'প্রাপ্তির ঈদ আসবে'
............মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ্ রহমান
-
আল-আকসায় জ্বলবেনা 
বহ্নি আর
শোষিতের থাকবেনা 
মনের হাহাকার,
-
মুক্তির গান গাইবে
যে মুসলমান
সবাই মানবে
কোরআনের ফরমান,
-
শৃগালের রবেনা 
কোনই দিক নিশানা
ঘুমন্ত মুসলিম ফিরে
পাবে চেতনা,
-
মনের পশু মরে 
হয়ে যাবে একাকার
চারিদিকে ছড়াবে
আল্লাহু আকবার,
-
সেদিনই প্রাপ্তির ঈদের
যাবে দেখা
ধরার বুকে উড়বে
ইসলামের শিখা,
-
সেদিন হবে আমার
ঈদের আনন্দ
এখনকার ঈদে নেই
খুশির গন্ধ,
-
প্রাপ্তির ঈদ দিবেন
অন্তর্যামী
সে ঈদের স্বপ্নে বিভোর
অধম আমি ।
-
(মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত
মাত্রাবিন্যাস:15+15)
-----------------------------------
প্রেম অভিলাষী,
তোমাকেই ভালবাসি'
‪#‎মোঃ_খালেদ_সাইফুল্লাহ্_রহমান‬
-
হে ধরনী সৃজনওয়ালা,
ও মোর প্রেমিক মাওলা,
তোমার হুকুম করছি হেলা,
কত খেলছি পাপের খেলা !
তবুও প্রেম অভিলাষী,
তোমাকেই ভালবাসি,
আমি স্বার্থওয়ালা ।
-
মোর পাপের পাহাড়,
গড়ছি বিশাল আকার,
তোমার সমীপে পেশ করিবার,
মোর নাই যে কোন ভাষা,
তবুও রাখি আশা,
তোমার কিঞ্চিৎ করুণার,
প্রেম অভিলাষী,
তোমাকেই ভালবাসি,
আমি গুণাগার ।
-
মোর এখন প্রায়াশ্চিত্তের দিন ,
এজন্য ভুগছি সীমাহীন ,
ওদিকে বাতিলের চলছে জুলুম-হুংকার,
কখন যে হবে ছারখার !
তোমার করুণায় কর গজব বিলীন,
প্রেম অভিলাষী,
তোমাকেই ভালবাসি,
আমি নওমুমিন ।
-
মোর পাপের বোঝা,
নিষ্পাপ প্রাণ বইছে যা যা,
তাদের রক্ত পানে,
রক্ত পিপাষু মরিয়া সবখানে,
এখন আমায় কর ক্ষমা দান,
রক্ষা কর নিষ্পাপ প্রাণ,
প্রেম অভিলাষী,
তোমাকেই ভালবাসি,
আমি অধম মুসলমান ।
-
(কবিতাটি বেশ আগেকার লেখা।)

-------------------------------------
'ও প্রিয় কবি'
............মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ্ রহমান
.
ও প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম,
আমার স্বশ্রদ্ধ কোটি স্যালুট-সালাম,
তোমার ক্ষুরধার তেজস্বী লেখনী;
সেই অগ্নিঝরা বিদ্রোহের ঝলকানী,
আজো বাতিল রুখতে মুক্তির হুংকার,
এ জাতির সংকটে শক্ত হাতিয়ার ।
.
তোমার জীবিত কর্ম এখনও যুদ্ধরত,
সেই ভয়েই বাতিল সর্বদা ভীত সন্ত্রস্ত ,
ও ঘৃণ্য চক্রান্তের খেলায় আছে লিপ্ত ।
তুমি শীর্ষপদ করে গেলে অলংকৃত ,
তবুও দুখু রয়ে গেলে অবহেলিত,
ঠিক যেমন ছিলে জীবদ্দশার মতো ।
.
অভাগা জাতি দেয়না তোমার মূল্য,
কঠিন সেইদিন পাবে নাকো রত্ন তুল্য,
তখন ওরা প্রায়াশ্চিত্তে ভুগবে অনেক,
আবার খুঁজবে একজন নজরুল নায়েক,
সেই অপেক্ষায় আমরা নজরুল সেনা,
ও প্রিয় কবি তোমার ত্যাগ বৃথা যাবেনা।
.
26/05/15ইং

---------------------------------
'মমতাময়ী মা'
মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ্ রহমান
.
মমতাময়ী মা ,
তুমি যে প্রভুর শ্রেষ্ঠ নেয়ামাত ,
তোমার কদমতলে অপূর্ব জান্নাত ।
.
মমতাময়ী মা,
তুমি যে আমার সকল আশীর্বাদ ,
তুমি বিনে এ জীবনই বরবাদ ।
.
মমতাময়ী মা ,
তুমি বিনে প্রিয় নাহি কেউ আর,
তোমার ত্যাগই খুলে সাফল্যতার দ্বার ।
.
মমতাময়ী মা ,
জীবনের যতটুকু সফল;তোমারি ফসল,
জীবন বিনিময়; তবুও বন্দি ঋণের শিকল,
.
মমতাময়ী মা ,
তোমার জীবন কথা; নিঃস্বার্থে গাথাঁ,
তোমার পরিবর্তে স্বপ্ন দেখাই বৃথা ।
.
মমতাময়ী মা,
তোমার অনুভব ব্যাপিত হয় সর্বসময়,
তোমার অনুপস্হিতিতে তর নাহি সয় ।
.
মমতাময়ী মা ,
তোমার ভালবাসা বলার নেই ভাষা,
সদা বাস্তবায়ন করব তোমার সব আশা 
(ইনশাআল্লাহ্) ।
.
18/07/14

----------------------------------
আল-কোরআন মানবজাতির ইসলাম ধর্ম ,
আল-কোরআনই মানবজাতির শান্তির মর্ম ।
আল-কোরআন মানবজাতির মহাগ্রন্হ,
আল-কোরআন মানবজাতিকে দেয় সঠিক পথের মন্ত্র ।
আল-কোরআন মানবজাতির সঠিক ঠিকানা,
আল-কোরআন মানবজাতির মুক্তির ফরমান খানা ।
আল-কোরআন মানবজাতির শান্তির পথ,
আল-কোরআন মানবজাতিকে দেয় সুন্দর মত ।
আল-কোরআনের নবী (সঃ) আসায়,আল্লাহর ভাষায় ,
আল-কোরআন নাজিল হয়েছিল হেরা গুহায় ।
আল-কোরআনকে প্রভু করেছেন সৃষ্টি,
আল-কোরআনের প্রতি আছে তাঁর কুদরতি দৃষ্টি ।
আল-কোরআন মানবজাতিকে করে ধন্য,
আল-কোরআনকে মানবজাতি কর মান্য,
মানবজাতি ! তোমাদের জীবন হবে পরিপূর্ণ ।

(আমার অনেক আগেকার লেখা একটি কবিতা,নির্দিষ্ট তারিখ মনে নেই।)


-----------------------------------------------

'আসলে সেটি মানব বসন্ত'
‪#‎মোঃ_খালেদ_সাইফুল্লাহ_রহমান‬
মানবের মন হয় আলোড়ন,
বসন্তের সন্ধিক্ষণ,
ইহা থাকে অল্পক্ষণ,
বসন্ত নহে অনন্ত,
আসলে সেটি মানব বসন্ত।

ওটা তো চলন্ত,
আবার ওটা জ্বলন্ত,
আবার যেন উড়ন্ত,
করো দেখি সুপ্ত,
কারো নাকি দৃপ্ত,
বোধহয় যৌবনযুক্ত,
আসলে সেটি মানব বসন্ত।
যৌবন পূর্বক্ষণ,
কৈশোর পর পদার্পন,
বসন্ত করে আগমন,
কিছুকাল করে বিচরন,
আবার করে কালক্ষেপণ,
যৌবন পর হয় সমাপ্ত,
আসলে সেটি মানব বসন্ত।
১৫/০৯/১২
------------------------------ 
রাস্তা ধরে হাটছে পথিক,
তার নাহি চলন ঠিক ।
অবুঝ শিশু বললে নহে ভুল,
তবে অবুঝ পথিক ধরব মূল ।
সে যে বুঝে না ন্যায় অন্যায়,
কোনটি সঠিক পথ !
ন্যায় অন্যায় সবই ,
তার করে মাথায় দ্বিমত ।
সে যে হঠাৎ করে বসে,
অন্যায় করে কান্ড ।
এই জন্যে মানুষ বলে,
সে যে একটা ভন্ড ।
তারে ভন্ড মোরা বলবো না,
সে যে একটা অজ্ঞ ছানা ।
সে যে শিশু ছানার তুল্য,
তার নাই যে কোন জ্ঞান ।
তারে দিব সঠিক বুঝ,
মোরা করবো না অপমান ।
13/08/10
-----------------------------------------
'আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা'
‪#‎মোঃ_খালেদ_সাইফুল্লাহ্_রহমান‬
বীরশ্রেষ্ঠের ছেলের আর্থিক দৈন্যতার
তীব্র ব্যথা,
হলমার্ক , পদ্মাসেতু প্রভৃতির টাকা গলাধঃকরণের
স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের
সনদ বিক্রেতা,
তাঁর প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়ার
স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
ফেলানির রক্তে হোলিখেলায় মত্ত নরপিশাচের
নিষ্ঠুরতা,
প্রতিবাদ নামক শব্দখানির ব্যবহার না করার
স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
বিশ্বজিৎ এর করুণ আর্তনাদের পরও চাপাতির আঘাতে হত্যা ,
সুষ্ঠ বিচারের প্রশ্নে পিন পতন নীরবতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
স্বাধীনবাংলা ধর্ষণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের
দৌরাত্ন্যতা,
তবুও তাদের বন্ধু মনে করে গোলামীর স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
শাপলার বুকে মৃত্যুগামী হাফেজের ব্যাকুলতা,
ঈমান বাচাঁনোর মিছিল প্রতিহত করার স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্রের কৌশলতা ,
মুক্তমনাদের সহযোগীতার অনন্য স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
স্বাধীনতাকে ব্যবসায় রূপান্তরের ঘৃণ্য নিচতা ,
নিজের মতন ইতিহাস তৈরীতে স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
মানবতাকে বন্দি করে আদিম খেলার উন্মাদতা,
নিশ্চুপ থেকে ভ্রুক্ষেপ না করার ব্যতিক্রমী স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
নুয়ে পরা বাংলার ধিক্কারের চপলতা ,
দেশের কীটদের অহরহ ক্ষতি করার স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
টীকাঃ-
বীরশ্রেষ্ঠের ছেলের আর্থিক দৈন্যতার
তীব্র ব্যথা- বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছোট ছেলে চায়ের দোকানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ্ করে । তিনি ডুকরে কেঁদে বললেন- আর্থিক দৈন্যতার জন্যে যাতায়াত খরচ বহন করতে না পারার কারণে পিতার সমাধি দেখতে পারেন না ।
মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের
সনদ বিক্রেতা- খুলনার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এর অসুস্হতার জন্যে এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয় । রক্তের টাকাটি তার পকেট থেকে চুরি হয়ে যায় । তাই বেঁচে থাকার জন্যে ক্রন্দন করে এক ব্যাগ রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধের সনদপত্র বিক্রি করতে চাচ্ছেন ।
বিশ্বজিৎ এর করুণ আর্তনাদের পরও চাপাতির আঘাতে হত্যা- বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া গরীব হিন্দু ছেলে বিশ্বজিৎ কে চাপাতির দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একদল ক্ষমতাশীল ঘাতক । সে করুণ আর্তনাদ করে বলেছিল- আমি নই জামায়াত শিবির কিংবা রাজাকার , আমার বাপ দাদা ও ভোট দিয়েছিল এই নৌকায় । এখন পর্যন্ত এই হত্যার সুষ্ঠ বিচারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ।
শাপলার বুকে মৃত্যুগামী হাফেজের ব্যাকুলতা- নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে ঢাকার শাপলা চত্তরে জড়ো হয়েছিল লাখো কোটি মুসলিম । ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয় হাজার হাজার এতিম কিশোর কোরআন হাফেজ কিংবা তরুণ কোরআন হাফেজ । এই বিষয়টি অস্বীকার করে সরকার ।
নুয়ে পরা বাংলার ধিক্কারের চপলতা- স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র ধ্বংসে রাষ্ট্রের অহরহ ক্ষতি করছে দেশের কীট । নুয়ে পরছে বাংলা ।এই জাতিকে বাংলা ধিক্কার জানাচ্ছে । এই ধিক্কার জানানোটার ধরণ অনেকটা বাচালতার মতনই ।
--------------------------------------------------------
হে নারী মমতাময়ী মায়ের জাতি ,
একি মস্ত অদ্ভুত হালগতি !
পোশাক-আশাকের ব্যঙ্গ ধরণ ,
খোলামেলার নোংরা চলন ,
অশ্লীলতাই দেখি নিত্যনূতন ।
হে নারী 'নিত্যনূতন' নাহি বুঝো !
লজ্জা ভুলে আদিম সাজো,
নিত্যনূতন বলে পিছনে হাটো ,
আদিম যুগেই আবার ছুটো ।
হে নারী পথের সুশীলে খোঁজে অধিকার ,
পর্দাতে দেখো জাল ক্ষুরধার,
ইসলামে চলে হরদম অপপ্রচার,
বাহবায় মেতে কত চিৎকার !
হে নারী মগজ ধোলাই তা তো ,
ভোগে পরিণতয় সুক্ষ্ণ চক্রান্ত ,
হায়রে ! পুরাই মূর্খ অপদার্থ,
নিজেই যাও মর্গের প্রান্ত ।
হে নারী এসো দ্বীনের পথে,
হিজাব পরে বাঁচো ইজ্জতে ,
তবেই হবে কাল কেয়ামতে ,
স্হান্তরিত অপেক্ষমাণ জান্নাতে ।
টীকাঃ-
অশ্লীলতাই দেখি নিত্যনূতন- নিত্যনূতন অর্থাৎ সদ্য নতুন যা আধুনিক বলতে অশ্লীলতা বুঝায় না । ছোট ছোট জামা পরিধান করে দেহ প্রদর্শন করাটা আধুনিকতার সংজ্ঞায় পরে না ।
নিত্যনূতন বলে পিছনে হাটো ,
আদিম যুগেই আবার ছুটো- পর্দাহীন
হয়ে নিজেকে আধুনিক ভাবলেও নিজের
অজান্তে পেছনের সেই আদিম যুগেই পদার্পণ কর । কারণ আদিম মানুষেরা প্রায় উলঙ্গ থাকতো । তারা বলতে গেলে লজ্জাহীন জাতি ছিল ।
বাহবায় মেতে কত চিৎকার - রাস্তার সুশীল অর্থাৎ তথাকথিত সুশীলরা পর্দার বিপক্ষে ফেটে পরে । তারা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে । নারী তাদের
সেই কথাগুলোর সাথে তোমরাও সুর মিলাও । তাদের অনুসরণ কর ।
নিজেই যাও মর্গের প্রান্তে- তোমরা ঐ সুশীলদের মগজ ধোলাই এর কারণে পর্দা ছাড়া চল । তখন সুশীলরা এবং তাদের জন্ম দেওয়া বখাটেরা কৌশলে নতুবা জোর
করে তোমাদের ভোগ করে নতুবা যন্ত্রণা করে ।তখন তোমাদের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে ।তোমাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে রাখা হয় । যা তোমাদের নিজেদের ভুলের জন্যই হল ।
তবেই হবে কাল কেয়ামতে ,
স্হানান্তরিত অপেক্ষমাণ জান্নাতে -
তোমরা পর্দা করে চললে তোমাদের কেয়ামতের দিন হাশরের ময়দান থেকে জান্নাতে স্হানান্তর করা হবে । যে জান্নাত তোমার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে ।


----------------------------------------------


'আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা'
‪#‎মোঃ_খালেদ_সাইফুল্লাহ্_রহমান‬
বীরশ্রেষ্ঠের ছেলের আর্থিক দৈন্যতার
তীব্র ব্যথা,
হলমার্ক , পদ্মাসেতু
প্রভৃতিতে টাকা গলাধঃকরণের
স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে রক্তের
বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধের
সনদ বিক্রেতা,
তাঁর প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়ার
স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
ফেলানির রক্তে হোলিখেলায় মত্ত
নরপিশাচের নিষ্ঠুরতা,
প্রতিবাদ নামক শব্দখানির ব্যবহার
না করার স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
স্বাধীনবাংলা ধর্ষণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের
দৌরাত্ন্যতা,
তবুও তাদের বন্ধু মনে করে গোলামীর
স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
শাপলার বুকে মৃত্যুগামী হাফেজের
ব্যাকুলতা,
ঈমান বাচাঁনোর মিছিল প্রতিহত করার
স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্রের
কৌশলতা ,
মুক্তমনাদের সহযোগীতার অনন্য
স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
স্বাধীনতাকে ব্যবসায় রূপান্তরের ঘৃণ্য
নিচতা ,
নিজের মতন ইতিহাস তৈরীতে স্বাধীনতা,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
মানবতাকে বন্দি করে আদিম খেলার
উন্মাদতা,
নিশ্চুপ থেকে ভ্রুক্ষেপ না করার
ব্যতিক্রমী স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
নুয়ে পরা বাংলার ধিক্কারের চপলতা ,
দেশের কীটদের অহরহ ক্ষতি করার
স্বাধীনতা,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
-------------------------------------
'সেই সমাজ বদলাবে'
.............মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ্ রহমান
অসভ্যতা আর নোংরামীতে সয়লাব , 
যার তিল পরিমাণ নেই কোনই ফাঁকা ,
অশ্লীলতা নামক আধুনিকতার জোয়ারে,
চল্ চল্ করে ঘূর্ণন সেই সমাজের শাখা ।
আজ ধর্মনিরপেক্ষতা নামক ধর্মহীনতা ,
সেই সমাজকে পাল্টে দিতে বদ্ধপরিকর ,
নিপাত যাক্ ইসলাম বলে স্লোগানে ,
আগুয়ান ধর্মদ্রোহী ও তার চর ।
তাই সমাজ আজ নেতিয়ে পরা ,
অসহায় রোগাক্রান্ত বৃদ্ধের ন্যায় অসমার্থ,
যা নীতিহীন কর্মে মরিচা পরা ,
কতকদিনের অবিরত পথে চলন্ত ।
যতকই চলুক এভাবে সেই সমাজ ,
অগ্নিকুন্ডের লেলিহান শিখার দিকে ।
কোরআনের কর্মীর অবিরত সংগ্রামে ,
বদলাতে হবেই হবে সেই সমাজকে ।
30/11/14
( পরবর্তীতে প্রয়োজনে পরিবর্তন , পরিবর্ধন ও পরিমার্জন আসতে পারে । )
অনেক আগে থেকেই আমি কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম । আমার পুরাতন কবিতা দিয়ে মাঝে মধ্যে চালিয়ে দিতাম । কিন্তু এই গ্রুপের কারণে মাঝে মধ্যে কবিতা লিখার উৎসাহ পাই । কিছুক্ষণ আগে গ্রুপে ঢুকে কবিদের কবিতা দেখে রীতিমত হিংসেই হল । তাই কলম ভেঙ্গে হলে ও কবিতাটি লিখি । তবে আমি জানি নে কবিতাটি কেমন হল ???
----------------------------------------------
অধ্যাপক গোলাম আযম স্যারের অবাক করার মত
একটি ঘটনাঃ-
পাকিস্তান শাসনামলে অধ্যাপক গোলাম আযমসাহেব সরকারী একটি কাজে মৌলভীবাজার জেলার কমলগন্জ থানায় আসলে তিনি আমার দাদা ভাই মরহুম মৌলভী মকবুল আলী সাহেবের বাড়িতে ক্ষনিকের অতিথি হয়ে আসেন । মরহুম মকবুল আলী তাঁকে আপ্যায়ন করান এবং অধ্যাপক সাহেবকে সরকারী কাজটি সমাধান করতে তাঁর প্রাইভেট জিপটি ব্যবহারের জন্য দেন ।
তবে অবাক করার বিষয় হল , তারপর থেকে যতবার অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের সাথে কমলগন্জ থানার সাবেক আমির আব্দুল গনি তরফদার সাহেব দেখা করেছেন তিনি ঠিক ততবার আমার দাদা মরহুম মকবুল আলী এবং আমাদের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন
। এই ছিল তথাকথিত একজন যুদ্ধাপরাধীর
কৃতজ্ঞতা স্বীকারের নমুনা । এই ধরনের কৃতজ্ঞতা স্বীকারের নজির আমাদের মত স্বঘোষিত
স্বাধীনতার চেতনাধারীর মধ্যে কখনই লক্ষ্য
করা যায় না ।
তাই আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তিনি নিঃসন্দেহে একজন
ভাল মানুষ । আল্লাহ্ তাঁকে জান্নাত দান কর আমিন
-----------------------------------------
'শিক্ষাব্যবস্হা প্রসঙ্গ; আমাদের ভবিষ্যৎ'
.......... মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ্ রহমান
ইদানিংকালে পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইস্যুতে এইচ এস সি '14
ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের অর্থাৎ আমাদের
আন্দোলনের বিষয়টি সবার মাঝে খুব
বেশী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । এই
বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ইতিবাচক
কিংবা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন । এই
প্রেক্ষাপটে আমি এইচ এস সি '14 ব্যাচের
একজন ছাত্র হিসেবে এই বিষয়ে কিছু লেখার
গুরত্ব মনে করেছি । আমরা ঢাবিতে দ্বিতীয়
দফায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ বন্ধ
করে দেয়ার সিদ্ধান্তকে কোনক্রমেই
মেনে নিতে পারছি না । কারণ আমরা এই
হঠকারী সিদ্ধান্তকে শিক্ষাক্ষেত্রে
মারাত্নক বাধা মনে করছি । যদিও পি এস
সি , জে এস সি , এস এস সি ও এইচ এস সি সহ
সকল পাবলিক পরীক্ষায় আমাদের ফলাফল
অবাক করার মত ; কিন্তু আমাদের এই
ফলাফলের পেছনে এক বিরাট ষড়যন্ত্র কাজ
করছে । ষড়যন্ত্রের অংশ
হিসেবে প্রথমতঃ প্রশ্ন পত্র পাশ করা হয় ,
দ্বিতীয়তঃ পরীক্ষার খাতা খুব
নমনীয়ভাবে দেখা হয় এবং তৃতীয়তঃ অযোগ্য
সত্ত্বেও পাশ করিয়ে দেওয়া হয় ।
ফলে আমাদের মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্হ
হচ্ছে । আর
আমরা যারা প্রকৃতভাবে পড়ালেখাতে
আন্তরিক ছিলাম , আমরা একটি কঠিন
ভর্তি পরীক্ষা যুদ্ধের মুখোমুখী হয়েছি ।
আমরা অধিকাংশ মেধাবীরা মেডিকেল ,
বুয়েট ও পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ
পাচ্ছিনা । কারণ এখানে ষড়যন্ত্রকারীদের
বদৌলতে প্র্রশ্নপত্র ফাঁসের মত
ন্যাক্কারজনক ঘটনা সহ আরও অনেক
দুর্নীতি ঘটে । যখন আমরা অধিকাংশ
মেধাবী প্রথম দফায় পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ
পেলাম না , তখন দ্বিতীয় দফায়
ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার মনঃস্হির করি ।
কিন্তু আমরা অধিকাংশ মেধাবী দ্বিতীয়
দফায় ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ
থেকে বঞ্চিত হলে জাতীয়
কিংবা প্রাইভেট
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করব । দীর্ঘসময়
নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবার
স্নাতক পাশ করা সম্ভব হবে না । আর
আমরা যারা পাবলিক , জাতীয়
কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে পাশ করব , আমরা অধিকাংশ
মেধাবী বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বঞ্চিত হব
। কারণ এখানেও প্রশ্নপত্র ফাঁস সহ আরও
অনেক দুর্নীতি ঘটে । তাছাড়া বয়সের
বাধার কারণে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়
থেকে বিসিএস এবং বিভিন্ন চাকুরীর জন্য
পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ বেশি পাব না ।
অন্যদিকে বিসিএস এবং বিভিন্ন চাকুরীর
ক্ষেত্রে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে পাশ করা সনদপত্র
অনেকটা অগ্রহণযোগ্য । এভাবে অনেকেই
ঝরে পরব ।
সার্বিক বিষয়
পর্যালোচনা করে অভিভাবকবৃন্দ আমাদের
অধিকাংশ মেধাবীকে
বিদেশ পাঠিয়ে দিচ্ছেন । আমাদের কেউ
এইচ এস সি পাশ করে স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশ
যাচ্ছে , আবার কেউ মেডিকেল, বুয়েট,
বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে পড়ালেখা শেষে উন্নত
জীবনের জন্য বিদেশে যাচ্ছে ।
এইভাবে আমাদের দেশ থেকে মেধা পাচার
হচ্ছে ।
এই বিষয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা রাষ্ঠ্রের
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছে ।
তাদের
ছেলে মেয়েরা বিদেশে পড়ালেখা করে ।
আর বাংলাদেশে পড়ালেখা করলেও
বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা
করে । ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য হল-
আমাদের মেধার বিকাশকে বাধাগ্রস্হ
করে মেধাহীন হিসেবে পরিণত করা । আবার
মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করে দেশ
থেকে বিতাড়িত করা ।
আগামীতে আমাদের রাষ্ট্রকে মেধাশূন্য
করে অকার্যকর করা ।
আমাদেরকে নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে ।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্হার মধ্যে পরিবর্তন
আনতে হবে । এইক্ষেত্রে পদক্ষেপ
হিসেবে প্রত্যেকটি জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়কে পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করতে হবে ।
সকল প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার একই মান
নিশ্চিত করতে হবে ।যে কোন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ
নিশ্চিত করতে একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষার
ব্যবস্হা করতে হবে ।
তাছাড়া শিক্ষাব্যবস্হার দুর্নীতি সহ
বিভিন্ন ধরনের যাবতীয় দুর্নীতি বন্ধ
করতে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে ।
মেধাবীদের সবধরনের সুযোগ
সুবিধা নিশ্চিত করে বিদেশ যাবার
পথে কৃত্রিমভাবে বাধা প্রদান করতে হবে ।
যদিও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাবিতে দ্বিতীয় দফা ভর্তি চালু রাখার
জন্য এইচ এস সি '14 ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের
অর্থাৎ আমাদের আন্দোলন চলছে । কিন্তু
আমাদের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্হার সার্বিক
নেতিবাচক দিকগুলো ক্ষোভ হিসেবে কাজ
করছে । তাই সরকারকে জাতীয়
স্বার্থে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো নিতে হবে ।
অন্যথায় আমাদের আন্দোলন আরও বেগমান
হবে । আর আমাদের
দেখানো পথে পরবর্তী ব্যাচের
ছাত্রছাত্রীবৃন্দ ও এগোবে ।
লেখকঃ এইচ এস সি '14 ব্যাচের ছাত্র
mdsaifullahrahman@gmail.com
------------------------------------------
হে মুসলমান,
আর কত হবে বায়তুল মুকাদ্দাসের অসম্মান ?
আর কত থাকিবে তোমাদের পিছুটান ?
হে মুসলমান
আর কত চাহিবে উপহার ফিলিস্তিনির লাশ?
আর কত করিবে উপভোগ নরপিশাচদের
হৈ হোল্লাস ?
আর কত করিবে বাতিল তোমাদের
উপহাস ?
হে মুসলমান ,
আর কত দেখিবে বাতিলের বর্বর নিষ্ঠুর
আঘাত ?
আর কত শুনিবে মজলুমের ক্ষীণ আর্তনাদ ?
হে মুসলমান ,
আর কত ঝরিবে মজলুমের চোখের পানি ?
আর কত জ্বলিবে বায়তুল মুকাদ্দাসের
সম্মূখে অগ্নি ?
হে মুসলমান ,
আর কত করিবে ওমর খালিদের সম্মান
ভূলন্ঠিত ?
আর কত করিবে অভিনয় জেগেও মৃত ?
হে মুসলমান,
আর কত পরে হবে বাতিলের গর্দান ?
আর কত দেরীতে রুখবে হানাদার শয়তান ?
আর কত হারাবে নিজের নামের মান ?
আর কত পরে খুজে পাব সেই বিপ্লবী মুসলমান ?
13/07/14
( এই গ্রুপের কার্যক্রম আমায় উৎসাহ দেয় । তাই হালকা অভিমান ভুলে আবার ফিরে আসলাম । )
-----------------------------------------
ওহে বন্ধু বাংলা বিদ্বেষী
‪#‎মো_খালেদ_সাইফুল্লাহ_রহমান‬
ওহে বন্ধু বাংলা বিদ্বেষী,
তোরা বন্ধুর খোলস পরে হয়েছিস গ্রাসী,
তোরা বলিস করেছিস মোদের স্বাধীন,দিয়েছিস
স্বাধীনতা,
তোরা কিভাবে করলি মোদের স্বাধীন?
তোরা দিলি স্বাধীনতা,
তোরা প্রতিবেশী হয়েও হতে চাস্ মোদের প্রভু,
তোরা বন্ধু হয়ে করতে চাস্ মোদের কাবু,
তোরা করেছিস যুদ্ধ,যদিও তা সত্য,
কিন্তু তোদের ছিল অনেক স্বার্থ নিহিত,
বরং
তোরা স্বাধীনতা বলে এসেছিস মোদের দেশে,
অনেক কিছু করে লুট, পাড়ি জমিয়েছিস তোদের
দেশে,লুটেরার বেশে,
তাছাড়া
তোরা এখনও করছিস মোদের ধ্বংসের ষড়যন্ত্র,
তোরা বাংলাকে করতে চাস্ সর্বশান্ত,
তোরা সেজেছিস ভাল প্রতিবেশী,সেজেছিস ভাল
বন্ধু,
তোরা হলি বিশ্বাস ঘাতক ভয়ানক শত্রু।
০২/০৯/১১
( প্রথম দিকে লেখা আমার এই কবিতা )
-----------------------------------------------
ওদের নেই পরিচয়,
কত কি যে অভিনয় !
ওরা মানবতাহীন ভবঘুরে,
আজ মানবতা কবর ঘরে ।
আজ মানবতা নগ্ন,
এই পৃথিবী পরাজিত ।
ওরা ঐ কাজে মগ্ন,
ওদের জাতীয়তা কলুষিত ।
ওদের যে অনেক খ্যাতি,
ওরা প্রাণহীন জাতি,
ওরা আলোহীন বাতি,
তাই জাতি চায় অব্যাহতি ।
ওরা যদি হয় অনুপ্রাণিত,
মানবতা হবে পুনরুজ্জীবিত,
যাহাতে শান্তি পুতিত;
চূড়ান্ত মুক্তি নিহিত ।
13/06/13
( আমি আজকের নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কোন কবিতা লেখার সময় পায়নি । সুতরাং কেউ এই কবিতাকে আজকের বিষয়ের সাথে সম্পূর্ণ মিলাতে যাবেন না )
----------------------------------
'ওদের জাতি জানায় স্যালুট প্রতি মুহূর্ত'
............মো: খালেদ সাইফুল্লাহ রহমান
আকাশে কালো মেঘ,
বাতাসের শন্ শন্ বেগ,
প্রকম্পিত হচ্ছে বর্বর ধ্বনি,
ডুকরে কাঁদছে অবনী,
বিষণ্ন মনে জাতি বাসী,
আজ যে রক্তাক্ত পলাশী।
পলাশী ইতিহাসে স্মরণীয় নাম।
বিশ্ব ইতিহাসে খচিত,
আমাদের কলংকিত দুর্দিনের পরিণাম।
যেখানে সুবে বাংলার স্বাধীনতা যায় অস্তমিত,
মীর জাফরদের ঘৃণ্য চক্রান্ত,
মোহনলালদের রক্তে রঞ্জিত,
নবাব সিরাজউদ্দৌলারা হন পরাজিত,
নবাব সিরাজউদ্দৌলারা দেশপ্রেমিকদের দৃষ্টান্ত,
আজো জাতি করে স্মরণ,
জাতি হয় আবেগাপ্লুত,
ওদের জাতি জানায় স্যালুট প্রতি মুহূর্ত।
২৭.৬.১৩
---------------------------------
( আমি জানি নে কবিতাটি আজকের বিষয়ের জন্য কতটুকু প্রাসংগিক ! )
ঐকান্তিকতা
মো: খালেদ সাইফুল্লাহ রহমান
আজ এই দিনে,
মানুষ কথার নেই উপযুক্ততা,
ঐকান্তিকতার বড়ই স্বল্পতা,
এটি নেই বলেই এত নির্মমতা।
আজ এই দিনে,
ঐকান্তিকতা যদি থাকতো,
মানুষের থাকতো ভ্রাতৃত্ত,
আবার হতো ভাল বন্ধুত্ব,
পাপাচার নাহি জাগতো,
মানুষ মানুষকে নাহি মারতো,
খুন আর রাহাজানি নাহি চলতো,
মানুষের জীবন হতো পর্যাপ্ত।
আজ এই দিনে,
হাজারও জাতের প্রাণী,
ঐকান্তিকতা বলেই নেই হানাহানি,
এখনও বাজায় তারা শান্তির প্রতিধ্বনি,
আজ এই দিনে,
ওদের মত ঐকান্তিকতা,
মানুষের আছে শিক্ষনীয়তা,
ইতিহাস থেকে অভিজ্ঞতা,
তবেই ফিরবে মানবতা,
এটি হল সারকথা।
০৯/০৪/১৩
---------------------------------
' মানুষ '
মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ্ রহমান
এই ধরনীতে স্রষ্টার অনন্য সৃষ্টি হলাম
মোরা মানুষ ,
শত শত মাখলুকাতের ভিড়ে আমরাই
যে হলাম চৌকোস ।
জমাট বাঁধা রক্তপিন্ড
থেকে তৈরী মোরা,
কিসের অহংকার ! মোরা পহেলা থেকেই
তো সর্বহারা ।
জীন আর মানুষের জীবন ,
প্রভুর গোলামীতেই বাধঁন ,
আল- কোরআনে মহান রবের বাণী,
মুসলমান ঐ কথাটি অবশ্যই জানি ।
আফসোস ! আমরা তা কতটুকুই বা মানি ।
তাহলে আসার সার্থকতা রইল কতখানি !
প্রভুর হুকুম মোরা যে করছি নাহি পালন,
মরণের পর
জাহান্নামে থাকবো সারাক্ষণ ,
সাবধান জান্নাতের কথা ভুলেও
করবো না স্মরণ ।
জান্নাতে যেতে হলে দ্বিপদী হলেই
নাহি শেষ ,
প্রকৃত
দ্বিপদী হয়ে গড়তে হবে ইসলামী পরিবেশ
28/09/14
( অনেক দিন পর কবিতা লিখলাম । তাই
পরবর্তীতে সংশোধন করতে পারি )
--------------------------------
'শোন হে বীর'
মো: খালেদ সাইফুল্লাহ রহমান
শোন হে বীর,
বাংলার বীর,
ওরা চায় বাংলার শির,
ওরা বাংলাতে চালাচ্ছে বিভিন্ন অত্যাচার,
ওদের অত্যাচারের প্রমাণ দিচ্ছে বাংলার
বর্ডার,
ওরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের করছে ব্যবহার।
শোন হে বীর
ওদের করছে গ্রহন, বাংলার কতক ক্যাডার,
ওরা করেছে সমর্পণ,বাংলার দিয়েছে ভার।
শোন হে বীর
বাংলা তো সেই শব্দ খানি,
বাংলা তো সেই মধু খানি,
যেখানে দেখি লক্ষ বীর লক্ষ মায়ের অগ্নিবাণী।
শোন হে বীর
বাংলা মোদের লক্ষ ত্যাগের অমূল্য ধন,
বাংলাকে করব রক্ষা,
আমরা বীর জাতির পণ।
শোন হে বীর
আমরা তো বাংলার সাহসী বীর সন্তান,
বাংলা দানে পারব না দিতে বীর শহীদদের
প্রতিদান।
আমরা হব তৈরী একাত্তরে মত,
আমরা বীর জাতি করব না মাথা নত।
০২/০৩/১২
-------------------------------------
( মানুষ বিষয়ে কবিতা দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক ব্যস্হতার কারণে দিতে পারলাম না । )
অবুঝ পথিক'
মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ রহমান
রাস্তা ধরে হাটছে পথিক,
তার নাহি চলন ঠিক ।
অবুঝ শিশু বললে নহে ভুল,
তবে অবুঝ পথিক ধরব মূল ।
সে যে বুঝে না ন্যায় অন্যায়,
কোনটি সঠিক পথ !
ন্যায় অন্যায় সবই ,
তার করে মাথায় দ্বিমত ।
সে যে হঠাৎ করে বসে,
অন্যায় করে কান্ড ।
এই জন্যে মানুষ বলে,
সে যে একটা ভন্ড ।
তারে ভন্ড মোরা বলবো না,
সে যে একটা অজ্ঞ ছানা ।
সে যে শিশু ছানার তুল্য,
তার নাই যে কোন জ্ঞান ।
তারে দিব সঠিক বুঝ,
মোরা করবো না অপমান ।
13/08/10
---------------------------------
ভারতবর্ষে মুসলমানদের বীরত্বের চিত্রঃ-
¥ ইখতিয়ার উদ্দিন বিন বখতিয়ার খলজি মাত্র ১৮
অশ্বারোহী নিয়ে রাজা লক্ষণ সেনকে বিতাড়িত
করেছিলেন ।
¥ মাত্র সতের বছরের বিন কাসিম সেই আরব
থেকে এসে সিন্ধু পর্যন্ত বিজয় অর্জন করেছিলেন ।
¥ সুলতান মাহমুদ গজনবি প্রতিপক্ষকে সতের বার
পরাজিত করেছিলেন ।
¥ আহমদ শাহ আবদালির মাত্র সাত হাজার
মুজাহিদ নিয়ে তিন লক্ষ মারাঠাদের পানিপথের
ময়দানে পরাভূত করেছেন ।
ভারতে আজ মুসলমানদের করুণপরিণতির চিত্রঃ-
¥ উনিশত আটচল্লিশ সালে ভারতের
হায়দারাবাদে দাঙ্গা হলে চল্লিশ হাজার
মুসলিম হত্যা করা হয় ।
¥ ১৯৬১-এর অক্টোবরে আলিগড় মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৬২-তে মধ্য প্রদেশের জাবালপুরে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৬৪-তে মহারাষ্ট্রের ভিভান্ডিতে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৬৭-তে বিহারের রানচিতে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৬৯-তে গুজরাটের আহমেদাবাদে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৭০-এ মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দি, জালগন ও
মালাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৭১-এ বিহারে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥১৯৭৮-এ আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৭৮-৮০ পর্যন্ত বিহারের জামশেদপুর ও উত্তর
প্রদেশের ভানারসিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা হয়

¥ ১৯৮০ তে উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৮১-তে আলিগড়ের মিনাকশিপুরাম ও
বিহারাশরীফে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৮২-তে উত্তর প্রদেশে মিরাটে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৮৩-তে আসামে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৮৩- তে কর্নটকে ভাটাকালে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৮৬ তে বিহারে নেওয়াদাতে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৮৭-তে উত্তর প্রদেশের মিরাটে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৮৯-তে বিহারের ভাগলপুরে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৯০-৯১-এ আলিগড়ে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ১৯৯২-৯৩-এ মুম্বাই, সুরাট, আহমেদাবাদ, কানপুর,
দিল্লিসহ সমগ্র ভারতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা হয়

¥ ১৯৯৭-এ তামিলনাড়–তে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ২০০০-এ আহমেদাবাদসহ বেশ কয়েক
এলাকা মুসলিম নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ২০০১-এ কানপুর, মালিগাও তে মুসলিম
নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ২০০২-এ গুজরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা হয় ।
¥ ২০০৩-এ মুসলিম নিধনে ৭১১টি দাঙ্গা হয় ।
¥ ২০০৪-এ মুসলিম নিধনে ৬৭৭টি দাঙ্গা হয় ।
¥ ২০০৫-এ মুসলিম নিধনে ৭৭৯টি দাঙ্গা হয় ।
¥ ২০০৬-এ গোয়া ও ভাদোদ্রা (গুজরাট) দাঙ্গাসহ
মুসলিম নিধনে ৬৯৮টি দাঙ্গা হয় ।
এই হল ভারতবর্ষে মুসলমানদের বীরত্ব ও করুণ
পরিণতির ইতিহাস । মুসলমানদের যতই নির্যাতন
করা হউক না কেন মুসলমান কখনও দুর্বল হবে না ,
ভেঙ্গে পরবে না , ভীত হবে না ।
তারা এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্ । কারণ
পৃথিবীতে মুসলমান ই একমাত্র জাতি যারা রক্ত
দেখে ভয় পেয়ে পিছু হটে না বরং সামনের
দিকে দ্বিগুন বেগে এগিয়ে যায়।
তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ।
লেখকঃ মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ্ রহমান
25/09/2014
--------------------------------
হে মুসলমান, আর কত ?
মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ্ রহমান
হে মুসলমান,
আর কত হবে বায়তুল মুকাদ্দাসের অপমান ?
আর কত চাও উপহার ফিলিস্তিনির লাশ?
আর কত করিবে উপভোগ নরপিশাচদের
হৈ হোল্লাস ?
আর কত করিবে বাতিল তোমাদের
উপহাস ?
আর কত দেখিবে বাতিলের বর্বর নিষ্ঠুর
আঘাত ?
আর কত শুনিবে মজলুমের ক্ষীণ আর্তনাদ ?
আর কত ঝরবে মজলুমের চোখের পানি ?
আর কত জ্বলবে বায়তুল মুকাদ্দাসের
সম্মূখে অগ্নি ?
আর কত করিবে ওমর খালিদের সম্মান
ভূলন্ঠিত ?
আর কত করিবে অভিনয় জেগেও মৃত ?
হে মুসলমান,
আর কত পরে হবে বাতিলের গর্দান ?
আর কত দেরীতে রুখবে হানাদার শয়তান ?
আর কত হারাবে নিজের নামের মান ?
আর কত পরে খুজে পাব সেই
বিপ্লবী মুসলমান ?
13/07/14
-----------------------------------
ঐকান্তিকতা
মো: খালেদ সাইফুল্লাহ রহমান
আজ এই দিনে,
মানুষ কথার নেই উপযুক্ততা,
ঐকান্তিকতার বড়ই স্বল্পতা,
এটি নেই বলেই এত নির্মমতা।
আজ এই দিনে,
ঐকান্তিকতা যদি থাকতো,
মানুষের থাকতো ভ্রাতৃত্ত,
আবার হতো ভাল বন্ধুত্ব,
পাপাচার নাহি জাগতো,
মানুষ মানুষকে নাহি মারতো,
খুন আর রাহাজানি নাহি চলতো,
মানুষের জীবন হতো পর্যাপ্ত।
আজ এই দিনে,
হাজারও জাতের প্রাণী,
ঐকান্তিকতা বলেই নেই হানাহানি,
এখনও বাজায় তারা শান্তির প্রতিধ্বনি,
আজ এই দিনে,
ওদের মত ঐকান্তিকতা,
মানুষের আছে শিক্ষনীয়তা,
ইতিহাস থেকে অভিজ্ঞতা,
তবেই ফিরবে মানবতা,
এটি হল সারকথা।
০৯/০৪/১৩
-----------------------------
আল-কোরআন
মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ্ রহমান
আল-কোরআন বলতে মানবজাতির ইসলাম ধর্ম ,
আল-কোরআনই মানবজাতির শান্তির মর্ম ।
আল-কোরআন মানবজাতির মহাগ্রন্হ,
আল-কোরআন মানবজাতিকে দেয় সঠিক পথের
মন্ত্র ।
আল-কোরআন মানবজাতির সঠিক ঠিকানা,
আল-কোরআন মানবজাতির মুক্তির ফরমান খানা ।
আল-কোরআন মানবজাতির শান্তির পথ,
আল-কোরআন মানবজাতিকে দেয় সুন্দর মত ।
আল-কোরআন নাজিল হয়েছিল হেরা গুহায় ,
মহানবী (সঃ) আসায় , আল্লাহর ভাষায় ।
আল-কোরআনকে প্রভু করেছেন সৃষ্টি,
আল-কোরআনের প্রতি আছে তাঁর কুদরতি দৃষ্টি ।
আল-কোরআন মানবজাতিকে করে ধন্য,
আল-কোরআনকে মানবজাতি কর মান্য,
মানবজাতি ! তোমাদের জীবন হবে পরিপূর্ণ ।
----------------------------------------------
























   
 
Top