br />আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, বিশ্বামিত্র-শিষ্য<br />আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব।<br />আমি প্রাণ-খোলা হাসি উল্লাস– আমি সৃষ্টিবৈরী মহাত্রাস,<br />আমি মহা প্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু গ্রাস!<br />আমি কভূ প্রশান্ত-কভূ অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী<br />আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্পহারী!<br />আমি প্রভঞ্জনের উচ্ছ্বাস, আমি বারিধির মহা কল্লোল<br />আমি উজ্জ্বল, আমি প্রোজ্জ্জ্বল,<br />আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল-ঊর্মির হিন্দোল-দোল!<br />আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেণু, তন্বী-নয়নে বহ্ণি<br />আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি!<br />আমি উন্মন মন উদাসীর,<br />আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা হুতাশ আমি হুতাশীর।<br />আমি বন্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারাযত পথিকের<br />আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ–জ্বালা, প্রিয় লান্চিত বুকে গতি ফের<br />আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়<br />চিত চুম্বন-চোর কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর!<br />আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল-ক’রে দেখা অনুখন<br />আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা তা’র কাঁকন-চুড়ির কন্-কন্!<br />আমি চির-শিশু, চির-কিশোর<br />আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচড় কাঁচলি নিচোর!<br />আমি উত্তর-বায়ু মলয়-অনিল উদাস পূরবী হাওয়া<br />আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণেগান গাওয়া।<br />আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি<br />আমি মরু-নির্ঝর ঝর ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়া-ছবি!<br />আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি, এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ!<br />আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!<br />আমি উথ্থান আমি পতন,<br />আমি অচেতন-চিতে চেতন,<br />আমি বিশ্ব-তোরণে বৈজয়ন্তী, মানব-বিজয়া-কেতন।<br />ছুটি ঝড়ের মতন করতালি দিয়া<br />স্বর্গ মর্ত্য-করতলে<br />তাজী বোররাক আর উচ্চৈঃশ্রবা বাহন আমার<br />হিম্মত-হ্রেষা হেঁকে চলে!<br />আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নিয়াদ্রি, বাড়াব-বহ্ণি, কালানল<br />আমি পাতালে মাতাল অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল!<br />আমি তড়িতে চড়িয়া উড়ে চলি জোর তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ,<br />আমি ত্রাস সন্চারি ভুবনে সহসা সন্চারি ভূমিকম্প।<br />ধরি বাসুকির ফণা জাপটি-<br />ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনেরপাখা সাপটি।<br />আমি দেব শিশু আমি চঞ্চল,<br />আমি ধৃষ্ট আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব মায়ের অন্চল!<br />আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,<br />মহা- সিন্ধু উতলা ঘুমঘুম<br />ঘুম চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝঝুম<br />মম বাঁশরীর তানে পাশরি<br />আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।<br />আমি রুষে উঠি’ যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,<br />ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!<br />আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!<br />আমি শ্রাবণ-প্লাবন-বন্যা,<br />কভু ধরনীরে করি বরণীয়া, কভু বিপুল ধ্বংস-ধন্যা<br />আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!<br />আমি অন্যায় আমি উল্কা আমি শনি,<br />আমি ধূমকেতু-জ্বালা, বিষধর কাল-ফণী!<br />আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী আমি রণদা সর্বনাশী,<br />আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!<br />আমি মৃন্ময় আমি চিন্ময়<br />আমি অজর অমর অক্ষয় আমি অব্যয়।<br />আমি মানব দানব দেবতার ভয়,<br />বিশ্বের আমি চির-দুর্জয়,<br />জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,<br />আমি তাথিয়া তাথিয়া মাথিয়া ফিরি স্বর্গ-পাতাল মর্ত্য!<br />আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!!<br />আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়াগিয়াছে সব বাঁধ!!<br />আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার<br />নিঃক্ষত্রিয়া করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!<br />আমি হল বলরাম-স্কন্ধে<br />আমি উপাড়ি’ ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে।<br />মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত<br />আমি সেই দিন হব শান্ত,<br />যবে উত্পীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না –<br />অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না-<br />বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত<br />আমি সেই দিন হব শান্ত।<br />আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,<br />আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!<br />আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!<br />আমি খেয়ালী-বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!<br />আমি চির-বিদ্রোহী বীর-<br />বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির ।।</div>
</h3>
</div>
</div>

<script id="GNR37356">
    (function (i,g,b,d,c) {
        i[g]=i[g]||function(){(i[g].q=i[g].q||[]).push(arguments)};
        var s=d.createElement(b);s.async=true;s.src=c;
        var x=d.getElementsByTagName(b)[0];
        x.parentNode.insertBefore(s, x);
    })(window,'gandrad','script',document,'//content.green-red.com/lib/display.js');
    gandrad({siteid:12258,slot:37356});
</script>
</div>

বিদ্রোহী কবির বিদ্রোহী কবিতা : বিদ্রোহী - কাজী নজরুল ইসলাম

বিদ্রোহী -কাজী নজরুল ইসলাম বল বীর- বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির! বল বীর- বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ...

আরও পড়ুন »

খাব্বাব, আমার উপন্যাসের নায়ক, অতপর... ।। নাসীমুল বারী।।

Unknown গল্প ১১:২৪:০০ AM

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhAudRKBJ55A7COOnTB5ckJHUeE4Pwa7nj0TJm8dWJXyJ1zs4Jscn-JMeGEO0EDMDtLXcMwT1cf6uhe9KMZHmtcil4MYNy5aczGVl_qlevzS0CUl4mg-r5NohMQrAdqBpMZO8_LyUaTn0Ye/s1600/FB_IMG_1502994003266.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="542" data-original-width="552" height="314" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhAudRKBJ55A7COOnTB5ckJHUeE4Pwa7nj0TJm8dWJXyJ1zs4Jscn-JMeGEO0EDMDtLXcMwT1cf6uhe9KMZHmtcil4MYNy5aczGVl_qlevzS0CUl4mg-r5NohMQrAdqBpMZO8_LyUaTn0Ye/s320/FB_IMG_1502994003266.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
খাব্বাব, আমার উপন্যাসের নায়ক, অতপর...<br />
।। নাসীমুল বারী।।<br />
<br />
তখনও সমুদ্রে বোটে নেভির দুজন ডুবুরিসহ আমি। নেভির স্পেশাল পাম্পস্পিড বোটে লেফেটেন্যান্ট কমান্ডার রায়হান আল বেরুনি একজন ডুবুরি নামিয়ে খুঁজছেন ওকে। এটাই শেষ প্রচেষ্টা। তারপর কী হবে জানি না। কান্না আসছিল বার বার। চাপিয়ে রাখছি; কষ্ট হচ্ছে খুব। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- নেভি উদ্ধার অভিযান শেষ করলেও আমি আরো দুদিন এখানে থেকে ওকে উদ্ধার করে যাব। ওকে তো আমাকে উদ্ধার করতেই হবে। ওতো আমার শুধু ভাগিনা নাকীব মোহাম্মদ খাব্বাবই নয়- আমার উপন্যাসের নায়কও।<br />
<br />
এই তো কানে এখনো ভাসছে ঈদের ক'দিন আগের কথাটা। চুয়েট থেকে এসেছে ঈদের ছুটিতে। ওদের বাসায় আমার দেখা হলো। আমাকে দেখেই বল, মামা আমি বড় হয়ে গেছি, এ জন্যেই মনে হয় খোঁজও রাখেন না, আদরও পাই না।<br />
<br />
আমি একটু ধমকের সুরে বললাম, কে বলল এ কথা। তোর মাকে জিজ্ঞস কর, আমি তোর নিয়মিত খোঁজ রাখি কিনা। তোকেই তো আমার উপন্যাসের নায়ক বানিয়েছি। আর কাউকে করছি?<br />
<br />
আসলেও তাই। আমার কিশোর রহস্যোপন্যাস 'দানবের কবলে ওরা'। এর প্রধান চরিত্র, নায়ক 'খাব্বাব'।<br />
<br />
ও ছিল চঞ্চল। ছিল বুদ্ধিদীপ্ত। ভুত-প্রেতে কোনো ভয় ছিল না। আর আমার কাছে অনেক বায়নার একটি ছিল ভয়ংকর ভূতের গল্প যেন শুনাই। কৈশোরিক তার এ চরিত্রগুলো আমার ভাল লাগত। তাকে গল্প শোনাতে আর আমার ভাল লাগাকে মিলিয়ে লিখে পেললাম 'দানবের কবলে ওরা'। নায়ক তাই সে।<br />
<br />
আজ, এই তো এখন খব্বাব আমার সামনে। নেভির স্পিডবোটে নিথর দেহে পড়ে আছে। উহ্...। হাউমাউ কাঁদতে পারলাম না; অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিলাম। লেফেটেন্যান্ট কমান্ডার রায়হান আল বেরুনি ডেকে বলেন, মামা কোথায়?<br />
<br />
আমি শান্তকণ্ঠে বলি, এই তো।<br />
<br />
-দেখেন তো আপনার লোক কিনা?<br />
<br />
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলি, হাঁ, হাঁ ওই তো খাব্বাব।<br />
<br />
চোখের নোনাজল পড়ছে বেয়ে। সমুদ্রের নোনা জল এগুলো- যেখানে খাব্বাবের চোখের সব নোনা জল মিশে আছে তাতে। আর বেরুবে না কখনো।<br />
<br />
তারপর....<br />
<br />
না, তারপরের কথা আর বলতে পারব না। আজ সকালে আমার উপন্যাসের নায়ক 'খাব্বাব'-এর সমাপ্তিটা অনেকের সাথে আমিও করে এলাম। সারাদিন মনটা গুমরে কেটেছে। খুব একটা কথা বলি নি কারো সাথে।<br />
<br />
আল্লাহ যেন তাকে ক্ষমা করে। সবার কাছে তার জন্য চাওয়া এখন দোয়া।<br />
#<br />
(পারিবারিক এলবাম থেকে কিছুক্ষণ পর ছোটবেরার ছবি দেব)</div>

খাব্বাব, আমার উপন্যাসের নায়ক, অতপর... ।। নাসীমুল বারী।।

খাব্বাব, আমার উপন্যাসের নায়ক, অতপর... ।। নাসীমুল বারী।। তখনও সমুদ্রে বোটে নেভির দুজন ডুবুরিসহ আমি। নেভির স্পেশাল পাম্পস্পিড বোটে লেফে...

আরও পড়ুন »

বাংলা সাহিত্যের নায়িকারা : পদ্মা নদীর মাঝির কপিলা – মুর্তজা বশীর

Unknown সাহিত্যালোচনা ১১:১০:০০ AM

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiiVD52-rVB7HxsZoETadujiVKcXHCola7dQnUsyYpQNYQinzKIJ_Fn1yOjCO657iujtWqXgqNrOH36Q0lJc0jliIauviynGwlqe-arUhWhiE_rhsJ9dpknOJ6VN5Ick6b4duzfqMy53yOS/s1600/IMG20170813132643.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1200" data-original-width="1600" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiiVD52-rVB7HxsZoETadujiVKcXHCola7dQnUsyYpQNYQinzKIJ_Fn1yOjCO657iujtWqXgqNrOH36Q0lJc0jliIauviynGwlqe-arUhWhiE_rhsJ9dpknOJ6VN5Ick6b4duzfqMy53yOS/s320/IMG20170813132643.jpg" width="320" /></a></div>
<div class="ui-header ui-bar-inherit" data-role="header" role="banner" style="background-color: #00a99d; border-color: rgb(0, 92, 86); border-style: solid; border-width: 1px 0px; color: white; font-family: sans-serif; font-size: 16px; font-weight: bold; position: relative; text-shadow: rgb(68, 68, 68) 0px 1px 0px;">
<h1 aria-level="1" class="ui-title" role="heading" style="font-size: 1em; margin: 0px 108px; min-height: 1.1em; outline: 0px !important; overflow: hidden; padding: 0.7em 0px; text-align: center; text-overflow: ellipsis; white-space: nowrap;">
বাংলা সাহিত্যের নায়িকারা : পদ্মা নদীর মাঝির কপিলা – মুর্তজা বশীর</h1>
</div>
<div class="ui-content" role="main" style="border-width: 0px; font-family: sans-serif; font-size: 16px; overflow-x: hidden; overflow-y: visible; padding: 1em;">
<div align="left">
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি কালজয়ী উপন্যাস। এর পটভূমি বাংলাদেশের বিক্রমপুর-ফরিদপুর অঞ্চল। এই উপন্যাসের দেবীগঞ্জ ও আমিনবাড়ি পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম। উপন্যাসটি কলকাতা থেকে সঞ্জয় ভট্টাচার্য সম্পাদিত পূর্বাশা মাসিক পত্রিকায় জ্যৈষ্ঠ ১৩৪১ থেকে শ্রাবণ ১৩৪২ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে নয় কিস্তি ছাপার পর প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। এক বছর পর ১৯৩৬-এর মে মাসে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। পূর্বাশা পত্রিকায় ছাপার সময় দেবীগঞ্জ ও আমিনবাড়ির এই দুটি স্থানের নাম ছিল যথাক্রমে গোয়ালন্দ ও রাজবাড়ী।<br /><br />হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কৃত প্রথম ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। ১৯৫৩ ও ১৯৫৪ সালে যথাক্রমে পদ্মা নদীর মাঝির সুইডিশ ও চেক ভাষায় অনুবাদ প্রকাশিত হয়। তা ছাড়া হাঙ্গেরী, জার্মান ও ডাচ ভাষায়ও উপন্যাসটির অনুবাদ হয়। বাংলাদেশে দুবার পদ্মা নদীর মাঝির চলচ্চিত্র রূপ দেওয়া হয়। ঢাকায় নতুন প্রতিষ্ঠিত এফডিসি প্রাথমিক পর্যায়ে উর্দু ভাষায় নির্মিতব্য যে ছবি করার অনুমতি দেয় তা ছিল এ জে কারদার পরিচালিত জাগো হুয়া সাভেরা (ডে শ্যাল ডন)। এই চলচ্চিত্রটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝিকে অবলম্বন করে নির্মিত হয় ১৯৫৮ সালে। কিন্তু লেখক যেহেতু হিন্দু ও ভারতীয়, তাই লেখকের নাম ব্যবহূত হয়নি। কাহিনিকার হিসেবে বিশিষ্ট উর্দু ভাষার কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের নাম উল্লেখ করা হয়। এ জন্য ফয়েজ আহমদ ফয়েজকে প্রচুর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। তিনি অবশ্য গান ও সংলাপ বলার দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে গৌতম ঘোষ ১৯৯২ সালে পদ্মা নদীর মাঝির চলচ্চিত্রে রূপ দেন।<br /><br />স্বামী পরিত্যক্তা কপিলা কুবেরের শারীরিক পঙ্গু স্ত্রী মালার ছোট বোন। মালার যখন বিয়ে হয়েছিল তখন সে ছিল কিশোরী, বড় দুরন্ত। তারপর তার বিয়ে হয়েছে, একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর আঁতুড়ে মারা গেছে। স্বামী শ্যামাদাস আবার বিয়ে করায় কপিলা চলে এসেছে তার বাবা-মার বাড়িতে। কিন্তু তাদের গ্রাম অকস্মাৎ বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় সে এসেছিল কুবেরের সঙ্গে তার জন্ম থেকে খোঁড়া বোনের সংসারকে দেখতে। সন্ধ্যার অন্ধকারে পদ্মা নদীর নির্জন তীরেই নতুনভাবে কপিলার পরিচয় উদ্ঘাটিত হয় কুবেরের কাছে। পদ্মার বিস্তৃত রহস্যময়তাই যেন কপিলা। পদ্মার জলের স্রোতের মতোই কুবেরের মনে কপিলা যেন বয়ে যায়। কপিলার ছলনাভরা হাসি, রহস্যঘন সংলাপ কুবেরের মনে পদ্মার বিচিত্র বৈশিষ্ট্যই ধরা পড়ে। কপিলা যেন বর্ষার পদ্মার মতো। এই পদ্মার তীরেই গভীর রাতে কপিলা কুবেরকে জানাতে এসেছিল দুঃসংবাদ—কুবেরের প্রতি চুরির অপবাদ। তাই কুবের চলে যেতে চায় সুচতুর, মিষ্টভাষী হোসেন মিয়ার সমুদ্রবুকের উপনিবেশ ময়নাদ্বীপে। সন্ধ্যাকাশে আলোর হাতছানি। পাড়ভাঙা নদীর ঘাট, যেন কপিলার জীবনগাথা। পারের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেওয়া ঘাটে বাঁধা নৌকার মতোই নিঃসঙ্গ সে। লাল ডোরাকাটা নীল শাড়ির লালপাড় কোমর জড়িয়ে বাঁ হাত মাথার ওপর রেখে অধীর আগ্রহে খুঁজছে ময়নাদ্বীপ। দূরে দুপাল দেওয়া নৌকা। নিচের অংশটি শূন্যতারই সাদা রং, ওপরের অংশ কপিলার পরনের শাড়ির যৌবনের প্রতিরূপ।<br /><br />সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ২৫, ২০১১</div>
<br /><br /><div class="ui-footer ui-bar-inherit" data-role="footer" role="contentinfo" style="background-color: #00a99d; border-color: rgb(0, 92, 86); border-style: solid; border-width: 1px 0px; color: white; font-weight: bold; position: relative; text-shadow: rgb(68, 68, 68) 0px 1px 0px;">
<div class="ui-navbar" data-role="navbar" role="navigation" style="max-width: 100%;">
<ul class="ui-grid-solo" style="border: 0px; list-style: none; margin: 0px; max-width: 100%; overflow: visible; padding: 0px; position: relative;">
<li class="ui-block-a" style="border: 0px; box-sizing: border-box; clear: left; float: none; list-style: none; margin: 0px; min-height: 1px; padding: 0px; width: 328px;"><br /></li>
</ul>
</div>
</div>
</div>
</div>

বাংলা সাহিত্যের নায়িকারা : পদ্মা নদীর মাঝির কপিলা – মুর্তজা বশীর

বাংলা সাহিত্যের নায়িকারা : পদ্মা নদীর মাঝির কপিলা – মুর্তজা বশীর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি কালজয়ী উপন্যাস। এর পটভূমি ব...

আরও পড়ুন »

অন্তর-ন্যাশনাল সঙ্গীত - কাজী নজরুল ইসলাম

Unknown কাজী নজরুল ইসলাম ১০:৪৯:০০ AM

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhAdcxFZ4RZqJIL4Z0-kSTh5opZRkH_Kssd8TFPSMDuGX-Tc-NvD_BlgoYRvw2dkYQBv42Oq0-ZjkLlSb-rmXCESfr3pV8ZgcVHBl2fPPogcSWAAOAGRahK1bBfM0CPLRNIRLEjaeWXr3RT/s1600/20170618_182244_rmscr.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="720" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhAdcxFZ4RZqJIL4Z0-kSTh5opZRkH_Kssd8TFPSMDuGX-Tc-NvD_BlgoYRvw2dkYQBv42Oq0-ZjkLlSb-rmXCESfr3pV8ZgcVHBl2fPPogcSWAAOAGRahK1bBfM0CPLRNIRLEjaeWXr3RT/s320/20170618_182244_rmscr.jpg" width="180" /></a></div>
<div style="text-align: center;">
অন্তর-ন্যাশনাল সঙ্গীত</div>
<div style="text-align: center;">
- কাজী নজরুল ইসলাম</div>
<div style="text-align: center;">
<br /></div>
<div style="text-align: center;">
জাগো–</div>
<div style="text-align: center;">
জাগো অনশন-বন্দী, ওঠ রে যত</div>
<div style="text-align: center;">
জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত!</div>
<div style="text-align: center;">
যত অত্যাচারে আজি বজ্র হানি’</div>
<div style="text-align: center;">
হাঁকে নিপীড়িত-জন-মন-মথিত বাণী,</div>
<div style="text-align: center;">
নব জনম লভি’ অভিনব ধরণী</div>
<div style="text-align: center;">
ওরে ওই আগত।।</div>
<div style="text-align: center;">
<br /></div>
<div style="text-align: center;">
আদি শৃঙ্খলা সনাতন শাস্ত্র-আচার</div>
<div style="text-align: center;">
মূল সর্বনাশের, এরে ভাঙিব এবার!</div>
<div style="text-align: center;">
ভেদি’ দৈত্য-কারা!</div>
<div style="text-align: center;">
আয় সর্বহারা!</div>
<div style="text-align: center;">
কেহ রহিবে না আর পর-পদ-আনত।।</div>
<div style="text-align: center;">
<br /></div>
<div style="text-align: center;">
কোরাস্‌ :</div>
<div style="text-align: center;">
নব ভিত্তি ’পরে</div>
<div style="text-align: center;">
নব নবীন জগৎ হবে উত্থিত রে!</div>
<div style="text-align: center;">
শোন্‌  অত্যাচারী! শোন্‌ রে সঞ্চয়ী!</div>
<div style="text-align: center;">
ছিনু সর্বহারা, হব’ সর্বজয়ী।।</div>
<div style="text-align: center;">
ওরে সর্বশেষের এই সংগ্রাম-মাঝ,</div>
<div style="text-align: center;">
নিজ নিজ অধিকার জুড়ে দাঁড়া সবে আজ!</div>
<div style="text-align: center;">
এই  ‘অন্তর-ন্যাশনাল-সংহতি’ রে</div>
<div style="text-align: center;">
হবে নিখিল-মানব-জাতি সমুদ্ধত।।</div>
<div>
<div style="text-align: center;">
<br /></div>
</div>
</div>

অন্তর-ন্যাশনাল সঙ্গীত - কাজী নজরুল ইসলাম

অন্তর-ন্যাশনাল সঙ্গীত - কাজী নজরুল ইসলাম জাগো– জাগো অনশন-বন্দী, ওঠ রে যত জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত! যত অত্যাচারে আজি বজ্র হানি’ ...

আরও পড়ুন »

বান এসেছে-- জাহিদ মাহবুর

Unknown জাহিদ মাহবুর ৮:২৬:০০ AM

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiAcsmJXQ-FWv2E7KhyphenhyphenfMNyriRkR5n7506AGh1StY-Pmm0GK-tYrAz7Fg70txdI50djfo57_InOkpebGQPoCLJFIzcnfEewsEoCppfTMRs6cxDVAIvz8W9SB6m3iO37NveQOpbuXfn3k2J1/s1600/photo-1469889924.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="433" data-original-width="650" height="133" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiAcsmJXQ-FWv2E7KhyphenhyphenfMNyriRkR5n7506AGh1StY-Pmm0GK-tYrAz7Fg70txdI50djfo57_InOkpebGQPoCLJFIzcnfEewsEoCppfTMRs6cxDVAIvz8W9SB6m3iO37NveQOpbuXfn3k2J1/s200/photo-1469889924.jpg" width="200" /></a></div>
<div style="background-color: white; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px;">
<span style="color: red;"><br /></span></div>
<div style="background-color: white; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px;">
<span style="color: red;">বান এসেছে</span><br />
<span style="color: blue;">জাহিদ মাহবুর</span></div>
<div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
বান এসেছে ওপার থেকে বান এসেছে ভাই,<br />
ডুবেই গেছে ঘরের চালা হালের গরু গাই। ।।</div>
<div class="text_exposed_show" style="background-color: white; color: #1d2129; display: inline; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px;">
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px;">
হঠাৎ শুনি গভীর রাতে মায়ের আর্তনাদ,<br />
পাড়ার সবাই বলছে হেঁকে "রক্ষা করো বাঁধ!"<br />
স্বপ্ন দেখি যাচ্ছে ডুবে আমার পড়ার বই,<br />
হঠাৎ জেগে সুধাই মাগো, রওশোনারা কই?<br />
ডুকরে কেঁদে বলেন বাবা তোমার বুবু নাই। ।।</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
কলার ভেলায় চলছি ভেসে পাড়ার জোয়ান বুড়ো,<br />
দুটি কুকুর এক জোড়া হাঁস নেইতো চাউল কুঁড়ো!</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
বিষাক্ত এই কালো জলে চলছি নিরুদ্দেশ,<br />
ভাবছি নাতো পেছন ফিরে যা হয়েছে শেষ!<br />
ভাবছি কেবল আমার দেশের অদূর ভবিষ্যৎ,<br />
অথৈ সাগর নাকি মরুর ধূঁধূঁ বালুর পথ?<br />
ভাষানীদের গলার আওয়াজ কোথায় খুঁজে পাই। ।।<br />
=================================<br />
খুলনার পথেঃ ১৭ আগস্ট, ২০১৭ ইং।</div>
</div>
</div>

<script id="GNR37331">
    (function (i,g,b,d,c) {
        i[g]=i[g]||function(){(i[g].q=i[g].q||[]).push(arguments)};
        var s=d.createElement(b);s.async=true;s.src=c;
        var x=d.getElementsByTagName(b)[0];
        x.parentNode.insertBefore(s, x);
    })(window,'gandrad','script',document,'//content.green-red.com/lib/display.js');
    gandrad({siteid:12258,slot:37331});
</script>
</div>

বান এসেছে-- জাহিদ মাহবুর

বান এসেছে জাহিদ মাহবুর বান এসেছে ওপার থেকে বান এসেছে ভাই, ডুবেই গেছে ঘরের চালা হালের গরু গাই। ।। হঠাৎ শুনি গভীর রাতে মায়ের আর্...

আরও পড়ুন »

দরকারি কথা--- আতিফ আবু বকর

Unknown ৯:৩১:০০ AM

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgp859QJmXP7b5VWzCX4LMlbDraus3v_3UJCkS4IIG5JXwpAtVygFGOufKi9zZ9TtLCCttYbgTDf6cDLqqggUlZEa-U0Ghby_dRNYQco2dmPfINkxaomZa25FRDPsT9BQkt0ask6tV0abzv/s1600/mj.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="368" data-original-width="595" height="197" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgp859QJmXP7b5VWzCX4LMlbDraus3v_3UJCkS4IIG5JXwpAtVygFGOufKi9zZ9TtLCCttYbgTDf6cDLqqggUlZEa-U0Ghby_dRNYQco2dmPfINkxaomZa25FRDPsT9BQkt0ask6tV0abzv/s320/mj.jpg" width="320" /></a></div>
<div style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px;">
<br /></div>
<div style="background-color: white; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; margin-bottom: 6px;">
<span style="color: blue;">দরকারি কথা<br />আতিফ আবু বকর</span><br />
<span class="_5mfr _47e3" style="color: #1d2129; font-family: inherit; line-height: 0; margin: 0px 1px; vertical-align: middle;"><img alt="" class="img" height="16" role="presentation" src="https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/fe2/1/16/270d.png" style="border: 0px; vertical-align: -3px;" width="16" /><span class="_7oe" style="display: inline-block; font-family: inherit; font-size: 0px; width: 0px;">✍</span></span><br />
<span style="color: #1d2129;">জুমার নামাজ পড়ে ফিরছি। রোদের তেজটা খুব বেশি আজকে।ঘেমে গেছে সারা গা। বাড়ির পথে ঢুকতে ঢুকতে পাঞ্জাবিটা খুলছি।</span><span class="text_exposed_show" style="color: #1d2129; display: inline; font-family: inherit;"><br />হঠাৎ বড়ো ফুফুর ডাকে থমকে গেলাম!<br />-তুই একটু শুনে যা<br />-ফুফু খুদা লাগছে খুব<br />ভাত খেয়ে আসছি<br />-আচ্চা, ঠিক আছে। শুনে যাস কিন্তু<br />ক'দিন ধরে তোকে খুঁজছি কটা দরকারি কথা আছে<br />-আমি ভাত খেয়েই আসছি ফুফু। তুমি বাড়ি যাও</span></div>
<div class="text_exposed_show" style="background-color: white; color: #1d2129; display: inline; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px;">
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px;">
ভাত খেতে মনে পড়ল বাজারে যেতে হবে। আড্ডা আছে বন্ধুদের সাথে। সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম দ্রুত। কিছুদূর যেতেই ফুফুর কথা মনে পড়ল। বুকটা খচখচ করছে। সাইকেল ঘুরাবো কি ঘুরাবো না। ফুফু হঠাৎ কেন ডাকলেন। কি এমন দরকারি কথা। সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে বাজারে চলে এলাম।</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
আগেভাগে ফিরতে চেয়েও ফেরা হলো না। মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ির পথে সাইকেল ঘুরালাম। আবার ফুফুর কথা মনে পড়লো। বাজার থেকে কিছুদূর এলেই ব্রিজ তারপর ছোট আরেকটা বাজার।</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
ওখানে দেখি ফুফাতো ভাই বসা। দু'জন ধরে মোটরসাইকেলে তুলছে। গোঙান কান্নার অস্ফুট একটা আওয়াজ ভেসে এলো!</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
হঠাৎ সাইকেলের গতি বেড়ে গেল আমার<br />
রুদ্ধশ্বাসে ছুটছি<br />
বুকটা যেন জ্বলে যাচ্ছে<br />
কাছাকাছি চলে এসেছি প্রায়</div>
<div style="font-family: inherit; margin-bottom: 6px; margin-top: 6px;">
আগে ফুফুর বাড়ি তারপর আমাদের<br />
সাইকেলের গতি শ্লোত হয়ে গেল ফুফুর দরজায়<br />
ততক্ষণে ফুফুর জীবন প্রদীপ নিভে গেছে!<br />
মা ডেকে বললেন মরার আগে তোকে খুঁজছিলো বড়োবু<br />
কি যেন দরকারি কথা ছিলো<br />
তোকে বলবার!<br />
<span class="_5mfr _47e3" style="font-family: inherit; line-height: 0; margin: 0px 1px; vertical-align: middle;"><img alt="" class="img" height="16" role="presentation" src="https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/f7d/1/16/1f44e.png" style="border: 0px; vertical-align: -3px;" width="16" /><span class="_7oe" style="display: inline-block; font-family: inherit; font-size: 0px; width: 0px;">👎</span></span><br />
রবিবার # ১৩ আগষ্ট,১৭</div>
</div>
</div>
 <script type="text/javascript"> (function (i,g,b,d,c) { i[g]=i[g]||function(){(i[g].q=i[g].q||[]).push(arguments)}; var s=d.createElement(b);s.async=true;s.src=c; var x=d.getElementsByTagName(b)[0]; x.parentNode.insertBefore(s, x); })(window,'gandrad','script',document,'//content.green-red.com/lib/display.js'); var site_id = 12258; var slot_id; var scripts = document.getElementsByTagName( "script" ); var thisScriptTag = scripts[ scripts.length - 1 ]; var container_width = thisScriptTag.parentNode.offsetWidth; if (container_width >= 728) slot_id = 37331; thisScriptTag.setAttribute("id","GNR"+slot_id); gandrad({siteid:site_id,slot:slot_id}); </script>

দরকারি কথা--- আতিফ আবু বকর

দরকারি কথা আতিফ আবু বকর ✍ জুমার নামাজ পড়ে ফিরছি। রোদের তেজটা খুব বেশি আজকে।ঘেমে গেছে সারা গা। বাড়ির পথে ঢুকতে ঢুকতে পাঞ্জাবিটা খুলছি...

আরও পড়ুন »

মতিউর রহমান মল্লিকের কবিতা মানবিক ও আধুনিক --ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ

Unknown প্রবন্ধ ৯:০২:০০ AM

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">

<script id="GNR37356">
    (function (i,g,b,d,c) {
        i[g]=i[g]||function(){(i[g].q=i[g].q||[]).push(arguments)};
        var s=d.createElement(b);s.async=true;s.src=c;
        var x=d.getElementsByTagName(b)[0];
        x.parentNode.insertBefore(s, x);
    })(window,'gandrad','script',document,'//content.green-red.com/lib/display.js');
    gandrad({siteid:12258,slot:37356});
</script>
<br />
<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<div class="_5pbx userContent" data-ft="{"tn":"K"}" id="js_2f" style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 14px; line-height: 1.38;">
<div style="display: inline; font-family: inherit;">
</div>
<h3 style="text-align: left;">
মতিউর রহমান মল্লিকের কবিতা মানবিক ও আধুনিক</h3>
<h4 style="text-align: left;">
ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ</h4>
.<br />
কবিতা মানুষকে জাগায়, মানুষও জাগিয়ে রাখে কবিতাকে। তাইতো ‘একজন কবিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যুতসই একটি কবিতাই যথেষ্ট; যেমনটি ‘বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই’ কবিতাটিই যথেষ্ট কবি যতীন্দ্র মোহন বাগচীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য; কবি আল মাহমুদ অত্যন্ত দৃঢ়ভাষায় বলেছিলেন কথাগুলো। একেক জন কবির জন্য এ রকম একটা-দুটো সৃষ্টি তাকে জনসমক্ষে অমর করে রাখে। কারণ এ ধরনের লেখার মধ্যে থাকে আধুনিকতা ও মানবিকতার অনুরণন। অমর হয়ে থাকার মতো এমন অনেক পঙ্ক্তির নির্মাতা শক্তিমান কবি মতিউর রহমান মল্লিক। স্বদেশপ্রেম ও জাতীয় চেতনায় তিনি ছিলেন অত্যন্ত দৃঢ়চেতা পুরুষ। পঙ্ক্তির ভাঁজে ভাঁজে তিনি নির্মাণ করেছেন দেশ-জাতি ও মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতার শৈল্পিক চেতনা। তার কাব্যভাষার আধুনিকতা এবং কবিতার পরতে পরতে মানবিকতার উচ্চারণ।<br />
কবিতা, ছড়া এবং প্রবন্ধ-নিবন্ধেও তিনি দেশ-জাতির জন্য বলিষ্ঠ ভাষায় সাহসী উচ্চারণ করেছেন। সঙ্গীতের জগতেও ঢেউ তুলেছেন সফলভাবে। বিশ্বাসী ধারায় তিনি এক সফল স্রোত বিনির্মাণেও সফল হয়েছেন। সুরে সুরে গেয়েছেন মানতাবতার জয়গান। তিনি স্বদেশকে ভালোবেসেছেন হৃদয় দিয়ে; মমত্ববোধের রজ্জু দিয়ে স্বদেশকে বেঁধেছেন বিশ্বাসের আবহে। তাইতো দেশের বুকে যে কোনো ক্ষতচিহ্ন তাকে ব্যথিত করে, করে তোলে বিচলিত। ‘তোমার কিশোরকালের/ মত এতো পুকুরও তুমি কোথাও পাবে না/ এবং তোমার প্রগাঢ় পল্লবের মত এমন/ যৌবনও তুমি কোথাও পাবে না’। (বিলের দিকে: অনবরত বৃরে গান, পৃ. ৪২)। নদীদখল আর পুকুর ভরাটের চিত্র আঁকতে গিয়ে এমন বিচলিত মনের আধুনিক পঙ্ক্তি নির্মাণ করেছেন কবি মতিউর রহমান মল্লিক।<br />
বৈশ্বিক উষ্ণতায় বদলে যাচ্ছে ভূ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য এবং মানবীয় ভূগোল। পানিশূন্যতা শুধু বৃরে ঘরে নয় মানুষের আত্মায়ও। তাই কবিতার মতো বাঁচার আকুতি পরিবেশ বৃ এবং জৈব সমাজে। এই আকুতির সহমর্মিতায় কবিদের কাব্যচর্চা; পরিবেশ বাঁচানোর আন্দোলনে নিজেকে সরবকর্মী হিসেবে জানান দেয়ার প্রয়াস। সেই কাতারের একজন নিবেদিত কবিপুরুষ মতিউর রহমান মল্লিক। বিশ্বাসের শেকড় থেকে শরীরের লোমকূপ পর্যন্ত তিনি ছুঁয়ে দিয়েছেন কবিতার পরশ; নির্মাণ করেছেন উর্বর পলিমাটির ফসলি আস্তরণÑ ফলিয়েছেন কবিতার সোনালি ফসল। তার কবিতায় ব্যবহৃত শব্দদ্যোতনার ভাঁজে ভাঁজে মানবিক উচ্চারণ; বৃ বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও, বাঁচাও প্রাণের স্পন্দনÑ মনুষ্যসমাজ। কারণ বৃ শুধু বৃই নয়Ñ জীবন্ত প্রাণী; মানুষও শুধু প্রাণী নয়, জীবন্ত বৃ। বৃরে শেকড় ছুঁয়েই উঠে আসে সবুজাভ প্রেমÑ নির্মিত হয় শান্তিময় আবাস। তাই তো বৃরে বাকল ছুঁয়েই তিনি নির্মাণ করেছেন বিশ্বাসের নতুন ক্যানভাস, কবিতার মানবিক শব্দকলা। তার এ শব্দ-দর্শনে জন্ম নিয়েছে নতুন চেতনা, আবিষ্কৃত হয়েছে বিশ্বাসের পতাকা। বৃরে সাথে মানবাত্মার উপমা টানতে গিয়ে তিনি বলেনÑ ‘একটি হৃদয় লতার মত, লজ্জাবতীর পাতার মত/ অনেক কথকতার মত।/ একটি হৃদয় ফুলের মত, সুরমা নদীর কূলের মত/ বট পাকুরের মূলের মত।’ [একটি হৃদয়, আবর্তিত তৃণলতা, পৃ.১৮]। বৃক্ষের মতোই মানুষকে বিস্তারিত হওয়ার আহ্বানে তিনি বলেন, ‘বৃরে বিস্তার আছে/ হৃদয়েরও বিস্তার আছে/ খুব কম লোকই বিস্তারিত হতে পারে।, [বিস্তার, আবর্তিত তৃণলতা, পৃ.১১] বৃকে প্রেরণার নদীর মতো দেখেছেন তিনি। বৃরে হৃদয়ের গভীরতা অতল সাগরের মতো। নিখাঁদ ভালোবাসার সবক পাওয়া যায় বৃরে কাছেই। তাইতো তিনি বলে উঠেনÑ ‘এই গাছের নীচেয় একটু দাঁড়াও/ হৃদয় হৃদয় হোক/ শরীরে সান্নিধ্য দিক মাতাল হাওয়া/... এসো এ গাছের নীচেয় একটু দাঁড়াই/ তারপর/ ভালবাসি পৃথিবীর সকল মানুষ।’ [গাছ সম্পর্কিত, আবর্তিত তৃণলতা, পৃ. ৩২] বৃ ধ্বংস মানে পরিবেশ ধ্বংস আর পরিবেশ বিপর্যয় মানেই প্রাণিজগতের বিপর্যয়, ভয়াবহ দুর্যোগ। তাইতো কবির তীব্র প্রতিবাদÑ ‘পাখিদের নীড় কারা ভেঙ্গে দেয়/ আর্থিক অজগর/ উজার বনের সবুজাভ প্রেম/ বাতাসের দাপানি/ যত দ্রুত কমে বৃ এবং/ বৃরে সমারোহ/ ধসে দ্রুত তত হৃদয়ের রং/ জীবনের হিমালয়।’ [ক্রমাগত, আবর্তিত তৃণলতা, পৃ.৪৬]<br />
উপমা-উৎপ্রোর অসাধারণ ব্যবহারে কবি যেমন আধুনিকতার শেকড় ছুঁয়েছেন তেমনি জীবন-সবুজের মালা গেঁথে তিনি মানবতাবোধকে ধারণ করেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সৌকর্যে। তার বেশির ভাগ কবিতায় এমনতরো ছোঁয়া লেগেছে নানা রকম নান্দনিক ঢঙে। ‘অরণ্যের গভীর থেকে নেমে এলো কোকিলের নদী তারপর ভেসে গেল পত্রাবলীর পাহাড়/ ভেসে গেল ডাল-পালার পথঘাট/ ভেসে গেল কুঁড়ি ও কাঁটার ঘরবাড়ী/ অথবা বৃরে তীরে তীরে ডেকে গেল শিল্পকলার হাওয়া/ বসন্তের ছায়া বুঝি মৃত্তিকার গান/ তা ছাড়া ঘাসের ঘটনা থেকে রটে যায়/ নিচোলিত হরিতের ঝাঁক/ বসন্তের চোখ বুঝি নীলিমার ঢেউ/ তা ছাড়া শুকনো লতার মত উড়ে উড়ে দূরে যায়/ হতাশার চুল।’ [কবিতার ধ্রুব, অনবরত বৃরে গান, পৃ. ১৬]।<br />
কবিতা শব্দের খেলা। ছন্দ, উপমা, উৎপ্রো, বিষয়ের গভীরতা এবং ইঙ্গিতময়তাকে কবিতার প্রাণ বলা হয়। অন্য দিকে যুতসই অন্ত্যমিলও কবিতাকে পাঠকপ্রিয়তা দান করে। কবি মতিউর রহমান মল্লিক এসব বিষয়ে অত্যন্ত যতœশীল ও পরিচ্ছন্ন কবি। ‘জ্বলতে জ্বলতে আরো জ্বলে যেতে চাই’ এমন অসংখ্য অনুপ্রাস, ‘মনের মধ্যে মন পাখির মতন’ কিংবা ‘প্রতিটি পাতাই লালিত সিঁথির নদী/ প্রতিটি পাতাই প্রজাপতি পাল তোলা’ এমন অসাধারণ সব উপমা, ‘তুমি নির্জন, নীরবতা যেন রহস্যঘেরা সুদূরিকা’র মতো অসংখ্য মনোমুগ্ধকর উৎপ্রো মল্লিকের কবিতাকে করেছে সমৃদ্ধ। সেই সাথে ‘হৃদয়ে উঠেছে চাঁদের অধিক চাঁদ/ চাঁদের ভেতরে সাম্যের মতবাদ’ এমন অজস্র রূপকের ব্যবহার, ‘সাত সাগরের ঢেউ থামানোর জন্যে বালুর বাঁধ’-এর মতো অগণিত শ্লেষ এবং অসাধারণ সব চিত্রকল্প মল্লিকের কবিতাকে যেমন আধুনিকতার উচ্চতায় নিয়ে গেছে তেমনি জীবন্ত এবং প্রাণবন্ত করে তুলেছে তার কাব্যময়তা। বহুমাতৃক ছন্দের ব্যবহার কবি মতিউর রহমান মল্লিকের কাব্যসম্ভারকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। স্বরবৃত্ত ছন্দের পাশাপাশি অরবৃত্ত ছন্দ, মুক্তক অরবৃত্ত ছন্দ, মাত্রাবৃত্ত ছন্দসহ নানাবিধ ছন্দের পরীা-নিরীা তার কবিতাকে পাঠক হৃদয়ে বিশ্বাসের বীজ বুনতে সহায়তা করেছে। এমনকি অষ্টক ও ষষ্টকে লেখা অরবৃত্তের অসংখ্য সনেট তাকে কবিতার জগতে স্থায়ী আসন গাড়তে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।<br />
সত্যিকার অর্থে, আধুনিক বাংলাসাহিত্যে মতিউর রহমান মল্লিক এক স্বতন্ত্র ধারার কবি। আবর্তিত তৃণলতা, অনবরত বৃক্ষের গান, চিত্রল প্রজাপতি, তোমার ভাষায় তীè ছোরা, নিষণœ পাখির নীড়ে, কাব্যগ্রন্থগুলোয় তিনি যেমন নিজেকে মেলে ধরেছেন আধুনিকতা এবং মানবিকতার মায়ার চাদরে তেমনি ছড়াগ্রন্থ ‘রঙিন মেঘের পালকি’তে তিনি উড়িয়েছেন স্বপ্নজাদু। গীতলতাকে ধারণ করে আধুনিক শব্দচয়ন, উপমায় শেকড়ের ডাক, ঐতিহ্যের অনুসন্ধান এবং বিষয়বস্তু নির্বাচনে বিশ্বাস ও মানবতাকে অবলিলায় ঠাঁই দিয়েছেন তার কবিতায়। কবিতার প্রতিটি শব্দ-বাক্য উপমা-উৎপ্রো আঙ্গিক নির্মাণে তিনি মননশীলতার পথে হেঁটেছেন। তৈরি করেছেন স্বকীয় ঢঙে আধুনিক কাব্যভাষাÑ যা একজন কবির জন্য অপরিহার্য বিষয়। তার কাব্যভাষার যে আধুনিকতা, শব্দের তৎসমতা ব্যবহাররীতি, নন্দিত শব্দের উৎসারণ সব কিছু তার নিজস্ব ঢঙে। ঐতিহ্যের ব্যবহার ও দেশজ অনুসঙ্গের দ্যোতনা তার কবিতাকে হৃদয়গ্রাহ্য করে তুলেছে। সেই সাথে কবিদের কাজ স্বপ্ন দেখানো। কাজী নজরুল ইসলামও বলেছেন, ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’; কবি ফররুখ আহমদ তাই ডাক দিয়েছেনÑ ‘ছিঁড়ে ফেলো আজ আয়েশি রাতের মখমল অবসাদ/ নতুন পানিতে হাল খুলে দাও, হে মাঝি সিন্দবাদ’। পূর্বসূরিদের এমন আহ্বানে সর্বান্তকরণে জেগে উঠেছিলেন কবি মতিউর রহমান মল্লিক। জেগে উঠেছিলেন শুধু লেখনীতে নয়; বাস্তব জীবনের পদে পদে তা বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টা সাধনাও করে গেছেন। তাইতো তিনি মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত সব পাঠকের হৃদয়ের কবি, ভালোবাসার কবি, স্বপ্ন-প্রেরণার কবি।<br />
......</div>
<div class="_3x-2" style="background-color: white; color: #1d2129; font-family: Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 12px;">
<div data-ft="{"tn":"H"}" style="font-family: inherit;">
<div class="mtm" style="font-family: inherit; margin-top: 10px;">
<div class="_6m2 _1zpr clearfix _dcs _4_w4 _59ap" data-ft="{"tn":"H"}" id="u_0_1n" style="box-shadow: rgba(0, 0, 0, 0.1) 0px 0px 0px 1.5px inset, rgba(0, 0, 0, 0.05) 0px 1px 1px; font-family: inherit; max-width: max-content; overflow: hidden; position: relative; z-index: 0; zoom: 1;">
</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
 <script type="text/javascript"> (function (i,g,b,d,c) { i[g]=i[g]||function(){(i[g].q=i[g].q||[]).push(arguments)}; var s=d.createElement(b);s.async=true;s.src=c; var x=d.getElementsByTagName(b)[0]; x.parentNode.insertBefore(s, x); })(window,'gandrad','script',document,'//content.green-red.com/lib/display.js'); var site_id = 12258; var slot_id; var scripts = document.getElementsByTagName( "script" ); var thisScriptTag = scripts[ scripts.length - 1 ]; var container_width = thisScriptTag.parentNode.offsetWidth; if (container_width >= 728) slot_id = 37331; thisScriptTag.setAttribute("id","GNR"+slot_id); gandrad({siteid:site_id,slot:slot_id}); </script> </div>
</div>

মতিউর রহমান মল্লিকের কবিতা মানবিক ও আধুনিক --ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ

মতিউর রহমান মল্লিকের কবিতা মানবিক ও আধুনিক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ . কবিতা মানুষকে জাগায়, মানুষও জাগিয়ে রাখে কবিতাকে। তাইতো ...

আরও পড়ুন »

শতকথা

সাহিত্য

এবারের ঈদছুটিতে ঘুরে আসুন নাসিরনগরে :: - শাহরিয়ার কাসেম

বিদ্রোহী কবির বিদ্রোহী কবিতা : বিদ্রোহী - কাজী নজরুল ইসলাম

খাব্বাব, আমার উপন্যাসের নায়ক, অতপর... ।। নাসীমুল বারী।।

বাংলা সাহিত্যের নায়িকারা : পদ্মা নদীর মাঝির কপিলা – মুর্তজা বশীর

অন্তর-ন্যাশনাল সঙ্গীত - কাজী নজরুল ইসলাম

বান এসেছে-- জাহিদ মাহবুর

দরকারি কথা--- আতিফ আবু বকর

মতিউর রহমান মল্লিকের কবিতা মানবিক ও আধুনিক --ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ

Popular Posts

Labels

Blog Archive