মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের
সনদ বিক্রেতা,
তাঁর প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়ার
স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
ফেলানির রক্তে হোলিখেলায় মত্ত নরপিশাচের
নিষ্ঠুরতা,
প্রতিবাদ নামক শব্দখানির ব্যবহার না করার
স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
বিশ্বজিৎ এর করুণ আর্তনাদের পরও চাপাতির আঘাতে হত্যা ,
সুষ্ঠ বিচারের প্রশ্নে পিন পতন নীরবতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
স্বাধীনবাংলা ধর্ষণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের
দৌরাত্ন্যতা,
তবুও তাদের বন্ধু মনে করে গোলামীর স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
শাপলার বুকে মৃত্যুগামী হাফেজের ব্যাকুলতা,
ঈমান বাচাঁনোর মিছিল প্রতিহত করার স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্রের কৌশলতা ,
মুক্তমনাদের সহযোগীতার অনন্য স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
স্বাধীনতাকে ব্যবসায় রূপান্তরের ঘৃণ্য নিচতা ,
নিজের মতন ইতিহাস তৈরীতে স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
মানবতাকে বন্দি করে আদিম খেলার উন্মাদতা,
নিশ্চুপ থেকে ভ্রুক্ষেপ না করার ব্যতিক্রমী স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
নুয়ে পরা বাংলার ধিক্কারের চপলতা ,
দেশের কীটদের অহরহ ক্ষতি করার স্বাধীনতা ,
আমি দেখেছি সেই স্বাধীনতা ।
টীকাঃ-
বীরশ্রেষ্ঠের ছেলের আর্থিক দৈন্যতার
তীব্র ব্যথা- বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছোট ছেলে চায়ের দোকানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ্ করে । তিনি ডুকরে কেঁদে বললেন- আর্থিক দৈন্যতার জন্যে যাতায়াত খরচ বহন করতে না পারার কারণে পিতার সমাধি দেখতে পারেন না ।
মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের
সনদ বিক্রেতা- খুলনার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এর অসুস্হতার জন্যে এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয় । রক্তের টাকাটি তার পকেট থেকে চুরি হয়ে যায় । তাই বেঁচে থাকার জন্যে ক্রন্দন করে এক ব্যাগ রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধের সনদপত্র বিক্রি করতে চাচ্ছেন ।
বিশ্বজিৎ এর করুণ আর্তনাদের পরও চাপাতির আঘাতে হত্যা- বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া গরীব হিন্দু ছেলে বিশ্বজিৎ কে চাপাতির দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একদল ক্ষমতাশীল ঘাতক । সে করুণ আর্তনাদ করে বলেছিল- আমি নই জামায়াত শিবির কিংবা রাজাকার , আমার বাপ দাদা ও ভোট দিয়েছিল এই নৌকায় । এখন পর্যন্ত এই হত্যার সুষ্ঠ বিচারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ।
শাপলার বুকে মৃত্যুগামী হাফেজের ব্যাকুলতা- নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে ঢাকার শাপলা চত্তরে জড়ো হয়েছিল লাখো কোটি মুসলিম । ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয় হাজার হাজার এতিম কিশোর কোরআন হাফেজ কিংবা তরুণ কোরআন হাফেজ । এই বিষয়টি অস্বীকার করে সরকার ।
নুয়ে পরা বাংলার ধিক্কারের চপলতা- স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র ধ্বংসে রাষ্ট্রের অহরহ ক্ষতি করছে দেশের কীট । নুয়ে পরছে বাংলা ।এই জাতিকে বাংলা ধিক্কার জানাচ্ছে । এই ধিক্কার জানানোটার ধরণ অনেকটা বাচালতার মতনই ।
--------------------------------------------------------
হে নারী মমতাময়ী মায়ের জাতি ,
একি মস্ত অদ্ভুত হালগতি !
পোশাক-আশাকের ব্যঙ্গ ধরণ ,
খোলামেলার নোংরা চলন ,
অশ্লীলতাই দেখি নিত্যনূতন ।
হে নারী 'নিত্যনূতন' নাহি বুঝো !
লজ্জা ভুলে আদিম সাজো,
নিত্যনূতন বলে পিছনে হাটো ,
আদিম যুগেই আবার ছুটো ।
হে নারী পথের সুশীলে খোঁজে অধিকার ,
পর্দাতে দেখো জাল ক্ষুরধার,
ইসলামে চলে হরদম অপপ্রচার,
বাহবায় মেতে কত চিৎকার !
হে নারী মগজ ধোলাই তা তো ,
ভোগে পরিণতয় সুক্ষ্ণ চক্রান্ত ,
হায়রে ! পুরাই মূর্খ অপদার্থ,
নিজেই যাও মর্গের প্রান্ত ।
হে নারী এসো দ্বীনের পথে,
হিজাব পরে বাঁচো ইজ্জতে ,
তবেই হবে কাল কেয়ামতে ,
স্হান্তরিত অপেক্ষমাণ জান্নাতে ।
টীকাঃ-
অশ্লীলতাই দেখি নিত্যনূতন- নিত্যনূতন অর্থাৎ সদ্য নতুন যা আধুনিক বলতে অশ্লীলতা বুঝায় না । ছোট ছোট জামা পরিধান করে দেহ প্রদর্শন করাটা আধুনিকতার সংজ্ঞায় পরে না ।
নিত্যনূতন বলে পিছনে হাটো ,
আদিম যুগেই আবার ছুটো- পর্দাহীন
হয়ে নিজেকে আধুনিক ভাবলেও নিজের
অজান্তে পেছনের সেই আদিম যুগেই পদার্পণ কর । কারণ আদিম মানুষেরা প্রায় উলঙ্গ থাকতো । তারা বলতে গেলে লজ্জাহীন জাতি ছিল ।
বাহবায় মেতে কত চিৎকার - রাস্তার সুশীল অর্থাৎ তথাকথিত সুশীলরা পর্দার বিপক্ষে ফেটে পরে । তারা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে । নারী তাদের
সেই কথাগুলোর সাথে তোমরাও সুর মিলাও । তাদের অনুসরণ কর ।
নিজেই যাও মর্গের প্রান্তে- তোমরা ঐ সুশীলদের মগজ ধোলাই এর কারণে পর্দা ছাড়া চল । তখন সুশীলরা এবং তাদের জন্ম দেওয়া বখাটেরা কৌশলে নতুবা জোর
করে তোমাদের ভোগ করে নতুবা যন্ত্রণা করে ।তখন তোমাদের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে ।তোমাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে রাখা হয় । যা তোমাদের নিজেদের ভুলের জন্যই হল ।
তবেই হবে কাল কেয়ামতে ,
স্হানান্তরিত অপেক্ষমাণ জান্নাতে -
তোমরা পর্দা করে চললে তোমাদের কেয়ামতের দিন হাশরের ময়দান থেকে জান্নাতে স্হানান্তর করা হবে । যে জান্নাত তোমার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে ।